হঠাৎ উলটো পথে হাঁটা কেন
সোমা চ্যাটার্জি
পহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সৌদি সফর বাতিল করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার আট দিন পর যখন দেশের বহু মানুষ, বিজেপি'র ক্যাডারকুল, এমনকি বিরোধী দলগুলি পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী তথা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আশা করেছিল, ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে নিজে সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে বিহারের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করলেন, তারপর আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বৈঠক সারলেন। ঠিক তার দু' দিন পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিল যে জাতপাতের আদমশুমারি হবে। এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে অনেকেই হতবাক, কারণ, এ তাবৎ মোদিজী স্বয়ং, অমিত শাহ এবং আদিত্যনাথ সহ সংঘ পরিবার জাতপাতগত গণনার তীব্র বিরোধিতা করে এসেছে।
মাত্র এক বছর আগে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে যারা জাতপাত গণনার জন্য তদ্বির করেছিল, মোদিজী তাদের 'শহুরে নকশাল' বলে নিন্দা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ 'বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে' এবং 'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়'— এই স্লোগান দিয়ে জাতপাতগত জনগণনার দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বরং মুসলমান-ভয় দেখিয়ে 'হিন্দু ঐক্য'কে জোরদার করতে বলেছিলেন। ২০২৩ সালে যখন আরজেডি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে নীতীশ কুমারের সরকার বিহারে একটি জাতপাত ভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা করে, তখন মোদী তাকে 'হিন্দু সমাজকে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগ করার পাপ' বলে অভিহিত করেন। উপরন্তু, তিনি বিহারের সরকারি চাকরিতে প্রান্তিক শ্রেণির জন্য কোটা বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন।
বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি'র এই হঠাৎ ভোলবদল আপাতভাবে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের একটি কৌশলগত রাজনৈতিক চাল, কোনও বাস্তব কর্মসূচি নয়। কারণ, এই জনগণনার কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি বা ২০২৫-২৬ সালে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনও বাজেটও বরাদ্দ হয়নি। সকলেই জানেন, শেষ জাতপাত ভিত্তিক আদমশুমারি হয়েছিল ১৯৩১ সালে।
ভারতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলিকে উন্নত করার জন্য ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে শুরু হয়। স্বাধীনতার পর ভারতের সংবিধানে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায়সঙ্গত প্রতিনিধিত্বের প্রচারের জন্য শিডিউল কাস্টস (এসসি), শিডিউল ট্রাইবস (এসটি) এবং পরে অন্যান্য অনগ্রসর জাতি (ওবিসি)-র জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়; ১৯৭৯'এর ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের অধীনে সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন সংসদ সদস্য বিপি মণ্ডল। মণ্ডল কমিশনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুপারিশ ছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ। ১৯৯০ সালে ভিপি সিং সরকার মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ আংশিক বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সুপারিশ বাস্তবায়নের ফলে দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তখন আরএসএস সমর্থিত বিজেপি 'এক জাতি, এক ধর্ম' এই শ্লোগান তুলে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে সরকার ফেলে দেয়। সেই সময়ই রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার মূল এজেন্ডা'কে সামনে রেখে আদবানি'র নেতৃত্বে বিজেপি রামরথ যাত্রা শুরু করেছিল, যা 'মণ্ডল বনাম কমণ্ডল' রাজনীতির সূত্রপাত বলে অনেকের অভিমত।
আমরা জানি, মণ্ডল কমিশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, সংরক্ষণ অবশ্যই যোগ্যতা ও সমতার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ হবে, শুধুমাত্র প্রমাণের মাধ্যমেই ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে ওবিসি-র সংরক্ষণ সর্বোচ্চ ৫0 শতাংশ অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে ৫০ শতাংশ সীমা সমগ্র দেশে সংরক্ষণের জন্য একটি নির্দেশক হয়ে ওঠে এবং কয়েকটি রাজ্য এই সীমা অতিক্রম করার সপক্ষে যুক্তি দেয়; যেমন, ১৯৯৪ সালে তামিলনাড়ুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কর্মসংস্থানের ৬৯ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়, ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রে মোট সংরক্ষণ হয় ৬৮ শতাংশ, তেমনই রাজস্থানেও সরকার গুজ্জর সম্প্রদায় সহ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীগুলির অতিরিক্ত সংরক্ষণ চেয়েছিল, যদিও সেটি তদন্ত সাপেক্ষ। তদুপরি, ২০২২ সালে ঝাড়খণ্ড সরকার ওবিসি, এসসি, এসটি'দের জন্য ৭৭ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি প্রস্তাব করেছে, ছত্তিশগড় সম্প্রতি এসটি, এসসি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের জন্য ৭৬ শতাংশ সংরক্ষণ করার প্রস্তাব এনেছে। এমনকি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে উপজাতি জনসংখ্যার একটি বড় শতাংশ রয়েছে যা নিয়েও সংরক্ষণের দাবি জোরালো হচ্ছে। আবার অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটক সুবিধা-বঞ্চিত গোষ্ঠীগুলিকে অতিরিক্ত সংরক্ষণ প্রদানের জন্য ৫০ শতাংশের সীমাকে চ্যালেঞ্জ করে বিচার বিভাগীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
মণ্ডল কমিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল ওবিসিদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করা। সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংরক্ষণের ফলে ওবিসি'রা একটি বৃহত্তর কণ্ঠস্বর ও ভারতীয় রাজনীতিতে প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছে। সামাজিক ভাবেও আসন সংরক্ষণ ওবিসিদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করায় তাদের সামাজিক অবস্থানের ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আরএসএস ও বিজেপি প্রথম থেকেই এটিকে নেতিবাচক প্রবণতা হিসেবে চিহিত করে এসেছে। তাদের মতে এটি জাতপাতগত বিভাজনকে শক্তিশালী করে। কারণ, তাদের মূল লক্ষ্যই হিন্দু-মুসলমান বিভাজন।
দেখাই গেছে, গত ৩৪ বছর ধরে বিজেপি সামাজিক ন্যায়বিচারের দলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রাম, অযোধ্যা, মথুরা, কাশী, সম্ভল, ঔরঙ্গজেব, বাবর-- এইসব ধর্মীয় বিষয়গুলিকে লাগাতার ব্যবহার করেছে। তবে, পহলগামের ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি বিভাজনমূলক এজেন্ডা বাস্তবায়িত করার জন্য চেষ্টা চালালেও মোদী বুঝতে পেরেছেন, শুধু ধর্মের ভিত্তিতে এবারের ভোট বাক্স দখল করা যাবে না। কারণ, বিজেপি প্রথম থেকেই কংগ্রেসের মতো উচ্চবর্ণের ভোটের উপর নির্ভরশীল এবং কোনও জাতপাতের বিভাজন স্বীকার করে না। বিহারের মতো জায়গায় যেখানে ১৭ শতাংশ মুসলমান ভোটার, সেগুলি সবই আরজেডি-কংগ্রেস-সিপিআই(এমএল) জোটের দিকে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিহারে বিজেপি জোটের পক্ষে ক্ষমতা ধরে রাখা মুশকিল হবে যদি না নিম্নবর্ণের ভোটগুলিকে বিশেষ কোনও উপায়ে টেনে আনা যায়। তাই, এখন সম্পূর্ণ উলটো পথে হেঁটে যুদ্ধের ভানটুকু বজায় রেখে সামাজিক ন্যায়ের দাবিকে কীভাবে নিজেদের এজেন্ডায় পরিণত করা যায় তার আপ্রাণ চেষ্টা শুরু হয়েছে; যার ফলশ্রুতিতে জাতপাত গণনার ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত।
এছাড়াও ওয়াকফ বিল নিয়ে মুসলমানদের প্রতিক্রিয়া চিন্তার উদ্রেক ঘটিয়েছে। জাত-গণনার জন্য ইন্ডিয়া জোট ও বিরোধী দলের প্রবল চাপ তো ছিলই এমনকি শরিক দল যেমন জেডিইউ, এলজেপি'র মতো দলগুলির কাছেও নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল মোদি সরকার। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশে বিজেপি'র খারাপ ফলের অন্যতম কারণই ছিল পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে না পারা।
আদমশুমারিতে জাতপাত গণনার মূল চ্যালেঞ্জ হবে জাত নির্ধারণ এবং মোট সংখ্যাকে তালিকাভুক্ত করা। এই তালিকায় পৌঁছনোর জন্য আদমশুমারি কমিশনারকে অবশ্যই শিক্ষাবিদ, ব্যক্তি, জাত গোষ্ঠী, রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে, কারণ, ১৯৩১ সালের সর্বশেষ আদমশুমারিতে ৪১৪৭'টিরও বেশি জাত ও উপজাত গণনা হয়েছিল, যার মধ্যে খ্রিস্টান, ইসলাম, জৈন, বৌদ্ধ ও হিন্দু ব্রাহ্মণরাও ছিল। ১৯৩১ সালে গবাদি পশুর সঙ্গে যুক্ত জাতের একটি গোষ্ঠী নিজেদের 'যাদব' হিসাবে চিহ্নিত করে এবং কিছু উপজাতি ও জাতকে একত্রীভূত করা হয়।
বর্তমানে ৩৬৫১'টিরও বেশি সম্প্রদায়কে ওবিসি, ১১৭০'টি এসসি এবং প্রায় ৮৫০'টি এসটি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১১ সালে জরিপের সময় জাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে অনেকেই তাঁর উপ-জাত ও গোত্র, কোনও ঋষির নাম উল্লেখ করেছিলেন। সুতরাং, এসইসিসি'র উল্লিখিত ৪৬'টি 'জাত'এর মধ্যে পদবী, উপ-জাত ও গোষ্ঠী আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাছাড়া একটি নির্দিষ্ট জাতের বিভিন্ন পরিবারের বিভিন্ন উপাধি থাকতে পারে। সরকার নীতি আয়োগের তৎকালীন সহ-সভাপতি অরবিন্দ পানাগারিয়ার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে যাতে এসইসিসি'র বিশৃঙ্খলা দূর করা যায়, কিন্তু কমিটি এখনও তাদের প্রতিবেদন পাঠায়নি এবং সরকার জাত সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের প্রাক্তন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি মোহনন বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলে একই জাতের বিভিন্ন নাম অথবা একই নাম থাকতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় বিভিন্ন মানুষ একই জাতের নাম ভিন্নভাবে লিখতে পারে। জনগণনা শুরু করার জন্য মোহনন সরকারকে তাদের রেজিস্টারে নথিভুক্ত সমস্ত জাতের নাম প্রকাশ করার পরামর্শ দেন। মোহনন বলেছেন যে, জাতিগত জনগণনা হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, কারণ, 'মুসলমান, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধরা সমজাতীয় নয়', তাদের মধ্যেও বিবিধ সামাজিক গোষ্ঠী রয়েছে, তাই তাদের জনসংখ্যাও এই বিভাগ অনুযায়ী গণনা করা উচিত।
বিহারই প্রথম রাজ্য যেখানে ২০২৩ সালে জেডি (ইউ), আরজেডি সহ অন্য সমস্ত দল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিহারে একটি সমীক্ষা করে এবং পরবর্তীকালে তার ভিত্তিতে সংরক্ষণ ৬৫ শতাংশে বৃদ্ধি পায়; এর উপর ছিল EWS'এর জন্য ১০ শতাংশ কোটা। ২০২৪ সালের জুন মাসে পাটনা হাইকোর্ট বিহার সংরক্ষণের সংশোধনী সম্পর্কিত আইন বাতিল করে দেয়। পরে বিহার সরকার সেই আদেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেও স্থগিতাদেশ পায়নি। অতএব, ৫০ শতাংশ সীমা সহ পূর্ববর্তী সংরক্ষণই অব্যাহত আছে। এই সিদ্ধান্তকে সংবিধানের নবম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্ব এখন মোদী সরকারের। কিন্তু হঠাৎ করে আবার জাত গণনা ঘোষণার মাধ্যমে মোদী সরকার আগের গণনাগুলি বাতিল করে পুরো বিষয়টি অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে।
বর্তমানে জাতগত তথ্য না থাকার কারণে এবং সুপ্রিম কোর্টের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ সীমার ভিত্তিতে ওবিসি সংরক্ষণ ২৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে, যা ভারতের ওবিসি জনসংখ্যার আনুমানিক অনুপাতে অনেক কম। এমনকি এই ২৭ শতাংশ সংরক্ষণও ধাপে ধাপে এসেছে— প্রথমে ১৯৯০ সালে সরকারি চাকরিতে এবং পরে ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কিন্তু একটানা সরকারি চাকরি সংকোচন, আমলাতন্ত্রের উচ্চ পর্যায়ে সংরক্ষণ এড়াতে ল্যাটারাল এন্ট্রির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং সম্প্রতি উচ্চবর্ণদের জন্য আনা অর্থনৈতিক ভিত্তিক সংরক্ষণের ফলে সংরক্ষণ ব্যবস্থা তার কার্যকারিতা অনেকটাই হারিয়েছে। তাছাড়াও জাতপাতের গণনা নিম্নবর্ণের সংরক্ষণ আরও বৃদ্ধি করবে, উচ্চবর্ণের কমবে। এই অবস্থায় সমাজবাদী ও বামপন্থী দলগুলি তুলনামূলক ভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও তা বিজেপির কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ, বহু বছর ধরে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক উচ্চজাত ভিত্তিক। তাই জাত গণনার জন্য ওকালতি করে তারা কীভাবে ওই ভোট ব্যাঙ্ক টিকিয়ে রাখবে তা দেখার ব্যাপার। অবশ্য, কংগ্রেসেরও উচ্চজাতের ভোট হারানোর ভয় আছে।
কথায় বলে, 'সেই তো মল খসালি/ তবে কেন লোক হাসালি!'
অত্যন্ত তথ্য-সমৃদ্ধ ও যুক্তিযুক্ত লেখা। সময়োপযোগী।
ReplyDeleteঅত্যন্ত সহজ ভাষায় লক্ষ্যভেদী, স্পষ্ট ভাবে পরিবেশিত এই লেখায় বিষয়টির সমস্ত দিকগুলিই ছুঁতে পারা গেছে।
ReplyDeleteএমন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখার জন্যে একক মাত্রা কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
খুব ভালো তথ্য ভিত্তিক বিশ্লেষণ। বিজেপি নামক দলটি যে কোন অন্ধকারে নিয়ে যাবে দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ সাধারণ মানুষকে!!!
ReplyDeleteখুবই বিশ্লেষণাত্মক তথ্যভিত্তিক আলোচনা। ঋদ্ধ হলাম। RSS/BJP-র বারবার সুবিধাবাদী ভোলবদল এবং মিথ্যার বেসাতির ব্যাপারে এ দেশের সাধারণ মানুষ অনেকটাই ওয়াকিফহাল হয়েছে। চিনেছে তাদের শাসককে। শাসক দল বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। -- সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অকর্মণ্যতার জন্য তো বটেই, মিথ্যাচার, দ্বিচারিতা এবং দুরাচারের জন্যও
ReplyDelete