Sunday, 31 August 2025

'গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই'

'জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে'

বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার'এর সঙ্গে সাম্প্রতিক এক দীর্ঘ কথোপকথনে যে মূল প্রশ্নগুলি উঠেছিল, তারই লিখিত উত্তরে ফরহাদ ভাই আমাদের যা জানালেন। কথোপকথন ও প্রশ্ন উত্থাপনে অনিন্দ্য ভট্টাচার্য।  



প্র: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থা কেমন?

অবশ্যই ভাল। ভেবে দেখুন, আমরা একটা জগদ্দল পাথর সরাতে পেরেছি। ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই কঠিন, কিন্তু সে লড়াইয়ে প্রাথমিক রাজনৈতিক বিজয়টা ঘটে গিয়েছে; অপূর্ণ বটে, কারণ ৫ তারিখের গণঅভ্যুত্থানের পর ৮ তারিখে একটি সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব ঘটে গেল। কিন্তু গণসার্বভৌমত্ব কায়েম বা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন আমাদের রাজনীতির প্রধান ধারা হিসাবে জনগণের রাজনৈতিক চেতনায় এসে গিয়েছে। তরুণদের রণধ্বনি ও কর্মসূচির মধ্যে তার প্রতিফলন পাবেন। ফলে, নির্বাচনী রাজনীতি বনাম নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের রাজনীতি আমাদের রাজনৈতিক লড়াইয়ের কেন্দ্রে চলে এসেছে। 

নির্বাচনী রাজনীতি বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র বহাল রেখে আবার লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণির হাতে বাংলাদেশ লুটপাট করবার ব্যবস্থা করে দেয় এবং পুরানা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকে রক্ষা করে – সে ব্যাপারে জনগণ সচেতন হয়ে উঠছে। নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন মানে একদিকে সাম্রাজ্যবাদ সহ পুরানা ঔপনিবেশিক আইন ও রাষ্ট্র কাঠামো উপড়ে ফেলা এবং সকল প্রকার সেকুলার ও ধর্মবাদী ফ্যাসিস্ট মতাদর্শকে মোকাবিলা। যেমন ধরুন জাতিবাদের বিকৃত ধর্মীয় রূপ – হিন্দুত্ববাদ ও ফ্যাসিস্ট ইসলামি জাতিবাদ, ইত্যাদি। ফলে, ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তি আমরা মোকাবিলা করছি। অন্যদিকে ধর্মের প্রশ্নে আমরা ধ্রুপদী মার্কসীয় ধারা অনুসরণ ও তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারছি। মার্কস বলেছিলেন, ধর্মের পর্যালোচনা ছাড়া সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রের বিকাশ ঘটে না। অতএব, ধর্মের প্রশ্নকে আমরা সামনে নিয়ে এসেছি, যেন ধর্মের সার্বজনীন মর্মশাঁস আমাদের দর্শন, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিকাশের শক্তি হয়ে উঠতে পারে। পাশ্চাত্য, অর্থাৎ, খ্রিস্টিয় ইউরোপ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সভ্যতার মানদণ্ড আর আমরা সব বর্বর জাতি – আধুনিকতার এই দাবি আমরা নাকচ করি। সেই দিক থেকে বলতে পারেন, ঔপনিবেশিকতা ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একটি শক্তিশালী গণরাজনৈতিক ধারা বাংলাদেশে গড়ে তুলবার শর্ত তৈরি হয়েছে। এটা বিশাল ব্যাপার। 

এখন আমরা বাংলাদেশকে নতুন ভাবে ‘গঠন’ (constitute) করবার কথা বলছি, যা আগে আমরা বলতে পারি নি। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে জনগণের  সরাসরি ভোটে নির্বাচিত গণপরিষদে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন এবং গণসার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের কথা এখন আমরা ভাবছি, সাধারণ মানুষ ভাবছে, ভাবতে পারছে। ভেবে দেখুন, বিশ্ব ব্যাপী নিউ লিবারেল ইকনমিক পলিসি বা কাছাখোলা অবাধ বাজার ব্যবস্থা জারি রেখে এবং বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক শোষণের বেড়াজালে আটকে রেখেও বাংলাদেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষকে আটকে রাখা যায় নি। এটা বিশাল ঘটনা। হয়তো এর জেরে  পুরা উপমহাদেশ ইতিবাচক ভাবে বদলে যেতে পারে। উপমহাদেশের জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির শর্ত তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ঠিক যে, আমরা যেমন চেয়েছি, তেমন ঘটেনি। প্রচুর বাধা ও প্রতিবন্ধকতা আছে। কিন্তু উল্লম্ফন ঘটেছে বিশাল। তাই লড়াই আছে, কিন্তু আমরাও লড়ে যাচ্ছি। ইতিহাস সৃষ্টি তো গোলাপ ছিটিয়ে রাখা রাস্তা কিংবা ‘বকুল বিছানো পথ’ নয়। 

আমরা কার্যত একটা যুদ্ধক্ষেত্রে আছি। একটা জগদ্দল পাথর বাঙালি জাতিবাদের নামে আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছিল এবং জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসাবে সংগঠিত হতে সক্ষম হয়েছিল। সেটা একই সঙ্গে ছিল দিল্লির আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সম্প্রসারণ – অর্থাৎ, উপমহাদেশ থেকে ইসলাম নির্মূল রাজনীতির অংশ। দেখুন, হিন্দুত্ববাদী জাতিবাদ ভূ-রাজনৈতিক ভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ পরিচালিত ‘ওয়ার অন টেরর’ নামক সাম্রাজ্যবাদী সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। আমরা তাকে মোকাবিলা করছি। 

প্র: আপনি বলেন, নির্বাচনেই সমস্যার সমাধান হবে না; তাহলে এই মুহূর্তে করণীয় কী?

নির্বাচন দিয়ে তো আপনি কলোনিয়াল উত্তরাধিকার হিসাবে যে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে তাকে ধ্বংস ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে পারবেন না। তাছাড়া নির্বাচন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বা পদ্ধতির নাম। বাংলাদেশের বাস্তবতায় যেখানে আমাদের প্রধান সমস্যা সাম্রাজ্যবাদ – বিশেষত নিউ লিবারেল ইকনমিক পলিসির যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে এসে অর্থনৈতিক উন্নতি নিশ্চিত করা, সেখানে নির্বাচন মানে লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণিকে নির্বাচিত করা। কারণ, ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা যাদের নাই তাদের পক্ষে নির্বাচিত হওয়া অসম্ভব। আর লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণিই নির্বাচনে বিনিয়োগ করবে। রাষ্ট্র তাদের লুটপাটের ক্ষেত্র। তাহলে নির্বাচন দিয়ে কী করব? 

তাছাড়া কীসের নির্বাচন? গণপরিষদ? জাতীয় সংসদ? স্থানীয় সংসদ? কোন নির্বাচন? লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণি – আপনাদের দেশেও শক্তিশালী – তারা নির্বাচনকে একটা বিমূর্ত ব্যাপারে পর্যবসিত করে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন মানে তো গণতন্ত্র নয়। 

গণঅভ্যুত্থান আমাদের গাঠনিক ক্ষমতা দিয়েছে— আইন, প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিকে জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী গঠন করবার ঐতিহাসিক অধিকার আমরা চাইছি। নদী বিধৌত বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। আমরা প্রকৃতি-সম্মত সমৃদ্ধি, প্রাণের সুরক্ষা ও প্রাণবৈচিত্র্যের বিকাশ চাই। নদী-বন-সমুদ্র-আকাশের রক্ষক হয়ে সবুজ-শিল্পায়ন/ রফতানি-বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে চাইছি। এতে রাজনৈতিক নৈতিকতা যাকে আমরা গণসার্বভৌমত্ব (popular sovereignty) বলি সেটা রয়েছে। একই সঙ্গে প্রকৃতি সুরক্ষার বৈধতাও আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি (rights of nature)। সর্বোপরি, আমরা চাইছি দ্রুত ও ত্বরান্বিত অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটুক, যেন জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করা যায় এবং সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক উন্নতির সুফল পায়। 

প্র: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিত্রটি এখন কেমন? এ বিষয়ক ভাল ও খারাপ দিকগুলি কী কী?

পুরা উপমহাদেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সকলের জন্য বড়সড় চ্যালেঞ্জ। সেই দিক থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বড় কোনও সমস্যা হয় নাই। বাংলাদেশের সমাজ উপমহাদেশের বাইরে তো নয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে বিশেষ ভাবে নষ্ট হয়েছে, কারণ সেকুলার বাঙালি জাতিবাদের মহিমা প্রমাণ করবার জন্য নিয়মিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর অত্যাচার হত আর তার দোষ চাপিয়ে দেওয়া হত ইসলামপন্থীদের ওপর। সীমান্তের ওপারে ভারতীয় প্রচারণা তাতে ক্রমাগত ইন্ধন জুগিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেকুলার বাঙালি জাতিবাদের পশ্চাদপসরণের ফলে ধর্মবাদী জাতিবাদ বা সাম্প্রদায়িক ইসলামপন্থার সাময়িক তৎপরতা দেখা গিয়েছিল। মাজার ভাঙা ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ীঘর, উপাসনালয় আক্রমণের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু জনগণ সেটা রুখে দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের সংগঠিত প্রচার দেখে মনে হয়, এর পক্ষে সীমান্তের ওপার থেকে ইন্ধনও ছিল প্রচুর। তবে এটা সত্য যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে সন্ত চিন্ময় মহারাজকে গ্রেফতার ড. ইউনুসের কলঙ্কজনক কাজ হিসাবে ইতিহাসে বিবেচিত হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির চাপে তিনি এটা করেছেন। চিন্ময়কে এখনও মুক্তি দেওয়া হয় নি। এটা খুবই গর্হিত কাজ হয়েছে। 

প্র: বিপ্লবের আগামী কর্তব্যকর্ম কী?

বাংলা ভাষায় ‘বিপ্লব’ অভিধাটি সাধারণত বলশেভিক বা চিনা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের দ্যোতনা বহন করে। গণঅভ্যুত্থান অবশ্যই রাজনৈতিক বিপ্লব। অর্থাৎ, যাকে আমরা বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব বলে থাকি। তবে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব নয়। বলা বাহুল্য, আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার আমাদের গণতান্ত্রিক বিপ্লবের লক্ষ্য বটে, তবে ধ্রুপদী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এই মূহূর্তে আমাদের লক্ষ্য নয়। আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের  রূপান্তরের রাজনৈতিক শর্ত প্রতিষ্ঠাই আমাদের এখনকার প্রধান কাজ। 

আমরা গণসার্বভৌমত্ব কায়েমের আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে আগে গঠন করতে চাই। সেটা হবে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক রূপান্তরের ভিত্তি। আমরা এখনও ব্যক্তির বিকাশ ও ব্যক্তির মর্যাদা রক্ষার কর্তব্য সম্পন্ন করতে পারি নি। সেটা আগে সম্পন্ন করতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তি প্রতিহত করবার প্রধান রণধ্বনি হচ্ছে ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত করা। 

৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থান হলেও ৮ অগস্ট একটি সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব ঘটেছে। অর্থাৎ, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে পুরানা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রই বহাল রাখা হয়েছে। আমাদের এখনকার কাজ প্রতিবিপ্লবকে রুখে দেওয়া, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে সামষ্টিক অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে তাকে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন প্রক্রিয়ার অন্তর্গত করা এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করা। গণতন্ত্র বলতে আমরা গণসার্বভৌমত্ব কায়েম বুঝি – অর্থাৎ, জনগণের কাছে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া। আমরা যে রাষ্ট্রের কল্পনা করি সেটা প্রাচীন ওয়েস্টফিলিয়ান রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব নয়। এই ধারণার দ্বারা ইংরেজ কলোনিয়াল রাষ্ট্রের ঔপনিবেশিক চরিত্র ও কাঠামো বহাল রাখা হয়। একই কারণে আমরা ব্রিটিশ সংসদীয় সার্বভৌমত্ব বা নির্বাচনের মাধ্যমে লুটেরা ও মাফিয়া শ্রেণি দ্বারা গঠিত জাতীয় সংসদও চাই না। তার মানে গণসার্বভৌমত্বকে অবশ্যই রাষ্ট্র কিংবা সংসদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না। তাই আমরা তিনটা দাবিকে সামনে রেখে লড়ছি ও জনগণকে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ও শিক্ষিত করে তুলছি। । 

এক) আমরা এমন কোনও রাষ্ট্র চাই না যে রাষ্ট্র তথাকথিত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের নামে ব্যক্তির অধিকার ও ব্যক্তির মর্যাদা হরণ করবার তথাকথিত সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে; অর্থাৎ, রাষ্ট্র এমন কোনও আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না যা ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা হরণ করে; 

দুই) আমরা এমন কোনও রাষ্ট্র চাই না যে রাষ্ট্র সার্বভৌম ক্ষমতার নামে প্রাণ, প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ধ্বংস করে। কর আদায় ও জনগণকে দমন করবার জন্য ইংরেজ যে প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলেছে এখনও তা বহাল রয়েছে। আমরা ঔপনিবেশিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে আমাদের নদীমাতৃক ভূগোল, প্রকৃতি, প্রাণবৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই। সার্বভৌম ক্ষমতার নামে আমরা রাষ্ট্রের হাতে এমন কোনও ক্ষমতা দিতে চাই না যার দ্বারা আমাদের অর্থনীতির প্রাকৃতিক ভিত্তি ভূগোল, প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য ইত্যাদি নষ্ট বা ধ্বংস হয়; 

তিন) রাষ্ট্র কখনই এমন কোনও আইন বা নীতি প্রণয়ন করতে পারবে না যার দ্বারা জনগণের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস হয়। 

গণসার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসাবে আমরা কীভাবে পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের বিপরীতে নিজেদের গঠন এবং আঞ্চলিক আগ্রাসন ও সাম্রাজ্যবাদ মোকাবিলা করতে পারি সেই দিকেই এখন আমরা পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি। 

আমরা জনগণকে সচেতন করে চলেছি। আমরা এগিয়ে যাব। অবশ্যই।


2 comments:

  1. আমার ভাবনা এবং আন্দাজ মিলে গেল। ধন্যবাদ এমন একটা ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য।

    ReplyDelete
  2. আজকের দুনিয়ায় সংসদীয় গণতন্ত্র ভিন্ন অন্য কোন পন্থাই সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ওনার এইসব বিপ্লবী ভাবনার কোন বাস্তবতা নেই। সদর্থক নির্দিষ্ট ভাবনা সহ বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যদি সঠিক কৌশল গ্রহন করে ভোটে অংশগ্রহণ না করতে পারলে ক্ষমতা চলে যাবে অবাঞ্ছিত শক্তির হাতেই। তখন আর কিছুই করার থাকবেনা।

    ReplyDelete