Friday 6 August 2021

রাজনীতির নতুন অধ্যায়?

প্রশান্ত কিশোরের এত গুরুত্ব কেন

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


গত পাঁচ-সাত বছরে ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোর ভারতীয় রাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে আজ পর্যন্ত যে রাজনৈতিক দলগুলির হয়ে তিনি বায়না নিয়েছেন, একমাত্র ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ছাড়া তিনি অন্যান্য প্রত্যকেটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করিয়েছেন। সর্বশেষ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন- যেখানে তিনি গভীর আত্মপ্রত্যয়ে নানান প্রতিকূল আবহেও খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বারংবার ঘোষণা দিয়েছিলেন যে দিনের শেষে বিজেপি ১০০ আসনের কোটা পেরতে পারবে না। তাঁর নিশানা অব্যর্থ লক্ষ্যে বিদ্ধ হয়েছে।

এই ব্লগেই আগের একটি লেখায় আমি প্রশান্ত কিশোরের রাজনীতি নিয়ে খানিক আলোকপাত করেছিলাম (উৎসাহী পাঠকেরা এই লিঙ্কে দেখতে পারেন: https://ekakmatra2013.blogspot.com/2021/03/blog-post_22.html )। আজ পরিস্থিতি আরও অভিনব দিকে পা ফেলেছে। সে ইঙ্গিত আমার উল্লিখিত লেখায় ছিল।

বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই প্রশান্ত কিশোর একটি টেলিভিশন চ্যানেলে জানিয়ে দেন যে তিনি আর আই-প্যাক’এর সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না এবং এতদিন ভোট-কৌশলের যে কাজ তিনি করে এসেছেন তার থেকে অব্যাহতি নেবেন। অবশ্য বাজীটা ছিল, যদি বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে ১০০’র বেশি আসন পায় তবেই তিনি তাঁর ভোট-কৌশলের কাজ থেকে সরে আসবেন। সকলকে অবাক করে দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি ১০০’র কোটা না পেরনো সত্ত্বেও তিনি তাঁর বর্তমান পেশা থেকে সরে যাচ্ছেন। কারণ? তা তিনি খোলসা করে বলেননি তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি আরও অধিক অর্থপূর্ণ কাজের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু সেটা কী, তা নিয়ে কারও কাছেই কিছু পরিষ্কার হয়নি।

দেখা গেল, আসন্ন পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে কংগ্রেস নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং’এর যে প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছিল সেখান থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন। ইতোমধ্যে রাহুল গান্ধীর ইঙ্গিতপূর্ণ কথার রেশ ধরে রব উঠেছে যে তিনি হয়তো কংগ্রেস দলে যোগ দিতে পারেন এবং সরাসরি রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হবেন। এও শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি কংগ্রেসকে পরামর্শ দিয়েছেন যে তারা যেন সোনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে একটি উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করে, যেখানে তিনি সাংগঠনিক ভাবে থাকবেন; এবং সেই কমিটি একদিকে যেমন কংগ্রেস দলকে পুনরুজ্জীবিত করে ২০২৪’এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে, অন্যদিকে বিরোধী দলগুলিকে একটি জোটে নিয়ে আসতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এমনতর আরও বিবিধ সম্ভাবনা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, কিন্তু কোনটা ঠিক আর আদতে কী হতে চলেছে তা নিয়ে প্রশান্ত কিশোর স্বয়ং নিশ্চুপ ও তাঁর চলাবলাও বেশ বিভ্রান্তিকর। কিন্তু এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই যে তিনি এখন ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছেন।

প্রশ্ন হল, প্রশান্ত কিশোর এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেন কেন? এর উত্তর বেশ জটিল। কারণ, এই উত্তরে ব্যক্তি প্রশান্ত কিশোরের মুন্সিয়ানার প্রসঙ্গ তো থাকবেই, তার সঙ্গে গত এক দশকে গোটা বিশ্ব সহ ভারতবর্ষের রাজনৈতিক-সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটে গেছে তার যোগও একইরকম ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় বললে, প্রশান্ত কিশোর এই প্রায়-আমূল পরিবর্তিত আর্থ-রাজনৈতিক ঘরানা-সৃষ্ট এক ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ সম, যার ব্যক্তি-নৈপুণ্য নিঃসন্দেহে সমাজবিজ্ঞানের চর্চার বিষয়। কিন্তু এও মনে রাখতে হবে, ইতিহাস যদি তার নিজ চালিকা শক্তিকে নির্মাণ করে নিতে জানে, তবে সেই ইতিহাসের গর্ভেই রোপিত ছিল সেই বীজ যে প্রস্ফুটনকালে সারথীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। যদিও বলাই বাহুল্য, প্রশান্ত কিশোরের কাজের সামগ্রিক বিচার এখনও ভবিষ্যতের গর্ভে।

কিন্তু তিনি আদতে করলেন’টা কী? কেনই বা তাঁকে নিয়ে এত হৈচৈ? আপাতদৃষ্টিতে, সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি একটি ‘মামুলি’ চলার পথ নির্দিষ্ট করলেন। 'মামুলি' কারণ, যে যে রাজনৈতিক দলকে তিনি এতাবৎ নির্বাচনী পরামর্শ দিয়েছেন তার প্রধান রণকৌশল হরেদরে একটিই: সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া, অভাব-অভিযোগ, ক্ষোভ-বিক্ষোভকে পর্যালোচনা করে এমন একটি কর্মসূচি সেই দলের জন্য তৈরি করা যাতে তাদের প্রতি জনতার আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়। কেউ বলতেই পারেন, এ আর এমন কী কাজ, এই কাজগুলিই তো হওয়ার কথা, আগে তো রাজনৈতিক দলগুলি এইসব কাজের মধ্য দিয়েই নিজেদের জনভিত্তি নির্মাণ করত। কিন্তু সে দিন গিয়েছে। কারণ, আগে সেই কাজগুলির মধ্যে রাজনৈতিক নীতি ও মতাদর্শের প্রভাব ছিল, রাজনৈতিক বিশ্বাসের জায়গা থেকে রকমফের কর্মসূচি ও উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় ছিল, সে সব নিয়ে বাক-বিতণ্ডা ছিল। যেমন, সমাজতন্ত্রের ভাবধারার সঙ্গে পুঁজিবাদী ভাবধারার বিরোধ, উদারবাদী পুঁজিবাদের সঙ্গে কট্টর পুঁজিবাদের বিবাদ ও দ্বন্দ্ব, বামপন্থী কার্যসূচির সঙ্গে দক্ষিণপন্থী কার্যক্রমের বেজায় গোলমাল- এসবের ফলে অর্থনীতিতে নীতিগত অবস্থান নিয়ে তুমুল হৈ-হট্টগোল ছিল এবং সমাজও নানা মতে নানা পথে দ্বন্দ্বমুখর হত। তার প্রতিফলন নির্বাচনী রণাঙ্গনে তুমুল ভাবে দেখা দিত। তখন কোনও দল ভাবতেই পারত না যে তাদের জনসংযোগ ও যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণের কাজটা কোনও ভোট-কুশলী এসে করে দেবেন (অবশ্য আমেরিকায় দীর্ঘদিন ধরেই পেশাদার ভোট-ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কদর আছে, তবে তাদের কাজটা অতটা নির্ধারক কিছু নয়)। দলের নেতা ও কর্মীরাই সে কাজে পারদর্শী ও সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু এই চিত্রটা গত এক দশকে ধীরে ধীরে বদলে গেল।

আজ এসে প্রায় প্রতিটি সংসদীয় রাজনৈতিক দলের কাছেই এটা সাব্যস্ত হয়েছে যে রাজনীতি ও অর্থনীতির কন্দরে তেমন বড়সড় মৌলিক পথ নির্মাণের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, প্রথমত, যে যে উদ্যোগের নিরিখে দেশ জুড়ে মানুষের মননে হিল্লোল উঠত, যেমন, ব্যাপক শিল্পায়ন ও তৎপ্রসূত কর্মসংস্থান (দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারি উদ্যোগে ভারী শিল্পের পত্তন), জাতীয়করণের কর্মসূচি ও চাকুরির নিরাপত্তা (৬০ ও ৭০’এর দশকে ব্যাঙ্ক, কয়লা, বীমা শিল্পের জাতীয়করণ), শ্রমজীবী মানুষের মজুরি ও অধিকারের ন্যায্যতা ও স্বীকৃতি অথবা যুদ্ধের দামামা ও জাতীয়তাবাদের হিড়িক, পিছিয়ে পড়া মানুষজনের জন্য সংরক্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি এবং এর সঙ্গে বিভাজনের রাজনীতির জিগির তুলেও সমর্থন আদায়ের চল ছিল। এইসব আলোড়নে মানুষ উপযোগী নেতা ও রাজনৈতিক দলের পেছনে সমর্থনের বরমাল্য নিয়ে হাজির হয়ে যেত।

আজ আর সে সবের প্রয়োজন নেই। কারণ, আজ নতুন করে কোনও অভিনব রাজনীতি বা অর্থনীতি প্রজ্ঞাজাত কর্মসূচি প্রণয়নের সুযোগ বা অবসর নেই। সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও ঘৃণার রাজনীতিকে হাতিয়ার করে ২০১৪ ও তার পরবর্তীকালে বিজেপি যে ভাবে ক্ষমতার শীর্ষে চেপে বসেছে, তাদের সে আবেদনেরও তাৎপর্য আজ অনেকটাই ফুরিয়েছে। আজ প্রায় সারা বিশ্ব জুড়েই এক-অর্থনীতি, এক-রাজনীতির বয়ান তৈরি হয়ে যাচ্ছে: এক বৈশ্বিক ভার্চুয়াল জগতের উদয় যেখানে ক্ষমতার রাশ চলে যাচ্ছে দুরন্ত প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক ও তাদের লাগামধারীদের হাতে, রাজনৈতিক-অর্থনীতির বাধ্যত এক-ধরনের পথই নির্মিত হচ্ছে ও কাঠামোগত ভাবে শ্রমজীবী মানুষের নিজ ক্ষমতায়নের উপাদানগুলি দুর্বলতর হচ্ছে। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলিও কতকটা অসহায়। কারণ, চাইলেও ক্ষমতায় গিয়ে শিল্পায়নের পরিসর তৈরি করে চাকরি দেওয়ার অধিকারী আর তারা নয় (শিল্পায়নের মডেলটাই এখন বদলে গেছে), এমনকি সরকারি চাকরি দেওয়ার ক্ষমতাও তাদের নেই, অর্থনীতির পরিসরে কোনও বড়সড় সংস্কার সাধন করার ক্ষমতাও তাদের ফুরিয়েছে; যা আছে বা তারা যেটা করতে পারে তা বড়জোর, নানা ধরনের সরকারি প্রকল্প মারফত বেঁচেবর্তে থাকার ন্যূনতম উপাদানগুলি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া। এগুলিকে বলা যায় ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম’এর প্রাক-পর্ব। আর এগুলিই আজকের কর্পোরেট দুনিয়া চায়, যে স্বাস্থ্য-শিক্ষা-অন্ন-বাসস্থানের ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা সরকারগুলি করুক যাতে সমাজের টেনশন ও অস্থিরতা কোনওভাবে গ্লোবাল ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিসরকে ব্যতিব্যস্ত না করতে পারে। সেই কারণে পরস্পর দেশের মধ্যে যে যুদ্ধ-বিগ্রহ বা এক দেশ কর্তৃক অন্য দেশ দখল অথবা জোর করে জল-জঙ্গল-জমি কেড়ে নেওয়ার প্রয়াস- এগুলির প্রয়োজনও আজ ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে। আজকের যুদ্ধ প্রযুক্তির যুদ্ধ, ভার্চুয়াল যুদ্ধ আর প্রযুক্তি মারফত দখলদারির যুদ্ধ। ভূ-রাজনৈতিক পরিসর থেকে আমাদের যাত্রা আজ ভার্চুয়াল-প্রযুক্তিগত-তথ্যভিত্তিক এক নতুন রাষ্ট্রের দিকে।

এই প্রেক্ষাপটেই প্রশান্ত কিশোরের মতো নতুন ধরনের ব্যক্তিত্বের উদয় ও প্রাসঙ্গিকতা। রাজনৈতিক দলগুলিও বুঝেছে, তাদের কার্যকারিতা ও ফাংশানালিটি আজ অনেকাংশে অস্তগামী। একমাত্র সামাজিক সুরক্ষা বিলি করা ছাড়া তাদের হাতে আর বিশেষ কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে তাই অভিনব সব প্রকল্প ও কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শের থেকেও বড় হয়ে উঠেছে জনতার দুয়ারে নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কাজ। প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম এই কাজগুলিই প্রত্যাশী দলগুলির জন্য পেশাদারি উদ্যোগে এতদিন সাজিয়ে দিয়েছেন। সে কাজগুলি একেকটা রাজ্যে একেকটা দলের জন্য তিনি করেছেন। এ ক্ষেত্রে সফলতার নিরিখে অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের কথা সর্বাগ্রে আসবে।

আজ সময় হয়েছে, এই কাজের একটা জাতীয় কাঠামো তৈরি করা এবং এই কাজগুলিকেই সরকারের প্রধান কর্তব্যকর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া। এক কথায়, নব-উত্থিত ডিজটাল পরিসরে গভর্নেন্স বা প্রশাসনের উত্তরণ ঘটিয়ে একটি নতুন ব্যবস্থাপনার দিকে যাওয়া। হতে পারে, এ ক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোর সারা বিশ্বের কাছেই একটি মডেল তৈরি করতে চাইছেন। আর সেই নতুন জাতীয় মডেল নির্মাণের অনুশীলনেই তিনি হয়তো চাইছেন শাসনক্ষমতায় গেঁড়ে বসা বিভাজনকারী দল বিজেপি’কে ২০২৪’এর নির্বাচনে পরাজিত করতে। কারণ, ধর্মের নামে, ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের নামে বিজেপি সারা দেশ জুড়ে যে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ফ্যাসিবাদের জন্ম দিয়েছে, তার নিকেশ না হলে সামাজিক-অর্থনৈতিক সুরক্ষাকে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জনতার দুয়ারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও সফলতা পাবে না। তাঁর কাছে এ এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর সম্ভবত সে কারণেই প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত হতে চাইছেন তাদের জাতীয় চরিত্রের জন্য, যদিচ আঞ্চলিক দলগুলিকে সম্পূর্ণ আস্থার মধ্যে নিয়েই। উদীয়মান এক নতুন ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে জাতীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যের এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তা অবশ্যই ১৯৭৭’এর জয়প্রকাশ নারায়ণের জনতা পার্টি এক্সপেরিমেন্টের থেকে সর্বৈব আলাদা।

এখানেই প্রশান্ত কিশোরের নবতর চ্যালেঞ্জ। এখানেই তাঁর গুরুত্বও। তাঁর এতাবৎ নির্বাচনী সাফল্য ও গভর্নেন্স’এর নানান সৃজনশীল ভাবনার মাপকাঠিতে অনেকে হয়তো তাই তাঁর ওপরে ভরসাও রাখছেন। দেখা যাক। 

  

3 comments:

  1. উন্নয়ন ধারণার আধূনিক ম্যানেজমেন্ট,
    কনফ্লিক্ট রেসোলিউশন এসব এখন বিকাশের মূল বিষয়।
    আমরা তথাকথিত বামপন্থীরা এই রাস্তায় হাঁটতে চায় না। কারোর খপ্পরে আটকে পড়ার ভয়ে।
    কর্মীরা সম্পদ এই ধারণা আমরা গ্রহণ করি না বলে বুঝতেই যাইনা। বিপ্লবী গন্ধ উবে যাবে।
    প্রশান্তের কোন অলৌকিক ব্যাপার নেই।
    Oganisational managementর আওতাধীন সাফল্য।

    ReplyDelete
  2. 🤹🏻‍♂️🔮🧞‍♂️

    হ্যাঁ, এটা ঠিকই ভারতীয় রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোরের মতো ভোটকুশলী মানুষগুলোর অনেক দাম বেড়ে গিয়েছে মানে এরা এখন এক মূল্যবান বস্তুতে পরিণত হয়েছেন । মোটাকথায় এদের কাজ সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে বুদ্ধি দিয়ে ভোট বৈতরণী পার করা । আগে রাজনৈতিক দলগুলোর এইরকম ভোট কুশলীদের দরকার পড়তো না, কিন্তু বর্তমানে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দুর্নীতি এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে, প্রত্যেকটা দলেই চোরচোট্টার বদলে এখন এতজন বড় বড় ডাকাতের উদয় হয়েছে এবং তারা আর আগের মত ছোটখাট চুরি-চামারি করেই সন্তুষ্ট নয়, তারা বড় বড় দাও মারার জন্য বসে থাকে এবং সেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায়, তাদের চুরি করায় নানারকম অসুবিধা যাতে না দেখা যায় সেইজন্য এদেরকে দলগুলো ভাড়া করে নিয়ে আসছে । সোজা কথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণমানুষদেরকে মাথা মুড়িয়ে খাওয়ার ধান্দাগুলো যাতে সাধারণমানুষরা বুঝলেও বোঝার পরে তাদের রাগ-ক্ষোভ এগুলো যাতে প্রকটভাবে দেখা না দিয়ে অন্য কোনভাবে চাপা দেওয়া যায়-- সেইসব এর ব্যবস্থা করার জন্যই এই প্রশান্ত কিশোরের মত মানুষগুলোর আগমন ঘটছে দলগুলির অন্দরে । এরা আসলে পয়সার বিনিময়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছু পথ বাতলে দিচ্ছে যাতে দলগুলি যথেষ্ট দুর্নীতি করলেও, দলে অসংখ্য চোরের উদয় হলেও যাতে দলগুলি কোন না কোনভাবে মানুষের ক্ষোভ শান্ত করে তাদের ছোটখাটো কিছু দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে যাতে বড়োসড়ো চুরি-চামারি, ডাকাতি, দুর্নীতি করতে পারে । আর তারজন্যই রাজনৈতিক দলগুলি রাজনীতির এই চাণক্যগুলোকে নিয়ে আসছে ।
    🦹🏻‍♂️

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম এটাই আসল কথা।‌ মধ্যবিত্ত রাজনীতি বিমুখ আত্মসর্বস্ব হয়েছে সেটারই সুযোগ নিচ্ছে। ওসব চাণক্য ফানক্য বাজে কথা।

      Delete