ফ্যাসিজমের চূড়ান্ত মহড়া?
সোমা চ্যাটার্জি
কথায় বলে 'তুঘলকি' শাসন! তুঘলকি শাসন বলতে মধ্যযুগীয় ভারতে তুঘলক রাজবংশের অধীনে দিল্লি শাসনকে বোঝালেও, সাধারণত কোনও রাজা বা শাসকের অদূরদর্শী ও অদ্ভুত সিদ্ধান্তগুলি যখন প্রজাদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়, তখন তা বোঝাতে এই শব্দটি আমরা ব্যবহার করি। 'গোদী' রাজ্যে যে বাস্তবিকই তুঘলকি শাসন চলছে তার প্রমাণ মিলল আরও একবার।
'বিশেষ নিবিড় সংশোধন' বা SIR'এর বিশৃঙ্খলা আর সাধারণ মানুষের হয়রানির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট'এর নির্দেশের পর এক সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২০ অগস্ট লোকসভায় সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল, ২০২৫ পেশ করলেন; যার অধীনে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির মন্ত্রীরা দোষ-প্রমাণ ব্যতিরেকেই যদি কমপক্ষে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোনও অপরাধে টানা ৩০ দিন জেল হেফাজতে থাকেন তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ হারাবেন। নতুন বিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর বা তার বেশি শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য টানা ৩০ দিন আটক থাকা কোনও মন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে অপসারিত না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন বন্ধ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে, হেফাজতের ৩১ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদত্যাগের ঘটনা ঘটবে। তবে সংশোধনীটিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীরা হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দ্বারা পুনরায় নিযুক্ত হতে পারেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (২০১৯) (সংশোধনী) বিল ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকার (সংশোধনী) ২০২৫ বিলেও একই কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর অপসারণের সুপারিশ পাঠাবেন আর মুখ্যমন্ত্রী সুপারিশ পাঠাবেন রাজ্যপালকে। বিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করবেন, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ করবেন এবং লেফটেন্যান্ট-গভর্নর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ করবেন।
বিলগুলি পেশ করার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা অমিত শাহের আসনের সামনে প্রস্তাবিত আইনের অনুলিপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। ক্রমাগত শোরগোলের মধ্যে সেদিন সংসদ দুপুর ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি করা হয়। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অধিবেশন পুনরায় শুরু হলে শাহ বলেন, বিলগুলি ৩১ সদস্যের যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে যা সংসদের পরবর্তী অধিবেশনের আগে তার প্রতিবেদন পেশ করবে। এআইএমআইএম'এর আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (যিনি নিজেও একজন আইনজীবী), কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি ও কে সি ভেনুগোপাল সহ বিরোধী সাংসদরা বিলগুলি প্রবর্তনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন এবং প্রস্তাবিত আইনটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরোধী বলে অভিহিত করেন। তাঁদের মতে, এর অর্থ প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের অপসারণের পরোক্ষ ক্ষমতা পাচ্ছেন। নতুন বিল নিয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য, 'আমরা মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছি যখন রাজা ইচ্ছে করলে যে কাউকে অপসারণ করতে পারতেন।' তিনি বলেন, যেহেতু দোষ প্রমাণের দরকার নেই, তাই প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে যে কেউ ইডিকে একটি ভুয়ো মামলা দায়ের করতে বলে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন ব্যক্তিকে ৩০ দিনের মধ্যে সরিয়ে দিতে পারে। এই ধরনের বিল ফৌজদারি বিচারের আইনশাস্ত্রের বিরুদ্ধে যায় এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে বিকৃত করে। ইডি, সিবিআই, আইটি, এনআইএ'র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির যথেচ্ছাচার এবং সংকীর্ণ পক্ষপাতমূলক স্বার্থে রাজ্যপালদের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার, যা কিনা সুপ্রিম কোর্টও নিন্দা করেছে-- এই বিলটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনি বৈধতা অর্জন করবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে 'এক ব্যক্তি-এক দল-এক সরকার'এরই একটি রূপকল্প হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এটি সুপার-ইমার্জেন্সির চেয়েও ভয়ঙ্কর, কারণ, বিচার ব্যবস্থা বলে আর কিছুই থাকবে না; এই ধরনের বিল রাজনৈতিক অপব্যবহারের একটি চূড়ান্ত অস্ত্র। বিচার ব্যবস্থা, সেশন কোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এগুলোর প্রয়োজনীয়তা বা ক্ষমতাও হ্রাস পাবে, কারণ, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, আইনের চোখে যে কোনও ব্যক্তিই অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ। কিন্তু এই বিল আইনে পরিণত হলে আর অভিযোগ প্রমাণের কোনও জায়গাই থাকছে না। অর্থাৎ, এটি হবে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে চিরকালের মতো শেষ করার একটি পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল মদ নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার আগে ছয় মাস জেলে ছিলেন। এই ছয় মাসে তিনি কারাগার থেকে সরকার পরিচালনা করেন। জামিন পাওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করেন। নতুন বিলগুলি কার্যকর থাকলে গ্রেফতারের পর তাঁকে হেফাজতের ৩১তম দিনেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত।
কেন এই বিলের বিরোধিতা?
বিরোধীদের আশঙ্কা ভিত্তিহীন নয়। সিবিআই ও ইডি'র মতো প্রতিষ্ঠানগুলির উপর কেন্দ্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ইডি'র দায়ের করা মামলাগুলিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার অদ্যাবধি মাত্র ১ শতাংশ। বহু রাজ্যপাল সাংবিধানিক ভাবে নির্দেশিত তাঁদের নিজ নিজ রাজ্য মন্ত্রিসভার পরামর্শকে মান্য করার পরিবর্তে কেন্দ্রের নির্দেশাবলী মেনে চলেন। এই প্রেক্ষাপটে বিলটি বিপজ্জনক। তাছাড়াও আইনত ও প্রযুক্তিগতভাবেও এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে একতান্ত্রিক ক্ষমতায়নকে প্রাধান্য দেয়। এটি আইন-শৃঙ্খলাকে রাজ্যের এক্তিয়ারের বাইরে নিয়ে এসে কেন্দ্রের হাতে তুলে দেবে এবং অনির্বাচিত সংস্থাগুলিকে নির্বাচিত নেতাদের ভাগ্য নির্ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। অভিষেক মনু সিংভি ট্যুইট করেছেন, 'বিরোধীদের অস্থিতিশীল করার সর্বোত্তম উপায় হল, তাদের নির্বাচনী ভাবে পরাজিত করতে অক্ষম হওয়া সত্ত্বেও নির্বিচারে গ্রেফতার করে অপসারিত করা!'
'দ্য ওয়্যার'এর সুত্র অনুযায়ী, বর্ষাকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার দু' দিন আগে অমিত শাহ যখন হঠাৎ করে বিলগুলি পেশ করার প্রস্তাবের বিষয়ে মহাসচিবের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন, তখন লোকসভা সচিবালয় উল্লেখ করেছিল যে এতে নিয়ম ১৯এ এবং ১৯বি-র লঙ্ঘন হতে পারে। বিধি ১৯এ অনুযায়ী, একজন মন্ত্রীকে লোকসভায় একটি বিল পেশ করার জন্য পূর্ব বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়, অন্যদিকে বিধি ১৯বি-তে বলা হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট বিলটির পর্যালোচনা ও প্রস্তুতির সুবিধার্থে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশ করার আগে লোকসভার সমস্ত সদস্যের কাছে বিতরণ করা উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। শাহ একটি পৃথক চিঠিতে বর্তমান অধিবেশনে দুটি সংশোধনী বিল পেশ করার জন্য 'সময়ের অভাব' উল্লেখ করেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কেন এই তাড়াহুড়ো? কারণ, বিহারে 'বিশেষ নিবিড় সংশোধন'এ ব্যাপক কারচুপি ও কংগ্রেসের 'ভোট চুরির' অভিযোগ নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।
দুর্নীতি দমন না ক্ষমতায়ন?
বিজেপি'র বক্তব্য, এই বিলের উদ্দেশ্য হল রাজনীতিতে দুর্নীতির উপর আঘাত হানা। রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত করাই নাকি তাদের উদ্দেশ্য। তাঁরা বলেন, গ্রেফতারের পরেও দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তামিলনাড়ুর মন্ত্রী ভি সেন্থিল বালাজি তাঁদের পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। কিন্তু আশ্চর্যের হলেও সত্যি, ২০১৪ থেকে ২০২৫'এর সময়কাল ধরলে বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে বা তাদের জেলে রাখা হয়েছে, এরকম উদাহরণ তো নেইই, তদুপরি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকেও যারা দলবদল করে বিজেপি'তে যোগদান করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি তেমন অধিকাংশ নেতা-নেত্রীদের ক্লিন চিট দিয়েছে, যার অন্যতম উদাহারণ মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার যার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৫,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা করা হয়েছিল। অজিত পাওয়ার ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই যেদিন এনসিপি থেকে বেরিয়ে বিজেপি'র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, সেদিনই তাঁদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার হয়ে গেছে। এছাড়া সংবাদ সূত্র ও তথ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৪'এর মধ্যে সব কটি বিরোধী দল যেমন এনসিপি, টিডিপি, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি থেকে বিজেপি'তে যুক্ত হওয়া ২৫ জন রাজনীতিবিদদের মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে যত বড় বড় হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা ছিল সেগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে। বলাই বাহুল্য, এমতাবস্থায় এরকম একটি বিল প্রণয়ন করলে বিজেপি'র কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পদ হারানোর কোনও ভয় নেই।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গত শুক্রবার গয়ায় গিয়ে নতুন বিল নিয়ে মন্তব্য করেছেন মোদী। বলেছেন, 'যদি কোনও সরকারি কর্মচারী ৪৮ ঘণ্টা জেলে থাকেন, তাঁর চাকরি চলে যায়। তা তিনি গাড়ির চালক হোন, কেরানি হোন কিংবা পিয়ন। কিন্তু মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও জেল থেকে সরকার চালাতে পারেন! নেতারাই যদি এমন আচরণ করেন, তবে আমরা কী ভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করব? এনডিএ সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন এনেছে। এই আইনের আওতায় প্রধানমন্ত্রীও আছেন।' এটাই সবচেয়ে বড় রসিকতা। আমরা কি কল্পনা করতে পারি যে একজন প্রধানমন্ত্রীকে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা জেলে পাঠাবে? যেখানে ইডি, সিবিআই সবই তার হাতের পুতুল! এবারে বিজেপির রাজনীতি ও নীতির বিরোধী প্রতিটি রাজ্য সরকার এখন থেকে স্থায়ীভাবে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর হয়ে পড়বে। এনডিএ-র প্রতিটি সহযোগী দলও জেলে যাওয়া ও পদ হারানোর ভয়ে বিজেপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে মরিয়া হয়ে উঠবে। যেমন আমরা দেখতে পাই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অসম'এর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার অথবা অন্ধ্রে চন্দ্রবাবু নাইডু'র ক্ষেত্রে।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচনে বিজেপি এই আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রতিবাদকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হিসাবে তুলে ধরবে। বিলটি আপাতত ৩১ সদস্যের একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে গেছে। লোকসভার ২১ জন ও রাজ্যসভার ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত সংসদের একটি যৌথ কমিটিতে পাঠানোর জন্য কণ্ঠ ভোটে একটি প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আহূত শীতকালীন অধিবেশনের মাধ্যমে কমিটিকে সভায় তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় ক্ষেত্রেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তা পাস নাও হতে পারে।
কিন্তু কথা হল, ক্ষমতা দখলের এই নির্লজ্জ লড়াইতে বিরোধী কণ্ঠকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এই হঠকারী, অদ্ভুত ও অযৌক্তিক তুঘলকি শাসনই বজায় থাকবে নাকি সংসদীয় গণতন্ত্রের যৌক্তিকতা আবারও জায়গা ফিরে পাবে?
'এই বিল পাশ নাও হতে পারে' -- হয়ত, কিন্তু'র কোনও স্থান নেই এখানে, এই বিল যে পাশ হবেনা বা অলীক কুনাট্য ম্যাজিকে যদি ইয়ে মানে নদী যদি উল্টোদিকে বয়-এর যদি, পাশও হয় তো সুপ্রীম কোর্ট একে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এটা হল অ্যাক্ট অফ ডিসেপশন, স্যার ও বিহারে ইন্ডিয়া ঝড় থেকে চোখ সরাতে ও গোদি মিডিয়ার টেবিলে অন্য একটা ন্যারেটিভ সাজিয়ে দেওয়ার কূবন্দোবস্তের তড়িপার ছক।
ReplyDeleteদুষ্টের ছলের অভাব হয়নি। মোদির শয়তানির শেষ নেই। তবে ভ্রমণকালে এমন আইন ওকে বাঁচাবে না।
ReplyDeleteতাড়াহুড়ো করে এই বিল আনার একমাত্র উদ্দেশ্য হল SIR নিয়ে কোনঠাসা বিজেপি র সঙ্কট মূহুর্ত থেকে মানুষের নজর ঘোরানো। বিলের বিরোধিতার পাশাপাশি ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং নির্বচন কমিশনের মত স্বশাসিত সংস্থার শাসক দলের তাদেদারি কিছুতেই করতে দেওয়া যায় না। দেশ জুড়ে গণ আন্দোলন গড়ে উঠুক।
ReplyDeleteখুবই সঠিক আলোচনা এবং এই বিল পাশ হলে এর অপব্যবহার হবার সম্ভাবনাও খুব বেশি!
ReplyDelete