Pages

Saturday, 24 June 2023

অন্য গণতন্ত্রের সন্ধানে

গ্রামসভা: গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ রূপ

সুমিত


 

ভারতের প্রতিবাদ-মুখর মেয়ে কুস্তিগীররা এশিয়াড ও অলিম্পিকে প্রাপ্ত মেডেলগুলি হরিদ্বারের গঙ্গায় বিসর্জন দিতে যাবার আগে একটি বিবৃতি দেন। তাতে ওরা লিখেছিলেন, 'আমরা মেডেলগুলি কি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেব? তিনি তো একদিন আমাদেরকে নিজের কন্যা বলেই অভিহিত করেছিলেন। আমাদের হৃদয় বলছে ‘না’, কেননা উনি ওর কন্যাদের সাথে কথা বলতে কখনই আসেননি। বরং, আমাদের লাঞ্ছনাকারীকে নয়া সংসদ-ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করলেন। এমনকি ছবি তোলার জন্য উনি উজ্জ্বল, দীপ্তিমান সাদা পোশাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন। যেন উনি আমাদের বলতে চাইলেন, উনিই সিস্টেম। ওর এই ঔজ্জ্বল্য আমাদের ওপর কলঙ্কের ছোপ ফেলেছে।'

‘সিস্টেম’ বলতে কুস্তিগীররা কী বোঝাতে চেয়েছিলেন সেটা বিবৃতির আরেক অংশে তারা পরিষ্কার করে দিয়েছেন: 'এই উজ্জ্বল ব্যবস্থায় আমাদের জায়গা কোথায়? ভারতের কন্যাদের জায়গা কোথায়? আমরা কি কেবলই শ্লোগান অথবা ক্ষমতায় আসার জন্য নির্বাচনী কর্মসূচি?'

‘সিস্টেম’ মানে তাহলে ভারতের কঠোর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এবং নির্বাচন-কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা ও রাজনীতি। যার মর্মবস্তু প্রকাশ পেল কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থাকারী ছ’বারের সাংসদ দোর্দণ্ডপ্রতাপ ব্রিজভূষন শরণ সিং মারফত আর তাকে জামাই-আদরে সসম্মানে উদ্ধার করার আপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে

২৮ মে যাগ-যজ্ঞ পুজো-আর্চ্চা করে, ত্রিশূলধারী অর্ধনগ্ন কিছু সাধু-সন্ত পরিবৃত হয়ে, সোনায় মোড়া রাজদণ্ড (তামিলনাডু থেকে আনীত সেঙ্গল) হাতে নিয়ে শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র দামোদর মোদির রাজ্যাভিষেক হল। হিন্দু রাষ্ট্রের সূচনা ঘোষিত হল হিন্দুত্ব মতাদর্শের জনক বিনায়ক দামোদার সাভারকারের ১৪১তম জন্মদিবসে। আর স্বয়ং ‘হিন্দু হৃদয়সম্রাট’ বসলেন ভারত-ভাগ্য-বিধাতার সিংহাসনেহিন্দু রাষ্ট্র যে কী হতে চলেছে তারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হল ওইদিনই যখন কুস্তিগীরদের ওপর বর্বর আক্রমণ নামিয়ে আনা হল, গ্রেফতার করা হল কয়েক’শ প্রতিবাদকারীদের, নিরাপত্তার আবেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হল সমগ্র দিল্লিকে।

প্রশ্ন, কেন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হল উদারনৈতিক গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদ-ভবন উদ্বোধনের নামে? প্রশ্নটা সহজ আর উত্তরটাও জানা। গভীরে না গিয়েও এটা পরিষ্কার যে নির্বাচনী গণতন্ত্রকে হাতিয়ার করেই একনায়কতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যপুরণ করতে চাইছে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা। মনে পড়ে, ২০১৪ সালে হিন্দুত্বের জয়যাত্রা শুরুর লগ্নে, মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে জীবনে প্রথমবার সংসদে প্রবেশ করার মূহুর্তে তাকে সাষ্টাঙ্গে সম্মান জানিয়েছিলেন মোদি। ঠিক যেমন নতুন সংসদ-ভবন উদ্বোধনেও তিনি হোমের আগুনের সামনে সাষ্টাঙ্গ প্রণতি জানালেন।

আজকের দুনিয়ায় বেশ কয়েকটি দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে সেখানে নির্বাচনে জিতেই ক্ষমতায় আসীন হচ্ছেন পৃথিবীর তাবড় তাবড় একনায়করা। এই কয়েক দিন আগেই তুরস্কে তৃতীয় বার ভোটে জিতে ক্ষমতায় রয়ে গেলেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ব্রাজিলের জাইর বলসোনারো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আরোহণ করেছিলেনপরে হেরে গেলেও তাদের পরাজয়ের ব্যবধান যৎসামান্য এবং অদূর ভবিষ্যতে ফিরে আসতে পারেন বলেও জল্পনা চলছে। অরুন্ধতী রায় একেই বলেছেন ‘ডেমোক্র্যাটিক ডিক্টেটরশিপ’ মুসোলিনি-হিটলারও তো ক্ষমতা দখল করেছিলেন ভোটে জয়লাভ করে। নির্বাচনী জয় তাদের একনায়ক হয়ে ওঠাকে বৈধতা দিয়েছিল। মোদি-আরএসএস সেই একই পন্থা অবলম্বন করছে।

মোদিরা বোঝেন নির্বাচন একটি সংখ্যার খেলা। এ খেলায় জো জিতেগা ওহি সিকান্দার। ইলেক্টরাল বন্ড ও কর্পোরেট ফান্ডিং, ব্যয়বহুল প্রচারের জাঁকজমক, বন্দুক বোমাবাজি বাহুবলের দাপট, হিংসার অজুহাতে পুলিশ-আধাসেনার হাতে নির্বিচার ক্ষমতা অর্পণ, তা সত্ত্বেও ব্যাপক রিগিং, জোট ঘোঁট, ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং ভোটের পরে ঘোড়া কেনাবেচা, দলবদল ইত্যাদি এ খেলার ফলাফল নির্ণয় করে দেয়বাজার আরও গরম করে তোলে ওপিনিয়ন কিংবা এক্সিট পোল, সেফলজি বা কোনদিকে কত পারসেন্ট সুইং, টিভির সান্ধ্য আসরে কলতলার ঝগড়া, আরও কত কি। এসবের মধ্যে সাধারণ মানুষের আশা, আকাঙ্ক্ষা, আবেগের প্রতিফলন কোথায়? প্রতি পাঁচ বছর লাইন দিয়ে একটা বোতাম টেপা ছাড়া এতে জনগণের আর কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই। একেই আমরা বলি গণতন্ত্র! আমাদের গর্ব আমরা ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র’!

 বাতাস, সূর্য, বৃষ্টি আজ অন্য কথা বলছে।…. বাতাস বইছে নীচের থেকে।'

-  সাব-কমানদান্ত মার্কোস (জাপাতিস্তা অভ্যুত্থানের কান্ডারী)।

বীরভূমে দেওচা-পাঁচামীতে কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলনে একের পর এক গ্রামসভা গড়ে তোলা হচ্ছে, শ্লোগান উঠেছে ‘লোকসভা না বিধানসভা, সবচেয়ে বড় গ্রামসভা।’ পুরুলিয়ার মারাং বুরু পাহাড়েও ঠুড়গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসাবে অন্তত ২৭টি গ্রামসভা তৈরি হয়েছে, বনাধিকার আইন (২০০৬)-কে ভিত্তি করে তাদের শ্লোগান: ‘আবওয়া দিশম, আবওয়া রাজ’।

উপরিউক্ত দু’টি শ্লোগানই প্রথম উঠেছিল ২০১৮ সালে ঝাড়খন্ডের পথালগড়ি (পাথর খোদাই) আন্দোলনে। সাঁওতাল পরগনা টেনান্সি অ্যাক্ট (১৮৭৬) ও ছোটা নাগপুর টেনান্সি অ্যাক্ট (১৯০৮)– যাতে বলা হয়েছে, আদিবাসী ভূমির সত্বাধিকারী আদিবাসীরাই- তাকে সংশোধন করে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল কর্পোরেট ও জমি-মাফিয়ার হাতে তুলে দেবার চক্রান্তের বিরুদ্ধে ধিকিধিকি জ্বলছিল ক্ষোভ ও বিদ্রোহের আগুন। সেই বিদ্রোহই একদিন পরিণত হয় আদিবাসী অভ্যুত্থান পথালগড়ি আন্দোলনে

বিরসা মুন্ডার জন্মস্থান অরণ্য-আবৃত খুঁটি জেলায় পথালগড়ি আন্দোলনের সূত্রপাত। ২৫ ফেব্রুয়ারি কোচাং ব্লকের একটি জায়গায় প্রায় ২০০ গ্রামের কয়েক হাজার মুন্ডা, সাঁওতাল, ওঁরাও নারী-পুরুষ জমায়েত হয়। তাদের কাঁধে তীর-ধনুক, হাতে নকল বন্দুক। বাঁশির সুরে, ধামসা-মাদলের ছন্দে, মুন্ডারি গান গেয়ে, করাম নাচ পরিবেশন করে উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠে সবাই। শিঙা ফুঁকে সেখানেই ঘোষণা করা হয় যে তারাই, অর্থাৎ গ্রামবাসীরাই, আসল সরকার। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্য কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার, কাউকেই তারা মানেন না। কেবলমাত্র গ্রামসভাই প্রকৃত সাংবিধানিক সত্তা। পঞ্চায়েত এক্সটেনশন টু শিডিউল্ড এরিয়াস্ (সংক্ষেপে পেসা) আইন অনুসারে পঞ্চম শিডিউল এলাকায় গ্রামসভার উপর আর কিছু নেই। গ্রামসভাই শেষ কথা।

দিন দু’য়েকের মধ্যেই গ্রামে গ্রামে পেসা আইনের কথাগুলি এবং গ্রামসভার কিছু আদেশ-নির্দেশ বিশাল বিশাল পাথর খন্ডের ওপর খোদাই করে গ্রামের প্রবেশপথে পুঁতে ফেলা হয়। গ্রামসভার বিনা অনুমতিতে পুলিশ, প্রশাসন, এমনকি মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদেরও গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, জঙ্গল, জমি, পাহাড়, নদী, নির্ঝর, চারণভূমি- এই অনন্ত প্রকৃতির সব কিছুই গ্রামের সাধারণ মানুষের যৌথ অধিকারভুক্ত। এই আদেশনামা যে সংবিধান অনুযাত তা জ্ঞাপন করতে পাথরগুলির ওপর আশোকচক্র চিত্রিত করা হয়। আরও বলা হয়, পুঁজিপতিদের স্বার্থে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া উন্নয়ন আর মেনে নেওয়া হবে না। এ উন্নয়ন প্রকৃতিকে ধ্বংস করে, মানুষের জীবনে সর্বনাশ নিয়ে আসে।

এরপর ঝড়ের গতিতে পথালগড়ি ছড়িয়ে পড়ে চাঁইবাসা, সেরাইকেলা-খারসোয়ান, সিমদেগা, গুমলা, ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন জেলায়। ছত্তিসগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের আদিবাসী গ্রামগুলিতেও একই কায়দায় আন্দোলন দানা বাঁধে। নির্বাচনী গণতন্ত্র পেরিয়ে মানুষ এক অন্য গণতন্ত্রের সন্ধান পায়যদিও রাষ্ট্রশক্তির বর্বর আক্রমণের মুখে এবং মিডিয়ায় ব্যাপক কুৎসা রটনার ফলে আন্দোলন অচিরেই স্তিমিত হয়ে যায়।

পথালগড়ি গ্রামসভাকে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ ও মহত্তম রূপ হিসাবে বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিল। আমাদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রামসভা বা গ্রাম সংসদকে যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হয়েছে (যদিও বাস্তবে তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন দেখা যায় না)তবে, পঞ্চায়েতি গ্রামসভা আর পথালগড়ির গ্রামসভার মধ্যে গড়ন, বিন্যাস ও ধারণায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গ্রামসভা নির্বাচিত পঞ্চায়েতের অধীন এবং কেবল তার পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করে। এই গ্রামসভা নীতি নির্ধারণ করে না, পঞ্চায়েত-নির্ধারিত নীতি রূপায়নের পথ দেখায়। অন্যদিকে, পথালগড়ি নির্বাচনকে গুরুত্ব দেয় না, প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের বদলে গ্রামের সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সেই সিদ্ধান্তকে সকলে সমান দায়িত্ব নিয়ে সম্পাদন করার ওপর জোর দেয়। প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে- লোকসভা, বিধানসভা, এমনকি পঞ্চায়েতেও- দলগত নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আর ভোটে জিতে আসা প্রার্থী, তা সে যতই অপরাধ বা দুর্নীতি করুক না কেন, তার মেয়াদ শেষ হবার আগে তাকে ফিরিয়ে আনার অধিকার ভোটদাতাদের নেই। অন্য দিকে স্বশাসনের বোধে গড়ে ওঠা গ্রামসভা দল-মত, জাত-ধর্ম নির্বিশেষে গঠিত।

প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে শ্রেণি ও বর্ণ বিভক্ত সমাজে ঐক্যমত কীভাবে সম্ভব? বাস্তবে এ ধরনের যে কোনও জন-সংগঠনেই, তা গ্রামসভা হোক বা মজদুরদের নিজস্ব ইউনিয়ন, দ্বন্দ্ব-সংঘাত অনিবার্য। সেই কারণেই এগুলি হয়ে উঠতে পারে শ্রেণি-সংগ্রামকে আরও জোরদার করার মোক্ষম হাতিয়ার, ভারতের মাটি থেকে ব্রাহ্মণ্যবাদকে নির্মূল করার শক্তিশালী উপাদান।

আমাদের দেশে যেখানে আজ ক্রমাগত দ্রুত লয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ঘটে চলেছে, আওয়াজ উঠছে ‘এক দেশ এক জাতি এক নেতা’, সেখানে একেবারে তৃণমূল স্তরে ‘আমরা সবাই রাজা’ ওই দমবন্ধকারী সর্বগ্রাসী (totalitarian) ক্ষমতাকে এক গভীর চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিতে পারে। যেখানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে অভিন্ন, একরূপী, একজাতীয় হিসাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা প্রবলভাবে বিদ্যমান, সেখানে গ্রামসভার মতো বিকেন্দ্রিক প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রই পারে বহুমত, বহুস্বরের মিলন ঘটাতে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারাকে ধারণ করতে। আশা রাখি, আমাদের ফ্যসিবাদ বিরোধী মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীরা নির্বাচনী অংকের হিসেবনিকেশের অলস মানসিকতা ত্যাগ করে গণতন্ত্রের এই অন্য ভাবনা, অন্য রূপের দিকে তাঁদের দৃষ্টি ফেরাবেন। ক্ষমতা দখল নয়, ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, ক্ষমতার বিনাশই ফ্যাসিস্ত শক্তির মৃত্যঘন্টা বাজাবে।

নব্বইয়ের দশকে মেক্সিকোর চিয়াপাস অঞ্চলে মায়া জনজাতির জাপাতিস্তা অভ্যুত্থানের নীতিবাণী ছিল: ‘সবকিছু সকলের জন্য, আমাদের বলে কিছু নেই।’ মনে পড়ে গেল, ছোটবেলার স্কুলপাঠ্যে কবি কামিনী রায়ের কবিতার লাইন: ‘সকলের জন্য সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা প্রত্যেকের তরে।’ এটাই গণতন্ত্রের আসল পাঠ।

 

3 comments:

  1. প্রদ‍্যুম্ন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়24 June 2023 at 21:36

    অজানা জগতের মুখোমুখি হলাম।প্রতিবেদককে অভিনন্দন। এই জাগরন এক ভিন্ন রাজনীতি,সামাজিক উত্থানের ইঙ্গিত দেয়।প্রাচীন অরন‍্যবাসী মানুষজনের দীর্ঘদিন ধরে এই আশ্চর্য গনতান্ত্রিক জীবনযাপন,সব্বাই মিলে পরস্পর বেধেঁ বেধেঁ থাকা অন‍্য রাজনীতি র পাঠ দেয়।হিমাল য় পর্বতের মত প্রাচীন আর গভীর এই অভ‍্যেস ফিরে ফিরে আসে দেখে ভরসা হ য়।গ্রামসভার এইজাগরন,দৈনন্দিন অহিংস প্রতিরোধ যে ভারতীয় রাষ্ট্র আর বেদান্তকে পিছু হটতে বাধ্য করে তা দেখেছি উরিষ‍্যার নিয়মগিরিপর্বতবাসী জনজাতিদের দীর্ঘ স্থায়ী আন্দোলনের মধ‍্যে।

    ReplyDelete
  2. হ্যাঁ, এটাই সত্য... বাকি সব বুজরুকি।

    ReplyDelete
  3. ভালো লাগলো। আমার মতে প্রার্থী নির্বাচনই আসল নির্বাচন। দল কোন প্রার্থীকে মনোনীত করবে না করবে ব্যপক জনগন গ্রামসভা। তবেই গনতন্ত্র।

    ReplyDelete