সেনাবাহিনীকেই আক্রমণ?
প্রশান্ত ভট্টাচার্য
কুঁয়ার বিজয় শাহ'র পর জগদীশ দেবড়া! ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অসম্মান করতে বেপরোয়া। কুরুচিকর মন্তব্যে এঁরা কেউ কম যান না।
যে সেনাবাহিনী সন্ত্রাস ও তার মদতদারদের চোখে চোখ রেখে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের প্রতি কু বা অবমাননাকর মন্তব্য করা কেন? আমার ব্যক্তিগত বিবেচনায় এসব অপকর্ম হঠাৎ করে বা মুখ ফসকে নয়, এটা দীর্ঘ লালিত এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির ম্যানিফেস্টেশন। কারণ, দেখাই যাচ্ছে, আদালতের কড়া ধমকের পরেও প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিজয় শাহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও হেলদোলই নেই। মনে রাখতে হবে, উগ্র জাতীয়তাবাদ হয়তো রাজনৈতিক দলের জন্য সাময়িক ডিভিডেন্ড এনে দিতে পারে, কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায় তা রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি হয়ে উঠলে সাড়ে সর্বনাশ। বিপন্ন সময়ের সেই ধ্বনিই এখন শুনতে পাচ্ছি। আমার বলতে দ্বিধা নেই, সেই গোধরা পর্ব থেকে এখন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সহযোগীরা কোনও রাজধর্ম পালন করেননি, কুর্শি'তে বসে স্রেফ সেলফ-মেড 'হিন্দুধর্ম'এর রাজনীতি করে চলেছেন।
আচ্ছা বলুন তো, মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী কুঁয়ার বিজয় শাহ কেন হঠাৎ কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে টার্গেট করলেন? আগে দেখে নেওয়া যাক বিজয় ঠিক কী বলেছেন। তিনি বলেন, 'ওরা আমাদের হিন্দু ভাইদের পোশাক খুলে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীজী ওদের বোনকে ওদের বাড়িতে হামলার জন্য পাঠিয়েছেন। ওরা আমাদের বোনকে বিধবা করেছে, তাই মোদীজী ওদের সম্প্রদায়ের বোনকেই ওদের পোশাক খুলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।' এই মন্তব্যে কোথাও কর্নেল সোফিয়া কুরেশির নাম না নিলেও মন্তব্য যে তাঁকে উদ্দেশ্য করেই তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। অপারেশন সিঁদুরের পর দেশকে সেই ঘটনার ব্রিফ করেছিলেন সেনাবাহিনীর তরফে কর্নেল কুরেশি। তাঁকে 'জঙ্গিদের বোন' বলে উল্লেখ করাটা শুধু সোফিয়াকে নয়, গোটা সেনাবাহিনীকে অসম্মান। কেননা, এই ব্রিফিং করতে কেউ নিজের ইচ্ছে মতো এসে বসে পড়তে পারেন না। সেনাকর্তাদের কম্যান্ডেই এটা হয়।
ফলে, আদতে সেনাবাহিনীকেই ছোটো করা। আর সেটাই যে বিজেপির একাংশের মানসিকতা, তা পরমূহুর্তেই প্রমাণ করে দিলেন জগদীশ দেবড়া। মধ্যপ্রদেশের এই উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি অপারেশন সিঁদুরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আজ গোটা দেশ, দেশের সেনাবাহিনী ও প্রত্যেক জওয়ান ওঁর চরণে মাথা নত করেছে। ওনার চরণে নতমস্তক হয়েছে গোটা দেশ। কারণ, উনি যোগ্য জবাব দিয়েছেন। যা বলেছিলেন তাই করেছেন।' এই বক্তব্যের ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। দেশপ্রেমী মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের ডেপুটির এই মন্তব্যকে সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত অসম্মান বলে মনে করছেন। সেনার গায়ে রাজনীতির রঙ লাগিয়ে ভোট রাজনীতিতে সাফল্য কুড়োতে চাইছে বিজেপি। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকে ব্যক্তি মোদীর সাফল্য বলে তুলে ধরতে চাইছে। তবে এর চেয়েও মারাত্মক, এই সাফল্যর ধুনিতে মুসলিম বিরোধী জিগির তোলা হচ্ছে।
বিজয় শাহদের মতো বিজেপিওয়ালাদের সেনার ওপর সবচেয়ে বেশি ক্ষোভের কারণ কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে এগিয়ে দেওয়ায়। এই লড়াকু ভারত কন্যা ইসলামাবাদের মসজিদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রতিবাদ করে স্পষ্ট বলেছেন, 'ভারত কোনও ধর্মস্থানে আঘাত করেনি, কেননা, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।' আমার ধারণা, সোফিয়ার মুখে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটা শুনেই তাদের মাথায় আঘাত লেগেছে। আরএসএস থেকে বিজেপি, এরা সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটি বাদ দিতে বহুদিন থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদের একটি অতিপ্রিয় গালি হল, 'সেকু'। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেই তাকে 'সেকু' বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। ঠিক এখান থেকেই যুদ্ধ-বিরোধী মিছিলের ওপর বিজেপি চড়াও হচ্ছে। খাস কলকাতার বুকে এ কাণ্ড ঘটেছে। গত বুধবার রাতেও বারাসতের টালিখোলার আরিফবাড়ি এলাকায় মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী বাপ্পা ভূঁইয়ার বাড়িতে এদের একটি বড় দল চড়াও হয়। মৌলালিতে যুদ্ধ-বিরোধিতার পক্ষ নিয়ে পথে নামা লোকজনের দলে ছিলেন বাপ্পার মেয়ে। অভিযোগ, তাঁর পোস্টকে দেশ বিরোধী বলে দাবি করে হামলাকারীরা শাসানি দিয়ে গেছে যে, মেয়েকে ক্ষমা চাইতে হবে। কোনও সহনাগরিক যদি ওদের পঙক্তিতে না পড়ে, তবে তার অসীম দুর্বিপাক। একজন সহনাগরিকের যে প্রশ্ন করার অধিকার থাকতে পারে, ভিন্ন মত থাকতে পারে, এ কথা তারা বিশ্বাসই করে না। শুধু তাই নয়, আমাদের মতো যারা যুদ্ধবিরোধী, তাদের ইউএপিএ ধারায় গ্রেফতার করে বিচার চায় তারা।
মানে আমি-আপনি কেউ বলতে পারব না, আমরা যুদ্ধ চাই না। বলতে পারব না, যুদ্ধ কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান আনতে পারে না। অথচ নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বলতে পারেন যে, 'যুদ্ধ কোনও সমাধান নয়, আলোচনা করেই সঙ্কট মেটাতে হবে।' ঠিক আছে, মোদীর বেলা ছাড়। তিনি বিশ্বগুরু, তাই তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতা আর আমার মতো এলিতেলি গুজরালির ব্যক্তি স্বাধীনতা কখনই এক মাত্রার নয়।
ওহে ভক্তকুল, আমি না হয় আপনাদের মতো যুদ্ধবাজই হলাম। দুর্যোধনের মতো বললাম, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী। কিন্তু তারপরেই যে প্রশ্নটি আমার মাথায় আসছে, অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে আমরা যখন 'পাকিস্তানকে পেড়ে ফেলেছিলাম', 'গুঁড়িয়ে দেওয়া' হয়েছিল পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ড ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি আর সেই অবস্থায় গোটা দেশবাসী যখন পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবিতে ফুঁসছিলেন, যখন আমরা যুদ্ধবাজ ভক্তরা ভাবতে শুরু করেছিলাম (গোদি মিডিয়াও ভিডিও গেমসে সে সব দেখাচ্ছিল), দু'-একদিনের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে দেখব লাহৌরের রাজপথে শিস দিতে দিতে ভারতীয় সেনা ঘুরে বেড়াচ্ছে, করাচি বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের নৌসেনা, ঠিক তখনই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সেই স্বপ্নভঙ্গ করে দেওয়া হল কেন? আরও আশ্চর্য, যুদ্ধবিরতি বা সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করলেন ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে বসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! তাঁর নিজের 'ট্রুথ' সোশ্যাল হ্যান্ডলে সিজফায়ারের ব্রেকিং দিয়েছিলেন তিনি! সমাজমাধ্যমে তাঁর ঘোষণায় সারা বিশ্ব জেনে গেল সংঘর্ষ বিরতির কথা। এরপর মুখ রাখতে আমাদের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি সংক্ষিপ্ততম সাংবাদিক সম্মেলনে সিজফায়ার ঘোষণা করলেন বটে, কিন্তু এমন কাণ্ডে ৫৬ ইঞ্চি কি এক ধাক্কায় ২৬-এ নেমে এল না! যদিও ভারত গত কয়েক দিনে সরাসরি ট্রাম্পের নাম না করলেও ঠারেঠোরে বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক। কিন্তু তারপরও অন্তত আরও তিনবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনিই।
এমনকি বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েও ট্রাম্প নিঃসংশয়ে বলেন, 'পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছিল। হঠাৎ করে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা দিতে শুরু করল। আমরা এটিকে থামাতে পেরেছি। দু’দিন আগেও আমার মনে হচ্ছিল, হয়তো এটির সমাধান হয়নি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সমস্যা মিটে গিয়েছে। আমরা ওদের (ভারত এবং পাকিস্তান) সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমরা বলেছিলাম যুদ্ধের বদলে ব্যবসা করার কথা।' আর কিছুটা হুমকির সুরেই ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রশাসন ভারত এবং পাকিস্তানকে বলেছিল সংঘর্ষ বন্ধ না-করলে আমেরিকা দুই দেশের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য করবে না। ভারত-পাকিস্তানকে একাসনে বসিয়ে যেন তিনিই সবক শেখালেন, ভাবখানা তেমনই। ট্রাম্পের এই ঔদ্ধত্য বহু দেশপ্রেমী ভারতীয়কে আঘাত দিলেও দিল্লির শাসকদের যে কিছু এসে যায়নি তা তাদের নীরবতা দেখেই সকলে বুঝেছেন।
অবশ্য আমাদের বিদেশমন্ত্রক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানায় যে, গত ৭-১০ মে'র (ভারত-পাক সংঘর্ষের সময়) মধ্যে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আলোচনাতেই বাণিজ্যের প্রসঙ্গ আসেনি। যদি নাই আসে তবে অ্যাপেল নিয়ে ট্রাম্প কেন পরোক্ষ থ্রেট দেবেন? বাণিজ্য মহলের খবর, অ্যাপলের সিইও টিম কুকের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে ট্রাম্প নাকি তাঁকে স্পষ্ট চেতাবনি দেন, 'তুমি আমার বন্ধু। তোমাকে সাহায্য করতে চাই। কিন্তু শুনছি তুমি নাকি গোটা ভারত জুড়ে আইফোনের উৎপাদন বাড়াতে চাইছ। আমার কিন্তু সেটা মোটেই পছন্দ নয়। চাইলে তুমি ভারতে অ্যাপেলের পণ্য তৈরি করতেই পার। কিন্তু ভারতে শুল্কের হার খুব বেশি। তাই ভারতে অ্যাপেলের পণ্য বিক্রি করা খুব কঠিন হবে।' ট্রাম্পের দাবি, ভারত নাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এমন নীতি গ্রহণ করবে যেন মার্কিন পণ্যে কোনও শুল্কই না থাকে। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প চান না ভারতে অ্যাপেলের কারখানা হোক।
কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হল, সাংসদ-অভিনেত্রী তথা মোদীভক্ত কঙ্গনা রানাউত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এক্স হ্যান্ডেল'এর পোস্টে লেখেন, 'ভারতের প্রতি ট্রাম্পের ভালোবাসা হারানোর কারণ হল, প্রথমত, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেও বিশ্বের সবচেয়ে প্রিয় রাষ্ট্রনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী; দ্বিতীয়ত, এটা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ কিন্তু নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদ এবং তৃতীয়ত, ট্রাম্প নিঃসন্দেহে একজন আলফা মেল হলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী হলেন সব আলফা মেলদের বাবা। আপনাদের কী মনে হয়? এটা ব্যক্তিগত ঈর্ষা নাকি কূটনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা?’ কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা অভিনেত্রীকে কড়া ধমক দিলে কঙ্গনা রানাউত বিস্ফোরক পোস্টটি ডিলিট করে দেন। আরও হাস্যকর, সে কথা জানিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাজী আমাকে ফোন করে ট্রাম্প-টিমকে নিয়ে করা পোস্টটি মুছে ফেলতে বলেন। তাই ডিলিট করে দিলাম। আমার ইনস্টাগ্রাম থেকেও সেই পোস্ট ডিলিট করলাম। ধন্যবাদ।’
তার আগে গত ১০ এপ্রিল নিয়ম মতো ভারতের তরফে সংবাদমাধ্যমের কাছে যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। আর যায় কোথা! সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ে মিস্রি'র ওপর। রবিবার সকাল থেকে এক্স-হ্যান্ডলে দেশের বিদেশ সচিবকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ শুরু করে ভক্ত বাহিনী। গেরুয়া শিবিরের ট্রেনিং প্রাপ্ত এই ট্রোল-বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পাননি বিক্রম মিস্রি'র কন্যা ও তাঁর গোটা পরিবার। কতটা অসহায় অবস্থায় পড়লে শেষ পর্যন্ত সমাজ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টটি লক করে দিতে বাধ্য হন বিদেশ সচিব। ভাবুন, মোদী সরকারের বিদেশ সচিব যদি এই 'ফ্যাসিস্ত' বাহিনীর হাত থেকে রেহাই না পান, তবে আমার-আপনার হাল কী? দেশের বিদেশ সচিবের পারিবারিক ছবির নীচে ‘দেশদ্রোহী’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে কুৎসা করার পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করায় বিদেশ সচিবের আইনপড়ুয়া মেয়েকেও আক্রমণ করা হয়। এমনকী, বিক্রম-কন্যার ফোন নম্বরও ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ তো সরাসরি যুদ্ধবাজ নাৎসি বাহিনীর গুন্ডাদের কাজ! তার আগে এই ভয়ঙ্কর ট্রোল বাহিনী পহেলগামে সদ্য নিহত জওয়ানের স্ত্রী হিমাংশী নারিওয়ালকে পর্যন্ত ছেড়ে কথা বলেনি। আমাদের কি এক গৃহযুদ্ধের পথে ঠেলে দিতে চাইছে এই নাৎসি বাহিনী?
আমি এই গেরুয়া বাহিনীকে বলব, হিম্মত থাকলে মোদীর প্রিয় বন্ধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হও না দেখি! সে বেলা মুরোদ হবে না। কঙ্গনারই হল না, আর তোরা তো কোন ছাড়। দেখবি তখন শাহ'র বাহিনী তোদেরই কী অবস্থা করে! বলিয়ে ছাড়বে 'জয় শ্রীট্রাম্প'।
No comments:
Post a Comment