Sunday 18 October 2020

নতুন নির্মিতির পথে

 সময় পাল্টাচ্ছে!

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য

এক অদ্ভুত ও বিভ্রান্তিকর সময়ে এসে আমরা উপনীত হয়েছি। যুক্তি-তক্কের সমস্ত উপচারকে বিদায় দিয়ে এ যেন এক ঘোর আবোলতাবোলের সমাহার। শুধু আবোলতাবোল বললে কম বলা হয়; প্রতিহিংসা, কপটতা, ঘৃণা ও অবিশ্বাসের এক বিষাদ-সিন্ধু। শুধু এ দেশে নয়, প্রায় সারা বিশ্ব জুড়েই। করোনা এসে এই দুঃসহতায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে।

আগে কি এমনতর দুর্যোগ আসেনি? সম্ভবত নয়। তা বলা এই কারণে যে, আগের দুঃসহতায় দুর্বল ও নিপীড়িত মানুষের অপারগতা ছিল অনেক বেশি। ফলে, অসহায়তার কারণে ও ক্লিষ্ট জীবনে তারা দগ্ধ হয়েছে, নিষ্পেষিত ও শোষিত হয়ে দিন গুজরান করেছে তদুপরি বেঁচে ওঠার আশায় কখনও কখনও বা লড়াই’ও করেছে, নিজ নিজ পরিসরে খুঁজে ফিরেছে অন্যতর জীবনের সন্ধান। সে সন্ধানে হতাশা ও বিভ্রান্তি ছিল, তদাপি কখনও বা আশা ও সফলতাও ছিল। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণত ভিন্ন। এক জটিল-কুটিল মহাসাগরে পড়ে আজ প্রায় সকলেই উদভ্রান্ত; শুধু তা নয়, নিজ নিজ পরিসর-চ্যুত ও নিরালম্ব বায়ুভূতের মতো যাপনরত। না চাইলেও এই জীবনেই বাধ্যত বাস। সোশ্যাল মিডিয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত সমাজ-অর্থনীতি অক্টোপাসের মতো সকলকে জড়িয়ে ফেলেছে। যেখানে তেমন তেমন নড়াচড়ার কোনও উপায়ন্তর নেই। আজ তাই বলা যাবে না, সে মানুষ অপারগ, সে বরং স্বেচ্ছাবন্দী। সে তৃষ্ণার্ত, কিন্তু জীবন-মরুভূমির পথে হাঁটতে হাঁটতে মরীচিকাই তার কাছে বেঁচে ওঠার অভীপ্সা।

আর এই সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতেই বিশ্ব জুড়ে বহু দেশে গত দশ বছরে এমন এমন শাসকের উদয় হয়েছে যারা বিচারের কঠিন-নিঠুর মানদণ্ড তৈরি করে মরীচিকার বিভ্রান্তিকে আরও বাস্তব ও আপন করে তুলতে পেরেছে। তার কারণও ছিল। এমন এক সন্ধিক্ষণে (২০০৮-০৯ সালে) বিশ্বায়িত ফিনান্স পুঁজির বাজার যখন হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল তখন তথ্য প্রযুক্তির উল্লম্ফন ঘটছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক অভাবনীয় জগতে। অথচ উদার পুঁজিবাদের আগ্রাসী ধাবমানতায় দুনিয়া জুড়ে আর্থিক বৈষম্য ও জীবন-অনিশ্চয়তার তীব্রতাও ছিল ভয়ঙ্কর। তার বিরুদ্ধে জনমানসে তৈরি হয়েছে প্রবল আশঙ্কা ও বিক্ষোভও। আমাদের দেশেও তখন মনমোহন সিং’এর প্রধানমন্ত্রীত্বের উদার-অর্থনীতির কাল। অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৮-১০ শতাংশ ছুঁলেও জল-জঙ্গল-জমিতে কর্পোরেট লুঠতরাজ, শিল্প ঋণের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের যথেচ্ছ অর্থ পাচার, অবিশ্বাস্য দুর্নীতি ও বড় বড় স্ক্যাম, সর্বোপরি, সাধারণ মানুষের জীবনে সে সব অভিঘাতে নতুন নতুন অর্থনৈতিক দুর্গতি জনসাধারণের মধ্যে এক তীব্র অশান্তি ও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। সেই অসন্তোষের অগ্নিতেই উদয় উগ্র রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদী শক্তির যারা উদার-পুঁজিবাদের চিহ্নগুলিকে শনাক্ত করে তার পাল্টা বয়ান বানিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের সমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে। সেই পাল্টা বয়ানগুলি কী?

মূলত:

১) বিশ্বায়নের প্রবাহে দেশের স্বার্থ ‘রক্ষা’ করো। শ্লোগান উঠল: মেক ইন ইন্ডিয়া, আমেরিকা আমেরিকানদের জন্য, আত্মনির্ভর ভারত;

২) অভিবাসীদের প্রতিহত করো: আমেরিকায় বলা হল মেক্সিকানদের আটকাও, এ দেশে বাংলাদেশিদের;

৩) সামাজিক, অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য দায়ী করা হল নির্দিষ্ট কোনও বর্ণ, ধর্ম বা জাতিকে: যেমন, আমেরিকায় কালোরা অপরাধ-প্রবণ, ভারতে মুসলমানরাই সমস্ত সমস্যার মূলে;

৪) প্রতিবেশীদের সম্পর্কে সাবধান হও। সকলেই সন্দেহজনক: আমেরিকার মতে, প্রতিবেশী মেক্সিকো হল ড্রাগ ও সমাজবিরোধীদের দেশ, ভারতে বলা হল, সমস্ত অপকর্মের মূলে পাকিস্তান; 

৫) সরকারি স্তরে অর্থনৈতিক উদ্যোগ সর্বদাই ক্ষতিকর। একচ্ছত্র কর্পোরেট ক্ষমতায়নের পথেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্ভব;

৬) দেশের প্রধান বা সরকারি নীতি অথবা আইনকানুন সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্নই দেশ-বিরোধী ও দেশদ্রোহিতার সামিল: আমেরিকায় জো বিডেন তাই চীনের দালাল আর এ দেশে বিরোধীরা কোনও রাজ্যে নির্বাচনে জিতলে তা মিনি-পাকিস্তান হয়ে উঠবে বলে প্রচার।

অতএব, ইত্যাকার নানাবিধ রীতিনীতি ও বয়ানকে সাব্যস্ত করে ফেলা গেল। তৈরি হল মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও বিভেদের এক নতুন বাতাবরণ। ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ভার্চুয়াল অর্থনীতির আধিপত্য ও রমরমায় এমন এক নতুন সামাজিক পরিসর নির্মিত হয়ে গেছে যা কস্মিনকালে ভাবাই যায়নি। ভার্চুয়াল সত্তায় সমস্ত অস্তিত্ব যেন তালগোল পাকিয়ে এক নতুন অবয়ব ও বয়ানে আত্মপ্রকাশ পেল। আপনার দীর্ঘদিনের বন্ধু অথবা নিকট পরিজনকে এবার যেন আপনি আর চিনতে পারছেন না। অথবা, তাঁরাও যেন আপনাকে কেমন বাঁকা দৃষ্টিতে দেখছেনপরিচিতি ও আলাপচারিতার বিভঙ্গটাই হয়ে গেছে ভার্চুয়াল, যেখানে ছবি, শ্রবণ বা লেখার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখাটাই দস্তুর, চাক্ষুষ দেখাদেখি কেমন জানি এক অবাস্তব প্রকল্প বিশেষ।    

এমন এক হযবরল পরিস্থিতিতে, খুব স্বাভাবিক, অবিশ্বাস, মিথ্যাচার, কপটতা, জিঘাংসা ও এমনতর আরও নানাবিধ প্রকোপের মাত্রায় সমাজ একেবারে পর্যুদস্ত হয়ে পড়বে। কারণ, ক্ষমতা লাভের দম্ভে যেমন বহু রাজনৈতিক দল বা নেতা স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, তেমনই আমজনতাও ক্ষমতার পাকদণ্ডীতে ‘দশচক্রে ভগবানের ভূত হয়ে ওঠা’র মতোই দশা প্রাপ্ত হয়। সোশ্যাল মিডিয়া নামক বস্তুটিতে অবাধে কথা বলার প্রায় বিনিপয়সার লাইসেন্স পেয়ে সাধারণ মানুষেরও যে মাথা ঘুরে যাবে, এ আর আশ্চর্য কী! যেমন, পকেটমার, ছিঁচকে চোর বা পাগলকে গণধোলাইয়ে অত্যন্ত নিরীহজনও গিয়ে যে কষে অন্তত খান-দুয়েক লাথি মেরে আসে, তা আকছার দেখতে দেখতেই তো বড় হয়েছি। তাই ব্যক্তি মনের কোটরে বহমান জিঘাংসা ও কপটতা যে সুযোগ ও আবহ পেলে বিধ্বংসী রূপ ধরবে তা তো স্বতঃসিদ্ধই। সেই বিধ্বংসী সময়েই আপাতত আমাদের ঘর। আর এই সময়ের তালে যখন বৃহত্তর ক্ষমতার বিভাজন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি ব্যক্তি ক্ষমতার কপটতা ও জিঘাংসার সঙ্গে মিশে যায় তখন আক্ষরিক অর্থেই তা এক মহামারি। ভাইরাস তো শুধু বস্তুগত নয়, মানসিকও। আর এই মানসিক বিকারের উৎসও তখন হয়ে উঠতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার অনর্গল নেত্যকলা। যেমন, সুশান্ত সিং’এর মৃত্যুর মাসখানেক পর হঠাৎ (তখন বিহার নির্বাচন দু-এক মাস পরেই) কারও কারও মাথায় এল যে তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত মুম্বাই পুলিশ যথাযথ ভাবে তাদের কর্তব্য পালন করছে না, অতএব, বিহার পুলিশ সে দায়িত্ব নিতে পারে। তারপর কেস গেল সিবিআই’এর হাতে। কোনওমতেই খুনের তত্ত্ব খাড়া না করতে পেরে সব থেকে সফট টার্গেট সুশান্ত’র বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে অন্তত কিছু গাঁজা কেনাবেচার (তাও সুশান্তের জন্যই) দায়ে তাহলে জেলের ঘানি টানানো যাক। সঙ্গে সঙ্গে রিপাবলিক টিভি’র মর্কটেরা পাগলের কেত্তন শুরু করে দিল। নেমে পড়ল গৈরিক শিবির- আসলে বাঙালি মেয়েরা কতরকমের ‘কালা যাদু’ জানে সেই সব উদ্ভট, বিকৃত, বৈকল্যজনিত আলোচনা ও মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে সরগরম করে তুলল। অশ্লীল নর্তন-কুর্দনে বহুজনের মন ও চোখের সামনে নির্মিত হল জিঘাংসা ও ঘৃণার এক অভিনব কুনাট্য।

দেখা গেল, আমেরিকার উদ্ভট রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও কম যান না। তাঁর যে কোভিড হয়েছে তা তিনি বিশ্বাস করতেই নারাজ। তিন কি চারদিন হাসপাতালে থেকে একপ্রকার পালিয়ে চলে এলেন হোয়াইট হাউসে। সাংবাদিকদের সামনে মাস্ক খুলে ফেলে উপস্থিত আর সকলের অবস্থাকে কোভিড-আতঙ্কে সঙ্গীন করে গটগট করে হেঁটে ভেতরে চলে গেলেন। আগে একবার ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, মানব শরীরে সাবান ইনজেক্ট করে দিলেই তো করোনার প্রসঙ্গ শেষ করে দেওয়া যেতে পারে। ঠিক যেমন, প্রধানমন্ত্রী মোদী থালা-বাটি বাজিয়ে ধ্বনিদ্রুম সৃষ্টি করে করোনা নিকেশ করতে দেশবাসীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইদানীং তাঁর দলের অনুগামীরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ তাঁদের জমায়েতে জল-কামান থেকে যে বেগুনি রঙের জল ছিটিয়েছিল তাতে নাকি করোনার জীবাণু মেশানো ছিল। শুধু কি তাই! তনিশক’এর একটি বিজ্ঞাপনে কেন এক মুসলমান শাশুড়ি তাঁর হিন্দু বউমাকে সাধ দিচ্ছেন তা নিয়ে সারা দেশ জুড়ে গৈরিক শিবির শুধু হৈ-হট্টগোল করেনি, বহু জায়গায় শোরুমের ওপর হামলা করেছে, জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে ও ভয় দেখিয়ে বিজ্ঞাপনটিকে প্রত্যাহার করিয়েছে। কেন করবে না! মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল যদি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আপনি সেক্যুলার হয়ে উঠছেন’ বলে গাল পাড়তে পারেন তাহলে এইসব তাণ্ডব তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।

এদিকে বাংলাদেশ, এমনকি নেপাল, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হারে ভারতকে আগামী দিনে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বলে আইএমএফ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই অধঃপাত তো এই চলতি আবহে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ঘৃণা ও বিভাজনকে পাথেয় করে কোনও রাজনৈতিক শক্তি যদি পরিকল্পনামাফিক নিরলস অনুশীলন চালিয়ে যায় তাহলে তার সাময়িক ফসল সে নিশ্চয়ই ঘরে তুলতে পারে। সেই কাণ্ডটিই ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন ভুবনে। কারণ, রীতিমতো পেশাদার আইটি সেল তৈরি করে, সেখানে দক্ষ লোক নিয়োগ করে, নানা কিসিমের উত্তেজনাকর ও হিংসাত্মক বয়ান বানিয়ে সুচতুর ভাবে যদি এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত ছড়িয়ে দেওয়া যায় তবে তার সাময়িক প্রতিদান নিশ্চয়ই মিলতে পারে। অবশ্য তার জন্য দুটি মজবুত ভিত তৈরি থাকতে হবে: এক, নানা বঞ্চনার কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা, ক্লেদ ও ক্ষোভ এবং দুই, ফলত, চটজলদি সমাধান ও চোখের সামনে জ্যান্ত শত্রুর উপস্থিতি।

এই দুই ভিতই প্রস্তুত ছিল। ফলে, উগ্র রক্ষণশীলদের পাল্টা বয়ানে বিশ্বাস রেখে মানুষ তথাকথিত উদারবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে কার্যত এক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইল। আর সম সময়েই নব উত্থিত সোশ্যাল মিডিয়া এই কার্যক্রমে নানা ভাবে সহায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াল। উসকে উঠল ঘৃণা ও বিভাজনের চরম বিস্ফোরণ। রক্ষণশীলদের সুপরিকল্পিত ঘৃণার রাজনীতির সঙ্গে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিবমিষা মিলেমিশে এক অন্ধকার বৃত্তের জন্ম দিল। বহু আশা-আকাঙ্ক্ষার স্মারক বামপন্থা, যা হতে পারত এই দুঃসময়ে এক দুর্ভেদ্য প্রতিষেধক, ভেসে গেল নব-নির্মিত বিভাজনের রাজনীতির তুমুল স্রোতে। কেন, তা অন্য আলোচনার বিষয়।

তবে এও তো দেখা গেছে, বহু মূল্য চুকিয়ে মনুষ্য-সমাজ আবারও চেষ্টা করেছে নতুন আলোকমালাকে ধরতে। তথাকথিত উদারবাদী রাজনীতির যে কপটতা ও দুরাচার, তার প্রতিক্রিয়ায় উগ্র রক্ষণশীল রাজনীতির জিঘাংসা- এই দুইকে ছাপিয়েই এক নতুন সম্ভাবনা তো নির্মিতও হচ্ছে। একদিকে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে বেশি বেশি মানুষ সচেতন ও সতর্ক হচ্ছে, এমনকি বহুল পরিমাণে তাকে পরিত্যাগও করছে, অন্যদিকে, এক নতুন বাস্তব রাজনীতির বীক্ষারও উদয় হচ্ছে যা সাবেকি বামপন্থাকেও নতুন করে ভাবতে সহায়তা করতে পারে।

এই লেখা যখন শেষ করছি, তখন তরুণ নেত্রী জ্যাকিন্ডা আর্ডার্ন’এর নেতৃত্বে লেবর পার্টি নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়ার পথে। একক গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তারা গ্রিন পার্টির সঙ্গে জোট সরকার গড়তে আগ্রহী। কারণ, পরিবেশ তাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে সৌরশক্তির ব্যবহারকে সর্বজনীন করা, উচ্চ আয়ের ধনীদের ওপর বেশি কর বসানো, শ্রমিকদের জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৬০ ডলার ন্যূনতম মজুরি, কর্মনিয়োজনের গুরুত্বকে অগ্রাধিকারে রাখা- এইসবই ছিল তাদের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। মনে হয়, সারা বিশ্ব জুড়েই, এমনকি আমাদের দেশেও, এক নতুন ও সার্বিক রাজনৈতিক-অর্থনীতির উত্থান এবং সদর্থক রাজনীতির বাতাবরণ গড়ে ওঠা সময়ের খানিক অপেক্ষা মাত্র।

      

1 comment: