Friday 30 April 2021

জোটের রাজনীতি

ভোটের হিসেবে সাবেক বামেরা 

কি আরও দুর্বল হবে?

প্রবুদ্ধ বাগচী


এ কথা ঠিক যে, একজিট পোলের সব তথ্য সব সময় মেলে না। আবার কিছুটা কিছুটা মিলেও যায়। বিষয়টা পরিসংখ্যানবিদ্যার একটা শাখা, সব বিষয়ের মতোই তার একটা গাণিতিক ভিত্তি আছে। সমস্যাটা হয় প্রাপ্ত তথ্যকে কে কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন। বিশেষ করে, নিছক অ্যাকাডেমিক আগ্রহের বাইরে একজিট পোল বেশ কয়েক দশক ধরেই টিভি চ্যানেলগুলির একটা টিআরপি বাড়ানোর উপকরণ। ফলে, আজ এই গোদি মিডিয়ার রমরমার যুগে কোন একজিট পোল কতদূর তার গাণিতিক সতীত্ব রক্ষা করতে পারে সেই প্রশ্নটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কারণ, সব চ্যানেলই আজ কোনও না কোনও কর্পোরেট সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও কম নয়। এবিপি আনন্দের মতো জনপ্রিয় চ্যানেলকেও তার অনুষ্ঠান দেখবার জন্য আনন্দবাজার পত্রিকায়  আজকাল বিজ্ঞাপন দিতে দেখা যাচ্ছে। 

কিন্তু, এই মেলা না মেলার মধ্যে একটা ন্যূনতম সামঞ্জস্য আছে। তাই গতকাল সন্ধ্যে জুড়ে যে সব একজিট পোল দেখানো হয়েছে তার মধ্যে যত ভুল ও রাজনৈতিক পক্ষপাতই থাকুক, একটা বিষয় খুব স্পষ্ট যে, রাজ্যের ভোটে আর যাই হোক সংযুক্ত মোর্চার ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রকাশিত সমীক্ষার মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৫টি। এই হিসেব ভুল হতে পারে, তারা এর দু' গুন আসন পেতেও পারে, কিন্তু ২৫ সংখ্যাটা বেড়ে ১৫০ হবে এই সম্ভাব্যতা শূন্য। 

একদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই তথ্যই তো উঠে এসেছিল প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষাতেও। কোনও সমীক্ষাই সংযুক্ত মোর্চাকে ক্ষমতায় আসতে পারে এমন দেখায়নি। কিন্তু না দেখালে কী হবে, বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ'এর সংযুক্ত মোর্চা গত দু' মাস ধরে প্রচার করেছে তারাই নাকি সরকার গড়বে। কীসের ভিত্তিতে এই দাবি করা হয়েছিল? 

গত লোকসভা ভোটে প্রতিটি বাম প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, তাঁদের ভোট শতাংশ নেমে এসেছিল ৭ শতাংশে। অনেকে মনে করেছিলেন, বাম-কংগ্রেস সুষ্ঠু জোট হলে তাদের মোট ভোট ২০ শতাংশের কাছাকাছি যেতে পারে। এই শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গড়া যায় না। আব্বাস সিদ্দিকি'র জোটে যোগ দেওয়াকে বামফ্রন্ট বিশেষত সিপিআইএম একটা ইতিবাচক দিক বলে প্রচার করেছিল। কিন্তু এর ফলে কংগ্রেস একটু আড়ষ্ট হয়ে যায়। যদিও শেষ অবধি একটা কাজ চালানো মিলমিশ হতেই দেখলাম আমরা। কিন্তু ভোটের যে শতাংশ একজিট পোলে দেখা যাচ্ছে তাও খুব আশাব্যঞ্জক নয়। আবারও বলি, একজিট পোল না মিললেও ১৫ শতাংশ ভোট ৪০ শতাংশে পৌছে যাওয়া সম্ভব নয়। আসলে পুরো বিষয়টার মধ্যেই একটা ভাবের ঘরে চুরি ছিল, সেটা বামফ্রন্ট স্বীকার করল না। আমরা অনুমান করছি, ২ মে ভোটের ফল বেরনোর পর বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটা দায়সারা কৈফিয়ত সাংবাদিক সম্মেলনে খাড়া করা হবে। সেটা ঐতিহাসিক ভুল বা পরিস্থিতি বুঝতে ব্যর্থতা এমন একটা কিছু হলেও হতে পারে। ২০১১ সালেও তাদের অনেক নেতা বুক বাজিয়ে বলেছিলেন অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার হচ্ছেই। 

আসলে রাজ্যের বাম শক্তি, সিপিআইএম বলাই ভাল (কারণ বামফ্রন্টের শরিক দল ফরোয়ার্ড ব্লক, আরএসপি বা সিপিআই এখন কার্যত সাইনবোর্ড), এইবারের ভোটটাকে সত্যি করে সিরিয়াসলি নেয়নি। তাত্ত্বিকভাবে ও অবস্থানগতভাবে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়ার যে দায় তাদের ছিল তারা সেটা থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে প্রথমেই। বিজেপি ও তৃণমূলকে একই সারিতে রেখে তারা বারবার প্রকাশ করে ফেলেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি ব্যক্তিগত ক্রোধ যা কোথাও কোথাও রুচি ও শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছে। প্রচারের সূচিমুখ তারা তীব্র করেছে তৃণমূলেরই দিকে, দাবি করেছে যে তাদের না সরাতে পারলে নাকি বিজেপি'র মোকাবিলা করা যাবে না। এরই সূত্রে তারা আমদানি করেছে 'বিজেমূল' নামক এক কল্পিত তথ্য যা আসলে নিজেদের নীতি-পঙ্গুত্বকে আড়াল করার চেষ্টা। তৃণমূল থেকে কিছু নেতা-কর্মী বিজেপিতে গেছে মানেই তাদের মধ্যে বোঝাপড়া আছে- এই তত্ত্ব কারওরই সাধারণ বুদ্ধিতে মেনে নেওয়ার কথা নয়। বরং লোকসভা ভোটে যে তাদের সমর্থকদের বড় অংশের ভোট বিজেপিতে গেছে এই সহজ পরিসংখ্যান তারা বিবেচনায় আনেনি। যদি একজিট পোলের কিছুটাও সত্যি হয় তাহলেও এটা স্পষ্ট যে বিজেপিতে যাওয়া ভোট এইবারেও বাম বা সংযুক্ত মোর্চার ঘরে ফিরে আসছে না। ব্যাপারটা আদপে যে এমন যান্ত্রিক নয়, এটা পোড় খাওয়া বাম নেতারা কেন যে বুঝলেন না! অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোর কিন্তু তাঁর একটা সমীক্ষায় দেখেছেন, গ্রামে বুথ স্তরে বিজেপির যে সংগঠন তার নেপথ্যে আছে বাম দলের কর্মীরা (টেলিভিশনে এই বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে)। 

আরেকটা হাস্যকর প্রয়াস হল, এই প্রথম সিপিআইএম তাদের তরুণ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ফলাও করে প্রচার করেছে। যেন মনে হল, এটা বিধানসভার নির্বাচন নয়, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট বা সিন্ডিকেটের নির্বাচন। কম শিক্ষিত বা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন প্রার্থীরা কি বাম দলের কাছেই অচ্ছুত হয়ে গেল? এই শিক্ষার ঘোষণা এক ধরনের এলিট উঁচু জাতের মানসিকতাকেই মনে করিয়ে দেয়। আরেকটা কথাও বলা হয়েছে, আমফান বা লকডাউনের সময় বাম কর্মীরা মানুষের আপদে বিপদে পাশে থেকেছেন, এটাও নাকি তাঁদের একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। তাঁরা যে পাশে ছিলেন বা এখনও 'রেড ভলান্টিয়ার্স' তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, এটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজনৈতিক সমাজে, যে সমাজ গড়ে ওঠার পেছনে বামপন্থীদের ভূমিকা আছে, সেখানে এই জনসেবা দিয়ে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড পাওয়া কি সত্যি সম্ভব? বিশেষ করে বিধানসভার ভোটে? পাড়ার কাউন্সিলার নির্বাচনে তবু এর একটা প্রভাব থাকে কিন্তু রাজ্যের সরকার গঠনের প্রশ্নে এই বিচার কতটা কার্যকরী হতে পারে? হাতের কাছে তো কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের উদাহরণ আছেই। মজার কথা হল, অতীতে বিভিন্ন পৌরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিন্তু বাম দলগুলি স্থানীয় ইস্যুর থেকে অন্যান্য বড় ইস্যুকে সামনে আনতেন। পৌরসভার নির্বাচনে গ্যাট চুক্তি বা পঞ্চায়েত ভোটে মার্কিন আগ্রাসন এইসব ইস্যু হতে দেখেছি আগে। আর তরুণ প্রার্থীই হোন বা প্রবীণ, রাজ্যের নির্বাচনে ভোট হয় দল দেখে, দলের নীতি দেখে, প্রার্থীর বয়স বা ডিগ্রি দেখে নয়। বাম দলের ভোটে লড়ার নীতিটাই কি সঠিক ছিল এবার? তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের আনা অভিযোগগুলির সঙ্গে বিজেপির প্রচার করা বিষয়গুলির কি আদৌ কোনও তফাত ছিল? কখনও কখনও মনে হয়েছে, বিজেপিই যেন তাদের ইস্যুগুলোকে সংযুক্ত মোর্চাকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছে! আর তৃণমূলের তথাকথিত 'পপুলিস্ট' কর্মসূচিকে তারা যেভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে অথচ নিজেদের ম্যানিফেস্টোতে প্রায় একই ধরনের কাজের ঘোষণা করেছে, তাতে আসলে গুলিয়ে গেছে আদপে তারা কী চায়।

আসতে পারে কংগ্রেস দলের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গও। এতদিন ধরে যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন বাম কর্মীরা তাদের হাত ধরে চলা কি এত সোজা? কার্যত সেই একই অজুহাতে তো তাঁরা তৃণমূলকেও বিরোধিতা করছেন, কারণ, তৃণমূল বাম কর্মীদের ওপর দশ বছর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ। সেই একই ধারাবাহিকতা কংগ্রেসেরও। তাছাড়া আজ বিজেপির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তার অনেকগুলোই তো কংগ্রেসের অবদান। রাম মন্দিরের তালা খুলে দিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী, অসম চুক্তি করে সেই রাজ্যে এনআরসি'র ভিত্তিভূমি তৈরি রাজীবের জমানায়। এছাড়া  দুর্নীতি, কর্পোরেট-তোষণ, সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ, ইউএপিএ'এর মতো নিবর্তনমূলক আইন তৈরি- এসবের সঙ্গে কংগ্রেসের নাম যুক্ত। এমনকি যে কৃষি আইন নিয়ে আজ দেশ জোড়া বিক্ষোভ তার প্রাথমিক প্রস্তাব কংগ্রেস আমলেই তৈরি। মার্কিন দেশের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করার প্রতিবাদে বামেরা ইউপিএ-২ সরকারের ওপর সমর্থন তুলে নিয়েছিলেন। সেই কংগ্রেস দলকে তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার সহায় কী বিচারে ভাবলেন সে এক ধাঁধা। এমনকি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা এককাট্টা হয়ে 'নো ভোট টু বিজেপি' মঞ্চ বা 'সংযুক্ত কিসান মোর্চা'র আবেদনকেও সন্দেহের চোখে দেখে নিজেদের তাঁদের থেকে সরিয়ে রাখলেন ও প্রকাশ্যে তাঁদের টিএমসি-র প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাগিয়ে দিলেন, সেই তৃণমূল যখন ২০১১'তে বামফ্রন্টকে সরিয়ে দেয় তখন তো কংগ্রেসও তার জোটসঙ্গী ছিল। 

একইভাবে আইএসএফ'এর সংসর্গ নিয়েও কথা আছে। নিজেদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ঐতিহ্য সরিয়ে রেখে বাম নেতারা যেভাবে আব্বাস সিদ্দিকিকে আগামী বাংলার কারিগর বা মসীহা হিসেবে প্রচার করেছেন তা শুধু হাস্যকর নয় বিস্ময়করও বটে। যিনি কিছুকাল আগেও একজন ধর্মগুরু ছিলেন ও প্রকাশ্যে মৌলবাদী কথা বলতেন, বামপন্থীদের কোন পরশপাথরে তিনি সেকুলার ও বঞ্চিত মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে দেখা দিলেন এই রহস্য অনেকেই এখনও ভেদ করতে পারেননি। তাছাড়া, বাম নেতারা দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছেন সমমনস্ক বাম দলগুলির সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিনের গণ আন্দোলনের ফলেই বামফ্রন্টের  সৃষ্টি এবং সেই সংহতি নিয়ে তাঁরা সাড়ে তিন দশক রাজ্য শাসন করেছেন। আইএসএফ দলটি তৈরি হল জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে, ইতিপূর্বে তারা কোনও গণ আন্দোলনে অংশ নেয়নি, তাদের ভাবনার নাগাল পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা রাজ্যবাসীর ছিল না। অথচ সেই তারাই সিপিআইএম দলের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল যে এবারের ভোটে দীর্ঘদিনের শরিক দলগুলির তুলনায় তাদের বেশি আসন দিয়ে দেওয়া হল! নির্দিষ্টভাবে কত আসনে তারা জেতে বা কত ভোট পায় সেটা আমরা আর দুদিন বাদেই দেখতে পাব, কিন্তু সিপিআইএম'এর এইসব নীতি ও কৌশল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে।

আমরা খুব নির্দিষ্টভাবেই চেয়েছি, রাজ্যের ক্ষমতায় আসতে না পারলেও অন্তত বিধানসভায় বামেরা যেন একটা যোগ্য বিরোধী স্বর তুলতে পারে। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা সুস্থতার সূচক। কিন্তু একজিট পোলের তথ্য বলছে, ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদাও আর তাঁরা পাচ্ছেন না। অবশ্য গত বিধানসভাতেও বামেরা নন, বিরোধী দলনেতা ছিলেন কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। এবারও বামদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা শূন্য। কাজেই তৃণমূল আর বিজেপির গট আপ থিওরিকে সামনে রেখে আর 'বিজেমূল'এর কাল্পনিক গরুকে গাছে তুলে তাঁরা রাজ্য বিধানসভায় নিজেদের বিরোধী মর্যাদাটুকুও যে খুইয়ে ফেলতে চলেছেন এটা প্রায় নির্ধারিত। ক্ষমতায় না এলেও বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির উঠে আসা, সেটা মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। এমনকি হয়তো তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরলে বিধানসভায় বিজেপির সঙ্গে তাদের ফ্লোর অ্যাডজাস্টমেন্টেও যেতে হতে পারে কোনও সময়, যেমনটা হয়েছিল কেন্দ্রে ভি পি সিং সরকারের আমলে। কার্যত কি তবে বামেরা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতাটুকুও হারাতে চললেন এইবার?   

খুব খুশি হব,  যদি আগামী ২ মে সন্ধ্যেবেলা এই প্রশ্নের উত্তরটি নেতিবাচক হয়।


6 comments:

  1. অপদার্থ মোর্চা
    অবাস্তব বামফ্রন্ট।
    দিশাহীন এরা।
    লেখাটি প্রশংসার যোগ্য।

    ReplyDelete
  2. সিপিএম এবার জিততে চায় নি। তৃণমূলকে হারাতে চেয়েছে। পার্টির সমর্থক ও কর্মীদের প্রতি অঘোষিত নির্দেশ ছিল, যেখানে জোট প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা নেই সেখানে বিজেপিকে ভোট দেবার জন্য। এটা শোনা কথা নয়। আমাদের অফিসের জনাদশেক তথাকথিত বামপন্থীদের জিজ্ঞাসা করে একই উত্তর পেয়েছি। রাজনীতিগতভাবেও সিপিএম দেউলিয়া হয়ে গেছে। অন্ধ মমতা বিরোধিতা ছাড়া এদের আর কোনো রাজনীতি নেই। তাই তারা ক্রমশঃ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। আমার বিশ্বাস বামেদের এই শূণ্যস্থানটি সিপিআইএমএল লিবারেশন দখল করে নেবে। বামদল হিসাবে এই নির্বাচনে এদের অবস্থান অনেক স্বচ্ছ এবং রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ক ছিল।

    ReplyDelete
  3. সুন্দর লিখেছেন! আমাদের মনের কথা!

    ReplyDelete
  4. ভারতীয় বামপন্থীরা চিরকালই তরল পদার্থ। ইন্দিরা গান্ধী কে রাজীব গান্ধী কে হারাতে কার কার সাথে নির্বাচনের আগে বা পরে হাত মিলিয়েছিল সেটা সবাই জানে। আবার সাতত্তরে পরে যে হারে কংগ্রেস কর্মীদের খুন করেছিল নিজেদের জীবন বাঁচাতে সেই কংগ্রেসের পায়ে তেই মাথা ছোঁয়াতে হল।স্রেফ অন্ধ মমতা বিরোধীতা করতে গিয়ে একটা দল(সিপিএম) উঠে যেতে চলেছে।

    ReplyDelete
  5. সিপিএম, আত্মহত্যার রাজনীতি করছে। এটা সাধারনের জন্য মারাত্মক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য রয়ে গেলো শুধু বিজেপি। আমার ধারনা সংযুক্ত মোর্চায় তুলনায় ভালো ফল করবে আব্বাস সিদ্দীকির দল। আমি ভুল হতে পারি, কিন্তু পরিচিতির রাজনীতি পশ্চিমবাংলায় পা রাখবে আব্বাসের হাত ধরেই। এটা কোন ইতিবচক দিক নয়। আগে যোগেন সরকার আর সন্তোষ রাণা এই রাস্তায় ব্যর্থ হয়েছেন। আব্বাসের সুবিধা, সে ধর্মগুরু। ধর্ম এখনো গরিব মানুষের দীর্ঘশ্বাস, তার উজাড় হয়ে যাওয়া দুনিয়ার ভরসা। সিপিএম হয়তো ভুল-টুল স্বীকার করবে দায়সারাভাবে। একটাই অনুরোধ এবার যেন আর "ঐতিহাসিক" ভুল না বলে। ভৌগলিক, ভৌত, সাহিত্যিক বা রাসায়নিক বা নেহাৎ কারিগরী ভুলও বলতে পারে। নতুন কিছু বলুক।

    ReplyDelete
  6. খুব। ভালো,যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ। ক্ষমতাহীন বামেরা চূড়ান্ত দেউলিয়াপনা দেখিয়েছে এবারের নির্বাচনে।

    ReplyDelete