Friday 16 October 2020

দুঃসহ জীবন

পরিযায়ী শিশু-নারী-পুরুষ

অশোকেন্দু সেনগুপ্ত

পরিযায়ী শিশু-নারী-পুরুষের সমস্যা গভীর ও ব্যাপক। ধর্মীয় কারণে (যথা বার্মা মুলুকের রোহিঙ্গা বা পাকিস্তান থেকে উত্যক্ত অথবা নিপীড়িত হয়ে বিতাড়িত শিখ/হিন্দু শরণার্থীরা) পরিযায়ী, আর ভবঘুরে সম্প্রদায়ভুক্ত (দেশে কত কিসিমের আইন ও তার সংশোধনী আমরা দেখি, কিন্তু ভবঘুরেদের জন্য মান্ধাতার বাবার আমলের বিদেশী কর্তাদের সম্মান রক্ষার্থে সৃষ্ট আইন ছাড়া কার্যত কোনও আইন নেই; পুলিস কাউকে ভবঘুরে বলে ঘোষণা করে দিলেই হল), তাদের এই আলোচনার বাইরে রাখছি। আরও কয়েকটি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় সম্পর্কে পরে উল্লেখ করলেও তাদের আপাতত এই আলোচনার বাইরে রাখছি আলোচনার সুবিধার্থে।

পরিযায়ীদের মূল সমস্যা চিকিৎসা, রুজি-রোজগার ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত। চিকিৎসা-বিষয়ক সমস্যা সবারই। বিশেষ সমস্যা পরিযায়ীদের। তাদের কর্মস্থলে পাওয়া বাসস্থানের পরিবেশ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। দু-একটি উদাহরণ দেওয়া যাক।

চা-বাগান শ্রমিকদের থাকার জন্য নির্মিত বহু বস্তিরই হাল বেশ খারাপ। তাদের না আছে সুশিক্ষার সুযোগ, না স্বাস্থ্য সচেতনতা। আছে অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার আর কুপ্রথা। তারা অনেকেই জানে না কোথায় ছিল তাদের দেশ, আত্মীয়স্বজন কে, কবে কী করে তারা এখানে এল! কেউ এসেছে জেলা ডিঙ্গিয়ে, কেউ রাজ্যের সীমানা পেরিয়ে। তারা জানেই না স্বাস্থ্যবিধিসম্মত টয়লেট ব্যবস্থার কথা, এখনও ছোটে বাগানে, ঝোপেঝাড়ে। পরিশ্রুত পানীয় জল তারা স্বপ্নেও চায়নি (কে বা পায় পরিশ্রুত পানীয় জল এমন আর্সেনিক-দূষিত এই রাজ্যে?)। জলবাহিত রোগের কথা তারা জানেই না তো পরিশ্রুত পানীয় জল!

রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প চত্বরেও অবস্থা অন্যরকম কিছু নয়। গঙ্গাপারের বৃত্তান্ত বা ‘অসমাপ্ত চটাব্দ’এর গল্প আজও এক।

আর ইটভাটায়? আমার দেখা একটি বস্তিরও হাল ভালো না। একটিরও না। বিশ্বাস করাই শক্ত যে সেখানে মানুষ বাস করে এবং সাপ-বিছে, মশা-মাছি সঙ্গে নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে! বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প যথা টীকাকরণ ইত্যাদির সুযোগই তারা অনেকে পায় না। জানেই না। অনেক মালিক আবার ঘটা করে বোর্ডে লিখে রাখে সেই মানুষগুলির জন্য সরকার ও তারা কী করেছে, তাদের সহায়ক আইন কী কী আছে ইত্যাদি। বদ-রসিকতা ছাড়া কিছুই বলা যায় না।

ঐসব অস্থায়ী ছাউনি ইত্যাদি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক। সংক্রামক রোগগুলো তো আছেই, তারই মাঝে একদিকে আছে আন্ত্রিক, মহামারী, সাপে-কাটা, রক্তাল্পতা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, কবচ-তাবিজ, অন্যদিকে নারী-পুরুষের মিলন, জন্ম-মৃত্যু। মহিলারা, শিশুর হাত ধরে, ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ছাড়ে অভিভাবক স্থানীয় কোনও পুরুষের ভরসায় (সেই পুরুষও কখনও ঠকায়)। যে মানুষটা দাওয়ায় পা ছড়িয়ে বসে বিড়ি বাঁধে কি মুখোশ বানায়, সেও ভাবে বাড়তি দু’ পয়সা পেলে আর একটু সুখে থাকা যায়। আরও একবেলা খাবার জোটে বা চালে আর এক-আঁটি খড় দেওয়া যায়! তাই তাঁরা ঝুঁকি নেয়।

এমন আবাসস্থলে মহিলা পেলে, অনেক সময়েই, মালিক বা তার কোনও দুর্বৃত্ত এজেন্ট টেনে নেবে তাকে যেভাবে নেকড়ে বা শেয়াল টান মেরে কেড়ে নেয় শরীর। তাদের নিয়োগকারীরা বা তাদের এজেন্ট দারিদ্র ও অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে থাকে। ‘ভেট’ দিতে তাদের ব্যবহার করা হয়। ‘নাবাল’এ কাজ করতে যাওয়া মানুষগুলোরও একই হাল। এই তো তাদের জীবন ‘কালিদা’।  

তাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন, চিরস্থায়ী সুব্যবস্থা চাই। চাই তো, পাই কৈ? কেবল বর্তমানের জন্য নয়, কেবল কোভিড পরিস্থিতির জন্য নয়, ওরা চিরদিনই বঞ্চিত- কখনও চা বাগানে, কখনও ইটভাটায়, কখনও হোটেলে, কখনও শিল্পক্ষেত্রে, কখনও কৃষিক্ষেত্রে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োজিত যারা তাদের অতি বড় অংশই তো ঠিকাকর্মী- তারাই বা কী ভালো আছে, প্রাপ্য/যোগ্য সম্মান পায়? এদের সমস্যাও বড় হয়ে দেখা দেবার পথে। ঠিকাকর্মীদের একাংশও পরিযায়ী, তবে তাদের সমস্যাও আলাদা করে আমরা এই আলোচনায় আনছি না।    

অতিমারি কালে কিছু মানুষ পরিযায়ীদের জন্য অনেক কিছু করতে চেয়েছে। করেওছে- খাদ্য, আশ্রয়, লেখাপড়ার সরঞ্জাম, চিকিৎসা দিয়েছে। পরিযায়ীদের তারা নানা কাজের উৎস যেমন '১০০ দিনের কাজ' ইত্যাদিও ধরিয়ে দিয়েছে। সেখানেও দুর্নীতির অন্ত নেই, তবু এ কথাও তো মানতে হয় যে তারা অনেকে কিছু খেতে পায় সেই কাজের সুবাদে। আমরা কেবল দুর্নীতিই দেখি, দেখি না যে প্রশাসকদের অযোগ্যতা বা মোসাহেবিপনার কারণেও বহু অপচয় হয়, অনেকে খেতে পায় না। 

শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের অনেকে চায় সব কিছু হোক আইনমাফিক। সে ব্যবস্থা কেবল রাষ্ট্রব্যবস্থাই করতে পারে, যদি না রাষ্ট্র ভিন্ন কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে নিজের তৈরি ব্যবস্থাগুলি নিজেই ভাঙতে উদ্যোগী হয়। দুঃখের হলেও সত্যি যে, কেবল আপৎকালীন সময়ে নয়– অন্য সময়েও অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ইচ্ছে করেই বা উদ্দেশ্য নিয়ে (নিজেদের গড়া) নিয়ম ভাঙ্গে, আর অনেক মালিক তো জেনেবুঝেই, কিছু ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের হিসেব করা উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে বিধি-নিয়ম অগ্রাহ্য করে। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সাধারণ মানুষ বিপদে তাদের পাশে থাকে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই। এতে সর্বদা লাভ হয় এমন নয়।

একালে যেন কেবল অহিংস সদিচ্ছায় কাজ হয় না। তাতে অনেকে লড়াই করার মানসিক জোরটুকুও হারায়। এর মানে কিন্তু এই নয় যে সহিংস হলেই সমাধান মিলবে।

আমরা পরিযায়ীদের দুটো অংশে ভাগ করি: ১) স্থায়ী ও ২) অস্থায়ী বা সাময়িক। মনে রাখতে হবে, পরিযায়ীরা সর্বদা শ্রমিক নাও হতে পারে। তাঁরা সাধারণত মধ্যবিত্ত ভাবনা ও শ্রেণি বদলের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচেন। যথা ছাত্র, দেহোপজীবী ও চাকুরিজীবী সম্প্রদায়। এদের মধ্যে কিছু শিল্পী ও তথ্যপ্রযুক্তির ঠিকাকর্মীও আছেন।

পরিযায়ীদের জন্য যে আইন আছে তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলেই তাদের সমস্যা অন্তত কিছুটা মেটে। তা তো হয় না। কেবল শিশু বা নারী নয়, এই সাময়িক পরিযায়ী গোষ্ঠীর সকলেই কোনও না কোনও ভাবে ঘরে-বাইরে বিবিধ সমস্যায় জর্জরিত। তাই সব সাময়িক পরিযায়ীদের নিয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। নানাবিধ সামাজিক, প্রাকৃতিক, শারীরিক কারণে মহিলা ও শিশুরা পরিস্থিতির শিকার হয় বেশি। তাই, আপাতত আমরা সাধারণভাবে তাদের সকলের সুরক্ষায় যা করা উচিত তা নিয়ে ভাবি। সমস্যার চরিত্র যেহেতু প্রায় অভিন্ন তাই তার সমাধানও নারী-পুরুষ-শিশু নিরপেক্ষ। কিছু পরিযায়ী দেশ বা রাষ্ট্রের সীমানাও পার হয়। তাদের এই আলোচনায় টানা হয়নি।

এখন তাকানো যাক কিছু জরুরি কাজের দিকে:

ক) পঞ্চায়েত ও পৌরসভাগুলো সকলের জন্য সুরক্ষা কার্ড বানাক যাতে থাকবে ১) নাম ২) অভিভাবকের নাম ৩) ঠিকানা ৪) পঞ্চায়েতের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। প্রত্যেককে এই কার্ড দেওয়া হোক। কেউ অপহৃত হলে বা হারিয়ে গেলে এই কার্ড দেখে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের স্বস্থানে ফিরতে সাহায্য করতে পারবে সহজে। 

খ) যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে পরিযায়ী কর্মী ও শিশুদের নাম নথিভুক্ত করা হোক। নথিভুক্তিকরণে কারণ জানার প্রয়োজন নেই।

গ) এই কার্ডে জল ও স্থলপথে পরিবহনে সুবিধা দিতে হবে।

ঘ) শিক্ষা দফতর স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিক যাতে পরিযায়ী কর্মী ও শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ সহ (জাতীয় শিক্ষানীতিতেও মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যদিও সেখানে পরিযায়ীদের সমস্যার কোনও উল্লেখ নেই) ভর্তি, ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পেতে অসুবিধা না হয়। ভ্রাম্যমান বিদ্যালয় তৈরি করা হোক যেখানে মিড ডে মিল-সহ শিশুদের শ্রী ফেরাতে প্রাপ্য সব সুবিধা নিশ্চিত হবে। অনেক জায়গায় দেখেছি, বিশেষত ডুয়ার্স ও জঙ্গলমহলে, বন্য জন্তুর আক্রমণে শিশুদের জন্য স্থিরীকৃত সব আয়োজন নষ্ট হয়ে গেছে। সরকার (বন দফতর পরিচালিত সব স্কুলেরই হাল অবশ্য বেশ খারাপ, তাদের উদ্যোগ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নেই) ও বেসরকারি উদ্যোগ পরিচালিত এমন কিছু স্পেশ্যাল স্কুল আছে বটে, সেগুলি নগণ্যপ্রায়। নিয়োগকারীরা অশিক্ষার সুযোগ যাতে না নিতে পারে তার জন্য পরিযায়ীদের সুশিক্ষার আয়োজন নিশ্চিত করা অতি জরুরি।

ঙ) স্বাস্থ্য দফতরকেও ভ্রাম্যমান হাসপাতাল বানাতে হবে পরিযায়ী কর্মী ও শিশুদের জন্য। তাদের অতি দ্রুত (এক সপ্তাহের মধ্যে) বয়স, টীকাকরণ ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দিতে হবে। জননী সুরক্ষা ইত্যাদি কল্যাণমূলক প্রকল্প তাদের জন্যও বাস্তবে চাই। আইন তো আছে, কিন্তু বহু ব্লকে গাড়ির অভাবে নাকি আইন প্রয়োগে অসুবিধা হচ্ছে! জঙ্গলমহল বা চা-বাগান অঞ্চলে কিছু হাসপাতাল আছে যেখানে তুলো, ব্যান্ডেজ, জ্বর বা পেটের গণ্ডগোলের ওষুধ ছাড়া তেমন কিছু মেলে না।

চ) রাজ্য শ্রম দফতরকে NCLP (National Child Labour Project) স্কুল চালানোর পূর্ণ উদ্যোগ নিতে হবে, কেন্দ্রীয় সাহায্যের ভরসায় না থেকে। কেন্দ্র এই প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায়। তাই বুঝি ২০১৬-র পর NCLP স্কুল বিষয়ক তথ্য অমিল। শিশু সুরক্ষা ও মহিলা কমিশন এই তথ্য সংগ্রহের কাজ হাতে নিক। মানবাধিকার কমিশনকে পাশে নিয়ে শ্রম দফতরকে দেখতে হবে যে পরিবেশের ক্ষতি না করে সব পক্ষ কোম্পানি/ফ্যাক্টরি আইন মানছে কিনা।

ছ) ১০০ দিনের কাজে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ নিশ্চিত করতে হবে। তদারকির ভার নিক শিশু সুরক্ষা কমিশন।

জ) রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম নানা দুর্নীতির আখড়া, যৌন নির্যাতন, মাদক ও শিশু পাচার ইত্যাদি প্রতিরোধে রেল দফতরকে সক্রিয় হতেই হবে। আমাদের প্রার্থনা ওরা যেন অন্তত সুপ্রিম কোর্টের আদেশটুকু কার্যকর করে।

ঝ) শিশু শ্রম আইনের সংশোধন প্রয়োজন। সে আইন নানা কারণে বিপদজনক ও শিশু শিক্ষার পরিপন্থী। এই আইনে জাতীয় শিশুনীতি, UNCRC ইত্যাদির বেশ কিছু ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। NCPCR ও SCPCRগুলিকে এই আইন সংস্কারের কাজে সক্রিয় হতে হবে।

ঞ) যে কোনও সামাজিক সুরক্ষা তথা কল্যাণ প্রকল্পে পরিযায়ী নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার দিতেই হবে। যে কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তত ২৫ শতাংশ এই শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ প্রয়োজন। সেই সুবিধা তদারকির ভার নিক DCPS। এদের প্রত্যেকের PDS ব্যবস্থার অধীনে আসার অধিকার স্বীকার করে নিতে  যোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ট) বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় সাধনে DCPSগুলিকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে তাদের কিছু প্রশাসনিক ক্ষমতা দিতে হবে এবং উন্নত মানের কাজ পেতে তাদের চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যেমন যুদ্ধ জয় করা যায় না তেমন চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী দিয়ে কর্ম সম্পাদন হয় না। জেলা আধিকারিকরা যেন DCPS কর্মীদের অন্য কাজে নিয়োগ না করেন।

ঠ) উদ্ধার হওয়া শিশুদের জন্য পৃথক সরকারি হোম গড়া একান্ত জরুরি। এমন হোমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির আয়োজন যেন নিশ্চিত হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু ও মায়েদের ICDS প্রকল্পের আওতাভুক্ত করতে হবে।

এসবই তো ন্যূনতম কাজের তালিকা। আরও অনেক কাজ করতে হবে শিশু ও মহিলা পরিযায়ীদের মানুষের মতো বাঁচাতে চাইলে। রাজ্য স্তরে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও NGO-র মধ্যে সমন্বয়ের দায় নিক শিশু সুরক্ষা, মহিলা সহ সব অধিকার রক্ষা কমিশন। কান্নাকাটি বা নিছক সমবেদনায় কিছু হবার নয়, নিশ্চেষ্ট নিরপেক্ষতার দিনও গত। এখন চাই দেশ জুড়ে আন্দোলন। এখনই। আইন তো অনেক, আমরা চাই আইনের নিশ্চিত পক্ষপাতহীন প্রয়োগ মাত্র। কর্তারা বলবেন, এতে খরচ বাড়বে, বলবেন না যে এতে তাদের লাভ কমবে।

তবে সমস্যা সেই একই- 'লাও তো বটে, আনে কে?'


1 comment:

  1. এই দাবি গুলো নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক দের সংগঠিত করে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং এর মাধ্যমে একটি মিমাংসা পাওয়া যাবে । এরজন্য সংগঠন শক্তি প্রয়োজন। এটা আমার মত।

    ReplyDelete