Saturday, 7 June 2025

বাঙালি মানেই 'বাংলাদেশি'!

ভয়ঙ্কর এক রাজনৈতিক-সংস্কৃতির আক্রমণ  

সোমা চ্যাটার্জি



আজ বিশ্ব জুড়ে পরিচয়ের রাজনীতি আশ্চর্যজনকভাবে জোরদার হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ পুনরুত্থিত হয়েছে। আটলান্টিক জুড়ে পরিচয়বাদের ঢেউ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে উদ্বিগ্ন করছে। এই অবস্থায় এ প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই মনে আসে, বাঙালি বা বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ কী? কারণ, ভারতীয় জনতা পার্টি ‘হিন্দু’ পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে যে উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতি শুরু করেছে তাতে বাঙালি জাতি তথা পুরো বাংলা ভাষা আজ অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে; ধর্মের গৈরিকীকরণের সঙ্গে সঙ্গে চলছে ভাষার গৈরিকীকরণ।

বিজেপির প্রধান রাজনৈতিক লক্ষ্য 'হিন্দু ঐক্য', অর্থাৎ, ভারতের হিন্দুদের (যারা দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ) তাদের দলের পতাকাতলে এনে যূথবদ্ধভাবে তাদের পক্ষে ভোট দেওয়ানো। সেই সঙ্গে 'ইসলাম বিদ্বেষকে' উস্কানি দেওয়া এবং হিন্দু ধর্মের ভেতর জাতপ্রথার বাস্তবতাকে চাপা দিয়ে প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্রের গুরুত্ব প্রচার করা। আর এই সংকীর্ণ 'হিন্দু ঐক্যের' রাজনীতির চাপে ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বাঙালি এবং বাংলা ভাষায় কথা বলা মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র সময় থেকে বাংলা ভাষী মুসলমানদের সবাইকে 'অনুপ্রবেশকারী' বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে, বাংলায় কথা বলা মানেই বাংলাদেশি, এই ধারণাকে তীব্রতর করা হচ্ছে দিনের পর দিন। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ভাষী মুসলমানদের নির্বিচারে আটক ও অবৈধ নির্বাসন চলেছে, যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি সরব হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের শ্রম মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলার বাইরে ভিন রাজ্যে বাংলার শ্রমিক রয়েছে প্রায় ২২ লক্ষ। অসংগঠিত ক্ষেত্র ধরলে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে এবং এদের প্রায় সবাই বাংলায় কথা বলেন। কিন্তু, মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যদি তাদের অস্তিত্ব বিপর্যস্ত হয় তাহলে এটি কেবল অমানবিকই নয়, বেআইনি এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। এই মুহূর্তে ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যে বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য নানা ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে। রাজস্থান, অসম, উত্তরপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় জুড়ে দরিদ্র বাঙালি মুসলমান শ্রমিকদের (ভারতীয় নাগরিক) কেবল তাদের মাতৃভাষায় কথা বলা বা একটি নির্দিষ্ট পরিচয়ের জন্য আটক, লাঞ্ছনা এবং অপমানিত করা হচ্ছে। অতি সম্প্রতি ২৯ মে হুগলি জেলা থেকে যাওয়া কুড়ি জনেরও বেশি বাংলা ভাষী মুসলমান পরিযায়ী শ্রমিকদের শুধুমাত্র 'বাংলাদেশি' সন্দেহে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে পুলিশ আটক করে রাখে, কারণ, তাঁরা বাংলায় কথা বলছিলেন, যদিও সকলের বৈধ ভারতীয় পরিচয়-নথি ছিল। পরে যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ইতিমধ্যে যথেষ্ট লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। প্রায় সর্বত্র, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে পুলিস বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে আটকে রাখছে। কোথাও পুলিশ ঝুপড়ি ভেঙ্গে ফেলছে, কোথাও তাতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। চারিদিকে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। ফলে, তাঁরা সবাই নিজের রাজ্যে ফিরে আসতে চাইছেন, তাঁদের রুটি-রুজি বিপর্যস্ত হচ্ছে।

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ মন্তব্য করেছিলেন, 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা 'উইপোকা' এবং তারা আমাদের দেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে।' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের নির্মূল করার জন্য নাৎসি জার্মানি ইহুদি সম্প্রদায়কে 'ইঁদুর' বলে অভিহিত করেছিল। একই অনুরণন এই শাসকের সুরে এবং তারই সুপরিকল্পিত প্রতিফলন এইভাবে বাংলা ভাষীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার প্রচেষ্টায়।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিষয়টিকে মূল ইস্যু করেই বিজেপি ২০১৬ সালের অসম বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে। ২০১৪ সালে নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর অসম সফরের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার ব্যবস্থা করবেন। ফলত, ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি)'র প্রথম খসড়ায় অসমের ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এখানেও উল্লেখ্য যে, আনুষ্ঠানিক কাগজপত্রের অনুপস্থিতি এবং পারিবারিক নথিতে ত্রুটি, আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যে সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে বিবাদ সহ আমলাতান্ত্রিক কৌশলে বহু প্রকৃত নাগরিককে 'অবৈধ অভিবাসী'তে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং শাসক দল তার ফায়দা নিয়েছে। এমনকি প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক এবং যাঁরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল বা উচ্চতর আদালতে আইনি আবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন, তাঁদেরও যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের কোনও আদালতে পর্যন্ত হাজির করা হচ্ছে না, ফলে তাঁদের আইনি সুরক্ষার মৌলিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠন 'সিটিজেনস অফ জাস্টিস অ্যান্ড পিস'এর তথ্য অনুযায়ী, সারা অসমে প্রায় ৩০০ জন এরকম নথিভুক্ত বাসিন্দা আছেন যাঁদের বিনা কারণে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আজও পর্যন্ত  তাদের মধ্যে ১৫০ জন নিখোঁজ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি), বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে এবং বলেছে 'অনিবন্ধিত অভিবাসীদের মোকাবিলায় সরকারকে  ধর্মীয় পরিচয় নয়, আইনের শাসন মেনে চলতে হবে।'

গত ২৭ মে অসমে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ দ্বারা বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হলে বিশিষ্ট আইনজীবী ও শিক্ষাবিদদের একটি দল সরকারের কাছে এই ধরনের বহিষ্কার বন্ধ করা এবং সীমান্তে পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রের প্রতি একটি খোলা চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে অসমে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিদেশি ঘোষিত বেশ কয়েকজনকে আটক ও বাংলাদেশে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা করা হয় এবং কিছু ন্যায্য দাবি জানানো হয়, যেমন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নির্বাসন ও ভোটাধিকার বাতিলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নির্বাসিতদের পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, ডিটেনশন সেন্টার থেকে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তদের গ্রেফতার ও নির্বাসন দেওয়া বন্ধ করা এবং যে নাগরিকদের ইতিমধ্যে জোরপূর্বক বাংলাদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে তাদের প্রত্যাবর্তনের অনুমতি দেওয়া যতক্ষণ না উক্ত ব্যক্তির জাতীয়তা ও ঠিকানা বাংলাদেশ দ্বারা যাচাই করা হয়।

গুজরাত ও অসমের মতো রাজ্যগুলি যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাঙালি মুসলমানদের আটক করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এমনকি তাদের অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় ১২ জন বাঙালি শ্রমিককে গোলাঘাট জেলার নুমালিগড় এলাকায় দৈনিক মজুর হিসাবে কাজ করার সময় অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে অসম পুলিশ গ্রেফতার করে এবং আধার ও ভোটার আইডি যাচাইয়ের পরও পরিচয়পত্র এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে রাখে। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী একাধিক হয়রানির ঘটনা সামনে আসার পরে ওড়িশা ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে বলেছেন, 'বাংলার দরিদ্র, নির্দোষ শ্রমিকদের আটক করা হচ্ছে, এমনকি নির্বাসনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। এটি তাদের জীবন ও জীবিকার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে।' সাম্প্রতিক এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলা ভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের হয়রানির তীব্র নিন্দা করে তাকে 'বাংলার বাইরের বাঙালিদের সাম্প্রদায়িক ও অপরাধীকরণের বিজেপি ষড়যন্ত্র' বলে অভিহিত করেছেন। 

বিজেপি'র 'হিন্দু ও হিন্দি' বলয়ে বাংলা তথা বাঙালি জাতিই আজ চাপের মধ্যে, কারণ, খোদ এ রাজ্যেই বাংলা মানুষের কথ্য ভাষায় সীমিত হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দির আগ্রাসনে বিপন্ন। বাঙালির এক অংশের রক্তে এখন সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহ বিষ। রাষ্ট্র ও সমাজে ক্ষমতাবান শ্রেণি বাংলা চর্চা ত্যাগ করে ইংরেজি-হিন্দিমুখী হচ্ছে। সুপরিকল্পিত ভাবে মাতৃভাষার জায়গা দখল করছে হিন্দি ও ইংরেজি। টিভি, রেডিও, রাস্তাঘাট এমনকি সরকারি দফতরেও বিকৃত বাংলায় বিজ্ঞাপন। অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যের ভাষাগত পরিচয়ের রাজনীতির কোনও ইতিহাস নেই, তাই তামিলনাড়ুর মতোই এ রাজ্যে এবং ভিন রাজ্যের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলেছে।

বাঙালি সংস্কৃতির মানবিক গুণগুলিই তার স্বাতন্ত্র্য; যেমন, সামাজিক প্রীতি, ধর্মে-বর্ণে অসাম্প্রদায়িকতা। কোনও মানুষই সাম্প্রদায়িক থাকতে চায় না। সাম্প্রদায়িকতা মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। আজ সর্বগ্রাসী ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে পড়ছে সংস্কৃতির আনাচে কানাচে। সাম্প্রদায়িক পরিচিতির উপর নির্ভরশীল বিজেপির হিন্দুত্ববাদী প্ল্যাটফর্মকে মোকাবিলা করার জন্য চাই সমাজের সব স্তরে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ এবং তার সঙ্গেই রাষ্ট্রকে আঞ্চলিকতা মুক্ত রাজনীতির জন্য চাপে রাখা।



8 comments:

  1. হিন্দি ভাষাকে সংখ্যা গরিষ্ঠে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলা ভাষার সংখ্যা চুরি করা হয়েছে, হচ্ছে। প্রাক্ স্বাধীনতা পর্ব থেকে ভারতীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বাঙ্গালির অধিকার খর্ব করতে বাংলা বিভাজনের সিদ্ধান্ত । বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক সীমানায় নানা ভাবে খন্ড বিখন্ড করা হয়েছে । ভাষা ভিত্তিক রাজ্য পূনর্গঠনে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সঠিকভাবে নির্ধারণে চক্রান্ত করা হয়েছে ।

    ReplyDelete
  2. রোজদিন বাঙালির ওপর এই আক্রমণ, তাঁদের খাদ্যাভাসে হস্তক্ষেপে এ রাজ্যের শাসকেরা কেন চুপ থাকেন, সেটাও আমার কাছে ধোঁয়াশা!

    লেখাটা খুব জরুরি এবং প্রাসঙ্গিক

    ReplyDelete
  3. Asaadharon lekha. Shaahoshii o shomoyopojogii 👍🏼

    ReplyDelete
  4. যে জাতি জেগে ঘুমায় তাকে জানাবেন কিভাবে। বাঙালির ন্যায় আত্মঘাতি জাতি পৃথিবীতে দ্বিতীয় খুঁজে পাওয়া যাবে না । ইতিহাস পড়ে না, ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। এতবার এত ভাবে বাংলা ও বাঙালির ওপর বিভিন্ন ধরণের আঘাত নেমে এসেছে তবুও সে নির্বিকার প্রতিক্রিয়া হীন। এখন ও নিজেরদে

    ReplyDelete
  5. এখনো নিজেদের অতি সচেতন রাজনীতি জাতি ও বিশ্বমানবের শ্লাঘা নিয়েই সুখনিদ্রায়। নিশ্চিত ধ্বংস লীলা উপলব্ধি করার বিচার বোধও সে আজ হারিয়েছে! ধীরে ধীরে গর্বের সবকিছু আজ ধ্বংসের করাল গ্ৰাসে চরম পরিণতির অপেক্ষায়। দেওয়ান লিখন পড়তেও সে আজ অক্ষম।

    ReplyDelete
  6. এ প্রশ্নটি প্রাসঙ্গিক করে তুলে সমাজের একটি অংশকে ক্ষেপিয়ে তোলার এক দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সেই জনমতের ভিত্তি আরো মজবুত করে নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া মূল উদ্দেশ্য।বাঙালি সংখ্যালঘু সনাক্তকরণ সহজ তাঁর মাতৃভাষার জন্য এবং এই পদ্ধতিতে বাংলাতেও দক্ষিণপন্থাকে আরো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য তরান্বিত করা আরেকটি উদ্দেশ্য

    ReplyDelete
  7. সুন্দর তথ্য ভিত্তিক লেখা। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন কি ভাবে হবে সেটাও আলোচনার বিষয়। একজনের প্রশ্ন এই রাজ্যের শাষক দল চুপ কেন বাঙালিদের এই অপমানের সময়। যেন বাঙালি জাত রক্ষা করার দায় কেবল শাষক দলেরই। বাকি বাঙালিদের কোন দায় নেই। এই রাজনীতিই বাঙালিদের পতনের কারণ। তবে এই পরিস্থিতি পুরোটাই আজকের না। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি। যখন অন্য সব রাজ্য অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হয়েছে, তখন আমরা রাজনীতির করেছি। বাঙালিদের এই সংখ্যায় অন্য রাজ্যের পথে যেতে হয়েছে কেন?

    ReplyDelete
  8. বাঙালি যে তার প্রতিবাদের স্বর হারিয়ে ফেলেছে তার একটি প্রমাণ আন্দামানের সেলুলার জেল সাভারকরের নামে উৎসর্গ করা, যদিও সবচাইতে বেশি সংখ্যক বাঙালি তাদের প্রান উৎসর্গ করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। আর সাভারকর বৃটিশ সরকারের কাছে জেল থেকে নিজে রেহাই পাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ পত্র পিঠিয়েছিল। তাই বাঙালি কোনো বিপ্লবীর নামেই জেলটি উৎসর্গ করা উচিত ছিল। কিন্তু আজকের বাঙালিদের সবকিছু চুপচাপ মেনে নেওয়া তা আর হতে দিলো না।

    ReplyDelete