Tuesday 17 September 2024

অনেক রাত তো দখলেও আছে

প্রতিটি রাত দখল করে আছে কত মেয়ে

মালবিকা মিত্র



দিদির বাড়ি পুজোর জামা কাপড় দিতে গিয়েছিলাম। বাড়ি এন্টালি মার্কেটের উল্টো দিকে ডাক্তার লেন। ভাগনির আবদার নাইট শো সিনেমা দেখব। সাউথ সিটিতে বিদ্যা বালানের 'কহানি'। লেট নাইটে ভাগ্নিকে নিয়ে, আবার মধ্য কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতা, একটু কিন্তু কিন্তু করছিলাম। করে লাভ হল না, কারণ ভাগনি ততক্ষণে অনলাইনে দু' খানা টিকিট বুক করে ফেলল, রাত্রি বারোটায় শো। অগত্যা ভয় আশঙ্কা সম্বল করে, রাতের খাওয়া সেরে, ক্যাব বুক করে চললাম আমরা দুজন। পৌঁছে আমি অবাক, এ কোথায় এলাম! একি মধ্যরাত না সবে সন্ধ্যা! নাইট শো হাউজফুল। মহিলার সংখ্যা প্রচুর। ভাগনি বলল, অভিজাত মহিলারা এই শো'টা পছন্দ করে। একটু নিরিবিলি পথঘাট থাকে। সেলিব্রেটিরা খুব আসে এই সময়। শো শেষ করেও কারও ব্যস্ততা নেই। আমি আবারও মধ্যরাতেই ক্যাব বুক করে এন্টালি ফিরলাম।

মফস্বল শহর চন্দননগর। আমি এখানে শিক্ষকতা করি। রাস্তাঘাটে পথ চলতি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দেখা হয়ে যায়। রাতে দেখেছি, সাতটা-সাড়ে সাতটায় ছাত্রীর দল সাইকেল নিয়ে চলেছে, পিঠে ব্যাগ। প্রশ্ন করেছি, এখন বাড়ির উল্টো দিকে চলেছ? ফিরবে কখন? বলেছে পড়তে যাচ্ছি, ফিরতে ফিরতে সাড়ে নটা-দশটা। মজার কথা হল, সাড়ে নটা-দশটার সময়ও বহু ক্ষেত্রে এদের বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা দেখিনি। কোথায় যাচ্ছ? এই পড়া শেষ করলাম, এবার একটু স্ট্যান্ডে ফুচকা খেয়ে, আড্ডা মেরে, তারপর বাড়ি ফিরব। একটু অবাক হয়েছি, দশটা বেজে গেছে অথচ ব্যস্ততা নেই বাড়ি ফেরার।

আমার বাড়ির বলা যায় প্রায় লাগোয়া একটা এটিএম বুথ আছে। ভৌগোলিক অবস্থানটা হল ভদ্রেশ্বর পৌর এলাকা, আর বিঘাটি পঞ্চায়েত এলাকা, তার ঠিক সীমান্ত বরাবর। একদিন রাত যখন সাড়ে বারোটা, পাড়ার একটি ছেলে ডাকতে এল, একবার একটু এটিএম'এর কাছে আসুন। বিষয় হল, একটি বছর ২৮ বয়সী তরুণী, সেক্টর ফাইভে চাকরি করে। রাত বেশি হয়ে যাওয়ার কারণে অফিসের গাড়ি বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যাবে। তরুণীটি ড্রাইভারকে বলে এটিএম'এ আমার কাজ আছে, আমার বাড়ি এখানেই। ড্রাইভার তাকে ড্রপ করে দেয়। তরুণী এটিএম থেকে টাকা তোলে। তারপর এটিএম যেন এসি কেবিন, তায় রাত্রে শুনশান। ব্যাগ খুলে বোতল বের করে বিদেশি মদ পান করতে থাকে। ওদিকে দিল্লি রোড থেকে পুলিশ পেট্রলিং ভ্যান  আসছিল। তারা একা তরুণীকে দেখে ভ্যান থামায়। মেয়েটি আকন্ঠ নেশায় বেসামাল। পুলিশ খুবই ফ্যাসাদে পড়েছে। অগত্যা তারা আশপাশের দু-একজন পুরুষ এবং মহিলাকে হাজির করে, কী করা যায় আলোচনা করে। মাতালের একটাই কথা, হোয়াট ইজ ইওর প্রবলেম... আই অ্যাম নট এ মাইনর... ইয়েস অ্যান অ্যাডাল্ট লেডি... সো হোয়াট? এই সময় বুদ্ধি করে একজন এক বোতল জল এনে মাথায়, চোখে মুখে ঢেলে দেয়। একটু নেশা কাটে। তারপর তার ব্যাগ থেকে বাড়ির ঠিকানা উদ্ধার করে, ফোন করে সেখানেই পৌঁছে দেয়। পুলিশ সাক্ষীদের সই সাবুদ করিয়ে নেয়। ভাগ্যিস মেয়েটি নেশার ঘোরে একবারও বলেনি 'সিবিআই বুলাও'।

'য়োগা' শিখতে যায় পাড়ার পাঁচটি বউ এক গাড়িতে। এদের 'য়োগার' বাইরেও একটা মাখোমাখো বন্ধুত্ব। মাঝে মাঝেই এরা হাইওয়ের পাশে ধাবায় গাড়ি নিয়ে খেতে যায়। আর মহালয়ার রাতে, দুর্গাপুজোয় বা কালীপুজোর রাতে, স্বাধীনতা দিবস, ক্রিসমাস বা নিউইয়ার্স ডে'তে এদের রাতের দস্যিপনা থাকেই। খাবে দাবে ঘুরবে, আনন্দ উল্লাসে ভাসবে। এবারেও প্রশ্ন করেছিলাম, কিরে তোরা এবার স্বাধীনতা দিবসে কী করলি? কোন রেস্তোরাঁয় গেলি? বলল, এবার হল না গো। একদিন পরে করেছি। ওইদিন তো রাত দখল ছিল। আমরা পাঁচজনেই গাড়ি নিয়ে জগদ্ধাত্রী মন্দিরে পার্কিং করে পথে বেরিয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষ, ঠিক যেন জগদ্ধাত্রী পুজোর রাত। ভাবতে পারবে না। শুনলাম, চন্দননগর লক্ষ্মীগঞ্জে আরও বড় ভিড় ও অনুষ্ঠান হচ্ছে, গান কবিতা আবৃত্তি। জগদ্ধাত্রী মন্দিরের অনুষ্ঠানটা ম্যাড়মেড়ে। তাই গাড়ি নিয়ে ওখান থেকে চন্দননগর গেলাম। দারুণ জমেছিল। খুব আনন্দ করেছি। কত ছবি পোস্ট করেছি। তুমি তো আবার ফেসবুক করো না। পরদিন রাতে এক্সপ্রেস ধাবায় গিয়েছিলাম। 

অন্য গল্পে যাই

সবই একঘেয়ে গল্প বরং একটু মুখ পাল্টাই। অল্পবয়সী, স্বামী ছাড়া (বিধবা নয়) মুনিয়া। ভোর চারটেয় উঠে পাইকারি বাজার থেকে কিছু সবজি কেনে। তারপর তিন বাড়ির ঠিকে কাজ করে, দুপুরে ঘরের কাজ সেরে ২:৪৭'এর লোকাল ট্রেন ধরে শেওড়াফুলি হাটে গিয়ে আরও কিছু সবজি কেনে। আরপিএফ'কে পয়সা দিয়ে, রেলের টিকিট চেকার'কে পয়সা দিয়ে, স্টেশনে এসে মালপত্র সাজায়। অফিস ফেরতা বাবু-বিবিরা স্টেশন প্লাটফর্ম থেকেই সবজি বাজার করে নিয়ে যাবে। তাই সন্ধ্যে থেকেই শুরু হয়ে যায় হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি। একটু বেশি বিক্রির আশায় রাত্রি এগারোটা পর্যন্ত বসে থাকে। তারপর সব মালপত্র গুছিয়ে, একে একে বস্তা ঝুড়ি নিজের ঝুপড়িতে টেনে নিয়ে যায়। শুনশান রাস্তা। প্রায় রাত বারোটায় ঘরে ঢুকে, কিছু মুখে গুঁজে, জল খেয়ে শুয়ে পড়ে। প্রবল ক্লান্তিতে, অতি শীঘ্রই ভাসতে ভাসতে ঘুমপাড়ানি মাসি পিসির কোলে হারিয়ে যায়, কোনও ট্র্যাঙ্কুলাইজার ছাড়াই। মুনিয়ার ঘরে রাত দখল করে শীত আর শিশিরের জল। 

মুনিয়ার বোন সুলতানা, আমার বাড়িতে কাজ করে। আমার প্রতিবেশী আত্মীয় পরিজন সকলেরই বেশ অস্বস্তি হয়। ওর নামটা শুনলেই বলে ... তাই নাকি, দেখলে তো বোঝা যায় না ...। ও আমার ঠাকুরের ঘর থেকে রান্নাঘর, বাগান থেকে বাথরুম, সর্বত্র খেয়াল রাখে। এক কথায় মেইনটেন্যান্স বিভাগ। কিন্তু লোকজনের অসুবিধার কারণটা বুঝতে পারি। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী পোশাক আর নামে চেনেন । অগত্যা নতুন করে সমস্যা যাতে না বাড়ে তার জন্য আমি ওকে সুলতা বলে ডাকি। কোনও অসুবিধা হয় না। ও আমার বাড়ি ছাড়া আরও দু' বাড়ির ঠিকে কাজ করে। ওর ভাসুর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হল কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানে ডাক্তারের সাথে কথা বলা, ওষুধপত্র আনা, এসব কাজ ও করতে পারে। ওকে বললাম, তুই কদিন ছুটি নে। ও বলল, বাকি সব বাড়িতে ছুটি নিলে আমার কাজটা চলে যাবে। প্রতিদিন রাত দশটা সাড়ে দশটার হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন ধরে পৌঁছত মেডিকেল কলেজে। সারারাত থেকে ভোরবেলায় হাওড়া থেকে ফিরে আসত। এসে কাজের বাড়ি কাজ সারত। তারপর ঘরের টুকিটাকি কাজ সেরে রান্না করে মেয়েদের খাইয়ে, সংসারটাকে সামলে দিয়ে, আবার রাতের গাড়িতে কলকাতা মেডিকেল কলেজ। কোনও কোনও দিন নিজের ছোট মেয়ে তার সঙ্গী হত, যেদিন ওর স্কুল ছুটি থাকত। সারারাত মা আর মেয়ে মেডিকেল কলেজের ভেতর ঘুরে বেড়াত, মেয়ে মাকে চিনিয়ে দিত নার্সদের হোস্টেল কোনটা, গাইনোকোলজি কোনটা, আইসিইউ ব্লাড ব্যাংক কোনদিকে, দুজনের দখলে একটা হাসপাতাল। কিন্তু একদিন ভাসুরের অবস্থা এখন তখন। ফিরতে পারল না। দু' বাড়ির কাজই চলে গেল। তখন ওকে হাসপাতালে থেকে যেতে বললাম, আমার বাড়িতে ছুটি দিলাম। ও বলত, রাতে থাকতে কোনও অসুবিধা হয়নি। বহু মানুষ রাত জাগে, এখন পেশেন্ট পার্টির জন্য আলাদা বিল্ডিং হয়েছে। সেখানে বাথরুম আছে ভালো। সকালে গাড়িতে করে খাবার আসে, বিনা পয়সায় টিফিনও খাওয়া যায়। আবার দুপুরে গাড়ি এসে ডিম ভাত দিয়ে যায়। রাতেও খাবার পাই বিনা পয়সায়। হাসপাতালে যাতায়াত, খাওয়াদাওয়ার খরচটা সম্পূর্ণ বেঁচে যায়। এও একরকম রাত কাটানো, রাত্রি দখল। 

ভদ্রেশ্বরে সকাল ৫:৪২ বর্ধমান লোকাল, আর ৬:০২'এ কাটোয়া লোকাল ঢোকে। ওই সাত সকালে দুটো ট্রেন থেকে মহিলা সহ সহস্রাধিক যাত্রী নামে। চুঁচুড়া মানকুন্ডু ভদ্রেশ্বর বৈদ্যবাটিতে এরা সবাই জমিতে জনমজুর হিসেবে কাজ করতে আসে। এরা রাত থাকতে উঠে পড়ে, ঘরের টুকিটাকি কাজ সেরে তিনটে সাড়ে তিনটের গাড়ি ধরে। তারপর এসে পৌঁছয় মফস্বল শহরে। আবার কাজকর্ম সেরে দুপুর দুটো সতেরো নাগাদ বর্ধমান লোকাল ও কাটোয়া লোকাল ধরে ফিরে যায়। নিজের বাসস্থানে কিছু সামান্য জমি বা ভাগের জমি থাকলেও, ওতে পেট চলে না। তাই বাকিটা মজুরি হিসেবে কাজ করে পুষিয়ে নেয়। চুঁচুড়া চন্দননগর ভদ্রেশ্বর এই সমস্ত স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে এখনও বেশ কিছু চাষের জমি আছে। যাদের জমিতে কাজ জোটে না, তারা এ বাড়ি ও বাড়ি জঙ্গল পরিষ্কার করে, নারকেল পাতা ছাড়িয়ে বা কোনও বাড়িতে সাফাইয়ের কাজ করে পুষিয়ে নিতে চায়। অতঃপর কিছু শুকনো কাঠ, গাছের ডাল, শুকনো পাতা এসব কুড়িয়ে জ্বালানি হিসেবে নিয়ে ফিরে যায় বাড়িতে। এদের রাতটা ভারী বিচিত্র, এরা সন্ধ্যে আটটা সাড়ে আটটায় ঘুমিয়ে পড়ে। দশটায় কমই জেগে থাকে। কারণ দুটোয় উঠতে হবে, কাজ সেরে ট্রেন ধরবে। এদের জীবনচর্চায় পেটের চিন্তা ও জীবিকা রাতটাকে দখল করে নেয়। 

আবার ময়নার রাত কাটে আরও রোমাঞ্চকর। সকালে বা সন্ধ্যের দিকে মাঝেমধ্যে সাদা পোশাকে পুলিশ আসে আবগারির হানা দিতে। ময়না দেশি মদ বিক্রি করে, লাইসেন্স ছাড়া। পাড়ার ছোট ছোট শিশুরাও চিনে গেছে আবগারিওয়ালাদের। বাচ্চারা সমস্বরে 'ময়না ভাগ, ভাগ ময়না ভাগ' বলে চিৎকার করে, ময়না উড়ে যায়। সকাল সন্ধ্যার যে গল্প, কিন্তু ময়নার রাত গভীর হলে চিত্রটা আরও পাল্টে যায়। ঘর বন্ধ করে ময়না ভেতরে ঘুমায়। একটা জানালা ভেজানো থাকে, যারা জানার তারা জানে। পয়সা দিলে ভেজানো জানলা দিয়ে এক বোতল চোলাই মদ সংগ্রহ করে নিঃশব্দে চলে যায়। কেউ কেউ ওর ঘরের সামনের উঠোনে বসেই চোলাই খেয়ে মনের সব কথা উগরাতে থাকে। ময়নার ঘুমোনোর অবকাশ নেই। সব মাতালদেরই জানা আছে এইখানে রাতবিরেতে যখন তখন মদ পাওয়া যায়। কেবল পুলিশেরই জানা থাকে না। আসলে পুলিশও জানে, কিন্তু পুলিশ তো ময়নাকে ধরতে আসে না, ওটা লোক দেখানো হানা দেওয়া, চোর পুলিশ খেলা। তাই সকালে দিনের আলোতে আসে। ময়নাকে না পেয়ে ফিরে যায়। আর যথাসময়ে ময়না লোক মারফত থানায় প্রাপ্য পৌঁছে দেয়। এও আর এক রাত দখল। 

দুর্গোৎসবের আগে ঝুনু দেবনাথের দিন রাত একাকার। তাঁর স্বামী ছিলেন প্রধানত প্যান্ডেল শিল্পী। মেয়ের বয়স যখন বারো ও ছেলে কলেজে পড়ে, সেই সময় তাঁর স্বামী মারা গেলেন। অনন্যোপায় ঝুনু নিজেই ব্যবসার হাল ধরেন। এ বছর তাঁর পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণেশ্বর, হিন্দমোটর, অশোকনগর এবং গোবরডাঙ্গা, পাঁচটি সর্বজনীনের কনট্রাক্ট। 'বিয়ের পর থেকেই ওর কাজ দেখেছি। উনি আমার সঙ্গে সব কিছু আলোচনা করতেন, কী থিম, কত লোক খাটছে, কত পারিশ্রমিক, সব আলোচনাই করতেন। ফলে কাজটা সম্পর্কে একটা ধারণা ছিল। কিন্তু কখনও ফিল্ডে যাইনি'-- ঝুনু স্পষ্ট বললেন। 'মহিলা হিসেবে যথেষ্ট সম্মান পাই। আমাকে অন্য চোখে দেখেন সকলে। অনেক ক্লাব শুনেছি কাজ করতে গিয়ে টাকা মেরে দেয়। কিন্তু আমার সঙ্গে এমন কখনও হয়নি।' সবাই জানে একজন গৃহবধূ এ কাজে নেমেছে মানে তা কতটা ঝুঁকির। তার টাকা এদিক ওদিক করা যাবে না। অন্যদের তুলনায় একটু কম পারিশ্রমিকে এই কাজ করি। কিন্তু যে পরিমাণ টাকা চুক্তি হয়, সেটা কেউ বাকি রাখে না। ষাট জন কর্মচারী ঝুনুর প্যান্ডেল শিল্পে কাজ করে। না কোথাও কখনও তাঁর আত্মসম্মানে ঘা লাগেনি। একজন মহিলা হিসেবে সসম্মানে কন্ট্রাক্ট নেন, এগ্রিমেন্ট করেন, নিয়মিত কথাবার্তা বলেন। ছেলে আর্ট কলেজের ছাত্র ছিল। পাশ করার পর ছেলেও এখন এই শিল্পে যুক্ত হয়েছে। মেয়েদের রাত দখলের আহ্বানের বহু আগেই ঝুনু দেবনাথ সসম্মানে রাত দখল ও পথ দখলে নিযুক্ত আছেন।

এভাবেই প্রতিটি রাত দখল করে আছে কত মেয়ে, কত মায়ের হাসি কান্না উদ্বেগ হতাশা আত্মসম্মান অপমান উল্লাস... পান পেয়ালার চিয়ার্স।


5 comments:

  1. দক্ষিণ কলকাতায় আছি মাস তিনেক। আমিও এমন নাইট শো, দুটো পর্যন্ত একেকজনের বাড়িতে আড্ডা এটা দেখতে পাই। তবে আমাদের মফস্বলে, মানে কলকাতা ১১৮য় রাত কিন্তু রাতের মতোই। মহিলাদের দখলে তেমন কিছু নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলেছেন

      Delete
  2. খুব ভালো যেন গল্পের ছলে কত কথা। মধ্যবিত্ত তারাও রাত জাগলে জাস্টিসের লাগি। জাস্টিস পেলো না। একটা প্রতিবাদ তো হলো। বিপ্লবীরা বিপ্লব সম্পন্ন করলো। পাতি বুর্জোয়া হলে যা হয় তাই।
    লড়াই অসম, বাঁচার লড়াই কঠিন হচ্ছে।

    ReplyDelete
  3. প্রদ‍্যুম্ন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়18 September 2024 at 00:06

    শহুরে নাগরিক চৌহদ্দীর থেকে শতহস্ত দূরে থাকা এই সমস্ত দৈনন্দিন রাতদখলকারী নানা ব য়সী মেয়েদের রোজকার গেরিলাযুদ্ধ কিন্তু খবরের হেডলাইন হ য় না।আর হবেই বা কেন?এরা তো ছায়া নাগরিক,নির্বাক পরিসংখানে এরা ভীড় করে শুধু।রাত থাকতে শহরে গন্জে মফস্বলের এখানে ওখানে মাসিপিসিদেরঅনন্ত যাতায়াতের কোন খতিয়ান প্রকাশ হ য় না।উজ্বল নাগরিক জীবনের তারা কিন্তু প ড়শী। অথচ এদের মধ‍্যে যোজন যোজন ফাঁক। ইদানিং এই ফাঁক অনেকটাই বেড়েছে,আর ও বাড়বে।এই ছায়া নাগরিকদের সহস্রধারায় বহে চলা দৈনন্দিন জীবন যাপনের হদিশ বামতত্ব বিভূতির অনর্গল বচনে নাই।ঠাকুরের কথায় পাঁজিতে লেখা আছে এক আড়া জল কিন্তু কাত করলে এক ফোঁটাও প ড়ে না।মালবিকাকে ধ‍ন‍্যবাদ ভিন্ন আর এক রাতদখলের ছন্দ সপাটে তুলে ধরার জন্য।

    ReplyDelete
  4. অসামান্য, রাত দখলের এক ভিন্ন বাচন উপস্থাপন করেছেন। এই ন্যারেটিভ দরবারী বাম চিন্তায় নেই, তাদের কাছ থেকেই এসব পাওয়ার কথা। বামেদের কাছে কলকাতা-ই পরিবর্তনের নান্দিকার, তাই মধ্যবিত্তের আয়নাতেই সব কিছু দেখা ।

    ReplyDelete