Pages

Thursday, 18 January 2024

রামের নামে বজ্জাতি!

রামচন্দ্র যখন রাজনীতির গুটি

সোমনাথ গুহ



সংবাদপত্র পড়লে ও গোদি মিডিয়া দেখলে মনে হবে, সারা দেশ রাম-জ্বরে থরহরি কম্পমান। মনে হবে, আমরা যেন কোনও গণতন্ত্রে নয়, ধর্মতন্ত্র বা থিওক্রেসিতে বসবাস করছি। জানা যাচ্ছে, অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উপচার পালনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষ ব্রত পালন শুরু করে দিয়েছেন। ধর্ম আর রাজনীতি একেবারে হাত ধরাধরি করে চলছে, যেন একে অন্যের পরিপূরক; আরও সঠিক ভাবে বললে, হিন্দুত্বের ছত্রচ্ছায়ায় রাজনীতির অনুশীলন চলছে। 

সংঘ পরিবার কিন্তু এ নিয়ে কোনও রাখঢাক করছে না। শুরু থেকেই অযোধ্যার রামমন্দির তাঁদের কাছে একটা আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ২২ তারিখে ঘরে ঘরে 'রাম জ্যোতি' প্রজ্জ্বলন করে দীপাবলী উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকার ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি রাম ভজন এবং সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত করার জন্য সমস্ত জেলা কর্তৃপক্ষ এবং গ্রামের সরপঞ্চদের নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ২২ তারিখ সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছে। বছরের প্রথম পনের দিনে প্রধানমন্ত্রী রামরাজ্যের তথাকথিত সুশাসনের বার্তা নিয়ে এমন তিনটি রাজ্যে সফর করেছেন (অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা) এবং মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন, যেখানে ২০১৯'এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলের প্রাপ্তি ছিল শূন্য। দক্ষিণের এই তিনটি রাজ্যে নির্বাচনে খাতা খোলাকে তিনি পাখির চোখ করেছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে যে সেই লক্ষ্যে তিনি এখানের কোনও এক কেন্দ্র থেকে নিজে প্রার্থী হতে পারেন। অযোধ্যায় রামমন্দিরের চূড়ায় গেরুয়া পতপত করে উড়ছে, দেশ জুড়ে নির্বাচনের ডঙ্কাও বাজতে শুরু করেছে। 

২০১৩ সালের অগস্ট-সেপ্টেম্বরে মুজাফফরনগর দাঙ্গা হয়েছিল। ওই একই সময়ে ইন্দোর, শিলচর, জম্মু, নওদাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অদ্ভুত ভাবে জুন মাসে নীতিশ কুমার এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিহারে ছটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস বাদে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মোট আসন সংখ্যা ১১৬ থেকে লাফিয়ে ২৮২ হয়, শুধু উত্তরপ্রদেশেই এক লাফে ১০ থেকে বেড়ে হয় ৭১। ২০১৯'এর ফেব্রুয়ারিতে, লোকসভা নির্বাচনের মাত্র দু' মাস আগে পুলওয়ামাতে চল্লিশ জন জওয়ান আত্মঘাতী হানায় নিহত হন। জানুয়ারি মাসের ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী বিজেপির আসন সংখ্যা দেখাচ্ছিল ২২৫-২৫২, কংগ্রেসের ১৪৭-১৬৭। নির্বাচনে বিজেপি ৩০৩ আসন পেয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসীন হয়, কংগ্রেস পায় সর্বসাকুল্যে ৫২। নিন্দুকেরা বলেন, ২০১৩'র দাঙ্গা এবং পুলওয়ামার ঘটনা বিজেপিকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সাহায্য করেছিল, এমনকি সেইসব ঘটনায় নাকি কিছু কারসাজিও ছিল! 

বত্রিশ বছর আগের অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। সবার ধারণা ছিল যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কারণে মেরুকরণের ফলে বিজেপি ১৯৯৩'র নির্বাচনে অনায়াসে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিজেপির আসন কমে ২২১ থেকে ১৭৭ হয়েছিল। মুলায়ম সিং যাদব- যাঁকে সংঘ পরিবার করসেবকদের নৈরাজ্য রোখবার জন্য ‘মোল্লা মুলায়ম’ আখ্যা দিয়েছিল- তিনিই কিন্তু কম সিট পেয়েও মায়াবতীর সাথে জোট করে লখনউয়ের মসনদে আসীন হয়েছিলেন।    

তবে নিশ্চিত ভাবেই আজকের বিজেপি তিন দশক আগের বাজপেয়ী-আদবানির পার্টির চেয়ে অনেক বেশি ব্যক্তি-কেন্দ্রিক এবং সেই কারণেই হয়তো আরও সংগঠিত, আবেগ বা ভক্তি-উদ্রেককারী, মনোনিবেশিত বা ফোকাসড্‌। প্রশ্ন হল, অযোধ্যার রামমন্দিরকে ঘিরে তৈরি করা আবেগ, তথাকথিত জনজাগরণ কি বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আসীন হতে সাহায্য করবে? পক্ষে বিপক্ষের যুক্তিগুলো যাচাই করে দেখা যেতে পারে। 

এটা সর্বজনবিদিত যে চারজন শঙ্করাচার্য বিভিন্ন কারণে মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। বিজেপির আইটি সেল যথারীতি এঁদের কংগ্রেস সমর্থক, মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল ইত্যাদি গালমন্দ করেছে। এই সন্তদের বিরোধিতা মূলত ধর্মীয় কারণে, যা ২২ তারিখের পরে ধামাচাপা পড়ে যাবে এবং নির্বাচনে হয়তো সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, সংঘ পরিবারের মধ্যে সন্তর্পণে ও প্রায় অজান্তে একটি চরমপন্থী অংশ গড়ে উঠেছে যারা খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং মোহন ভাগবতকে নরম হিন্দুত্ব অনুশীলন করার জন্য অভিযুক্ত করছে। তারা ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ শ্লোগানে বিশ্বাস করে না, পসমিন্দা মুসলমানদের কাছে টানার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে না। মোহন ভাগবত যখন বলেন, ভারতে মুসলিমরা সুরক্ষিত বা সংরক্ষণ আরও ২০০ বছর চালু থাকা উচিত, কারণ, নিম্নবর্ণের মানুষেরা ২০০০ বছর ধরে নিপীড়িত হয়েছেন, তখন তারা তা সমর্থন করে না। তারা রামমন্দির গড়ে তোলার জন্য মুসলিমদের থেকে কোনও ধরনের সাহায্য নেওয়ারও চরম বিরোধী। আগামী দিনে এদের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা জরুরি। 

বিজেপির পক্ষে আছে ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে নটি রাজ্যের নির্বাচনী পাটিগণিত। ২০১৯'এ এগারোটি রাজ্যে প্রায় একাধিপত্যের কারণে তারা ২০৮টি আসনে জিতেছিল। গত বছরে নটি বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর-পূর্বের সহযোগী দলগুলির সাথে তারা সাতটি রাজ্যে হেলায় জয়লাভ করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একমাত্র কর্নাটকে তাদের আসন সংখ্যা ২৫ থেকে কমে ১০-১৫তে নেমে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পশ্চিমবাংলা, বিহার এবং মহারাষ্ট্র, যেখানে ২০১৯'এ তারা ৭৬টি আসন পেয়েছিল। এখানে যদি তাদের আটকে দেওয়া যায় তাহলে বিজেপি বৃহত্তম দল হলেও তাদের ২২৫-২৩০ এর মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব।  

এছাড়া বিজেপির পক্ষে আছে ‘মোদী গ্যারান্টি’ নামে জনকল্যাণকর প্রতিশ্রুতির এক তালিকা, যা কয়েক মাস আগেও প্রধানমন্ত্রী নিজেই রেউড়ি বলে ব্যঙ্গ করতেন। কর্নাটকে কংগ্রেসের গ্যারান্টির ঠেলায় তিনি নিজেই এখন জনকল্যাণমূলক, অনেকের মতে 'দান-খয়রাতির' রাজনীতিতে নেমে পড়েছেন। শুধুমাত্র অযোধ্যার উন্নয়নের জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ হয়ে গেছে। পিভিটিজি'দের (পার্টিকুলারলি ভালনারেবল ট্রাইবাল গ্রুপ) জন্য আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি ৫৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জনজাতিদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার ফলে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে বিজেপি উপকৃত হয়েছে। এ তো শুরু মাত্র। আসন্ন বাজেটে নিশ্চিত ভাবেই আরও অনেক রেউড়ি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। এছাড়া শাসক দল হওয়ার সুবাদে তাদের হাতে অনেক লুকানো তাস আছে। মথুরার শাহী ইদ্গাহ ও জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে আদালতে বিবাদ প্রায় রোজ খবরে আসছে। যানবাহন চলাচলে অসুবিধার অজুহাত তুলে দিল্লির ঐতিহ্যশালী সুনেহরি বাগ মসজিদকে স্থানান্তরিত করার চক্রান্ত চলছে। রাতারাতি এগুলো ইস্যু হয়ে যেতে পারে। কাশ্মীরে কোনও জঙ্গি আক্রমণও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এসব করে আবার শাসক দলের পক্ষে একটা উগ্র ধর্মীয় অথবা জাতীয়তাবাদী হাওয়া তৈরি করার চেষ্টা হতে পারে। 

হাজারও দুর্বলতা নিয়েও বিজেপির বিপক্ষে আছে ইন্ডিয়া জোট। সম্প্রতি আসন বন্টন নিয়ে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। আপ দিল্লি এবং পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে যথাক্রমে তিনটি ও ছটি আসন ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। পরিবর্তে তারা গুজরাট ও গোয়ায় একটি করে ও হরিয়ানায় তিনটি আসন চেয়েছে। বিহারে পুনরায় মহাগাঠবন্ধন হবে, মহারাষ্ট্র এমনকি বাংলাতেও ইন্ডিয়া জোট কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কর্নাটকের ভোটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। আশা করা যায়, মণিপুর থেকে মুম্বাই যাত্রাও একই ভাবে জোটের পক্ষে একটা অনুকূল বাতাবরণ তৈরি করবে। এছাড়া 'রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি’, ‘ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি’ ইত্যাদি ছোট ছোট দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে মধ্য ভারতে বিজেপিকে মোকাবিলা করা সম্ভব। 

৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার ঘটনা ভারতের রাজনীতিতে একটা মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতির ধর্মীয়করণ বা আরও সঠিক ভাবে বললে হিন্দুত্বায়ন ঘটেছে। এর বিপরীতে ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেক্যুলার কথাটা একটা 'অপশব্দ' হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে। জহরলাল নেহরু রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদকে সোমনাথ মন্দিরে উপস্থিত না থাকতে বলে ঠিকই করেছিলেন, মন্দিরের প্রধান যজমান হওয়া কোনও প্রধানমন্ত্রীর কাজ নয়। এক সময়ের ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি এখন নিজেদের সেক্যুলার বলতে দ্বিধা বোধ করে। তারা হীনম্মন্যতায় ভুগছে। রামমন্দির সম্পর্কে তারা প্রায় সবাই রক্ষণাত্মক, এমনকি কম্যুনিস্ট নেতাও দৃপ্ত কোনও উত্তর দিতে পারছেন না, আত্মা-পরমাত্মা বলে খেই হারিয়ে ফেলছেন। 

নিশ্চয়ই রাম, রামচন্দ্র, মর্যাদা পুরুষোত্তম আমাদের প্রিয় মহাকাব্যের এক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, কিন্তু কঠোর কঠিন, বাস্তব রাজনীতির ময়দানে তিনি অপ্রাসঙ্গিক। সংঘ পরিবার ২২ জানুয়ারিকে হিন্দু রাষ্ট্রের উদ্ঘাটনের দিন হিসাবে, ভারতের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার দিন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। এর বিপরীতে বহু বাম ও গণতান্ত্রিক দল ও গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে ‘গণতন্ত্র জিতবেই’ শ্লোগান তুলেছে। একই দিনে কলকাতায় অমর্ত্য সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহাসম্মেলন।  আমাদের জোর গলায় রাজনীতিকে হিন্দুত্ব-মুক্ত ও ধর্ম-মুক্ত করার দাবি তুলতে হবে, হিন্দু রাষ্ট্রের বিপরীতে সংবিধানের প্রস্তাব মোতাবেক ধর্মনিরপেক্ষ, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে।


5 comments:

  1. "হিন্দুত্ব-মুক্ত ও ধর্ম-মুক্ত" ভালো লাগল এই উচ্চারণ। মনে পড়ল গোরা উপন্যাসে কৃষ্ণদয়ালের কথা, তিনি বলেছিলেন, "হিন্দু বললেই হিন্দু হওয়া যায় না। মুসলমান হওয়া সোজা, খৃস্টান যে-সে হতে পারে— কিন্তু হিন্দু! বাস্‌‍ রে! ও বড়ো শক্ত কথা।" কেন হিন্দু হওয়া শক্ত তা যদি জানতে পারতাম তাহলে বুঝতাম হিন্দুত্বমুক্ত কারে কয়? যা বলতে চাইলাম তা হল, হিন্দু কাকে বলে তা না জানলে তা থেকে মুক্তি ঘটবে কী করে তা বুঝতে পারছি না। আর দ্বিতীয়ত, ধর্ম মুক্ত সমাজের জন্য মুসলমান বা খ্রিস্টানরা প্রস্তুত তো না কি হিন্দুদেরই কেবল রাজি করানো উদ্দেশ্য? এক্ষেত্রে জানতে চাইব হিন্দুত্ব কি আদৌ কোনো ধর্ম বা ধর্মের সংরূপ যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়? তারপরে কোন পথে যাব, সে পথে কি যেখানে ম্যানচেস্টারের শ্রমিকরা লাল দলের মিছিলে যোগদান করেছিল এই শর্তে যে আগে তারা গির্জায় যাবে না কি সেই পথে যেখানে লেনিনের চিঠিগুলিকে চেপে দেওয়া হয়েছে না কি সেই পথে যেখানে শাখারভের মতো বিজ্ঞানী অস্বস্তি অনুভব করেছিলেন?

    ReplyDelete
  2. 'রাম রাম' বলতে বলতে আমি 'মরা মরা' ভারত দেখতে পাচ্ছি। ব্যাধের ধনুকে সঙ্গমরত পাখির মৃত্যু আমি দেকছি যশোদাবেনকে পলাতক নপুংসক স্বামীকে।

    ReplyDelete
  3. পুনশ্চ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কি আম্বেদকরকৃত সংবিধান বহাল রাখতে চাইবে?

    ReplyDelete
  4. আম্বেদকরের সংবিধানের সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু সেটাও তারা বর্জন করতে চাইছে। আপাতত তো সেটাই টিকিয়ে রাখা লক্ষ্য।

    ReplyDelete
  5. আমি তো জন্মসূত্রেই হিন্দু। জীবনে কোনো দিন পূজাপাঠ করিনি, কিন্তু ফরম ভর্তির সময় ধর্মের কলমে হিন্দুই লিখেছি। পাড়ার দুর্গা পূজায় আনন্দ করেছি, আবার কুসংস্কার , নানা আচারের বিরোধিতা করেছি। মিছিলে হেঁটেছি, লাল পতাকা নিয়েই হেঁটেছি। লাল আমলাতন্ত্রের ও বিরোধিতা করেছি। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্বেও ওই রাস্তাটাই ঠিক মনে হয়েছে।

    ReplyDelete