এত কালি মেখেছি দুই হাতে
মালবিকা মিত্র
বিগত ৪০-৫০ বছরে চারপাশে দোকানপাট হাট বাজার শপিং মল বিস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসাধনী সামগ্রী জামাকাপড় আর ওষুধের দোকান তো ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গজিয়ে উঠেছে। কিন্তু খেয়াল করবেন, একটি ব্যবসা লাটে উঠেছে। তা হল বইয়ের দোকান। রেল স্টেশনগুলোতে বইয়ের স্টল বিদায় নিয়েছে। আমি যে অঞ্চলের বাসিন্দা সেখানে একদা ছ'টি বইয়ের দোকান ছিল। সেই সব দোকানে ভালো ভালো বই শো'কেসে শোভা পেত। আর শিক্ষাবর্ষের শুরুতে দোকানে স্কুলের পাঠ্য বই বোঝাই থাকত। এখন সেই বইয়ের দোকানের সংখ্যা ঠিক দুটি। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, একটি। এই বইয়ের দোকানে গল্প উপন্যাস বিক্রি হয় না। বিক্রি হয় ছাতা, স্কুলের ব্যাগ, ওয়াটার বোতল, টিফিন বক্স, বইয়ের মলাটের সিনথেটিক রোল, নানাবিধ ফ্যান্সি রাবার, ছুরি, হস্তশিল্পের উপকরণ, বার্থডে সাজানোর উপকরণ, গ্রিটিংস কার্ড ইত্যাদি। তবে অর্ডার দিলে আনিয়ে দেয়। আমি এমনই একটি দোকানে বইয়ের অর্ডার দেব বলে দাঁড়িয়েছি।
শিক্ষক দিবসের আগের দিন (৪ সেপ্টে) এই দোকানে বেজায় ভিড়, কমবয়সী ছাত্রছাত্রীরা প্রধান ক্রেতা। বেলুন, নানা রঙিন ফিতে, ঝিকমিকি নানাবিধ রাংতা ও ফয়েলের উপকরণ, এসব কিনছে। আর আছে ছোট বড়, বেশি দামী, কম দামী গ্রিটিংস কার্ড। একটি বাচ্চা গ্রিটিংস কার্ড কিনছে, সঙ্গে তার মা।
-- আমার আটখানা কার্ড লাগবে।
-- আটখানা! সবাইকে কেন? তোমার সবচেয়ে প্রিয় দু' তিনজনকে দাও। আটখানা টু মাচ!
-- সবাইকে তো দিচ্ছি না। আমাদের ক্লাস নেন যে টিচাররা শুধু তাদের দিচ্ছি।
-- এই কার্ডগুলো নাও, পাঁচ টাকা করে।
-- না, এগুলো একেবারেই বাজে। কাগজগুলো বাজে। ওইগুলো নেব।
-- ওগুলো কুড়ি টাকা করে দাম, ভাবতে পারছ আটখানা কার্ডের কত দাম হবে? অত দামের দিতে হবে না।
-- না আমাকে ওই ভালো কার্ডগুলোই দিতে হবে।
বাচ্চা নাছোড়।
মোদ্দা কথা, শিশুর দিক থেকে কী ভয়ঙ্কর পীড়ন চলে অভিভাবকের উপর। আর অভিভাবকের কী চরম অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্য ভাব। এই দুইয়ের ফলশ্রুতি, অবশেষে চাঁদ সওদাগরের বাঁ হাতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন মহান শিক্ষক দিবসে। অথচ এমনটা আমার ছাত্র জীবনে, এমনকি আমার শিক্ষকতার প্রথম জীবনে ছিল না। তখন অনেক সময় উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা শিক্ষকদের বিশ্রাম দিয়ে নিজেরাই ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষক হত। কখনও ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে কোনও খেলাধুলোর আয়োজন হত। কখনও কিছু সাধারণ খাবারদাবার আয়োজন করে ছাত্র-শিক্ষক সম্মিলিত আহার হত। এই ছিল শিক্ষক দিবস।
কালে কালে এল পরিবর্তন। পৃথক পৃথক ক্লাসে প্রতিযোগিতা শুরু হল ক্লাসের সাজসজ্জা আয়োজনে। প্রতিটি ক্লাস পৃথকভাবে শিক্ষকদের সম্বর্ধনা দিতে শুরু করল। ক্লাসে বেলুন ফাটানো, বেলুনের মধ্যে নানাবিধ চাকচিক্যের উপকরণ ছড়িয়ে পড়ল ক্লাসময়, সকলের শরীরে। উদ্দাম আনন্দ হই-হল্লা। মনজিনিস গাঙ্গুরাম ডোমিনো'স বা নামী মিষ্টির দোকানের প্যাকেট, সঙ্গে দামী উপহার দিয়ে সম্বর্ধনা। ভিন্ন ভিন্ন ক্লাসে এই প্যাকেট ও উপহারের বহর বেড়ে চলল। ফলে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিগ শপার নিয়ে যেতে শুরু করলেন। এলাহী আয়োজন চলতে লাগল। যে একজন বা দুজন শিক্ষক এই বিপুল বৈভব প্রদর্শনে আপত্তি করতেন, তাঁরা সহকর্মী শিক্ষকদের মহলে এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছেও খুবই অপ্রিয় হয়ে উঠলেন। কোনও এক শিক্ষক বলতেন, দামী দামী কার্ড না কিনে নিজের হাতে বানিয়ে একটা কার্ড দাও। যে কোনও কাগজে বানাও। একটা মনে রাখার মতো চিঠি, ছবি আঁকতে না পারো তো একটা প্যারাগ্রাফ লিখে বা দু' লাইন ছড়া লিখে দাও। সেটাই হবে দুর্লভ প্রাপ্তি। এত ব্যয়বহুল আয়োজন করে কেন পিতা-মাতার বিড়ম্বনা বাড়াও?
আজ আট বছর হল অবসর নিয়েছি। ফলে, এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ আমাকে চেনে না। তাই অতি সহজেই পিতা-মাতার ওপর ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ সৃষ্টির দৃশ্যটি ও অভিভাবকের অবজ্ঞা ও তাচ্ছিল্যের মনোভাব সহজে প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি। এই তাচ্ছিল্য তো আমাদের পাওনা ছিল। অবসর গ্রহণের আগেই আমি দেখেছি, 'ছাত্র-ছাত্রীরা মোদের সন্তান সম' ঘোষণা দিয়ে তাদের হাতে দুটি একলেয়ার্স ধরিয়ে ও ব্যাগ ভর্তি গিফট নিয়ে তাদের ছুটি করে দিয়েছি। তারপর বিরাট ভোজের আয়োজন হয়েছে। সেই আয়োজন সন্তান সম ছাত্র-ছাত্রীরা স্বচক্ষে দেখেও গেছে। আমি নিজেই দ্বিচারিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। প্রচণ্ড চড়া সাজসজ্জা করে দিদিমণিরা স্কুলে এসেছেন, আর ছাত্র-ছাত্রীদের বলেছি স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে আসতে। শুধু তো শিক্ষক দিবস নয়, সরস্বতী পুজো, বাৎসরিক স্পোর্টস, বাৎসরিক অনুষ্ঠান, সর্বদাই ছাত্রীরা স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আর শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্বাধীনভাবে নায়ক-নায়িকা সুলভ সাজে হাজির থেকেছি।
শিক্ষক হিসেবে আমি আদর্শহীনতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমি নিজের বিদ্যালয়ে কখনই আমার নিজের সন্তানকে পড়াই না। আমার নিজের বিদ্যালয় আমার কাছে উপার্জনের ক্ষেত্র। অতএব, এখানে সবাই পরের ছেলে। আমার নিজের ছেলে মেয়ে অন্যত্র বেসরকারি নামীদামী এলিট শিক্ষা কেন্দ্রে পড়ে। ফলে, পরের ছেলের দায়িত্ব আমি কখনও গ্রহণ করিনি। একে একে এই পরের ছেলেরা বুঝেছে, এখানে পড়াশোনা করে কিছু হয় না। অভিভাবকরা তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। বিদ্যালয় শিক্ষক কালিদাসের মতো যে জমিতে দাঁড়িয়ে আছেন সেই জমিটাই খুঁড়ে চলেছেন।
একদা এই স্কুলগুলো ছিল আমার বাড়ির কাজের মেয়ে এবং আমার মেয়ে দুজনেরই স্কুল। আমি আমার মেয়েকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছি গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি বিদ্যালয়ে। এগুলোকে পরের ছেলের গোয়াল বানিয়েছি। আমার চোখে এগুলো শুধুই উপার্জন ক্ষেত্র। ফলে, এখন আমার বাড়ির কাজের মেয়ে তার সন্তান, নাতি-নাতনিদের এই স্কুলে আর পাঠায় না। স্কুলগুলোকে ছাত্র-ছাত্রীহীন করেছি। এখন ছাত্র-ছাত্রীর অভাবে একটা একটা করে স্কুল উঠে গিয়ে পরস্পর মার্জিং চলছে। ওদিকে আমার সন্তান পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে, বিএড করে বেজার মুখ করে বলে, কতদিন হয়ে গেল কোনও শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন হয় না। কী করে হবে? আমরাই তো এই স্কুলগুলোর উপরে মানুষের আস্থা নষ্ট করেছি। কেউ কেউ বলেন, এটা সরকারি নীতির ফল। আমি বলি, সরকার তো একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে একটি নীতির প্রস্তাব চালু করে। কিন্তু এই সরকারি স্কুলটায় হাতে-কলমে কাজ করেন যে শিক্ষক (জন হেনরি), তিনি ডিসপোজ করেন। মালিক সরকার যাই প্রপোজ করুক ডিসপোজ করেন শিক্ষক। তার মধ্যে সেই মরাল এবং ফিজিক্যাল লড়াইটাই আমরা দেখলাম না। ব্রিটিশ সরকার কত না শিক্ষানীতি চালু করল, দফতর বানালো, সিলেবাস বানালো, শিক্ষক শিক্ষণ চালু করল, যাতে সরকার তার লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাঁধতে পারে। কিন্তু বাস্তবে পেরেছিল কী? স্বাধীনতা আন্দোলনে যে বিপুল সংখ্যায় আবেগ তাড়িত ছাত্র সমাজ যোগদান করল, তাদের পেছনে কোনও না কোনও মাস্টারদা বা শিক্ষক মহাশয়ের অবদান ছিল। শিক্ষককে নিয়মে বাঁধবে, সেই বাঁধন শাসকের ছিল না।
এ বছরেই আমার বিদ্যালয়ে এক সহকর্মী অবসর নিলেন ৩১ আগস্ট। ওইদিন ছিল রবিবার, তাই তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানটি করা হল আগের দিন, শনিবার। খুবই অনুরোধ করেছিল, তাই গিয়েছিলাম। দেখলাম যথারীতি এখনও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চড়া মাত্রায় সাজগোজ, বিপুল খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন অব্যাহত। কোনওমতে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে সব ছাত্রীদের হাতে একটি করে মিষ্টি ধরিয়ে বিদায় করা ও তারপর ভুরিভোজের সূচনা। বুঝলাম, স্কুলগুলো উঠে যাবার মুখেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে আত্মসমালোচনা নেই। আমাদের কি কিছু করার ছিল, কিছুই কি করার ছিল না-- এই আত্মজিজ্ঞাসা নেই। লোকগানে বলা আছে, মৃত্যুকালেও পাপী কৃষ্ণ বলে না।
আমি আমার সন্তানের বেঁচে থাকার উপায় যে লাইফবোট, সেগুলোকে ডুবিয়েছি নিজেই। সরকারি নীতিকে আমি আরও ত্বরান্বিত করেছি। স্কুলগুলোর দুরবস্থায় সরকার বিরোধী সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছি। ক্লাসে না গিয়ে টিচার্স রুমে বকেয়া ডিএ নিয়ে সোচ্চার হয়েছি। বলেছি, বকেয়া ডিএ'র অনুপাতে ক্লাসের সময় কমিয়ে দিতে হবে। পরপর তিনটি ক্লাস থাকলে চিৎকার করে রুটিন প্রস্তুতকারকের পিতৃ শ্রাদ্ধ করেছি। সারাদিনে চারটির বেশি পাঁচটি ক্লাস হলে টিচার্স রুম ফাটিয়ে চিৎকার করেছি। সেই আমি শিক্ষক, বারবার সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেছি। কিন্তু বাকি তিনটি আঙুল কোনদিকে তা খেয়াল করিনি। এই আমি হলাম মানুষ গড়ার কারিগর। আজ আমার জয়গানে মুখরিত হবে বিদ্যালয়। শিক্ষক দিবসে মহান শিক্ষকের আত্মত্যাগের কাহিনী। কিন্তু একটু বোধহয় ভুল বলছি, ছাত্রাভাবে বিদ্যালয়ের কক্ষ আজ আর মুখরিত হবার কথা নয়। বরং আমার স্বঘোষিত মহানুভবতার বক্তৃতা প্রতিধ্বনিত হয়ে আমারই কানে ফিরে আসবে।
এত কালি মেখেছি দুই হাতে যে এখন লজ্জায় মুখ ঢাকার উপায় নেই। মুখে কালি লাগার ভয়। তাই লজ্জাহীনের মতো মুখ না লুকিয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়াই।
সত্যিই, বাঙালি মধ্যবিত্তের পৃষ্ঠাপোষকতায় আজ ইংরাজি মিডিয়াম স্কুল গুলোর রমরমা , আর আমরা নিজেরাই নিজেদের ঘর পুড়িয়েছি, তাই এই সময়ের ছাত্র বা বাচ্চাদের মধ্যে শিষ্টতা বা শিক্ষার প্রকৃত আলোর এত অভাব, নিজে কিছুদিন বেসরকারী দামী স্কুলে চাকরির অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে আড়ম্বড় টা ই প্রধান ছাত্র শিক্ষকদের সম্পর্কে, এবং এই স্কুলগুলোতে সব বাচ্চারাই যে একরকম আর্থিক সচ্ছল অবস্থান থেকে আসে তা নয়, তাই এই সব আড়ম্বরের দাবী মেটানো টা খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হলে যায় অভিভাবকদের জন্য
ReplyDeleteএই কারণে আমি মধ্যবিত্ত মানসিকতাকে ঘৃণা করি । 😡😡😡😡😡
Deleteএকদম সঠিক চিত্র
ReplyDeleteদুর্দান্ত লেখা । ☝🏽☝🏽👍🏽👍🏽 একদম সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন লেখিকা শিক্ষিকা । 🙏🏽🌹
ReplyDeleteবেশ লাগলো।সম্পূর্ণ সমর্থন করছি।
ReplyDeleteকথাটা হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হবে না, সরকার যখন ব্যাংকে মেকানাইজেশনের উদ্যোগ নিচ্ছেন, তখন নীতিগতভাবে পোস্টার মিছিল জমায়েত করেছে ব্যাংক কর্মীরা। কিন্তু ব্যাংকের শাখা গুলোতে গিয়ে দেখেছি, কাউন্টারের ভেতরে গয়ংগচ্ছ গদাই লস্করি চালে শম্বুক গতি। আর বাইরে কাস্টমারদের প্রবল সমালোচনা -- এইজন্যই মেকানাইজেশন দরকার, তবেই কাজে গতি আসবে। সরকারের একটি আগ্রাসী পলিসি কত সহজে জনমত হয়ে উঠল । ব্যাংক কর্মী কখনও জন হেনরি হয়ে উঠতে পারেনি। আমি মেশিনের হব প্রতিদ্বন্দ্বী... স্টিম ড্রিল সাথে চলে হাতুড়ির পাল্লা.... সেই মুরোদ না ব্যাংক কর্মী দেখালো, না শিক্ষকরা দেখালো, না রেল কর্মী দেখালো।
ReplyDeleteআজকের এই বিশেষ দিনে মালবিকা আমাদের এক কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলেন। সারাদিন অজস্র মেসেজ, ফোন ইত্যাদি মনটাকে বেশ রোমান্টিক করে তুলেছিল।ফুরফুরে মেজাজে বেশ কাটাচ্ছিলাম সময়টা, সন্ধেবেলায় চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে লেখাটা চোখের সামনে মেলে ধরতেই শুকনো ডাঙায় যেন বেজায় আছাড় খেলাম থুড়ি আছাড় দিলেন মালবিকা। তাঁর শ্লেষাত্মক সত্য বাক্য আমাকে বাকরুদ্ধ করেছে। গতকাল সুদূর মেদিনীপুরের এক মাস্টারমশাই তাঁর সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থে এই সময়ের সরকার পোষিত মাতৃভাষা মাধ্যমের অন্দরমহলের হাল হকিকত তুলে ধরেছেন নির্মম ভাষ্যে।আজ মালবিকার পালা। এখানে আর থাকা চলেনা।আমার সন্তানরা সব বাড়ুক হোথায়।আর এখানে ঘনীভূত হোক নিশ্ছিদ্র অন্ধকার।
ReplyDeleteচমৎকার।
খুবই সত্য কথা এবং শিক্ষক হিসাবে লজ্জার কথা। কর্মজীবনের অপরাহ্নে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে।
ReplyDelete