Pages

Sunday, 9 July 2023

ডা: সুব্রত গোস্বামী

যে বোকা বুড়ো পাহাড় সরাতে চেয়েছিল...

জয়ন্ত দাস


(১৯৬৪ - ২০২৩)


রণজয়ী নই, রণে আছি তবু মেতে

বেঁধে আছি চিমনির পাশে,

ঘর বেঁধে আছি সোনালী ধানের ক্ষেতে।

মিথ্যা কথায় আগুন জ্বলে না,

বন্ধ্যা মাটিতে ফসল ফলে না।

জননী গো এসো, পাথরের মতো নিরেট সত্যি বলি,

হিমালয় হয়ে ভোরের আকাশে জ্বলি॥


সুব্রত চলে গেল। ব্যথা দূর করার ব্রত ছিল তার। মানুষের কষ্ট কমানোর ব্রত। সে নিজেই শেষ দিকে বড় কষ্ট পেয়ে গেল। অথচ হাসিমুখে; কেউ জানতে পারেনি তার বুকের ভেতরে কী হচ্ছে। ঐ যে, অন্য কাউকে কষ্ট দেবে না, কষ্টের ভাগও দেবে না। কীভাবে যে লিখি তার কথা!

কত রকমের পরিচয় থাকে একটা মানুষের। সুব্রত ডাক্তার। সে পূর্ব ভারতে ব্যথা চিকিৎসার পথিকৃৎ। সরকারি চিকিৎসা-ব্যবস্থার মধ্যে সাধারণ চিকিৎসা করাই শক্ত। তার মধ্যে সুব্রত একটা আস্ত ব্যথা চিকিৎসার ইনস্টিটিউট গড়ে তুলল; ইএসআই-এর কাঠামোর মধ্যে, যেখানে কল-কারখানার শ্রমিকদের চিকিৎসা হয়, বা চিকিৎসার নামে যেটুকু সান্ত্বনা দেওয়া সম্ভব সেটুকুই হয়, সেখানে একটা আস্ত 'ইএসআই ইনস্টিটিউট অফ পেইন ম্যানেজমেন্ট'! অবশ্যই অনেকের সাহায্য পেয়েছিল সুব্রত, কিন্তু সে ছিল এই ইনস্টিটিউটের ধারণার স্তর থেকে তাকে দাঁড় করিয়ে দৌড় করানোর স্তর পর্যন্ত ইনস্টিটিউটের মূল স্তম্ভ। সে বলত, মানুষ ডাক্তারের কাছে আসে ব্যথা নিয়ে। ব্যথা কেবল ব্যথা নয়, ব্যথা মানুষের পূর্ব-অভিজ্ঞতাসঞ্জাত আতঙ্ক, তার ভবিষ্যৎ-ভাবনার সংকট। আমরা ডাক্তারেরা সেটাকে গুরুত্ব দিই না। বলি, ব্যথা তো হবেই, হাড় ভেঙেছে যে। ক্যান্সারের ব্যথা-পাওয়া মানুষটিকে আমরা ডাক্তারেরা বলতে শিখি, ব্যথা সহ্য করুন, আসল অসুখটা আপনার কমে আসছে। এবং তাঁকে মরফিন দেবার চেষ্টাও করি না। 

জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে মেডিক্যালে কাজ করার সময়ে সে লক্ষ করেছিল, হাসপাতালে আসা প্রান্তিক গরিবদের ব্যথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। সে মেনে নেয়নি বটে, কিন্তু কিছু করতেও পারেনি। তারপরে সুব্রত প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করে। সুদক্ষ অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট হিসেবে সে বেলভিউ, উডল্যান্ডে যায়। দেখে, সেখানকার রোগীদের ব্যথাকে গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে। ডাক্তার বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আসছেন কেবিনে-শোয়া রোগীর ব্যথা লাঘব করতে। প্রশ্নটা তার মনে উঠে যায়, তাহলে সরকারি হাসপাতালে গরিব রোগীদের ব্যথা কি ব্যথা নয়? জবাব মেলে না। আমরা জানি, সেই জবাবদিহির তাড়নাতেই তার পেইন ইনস্টিটিউটের স্বপ্ন দেখা শুরু। 

সুব্রত ছিল আমার কলেজের ভাই, আমার সাংগঠনিক ভাই। মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, এমসিডিএসএ-র ছাত্র-সংগঠক হিসেবে সুব্রতকে দেখেছি, সে চিরকাল অন্যের কথাটাই বেশি ভেবে এসেছে। কাজের দায় নিত সে, কিন্তু ক্রেডিট নেবার দিনে তাকে পাওয়া যেত না। আটের দশকের মাঝামাঝি এমসিডিএসএ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পরাস্ত হয়, সাংগঠনিক ক্রাইসিস তীব্রতর হয়। সেই সময়ে সুব্রতই সংগঠনের আহ্বায়কের দায়িত্ব সামলেছিল।

ভালো গান গাইত সুব্রত। পল্লবের (কীর্তনিয়া) সঙ্গে গাইত, 'লড়াই করো লড়াই করো লড়াই যতদিন না বিজয়ী হও। যদি একবার হারো বারবার লড়ো...', সে লড়াইয়ে আঘাত খেয়ে পিছিয়ে পড়েনি। ভেবেছে, কোন রাস্তায় একটু এগিয়ে নেওয়া যায় মানুষের পক্ষের লড়াইকে, কেমন করে অভীষ্ট একটুও সিদ্ধ হয়। ছাত্র জীবনের শেষে সুব্রত ছিল জুনিয়র ডাক্তার মুভমেন্টের সামনের সারির নেতা। তার ইন্টার্নশিপ কমপ্লিশন সার্টিফিকেট আটকে দমিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল সেই সময়ের কর্তৃপক্ষ। একটু একা পড়ে গিয়েছিল সুব্রত তখন, কিন্তু দমে যায়নি। অন্যদের আড়াল করে নিজের কাঁধে দায় নেবার অভ্যাসও বদলায়নি সে। ডাক্তার হবার পরেও সুব্রত মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংগঠনের সব চাইতে কাছের মানুষ হয়ে থেকে গিয়েছিল— জুনিয়রদের কাছে সে ছিল সর্বজনীন ‘টাকো’-দা। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশনে সুব্রত তার শেষ দিন পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল। 

ইএসআই-এর রাজ্য সরকারি চাকরিতে সুব্রত যোগ দেয় একটু দেরি করেই। ছাত্র জীবনে ডিএসএ করা অনেকেই সেই সব দিনে সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়ে তাদের ছাত্র জীবনের কথা ভুলে যেত। কেউ কেউ হয়তো প্রতিষ্ঠান-বিরোধী ছাত্র-রাজনীতির জীবনের কথা মুছে ফেলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ত, কেন না কেরিয়ারের জন্য তা ছিল অসুবিধাজনক। সুব্রত কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে থেকে গেছে চিরদিন। চাকরি করতে করতে সে ডিএসএ সংগঠনের ঘুণপোকা ছাড়ানোর কাজ করেছে অন্য কয়েকজন সিনিয়রের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে। কেরিয়ারে অসুবিধা হয়নি? হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু সে কথা বলেনি কখনও। হয়তো সুব্রতর পরিবারের কেউ কেউ জানেন... জানেন কি? 

নয়ের দশকের মাঝামাঝি ছত্তিশগড়ে শংকর গুহ নিয়োগীর হত্যার পরে সেখানকার সংগঠক চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ কলকাতায় ফিরে আসে। প্রথমে কানোরিয়া জুট সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে, পরে ১৯৯৯ সালে তাদের থেকে আলাদা হয়ে তৈরি হয় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ— সাত জন মিলে এই সোসাইটি গঠন করে। তাদের অন্যতম ছিল সুব্রত। কখনও সে শ্রমজীবীর সহ-সম্পাদক, কখনও সহ-সভাপতি। আমার সঙ্গে সুব্রতর কলেজ জীবনের ঘনিষ্ঠতা এই সময় আরও বাড়ে। সুব্রত এবং আর দুজন ডাক্তার বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের এক জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র-এর মাসিক শিবির চালানোর দায়িত্ব নেয়, নানা ব্যস্ততার মধ্যেও তাতে ছেদ পড়েনি। ২০০০ সাল আর ২০০১ সালের বন্যাত্রাণ, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে সাপ্তাহিক মেডিকেল টিম, ২০০৯'এর আয়লা- সবেতেই শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের দলে ছিল সুব্রত। 

এ সব কিছু করেও সে ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। নিজের দক্ষতায় শান দিতে সে পরিশ্রমে কার্পণ্য করেনি কখনও। ইএসআই-তে তার কাজ ছিল অ্যানাস্থেসিয়ার মেডিকেল অফিসার হিসেবে, কিন্তু সুব্রত জেনারেল সার্জারি, অর্থপেডিক্স, প্লাস্টিক সার্জারি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, ক্রিটিকাল কেয়ারে কাজ করতে করতে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে। কলকাতায় প্রথম যারা ক্রিটিকাল কেয়ারে দক্ষ হয়ে ওঠে, তাদের মধ্যে একজন ছিল সুব্রত। চাইলে প্রাইভেট সেক্টরে অনেক রোজগার করতে পারত, কিন্তু তাহলে প্রমাণ করা যেত না যে সরকারি ব্যবস্থাতেও কাজ করা যায়! তাহলে যে পেইন ইনস্টিটিউটের স্বপ্নও অধরা থেকে যায়! 

তবে স্বপ্নে স্রেফ মশগুল হবার সময় ছিল না তার। রাজ্য সরকারের কাজের ব্যাপারে কিছুমাত্র অভিজ্ঞতা থাকলে সবাই স্বীকার করবেন, বাঙালি কাঁকড়া যদি কোথাও থাকে তবে তা এখানেই। তার মধ্যে কাজ করতে হচ্ছিল তাকে— পরে তার অফিসঘরের দেয়ালে টেস্ট টিউব বেবির জনক ডাক্তার সুভাষ মুখার্জির ছবি টাঙানো নেহাত আকস্মিক ঘটনা ছিল না। ২০০০ সালের কাছাকাছি সময়, তখন সারা বিশ্বে ব্যথা চিকিৎসা তথা পেইন ম্যানেজমেন্ট একটা নতুন বিষয়। এ দেশে তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। আমেরিকার টেক্সাসে 'ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট অফ পেইন' ব্যথা বিষয়ে বিদেশি ছাত্রদেরও প্রশিক্ষণ দেয়, তবে খরচ আছে। কয়েক বছর চেষ্টার পরে শেষে ২০১০-এ সুব্রত সেই প্রশিক্ষণ নিতে গেল। খরচ একটু কমানোর জন্য গেল বুদাপেস্ট-এ, সেখানে আমেরিকান সংস্থাটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছিল, তাও তার পকেটের ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেল। প্রাইভেটে তার দক্ষতা চড়া দামে বেচতে পারত সুব্রত, কিন্তু সেই গানটা মনে পড়ে গেল তার- 'আলু বেচো, ছোলা বেচো, বেচো বাখরখানি... বন্ধু তোমার লাল টুকটুকে স্বপ্ন বেচো না।' সে ইএসআই-এর সরকারি হাসপাতালে, শ্রমিকদের জন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থে গড়া সরকারি হাসপাতালে, তার অর্জিত শিক্ষার প্রয়োগ করতে চেষ্টা করতে লাগল। তার স্বপ্ন এখানেই সে ব্যথা চিকিৎসার কেন্দ্র গড়ে তুলবে। ঘামে ভেজা চটকল শ্রমিক, সিমেন্ট কারখানার মজদুর, সমস্ত চিকিৎসাকেন্দ্রে যারা যায় ভয়ে ভয়ে আর ফিরে আসে এক বুক হতাশা নিয়ে, তাদের ব্যথার চিকিৎসা হবে না? শুরু হল বোকা বুড়োর পাহাড় সরানো।



আমাদের ডাক্তারি পদমর্যাদা অনেকটাই ডিগ্রি-নির্ভর। এমবিবিএস ডাক্তার দেখলে আমাদের সিস্টেম বলে, শুধু এমবিবিএস? যাও, ইমার্জেন্সিতে নাইট ডিউটি দাও গে। পেন ম্যানেজমেন্ট-এর সেন্টার খুলতে চাও? বাপু হে, তোমার ট্রেনিং কই? তোমার স্বীকৃতিপত্র? কী করে বুঝব তুমি ঐ ব্যাপারে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেছ? তুমি বিশেষজ্ঞ? 

আমাদের এই বিশেষজ্ঞ-কেন্দ্রিক ডিগ্রি-কেন্দ্রিক ব্যবস্থার মধ্যেই সুব্রত তার যোগ্যতা বুঝিয়ে দিয়েছিল, আর সার্টিফিকেট হাতে পাবার পরে তার গ্রহণযোগ্যতা আরেকটু বাড়ে। শেষ পর্যন্ত পর্বত নড়ে বসে। শুরু হয় 'ইএসআই ইনস্টিটিউট অফ পেইন ম্যানেজমেন্ট'। সময়টা ২০১৩, সেপ্টেম্বর মাস। আজও তার ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে সুব্রত'র মুখটা বারংবার কম্পিউটারের পর্দায় আসে আর সরে যায়, আসে আর সরে সরে যায়... 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ২০১৩ সালে এই ইনস্টিটিউটে ‘ফেলোশিপ ইন পেইন ম্যানেজমেন্ট’-এ ডাক্তারদের জন্য এক বছরের আবাসিক স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করার অনুমতি দেয়। এটা ভারতবর্ষে ইএসআই ইনস্টিটিউটের এক অগ্রণী ভূমিকার পরিচায়ক। সুব্রত এর কোর্স ডাইরেক্টর। এত স্বীকৃতির মধ্যেও সুব্রত জানত, এই বিশেষজ্ঞ-কেন্দ্রিক সংস্কৃতিতে কাজটা চালিয়ে নিতে গেলে তাকে আরও কিছু ব্যক্তিগত স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে। সে সমস্ত কাজের মধ্যেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করে, যাতে আরেকটু ভালোভাবে ইনস্টিটিউটের কাজ চালাতে পারে। 

২০১৯ সালের কনভোকেশনে সে পিএইচডি পেল। এবার, আরেকটু ভালোভাবে করা যাবে পেইন ইনস্টিটিউটের কাজ। শ্রমজীবীর কাজে আরেকটু মনোযোগ দেওয়া যাবে। মেয়েটা দূরে গিয়ে পড়াশুনো করে, আরেকটু কথা বলা যাবে তার সঙ্গে। স্ত্রীও ভাবেন, এইবার হয়তো মানুষটা একটু শান্তিতে কাজ করবে... 

২০২০ সেপ্টেম্বর। সুব্রতর রোগটি ধরা পড়ে- অ্যামায়োট্রপিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস। যে রোগ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং-কে বহু বছর হুইল-চেয়ারে বেঁধে রেখেছিল। তবে হকিং রোগ নির্ণয়ের পরে ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন, আর সুব্রত তিন বছরও বাঁচল না। 

ভালো থেকো, সুব্রত। দূরের তারাদের মধ্যে।

সুব্রত'র কথা:

https://www.youtube.com/watch?v=xPg_5Sh5RgI

 

16 comments:

  1. অসাধারণ লেখা। সুব্রতর স্বপ্ন কিছিটা হলেও রূপ পেয়েছে, আমাদের সবার চেষ্টায় তা এগিয়ে চলবে।

    ReplyDelete
  2. মনোজ্ঞ স্মৃতিচারণ 🙏

    ReplyDelete
  3. অসাধারণ স্মৃতিচারণ। আমরা একজন জনদরদি ডাক্তার কে অকালে হারালাম।

    ReplyDelete
  4. ভালোবাসা 🙏

    ReplyDelete
  5. শ্রদ্ধা...এমন মানুষ বিরল ।

    ReplyDelete
  6. কনীনিকা10 July 2023 at 08:24

    এই অসাধারন মানুষটির কাজ যেন তাঁর অকালে চলে যাওয়ার পরেও চলতে থাকে, এই আশা রইলো। বড়ই মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণ

    ReplyDelete
  7. খুব সুন্দর স্মৃতিচারণা।

    ReplyDelete
  8. DR. KAUSIK BASU10 July 2023 at 11:06

    Moneta bhijey galo! Ki shundor lekha! Bawromaaper maanusher jogyo smritichaarone!
    Benche thaakben "TEKODA" j maanushgulor mone akhono benche aachhe, taader moner monikothaay.
    Bhaalo thaakben Dada, shei deshe, jekhaane dukkho, bedona , koshto sporsho korte paare na kaukei.
    Om shanti.
    🙏😥🙏😥🙏😥

    ReplyDelete
  9. এই সমস্ত জনদরদী মানুষের অকাল প্রয়াণে শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি হয় না সমাজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    ReplyDelete
  10. স্মৃতি শুধু বেদনার নয় অনেককে পথ দেখাবে।বিশেষ করে ডাক্তার বাবুদের যারা আজও ডাক্তারি পেশার বাণিজ্যিকীকরণ এর বিরুদ্ধে লড়াই করি রেখেছেন।

    ReplyDelete
  11. Subrata amar rohe

    ReplyDelete
  12. Asadharan lekha amra akjon janadaradi Dr ke haralam.

    ReplyDelete
  13. এমন উন্নত মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুর্লভ। সমাজের খুব ক্ষতিই হল ।

    ReplyDelete
  14. মনে পড়ে মেডিকেল কলেজের লাজুক মুখের সুব্রত। এম সি ডি এ'র দৃঢ়, অনলস কর্মী ছিল সুব্রত।ওর ছাত্রফ্রন্টের মুখটাই বার বার মনে পড়ে আমার ।তারপর বহুবছর পর ছেলের একটি অপারেশনের সূত্রে দেখা - একেবারে পাল্টায়নি, একবারে চিনেছিল। আর একবার এক ক্যান্সার আক্রান্ত তরুণ শ্রমিকের ব্যাপারে যোগাযোগ করে দেখেছি সাহায্যের হাত বাড়াতে একটিও প্রশ্ন করেনি সে প্রয়োজন যাচাইয়ের জন্য। সাহায্য চাইলে সাহায্য করেছে যতটুকু পারে। ওর সঙ্গে নিয়মিত কোন যোগাযোগ ছিল না, তাই জানতে পারিনি ওর অসুখের কথা।
    জয়ন্তকে ধন্যবাদ সুব্রতর পথচলার একটা সংবদ্ধ রূপরেখা আমাদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য।

    ReplyDelete
  15. এই ধরনের মানুষ আবারও মনে করিয়ে দেন, মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। পৃথিবীতে এখনও আশা আছে।

    ReplyDelete
  16. অসাধারণ স্মৃতিচারণ অনুপ্রাণিত করার মতো

    ReplyDelete