Tuesday 1 June 2021

আলাপন

বাংলাই পথ দেখাবে

অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


বিষয়টা নিছক এক মুখ্যসচিবের অবসর বা করোনা ও ইয়াস পরিস্থিতিতে তাঁর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রশ্নে আটকে রইল না। সর্বশেষ খবর মোতাবেক, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিবকে জাতীয় বিপর্যয় আইনে শোকজ নির্দেশ ধরানো হয়েছে। যদিও ২৪ মে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিল। তৎসত্ত্বেও, ২৮ মে এক নির্দেশবলে আলাপনকে দিল্লির ডিওপিটি মন্ত্রকে ৩১ মে (তাঁর অবসর গ্রহণের দিন) হাজিরা দিতে বলা হয়। এই অদ্ভুত উন্মাদকর নির্দেশের পিছনে যুক্তি সাজানো হল যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একটি সভায় উপস্থিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ, এটা সবাই জানেন, একটি রাজ্যের মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীর অধীনেই তাঁর নির্দেশে কাজ করেন। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী যদি মুখ্যসচিবকে তলব করেন তখন তাঁর দায়িত্ব তা পালন করা। যদি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবকে সেই একই সময়ে অন্য কোনও কাজে প্রয়োজন পড়ে তবে প্রোটোকল মোতাবেক তা তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই তাঁকে চেয়ে নিতে পারতেন। তা তিনি করেননি। যখন মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের ও মুখ্যসচিবের বিদায় চেয়েছেন তখন তাঁর তাহলে উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া যে মুখ্যসচিবকে আপনি রেখে যান। তিনি তা না করে বরং মুখ্যমন্ত্রীর বিদায়-প্রার্থনাকে মঞ্জুর করেছেন।

কিন্তু ৩১ মে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ায় দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কর্মীবর্গ মন্ত্রকে তাঁর হাজিরা দেওয়ার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা রইল না। এবার তাহলে কী প্যাঁচ কষা যায়? মোদি-শাহ জুটি মাথা খাটিয়ে বের করলেন, তাহলে ব্যাটাকে জিজ্ঞেস করো, সেদিন কলাইকুণ্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় সে সারাক্ষণ উপস্থিত থাকেনি কেন! অথচ, এই অজুহাতটা কিন্তু মুখ্যসচিবের অবসরের আগেই খাড়া করা যেত (যদিও তাঁরা জানতেন যে, মুখ্যসচিব মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সেদিন তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন)। মোটা মাথায় তাঁরা ভেবেছিলেন, আলাপন হয়তো চাকরিতে বাড়তি তিন মাস বহাল থাকবেন। তিনি থাকলেন না, তাই অবসর নেওয়ার পর শোকজ (একটা কিছু করলেই হল আর কী!)। এমন বিচিত্র কাণ্ডকারখানা এই উদ্ভট ধরনের গোমূত্র-খেকো ম্যানিয়াক লোকজনের পক্ষেই করা সম্ভব।   

আসলে একটা অজুহাত তাঁরা খুঁজছিলেন। তাই দিল্লি ফিরেই যুগলে মিলে প্রথমে- সংবিধানের সমস্ত প্রথা ও বিধিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে পদদলিত করে- সেই রাতেই নির্দেশ পাঠালেন মুখ্যসচিবকে ৩১ মে সকাল দশটায় দিল্লিতে হাজির হতে। তারপরের ঘটনাবলী আমরা জানি। প্রশ্নটা এখন আর এই নয় যে, কতটা অসাংবিধানিক ও বেআইনি কাজ তাঁরা করেছেন (কারণ সে কাজে তাঁরা সিদ্ধহস্ত)। প্রশ্নটা এখন এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, তাঁরা গোটা দেশের কাছে কী বার্তা দিতে চাইছেন এবং ২০২৪’এর মধ্যে কোন ধরনের একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থা আনতে চলেছেন। কারণ, তাঁরা বুঝে গেছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই তার আগেই দেশের দখল নিতে তাঁরা এতটাই উদ্গ্রীব।

উপরন্তু, বিষয়টা এমনও নয় যে তা এক আমলার সঙ্গে সরকারের নিছকই এক কর্মগত বিবাদ, বরং প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে দেশবাসী ও অন্যান্য আমলাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া এক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ যে, দেখ, এক সর্বোচ্চ সরকারি আমলাকে আমরা যদি এইভাবে পিষে দিতে পারি, তাহলে তোমরা হাভাতে মানুষজনদের পিঁপড়ের মতো দলে দিতে কী আর এমন কসরত লাগে। তাই, এখন সমস্তটাই দেশ ও দশের বিষয়। ওদের ছড়ানো আতঙ্ক, সন্ত্রাস ও তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতির বিষয়।

অতএব, ছবিটা খুব পরিষ্কার। পশ্চিমবঙ্গে তাদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া গেলেও তারা নিঃশেষ হয়নি। নির্বাচনে হারের তীব্র হতাশাকে তারা প্রতিশোধের আগুনে ধারণ করে ভয়ঙ্কর প্রকাশে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। তাই, এমনতর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপাতত ঢিলে দেওয়ার কোনও অবকাশই নেই। সারা দেশ জুড়ে এই মনোভাব এখন ক্রমেই সংহত হচ্ছে।

কিন্তু পশ্চিমবঙ্গই কেন তাদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য? গত নির্বাচনেও দেখা গেছে, এই রাজ্যকে জয় করার জন্য তাদের মরীয়া প্রচেষ্টা। করোনার বিপদকে শতগুনে বাড়িয়ে, দেশের সমস্ত কাজ ফেলে, যুগলে মিলে এ রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। অর্থ ও পেশিশক্তির অঢেল ব্যবহারে তাদের কোনও খামতি ছিল না। কারণ, তারা জানে (আরএসএস এসব নিয়ে চর্চাও করে), পশ্চিমবঙ্গই হল সেই রাজ্য যেখান থেকে উদারবাদী ও সমন্বয়ের ভাবনা জারিত হয়েছে, যে ভাবনার গর্ভগৃহকে কব্জা না করতে পারলে চিন্তাগত ভাবে দেশের ওপর নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা সম্ভব নয়। তাই, এ রাজ্যের জল-স্থল-অন্তরীক্ষে তাদের শকুনের দৃষ্টি ও যেনতেন প্রকারেণ তাকে দখলে নেওয়া ও পদদলিত করা তাদের আশু কর্তব্যকর্ম। এমন কি এও শোনা যাচ্ছে (পবন ত্যাগীর মতো আরএসএস মতালম্বী সংবাদিকরা বলে বেড়াচ্ছেন), পশ্চিমবঙ্গকে তারা জোরজবরদস্তি জম্মু ও কাশ্মীরের মতো কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করে তিন টুকরোতে ভেঙে তার দখল নেবে। তাই, পিশাচবৎ যুগলের তরফে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়কে দেওয়ার অভিলাষ শুধু ব্যক্তি আলাপনকে নাস্তানুবাদ করা নয়, ‘ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো’র মতো গোটা বাংলাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া। আর এইসব চমকানি-ধমকানি-মাস্তানির জন্য তারা নগরকেন্দ্রে বসিয়ে রেখেছে এক নাড়ুগোপালকে (ধন+খড়) যে থেকে থেকে হুইশেল বাজিয়ে তার দিল্লিস্থ প্রভু-যুগলের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছে।

কথায় বলে, হাতি গর্তে পড়লে ইঁদুরও এসে লাথি মারে। এখন হয়েছে কি- এক স্বঘোষিত অকৃতদার, সারদা-নারদা চোর, দীঘা-হলদিয়ার লুঠেরা, সমবায়িকা ব্যাঙ্কের ঠগ- সেও এসে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের এক ট্যুইট করে আবার গর্তে লুকিয়েছে। খুবই স্বাভাবিক, ফ্যাসিবাদীদের যেখানে গঙ্গায় লাশ ভাসাতে কোনও কুন্ঠা নেই, নিঃসঙ্কোচে গণহত্যা করতে হাত কাঁপে না, অক্লেশে গরুর দুধে স্বর্ণপ্রাপ্তির দাবি করে, সেখানে তারা এক কৃতী, অত্যন্ত মেধাবী ও কর্মে পটু একজন মানুষকে মোটে হজম করতে পারবে না। আলাপনের যে মেধা ও ব্যক্তিত্ব, তাঁর যে নেতৃত্বদানকারী সক্ষমতা ও সর্বোপরি এক মানবিক বোধ সম্পন্ন গভীর মন ও প্রজ্ঞা- তার অ আ ক খ সম্পর্কেও এই পিশাচদের বিন্দুবৎ ধারণা নেই। তাই তারা কী বলল (কথায় আছে, পাগলে কী না বলে) তাতে এ রাজ্যের বিবেকমান মানুষজনের কিছুই আসবে যাবে না। কিন্তু যেহেতু ক্ষমতার রাশটা তাদের হাতে, অস্ত্র ভাণ্ডারও তাদের অনুগত সান্ত্রীদের হাতে, তাই এ রাজ্যের মানুষের নির্বিঘ্নে নিদ্রার অবকাশ নেই। উন্মাদের হাতে ট্রিগার থাকলে তা অতীব দুশ্চিন্তার কারণ হয় বৈকি!

কুর্নিশ জানাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক মতান্তর রেখেও), যিনি এই প্রগাঢ় দুঃসময়ে আমাদের সকল রাজ্যবাসীকে আড়াল দিয়ে নীলকন্ঠের মতো সামনে দাঁড়িয়ে অকুতোভয়ে যে লড়াই দিচ্ছেন, তা সারা দেশ জুড়ে এক নবতর রাজনীতির মাত্রা নির্মাণ করছে। দেশের প্রায় সমস্ত আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তিগুলি পরম ভরসায় এই নবনির্মাণের আশপাশে জড়ো হতে শুরু করেছে। এক কাণ্ডজ্ঞানহীন দস্যুদলের হাতে পড়ে আমাদের দেশ যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যে ‘মন কি বাত প্রধানমন্ত্রী’র তালি বাজানো থালি বাজানো কর্মকাণ্ডে দেশ সার্বিক ভাবে এক রসাতলে চলেছে, সেখানে সকলকে আজ এই নবনির্মাণের আকাশতলে এসে একযোগে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। বিপদগ্রস্ত ভারতীয় সংবিধান, বিপন্ন উদারবাদী ধর্মনিরপেক্ষতা, তীব্র সংকটে রুটি-রুজি ও প্রায়-ভঙ্গুর সার্বিক সমন্বয়ের ভাবনাকে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাঁচাতে হবে।

বাংলা ওদের বিদায় দিয়েছে। সারা দেশ ওদের বিদায় দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। দিল্লি সীমান্তে কৃষকেরা এখনও বসে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কড়া জবাবও ওরা পেয়েছে। এখন ওরা আরও ভয়ঙ্কর পথে এগোবে। তাই, সারা দেশ আজ বাংলার পাশে। বাংলাও আজ সারা দেশের পাশে।

             

10 comments:

  1. পড়ে ভালো লাগলো অনিন্দ্যবাবু।সত্যি আমরা সাধারণ মানুষরা খুবই চিন্তিত ও শঙ্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের এ হেন মানসিকতায়।জানি না শেষ কোথায় এর?

    ReplyDelete
  2. 👌🏼👍🏼🥊

    🎯 বলিষ্ঠ লেখা । যুক্তিযুক্তভাবে আলোচনা করেছেন অনিন্দ্যদা। যেকোনো নিরপেক্ষ বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারবেন যে কেন্দ্রীয় সরকার গোঁয়ার্তুমি করে, নিজের গায়ের জ্বালা মেটানোর জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে টাইট দেওয়ার জন্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে হ্যারাস করতে চেয়েছে । কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি, যেরকম পশ্চিমবঙ্গকে খাবার স্বপ্ন তাদের পূরণ হয়নি । বিজেপি, আরএসএস এইসব নির্লজ্জ বেহায়া দলগুলো বা দলের শকুনগুলো যত এইরকম গোয়ার্তুমি করবে, অন্যকে কাঠি করার চেষ্টা করবে ততই তারা গর্তে ঢুকে যাবে, সমাধিস্থ অবস্থা আসন্ন এদের । কই, গীতা বই নিয়ে আয় রে ........ এদের সময় ফুরিয়ে আসছে । কিছু ধর্মের ভালো ভালো কথা শুনে এদের যদি কিছু সুমতি হয় বা মৃত্যু পরবর্তীকাল যদি ভাল কাটে । রাধে মাধব । 🙏🏼


    • { মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্তর ব্যাপারে ভিন্ন মতামত পোষণ করি । তাছাড়া ব্যক্তি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও আমি খুব গদগদ নই (যথেষ্ট গুণসম্পন্ন, ভালো প্রশাসক) । কিন্তু, তবুও এখানে প্রেক্ষিতটা আলাদা । তাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিতেই ব্যাপারটা দেখছি । } 😊

    ReplyDelete
  3. বৃহত্তর চক্রান্তের একটি ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ দিক।
    মোদির ভারত চক্রান্তে শুরু, শেষ‌ও হবে সবভূ সিদ্ধান্তে।
    চিন্তার বিষয় সব রাজ্যের বিরোধী শক্তি এককাট্টা না হ‌ওয়ার।
    বিরোধী দল ও সরকার গুলি বাংলার পাশে দাঁড়াক। গা

    ReplyDelete
  4. একজন অবসর প্রাপ্ত আমলাকে শো কজ করছে, এফ আই র হতে পারে বলছে,অবসর কালীন ভাতা আটকে যাবে, আইন বলে কি কিছু নেই। এ দেশটা কি একুশে আইনের দেশ হয়ে গেল। এই সব ব্যাপার নিয়ে লাগাতার ভাবে লিখে যাওয়া উচিত

    ReplyDelete
  5. পড়ে খুব ভালো লাগলো। যথাযথভাবে শব্দ ব্যবহার করেছেন।

    ReplyDelete
  6. লেখাটা বেশ লাগলো। ফেসবুকে শেয়ার করলাম।

    ReplyDelete
  7. আলাপনকে সামনে রেখে ভারতের আমলাবর্গকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মুখে কুলুপ এঁটে থাকার। যে আমলাতন্ত্রকে নেহেরু দেশের iron frame বলেছিলেন তাতে অনেকদিন হল জং ধরে গেছে, না হলে আমলাদের সংগঠন চুপ করে আছে কেন?

    ReplyDelete
  8. 'গোমূত্র-খেকো' শব্দের ব্যবহারে অনিন্দ্য যে মনোভাব প্রকাশ করেছেন আমি তার সঙ্গে সহমত হতে পারলাম না। এই শব্দের অর্থ যদি হয় 'যে ব্যক্তি গোমূত্র পান করে থাকেন', তাহলে সেটি ব্যক্তির নিজস্ব রুচির বিষয়। খাদ্যাভ্যাস থেকে কোনও মানুষকে নিকৃষ্ট দেগে দেওয়ার ভুলটি অনিন্দ্য করে বসলেন। ঠিক যেমন অনিন্দ্য নিয়মিত মাছ খান বলে 'মাছ-খেকো' বলে তাঁকে হেয় করা যায় না, কেউ স্বেচ্ছায় গোমূত্র পান করলেও একই কথা। তবে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি যদি অনিন্দ্যকে গোমূত্র খেতে বাধ্য করেন সে অন্য কথা।

    ReplyDelete
  9. বেশ ভাল লেখা। আমার যেটা প্রশ্ন তা হল - এই পরিস্থিতিতে কর্মরত আমলারা সবাই বুঝতে পারছেন যে মোদি-শাহ বেআইনি কাজ করছেন তবু তাদের কেউ মুখ খুলছেন না। এটা কি তাদের code of conduct এর মধ্যে পড়? মন্ত্রীরা কি দপ্তরের আমলাদের নিয়ে যা খুশি তাই করতে পারেন? সেটা বেআইনি হলেও? যা সব মন্তব্য পড়লাম তা সবই প্রাক্তন আমলাদের। সরকার আসবে যাবে কিন্তু আমলারা তো সংবিধান এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ (অন্তত থাকা উচিত)। শুনেছি বৃটিশ আমলে এবং স্বাধীনতা লাভের পর কিছু বছর মন্ত্রীরা আমলাদের ভয় পেত। আমলাদের সেই শিরদাঁড়াটা কোথায় কবে কীভাবে হারিয়ে গেল!!!

    ReplyDelete
  10. আই এ এস দের সার্ভিস রেগুলেশন এ অনেক রক্ষাকবচ আছে যেটা ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার দের ক্ষেত্রে নেই।অবসরের চার বছর পর বিভাগীয় তদন্ত করে একজন অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে পেনশন বন্ধ করে দেয়ার নজির আছে। সেক্ষেত্রে তার একমাত্র অবলম্বন আইনী লড়াই যেটা তাঁর ব্যক্তিগত ও অসম

    ReplyDelete