পহেলগাঁও'এ সুরক্ষা ছিল না কেন?
তরুণ লালা
আসুন, আমরা কথা বলি এই ভয়ঙ্কর, বর্বর, নিষ্ঠুর ও অমানবিক হামলার বিষয়ে— যা পহেলগাঁও'এ ঘটে গেল। এটা সম্ভবত পূর্ব-পরিকল্পিত, রীতিমতো আতঙ্কজনক, নির্মম, অসভ্য এবং স্পষ্টভাবে হিন্দুদের লক্ষ্য করেই করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আততায়ীরা এক দম্পতিকে ইসলামী কিছু আয়াত বলতে বলেছিল, তারপর সঙ্গী পুরুষকে গুলি করে হত্যা করে এবং স্ত্রীকে বলে দেয় যেন সে সবাইকে জানিয়ে দেয় তারা কী করেছে।
কে দায়ী? হতে পারে সেই বন্দুকধারীরা, বা তাদের পেছনের মদতদাতা, অথবা উগ্র মৌলবাদী মোল্লারা, অথবা কিছু অসন্তুষ্ট বা চরমপন্থায় উদ্বুদ্ধ তরুণ, বা হয়তো কিছু একাকী উগ্রপন্থী (lone wolf) যারা একত্রিত হয়েছিল।
সত্যিকারের দায় কার: তা হয়তো কখনই জানা যাবে না। ইসলামাবাদ সরকার এতে সক্রিয় বা নীরবভাবে জড়িত থাকতে পারে। পৃষ্ঠপোষক কারা তা নিশ্চিত করে বলা যায় না, তবে সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দিকেই সাধারণত অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু কে দায়ী নয়? অধিকাংশ (৯৯ শতাংশ) ভারতীয় মুসলমানরা, যাঁদের এই জঘন্য সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই নেই, অথচ এখন তাঁরাই ভীত হয়ে থাকবেন কারণ আমরা তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করব, শুধুমাত্র তাঁরা একটি নির্দিষ্ট ধর্মে জন্মেছেন বলে।
সেই ভয়াল দিনে, আদিল হুসেন শাহ নামে এক টাট্টু ঘোড়ার চালক আততায়ীদের থামাতে গিয়ে মারা যান। সব কিছু সত্ত্বেও বিদ্বেষের ঢেউয়ে যেন এক মরুভূমির মরুদ্যান, এক আশার দ্বীপ— একজন মুসলমান এক জনৈক হিন্দুকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁকেও রেহাই দেয়নি ওই বর্বর আক্রমণকারীরা। তিনি কিন্তু অনায়াসেই পালিয়ে যেতে পারতেন।
কী করা বুদ্ধিমানের কাজ? এই মুহূর্তে সরকারের পাশে দাঁড়ানো, যাতে তারা উপযুক্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। বলা সহজ, করা কঠিন— একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা জানি না আসলে কী করা উচিত। আমাদের সর্বোচ্চ কর্তব্য হতে পারে নৈতিক সমর্থন দেওয়া, যদিও তা স্পর্শাতীত। আমরা এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় খুবই ছোট মানুষ।
যা একদমই বুদ্ধিমানের কাজ নয়: ভারতের প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের উপর রাগ ঝাড়া, যাঁদের এই হামলার সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগ নেই। নাথুরাম গডসে, যিনি আমাদের জাতির জনককে হত্যা করেছিলেন, তিনি মুসলমান ছিলেন না। ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীরাও মুসলমান ছিলেন না। এমনকি রাজীব গান্ধীকেও হত্যা করেছিলেন একজন অ-মুসলমান, যাঁকে পরবর্তীকালে তাঁর সন্তানরাই ক্ষমা করে দিয়েছেন। উল্টে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে স্বজাতির হাতেই নিজেদের বহু মুসলমান নেতা আত্মঘাতী হয়েছেন। ১৯৮৪-র দাঙ্গায় নিরীহ শিখদের টার্গেট করেছিল কংগ্রেসি 'হিন্দু দুষ্কৃতীরা' (এখন তাও নাকি তর্ক সাপেক্ষ), যা আমাদের জাতির ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত অধ্যায়। ২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পরে গুজরাত রাজ্য প্রশাসনের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ মদতে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অসংখ্য নিরীহ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। সেই হত্যাযজ্ঞে বেছে বেছে মুসলমান নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছিল। আমরা সুরক্ষিত জায়গায় বসে হয়তো সেই হাজার হাজার নিরীহ প্রাণের যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করতে পারব না, যারা স্রেফ রাজ্য প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও নীরব সমর্থনের কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
বৈদ্যুতিন মিডিয়ার কাণ্ডকারখানা
এবিপি আনন্দ'র সুমনকে কেন বিভাজন সৃষ্টি করার জন্য গ্রেফতার করা হবে না সেটাই আমার কাছে আশ্চর্যজনক।
দেখা যাচ্ছে, পহেলগাঁও'এ হামলার পর ভারত রাস্তায় নামিয়েছে তার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধবাহিনীকে-- টিভি স্টুডিও র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স (TSRRF)। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আর কেউ নন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অর্ণব গোস্বামী, GOC-নর্দার্ন কমান্ড (রিপাবলিক সদর দফতর); মেজর জেনারেল অঞ্জনা ওম কাশ্যপ, অভিজাত ১৭ মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পস (নয়ডা ডিভিশন) থেকে, তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন নয়ডা ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেস (নিউজরুম) থেকে। তাদের কৌশলগত নীতি: 'আগে চিৎকার করো, পরে নাটকীয় হও'। এই সাহসী যোদ্ধারা হাতে হ্যান্ডহেল্ড মাইক্রোফোন আর নাইট ভিশন টেলিপ্রম্পটার নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় হাজারখানেক অভিযোগ ছুঁড়ে শত্রুদের নির্মূল করে চলেছেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর শোকপ্রকাশ শব্দতরঙ্গে চাপা পড়ে যাচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, 'যুদ্ধক্ষেত্র' এখন পূর্ণ হয়ে আছে গর্জন করা হ্যাশট্যাগ, ধোঁয়ায় মোড়া TRP চার্ট আর অশ্রুসজল হোয়াটসঅ্যাপ ফরোয়ার্ডে।
বৈদ্যুতিন মিডিয়া এবং তাদের কর্মকাণ্ডের কি প্রভাব?
দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত অঞ্চলের একটি বহুতলে আমি থাকি। এইসব উপরোক্ত বিভিন্ন মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত সত্য-অর্ধসত্য-মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে আমাদের বহুতলের একজন বলে বসল, আমাদের দেশে এখন একজন হিটলারকে দরকার !!! সে নাকি সবচেয়ে বড় হিন্দু। হিন্দু বলে গর্বিত। আর তার চেয়ে বড় হিন্দু কেউ নেই। পার্শ্ববর্তী আরেকটি বহুতলের এক ব্যক্তি অকাতরে উস্কানিমূলক ও বিচ্ছেদকামী পোস্ট দিয়ে চলেছে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে এবং দাবি করছে তার চেয়ে বড় দেশভক্ত আর কেউ নেই! অথচ, তাদের ছেলেমেয়েরা কিন্তু ভারতীয় সেনা কেন, অর্ধসেনা বা সরকারি চাকরিতেও পর্যন্ত নেই। কেউ যদি ভুলক্রমে 'সেকুলার' কথাটা উল্লেখ করে তাহলেই সে হচ্ছে দেশদ্রোহী এবং সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এদের মধ্যে 'উচ্চশিক্ষিত' বলে গর্বিত ডক্টরেট, সিএ, এমবিএ, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার সকলে আছেন। এরাই নাকি বাঙালির গর্ব। এদের নাকি একজন গোপাল পাঁঠাকে দরকার। কিন্তু রাস্তায় নেমে গোপাল পাঁঠা হতে কেউ চায় না। নিদেনপক্ষে ঠাণ্ডা ঘর ছেড়ে যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ানোও দূরের কথা।
তাহলে এই মুহূর্তে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কাকে? অবশ্যই তাদের যাদের এখন বুকে বল বেরিয়েছে (তাও তর্ক সাপেক্ষ, কারণ, কিছু করে দেখানোটা (শুধু দেখানোই) কর্তব্যের মধ্যে পড়ে)। বুঝতে হবে যে পহেলগাঁও কিন্তু সীমান্ত এলাকা নয়। উপরন্তু, বৈসারন যেতে গেলে হয় হেঁটে বা টাট্টু ঘোড়ায় যেতে হয়। সুতরাং, আতঙ্কবাদীরাও গাড়ি নিয়ে আসেনি। এতটা রাস্তা যদি কিছু সাধারণ মানুষের সাহায্য তারা পেয়েও থাকে তবুও BSF, IB, সেনা ও JKP কেউ কিছু জানতে পারল না? এখন গোদি মিডিয়া জম্মু-কাশ্মীরে আগেভাগে নির্বাচন করানোর জন্য দায়ী করছে সুপ্রিম কোর্টকে আর রাজ্য সরকারকে নিরাপত্তার গাফিলতির জন্য। জম্মু ও কাশ্মীর কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নয়? কাশ্মীরে শান্তি ফেরা নিয়ে গৃহমন্ত্রীর এতদিনকার বড় বড় কথা ও স্তোকবাক্য আর দায়িত্বের দায়টা কি লোপাট করে দেওয়া হল? ওনার দেওয়া নিরাপত্তার আশ্বাসকে বিশ্বাস করেই তো পর্যটকেরা দলে দলে কাশ্মীরে এসেছিলেন! অথচ, ২০ মিনিট ধরে সন্ত্রাসীরা হত্যালীলা চালালো, একজন নিরাপত্তা রক্ষী সেখানে নেই! ঘটনা ঘটে যাওয়ার দেড়-দু ঘন্টা পর তাদের দেখা মিলল। স্থানীয় কাশ্মীরীরা কাঁধে-পিঠে করে গুলিবিদ্ধ ও আহত মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, নিজেদের বাড়িতে অসহায় মানুষদের আশ্রয় দিয়েছেন। আর আজ সেই উদ্ধারকর্তা কাশ্মীরীদের ওপরই ঘৃণাবর্ষণ? সেনার প্রাক্তন অধ্যক্ষরা পর্যন্ত বলছেন যে সেনাবাহিনীতে প্রায় ২ লক্ষ পদাতিক সৈন্য কম এবং যে পরিমাণ সৈন্য দু-এক বছর আগেও একটা মাত্র সেক্টর দেখত তাদের এখন দুটো সেক্টর দেখতে দেওয়া হয়েছে। এটা গাফিলতি নয়?
এই সন্ত্রাসবাদীদের কাজকে লঘু করে দেখার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সবাই ক্ষুব্ধ, শোকাহত এবং এই ঘটনা আমাদের সকলের হৃদয় বিদীর্ণ করে। কিন্তু তাই বলে, ঠিক যেমন আমরা কাবাব-বিরিয়ানি খাওয়া বন্ধ করব না, বা শাহরুখ, আমির, সলমান খান'দের সিনেমা দেখা বা তালাত মাহমুদের গান শোনাও বন্ধ করব না, তেমনই এই ঘটনায় কষ্ট পাওয়া বা আতঙ্কে থাকা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বর্ষণ আরও ঘৃণ্য কাজ, যাঁরা নিজেরাও এই ঘটনার ফলে আরও বেশি আতঙ্কিত। কারণ, সন্ত্রাসবাদীরা চায়, যাতে আপনি নিজের দেশবাসীর বিরুদ্ধেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং এক ভয়ানক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের আগুন ছড়িয়ে পড়ে যার শেষ গৃহযুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, আজকের অনেক সংবাদমাধ্যম এই ঘৃণা ও বিভাজনকে আরও উসকে দিচ্ছে, যেন আগামীকাল বলে কিছু নেই।
একদম সঠিক বলেছেন
ReplyDelete১০০ শতাংশ সহমত, বিভাজনের রাজনীতি না করলে মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, GDP, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি এসব নিয়ে প্রশ্ন করবে যে
ReplyDeleteমাথামোটা মানুষেরা তথ্যে নয় আবেগে আন্দোলিত হয় বেশি। কাজেই এসব সুযুক্তি কাজে আসার সম্ভাবনা কম।
ReplyDeleteআপনার চিন্তাভাবনার সঙ্গে সহমত এবং কার্যক্ষেত্রে নিরুপায় বটে।রাজনীতি যে জঘন্য নিকৃষ্টতম স্থানে পৌঁছে গিয়েছে আমরা সাধারণ মানুষ হাত পা বাঁধা হয়ে গেছি।কবির ভাষায় ভাবতে পারি বলতে পারি কিন্তু বাস্তব প্রয়োগ বড় কঠিন।
ReplyDeleteলেখাটা খুব ভালো এবং সঠিক পর্যবেক্ষণ , গোদি মিডিয়ার নোংরা পেটোয়া দেশ ধ্বংসকারী বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি চমৎকার চপেটাঘাত, বাঙালির হৃদয়ে এখন মুসলিম বিদ্বেষ, ভবিষ্যত যে কী, ভাবলে শিহরিত হতে হয়
ReplyDeleteভাবার বিষয়
ReplyDeleteখুব যুক্তি ভিত্তিক ভাবনায় লেখা। বিশ্বাস ভাল কিন্ত অন্ধ বিশ্বাস মানুষের নিজস্ব ভাবনা-চিন্তার চোখ বন্ধ করে দেয়। যেখানে মানুষ বিশ্বাস করছে যে সে বিশ্ব নাগরিক এবং ক্রমশঃ শুধুই মানুষ হয়ে উঠছে । এক ধর্মে বিশ্বাসী ছেলে মেয়ে অন্য ধর্মের মেয়ে-ছেলেকে ভালবেসে বিয়ে করছে তখন এ কারা আমাদের প্রাগৈতিহাসিক ভাবনায় জারিত করার চেষ্টা করছে ? জেগে ঘুমোতে চাইলে জাগাবে কার সাধ্য
ReplyDeleteMedia has a strong role ro play in this moment of crisis. Yes, it can’t be denied that in any war media is first casualty. Let’s see what else can we see in future…. This will also pass by! But the wounds created in 28 families will never be healed. Unfortunately, some people are still making reels!
ReplyDeleteসুন্দর! 🌷
ReplyDeleteমিডিয়া যখন দেখাচ্ছে যে কিছুদিন আগেই হামাসের প্রতিনিধিরা এসে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছে তখন গোয়েন্দাবাহিনীর কাছে খবর ছিল না এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা পরিষ্কার ইন্টেলিজেন্স ফেলিওর। হিন্দু বিদ্বেষে মুসলমানেরা ক্ষতিগ্রস্ত
ReplyDeleteহিন্দু বিদ্বেষে মুসলমানেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাকিস্তান বাংলাদেশের পক্ষে বলা সহজ হবে যে ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। কিন্তু আসল লক্ষ্য হল এই ঘৃণাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখতে যাতে জনমানসে হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি ক্রমাগত তোলা যাস্ক্র।
ReplyDeleteযথাযথ।
ReplyDeleteতরুন লালাকে অনেক ধন্যবাদ এই প্রতিবেদনটি লেখার জন্য।
ReplyDeleteবৈসারণ উপত্যকায় যখন নির্মম হত্যালীলা চলছে, তখন আমরা সপরিবারে ঘন পাইন ঘেরা দুধপাথরি উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করে শ্রীনগর ফিরছি। তার আগের দিন গেছিলাম গুলমার্গ। সবখানেই প্রচুর পর্যটক। সবখানেই প্রচুর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর লোকেদের পাহারারত দেখেছিলাম। বৈসারনে কোন রকম পাহারার ব্যবস্থাই ছিল না শুনেই খটকা লাগলোলাগলো
বিকাল থেকেই
দুঃখিত! অর্ধেক লেখাটি ভুল করে পোস্ট হয়ে গ্যাছে, পুরো লেখাটি আবার পাঠাচ্ছি।
ReplyDeleteএই মুহূর্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা !
ReplyDeleteখুব ভাল আর যুক্তি সম্পন্ন লেখা, এই ঘৃণা না ছড়ালে দেশের অবশিষ্ট খনিজ সম্পদ বিদেশী আর কর্পোরেট দের হাতে তুলে দেবে কি করে? এই ভাবেই ভারতের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে হতে শেষে বিলুপ্ত হয়ে যাবে.. যদি না সাধারণ মানুষে এখনও এই বিভাজনের আড়ালে সত্যি টা বুঝে উঠতে পারে
ReplyDeleteসত্যি কথা। সুন্দর গুছিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ
ReplyDelete