Pages

Friday, 31 March 2017

Free the Maruti Workers!



Appeal to observe 4th/5th April as All-India & International Day of Protest
 
Comrades,
You are aware of the repression on us by the nexus of Company management-Police-Government, as 13 MSWU members have been sentenced to Life Imprisonment and 4 more workers handed 5 years by the Gurgaon Sessions Court on 18 March 2017 – without a shred of evidence, and solely on the false witness accounts by the management.
The MSWU body members have been targeted because they have been the leadership of the struggle since 2011 against illegal contract worker system and for Trade Union rights and dignity of labour. It is a ‘class attack’ as in the words of Maruti CEO RC Bhargava. All workers know that this manifestly unjust verdict is to ‘teach a lesson’ to us by those in power that we should not fight for our rights and dignity on the shop-floor and beyond.
But against this repression, thousands of workers in this industrial belt and across India and world are protesting. On the evening of the Verdict on 18th May, 30000 workers in Gurgaon-Manesar did tool down strike against the injustice. The Maruti Suzuki Mazdoor Sangh (MSMS)–the joint platform of Maruti Suzuki factories–had given a call for Protest on the martyrdom day of Bhagat Singh-Rajguru-Sukhdev on 23rd March in Manesar. Despite prohibitory orders of Section 144, thousands of workers from the industrial belts in Haryana and Rajasthan rallied in protest from factory after factory in Manesar. A letter from the Jailed workers was read out, and a call given to intensify the struggle for the release of the Jailed workers. It was also decided to give economic assistance to families of the Jailed workers.
On this 23rd March Protest program, we already appealed to all to observe 4th April as an all-India Day and International of Protest. Preparations for the same have already begun in various places. Meanwhile, recognized Central Trade Unions later issued a call to organize all-India Protest in solidarity with the Maruti Suzuki workers on 5th April. So, We appeal to all workers and pro-worker forces to observe 4th/5th April 2017 as all-India and International Days of Protest and show solidarity in whatever ways possible.
The struggling workers in the Gurgaon-Manesar-Bawal-Neemrana industrial belt in the states of Haryana-Rajasthan are showing that they will not relent on their legitimate rights and strengthen their class unity against the capitalist onslaught. We have also received great courage and thank the amazing show of solidarity of workers with the struggle for Justice of Maruti workers. Since the last few days, there have been protests by lakhs of workers in this and other industrial belts and by various workers, student-youth, human rights and other democratic organizations in over 30 cities-towns in the country. We also greatly encouraged and thank the amazing show of international working class solidarity with protests, deputations and solidarity positions and actions in over 21 countries. This is a long battle, and only the growing force of the movement and wider solidarity can take the struggle forward.

Provisional Working Committee,
Maruti Suzuki Workers Union
Contact: 7011865350 (Ramniwas), 9911258717 (Khusiram) on behalf of the PWC, MSWU.
email: marutiworkerstruggle@gmail.com; blog: marutisuzukiworkersunion.wordpress.com

Monday, 27 March 2017

একক মাত্রা'র আড্ডা ২৫ মার্চ ২০১৭

আড্ডার কথা
অরুণাভ বিশ্বাস

গত ২৫ মার্চ আমার বাড়িতে 'একক মাত্রা'র বন্ধুদের নিয়ে যে আড্ডা বসেছিল তার শুরুটা সামান‍্য দেরিতে হলেও মৌতাত জমতে দেরি হয় নি।শুরুতে উপস্থিত সকলে নাতিদীর্ঘ আলাপচারিতা সেরে নেন।
প্রধান বক্তা তুষার চক্রবর্তী এরপর মার্চ'১৭ সংখ্যায় গবেষণার রাজনীতি বিষয়ে প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধটিকে আর‌ও পরিবর্ধিত করে, নানান অচর্চিত তথ‍্য সহযোগে, গবেষকের চেতনার জগতে স্বরাজের কথা বলেন।
এরপর বরুণ মুখোপাধ‍্যায় উক্ত বক্তব‍্যর উপর ভিন্ন আলোকপাত করেন এবং এ ধরনের প্রবন্ধের প্রাঞ্জলতার উপর জোর দেন। উপস্থিত অন্যান‍্য কয়েকজন তাঁদের মতামত, সংশয় ও নানা কৌতূহল প্রকাশ করেন।
শেষ ভাগে Jadavpur University-র Dept. of Chemical Engineering এর গবেষণাগারে প্রথম জন্মানো, সম্পূর্ণ জৈব ও ভৌত উপায়ে তৈরি, ডাবের আইসক্রিম (ice-candy আসলে) চাখতে চাখতে সকলে অসীম চ‍্যাটার্জীর মুখ থেকে এই পণ‍্যটির ইতিহাস জানতে পারেন।এরপর সম্পাদক অনিন্দ‍্য ভট্টাচার্য পুরো আড্ডার সারসংক্ষেপ করেন।
সব শেষে আত্মদীপ প্রধান অসামান্য পশ্চিমী ধ্রুপদী গিটার বাদন পরিবেশন করেন। তার পরিবেশনা ছিল Recuerdos de la Alhambra ( composed by Fransesco Tarrega, 19th century Spain)। বাড়ি ফেরার আগে বেশ কয়েকজন পত্রিকার পুরোনো সংখ্যা ও ব‌ইপত্র সংগ্ৰহ করেন এবং গ্ৰাহক হন।

Thursday, 16 March 2017

মার্চ ২০১৭

এই তো নতুন সংখ্যা। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্টলে।
ইমেলঃ ekakmatra@yahoo.com

Tuesday, 14 March 2017

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন



সোজাসাপ্টা দু’ চার কথা
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য 

এ এক ভারী অদ্ভুত খেলা। নির্বাচনে পছন্দের দল জিতলে (যত অল্প ব্যবধানেই জিতুক না কেন) সমস্বরে বলা হয়, জনগণ জনবিরোধী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। আর হেরে গেলে, তখন শতকরা হিসেব চলে, আসলে ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে তো জিতল ওরা, সংখ্যাগুরু মানুষই তো ওদের বিরুদ্ধে। তাই কোনও ফলেই সকলে সন্তুষ্ট নয় কখনও।

এখন প্রশ্ন হল, ধারাবাহিক ভাবে কোনও দলের পক্ষে বা বিপক্ষে আছেন এমন লোকের সংখ্যা কত? অর্থাৎ, একটি দলের প্রতি কমিটেড বা একটি দলের প্রতি বিদ্বেষী – এমন মানুষের সংখ্যা একটা সময়পর্বে (ধরুন দশ কি পনের বছরে) কতটা স্থির থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুব জটিল। দেখা গেছে, ১৯৫২ থেকে ১৯৬৭ অবধি সারা দেশেই কংগ্রেস একচেটিয়া ভাবে বারবার ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। আবার ১৯৭৭ থেকে ২০১১ ও ১৯৫২ থেকে ১৯৮২ – যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে শাসকের বদল হয়নি। তেমনই গত ১৫ বছর ধরে গুজরাতে একই শাসক দল ক্ষমতায় রয়েছে। আবার অন্য অনেক প্রদেশে বা জাতীয় স্তরে প্রতি বছরই হয় এ দল নয় সে দল ক্ষমতায় পালাবদল ঘটিয়েছে। এখন এই ক্ষমতায় টিকে থাকা বা ছিটকে যাওয়ার পিছনে অবশ্যই নির্দিষ্ট কারণ আছে। উল্লেখ্য, গত এক-দু’ দশকে এই বদলের হার আরও দ্রুতগামী হয়েছে।

‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ – এই ছিল আশির দশক পর্যন্ত নির্বাচনের মূল মুদ্দা। নির্বাচনের ময়দানে বা মাঠেঘাটে ময়দানে দারিদ্র্য, বেকারি, সমাজতন্ত্র এই নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলি নানা লড়াইয়ে মেতেছে, বড় বড় গণ-আন্দোলন বা এমনকি সশস্ত্র লড়াইও সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন নতুন দলেরও উত্থান হয়েছে এবং নানান রাজ্যে পালাবদল ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের ক্ষমতায় আসা এমনই এক নতুন নজির ছিল নিঃসন্দেহে। জয়প্রকাশ নারায়ণের ‘সর্বাত্মক বিপ্লব’এর ডাকও ছিল এই গোটা অনুশীলনপর্বের একটি অনুষঙ্গ। আশির দশকের মাঝামাঝি ও শেষ থেকে এই অনুশীলনের মোড়টা ঘুরতে থাকে। রাজীব গান্ধী সরকার কর্তৃক পরিত্যক্ত বাবরি মসজিদের গর্ভগৃহের তালা খুলে দেওয়া ও শাহবানু মামলায় হেরে গিয়ে সংসদে সংখ্যার জোরে আইন বদল এবং মণ্ডল কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়া – মূলত এই তিনটি ঘটনা ভারতীয় রাজনীতির গতিপথটাকেই অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়। জাতপাত ও সংখ্যালঘুদের কেন্দ্র করে এক নতুন রাজনীতির মার্গ আত্মপ্রকাশ করে। রামমন্দির-বাবরি মসজিদ ইস্যু ও জাতপাতের বিষয় হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতির মূল অনুঘটক। আর একে ভর করেই রাজনীতির মূল প্রাঙ্গণে উঠে আসে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ধরনের দলগুলি। এর পরের ঘটনাগুলি আমরা জানি।

প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল জাতপাত ও ধর্মীয় ইস্যুগুলিকে তাদের নিজেদের মতো করে কাজে লাগিয়েছে এবং যে যেমন যখন পেরেছে ভোটের ময়দানে তার ফায়দা তুলেছে। ২০০২ সালে গুজরাতে দাঙ্গা এরকমই এক নৃশংস ঘটনা যার ফায়দা বিজেপি ষোলআনা নিজের ঘরে তুলেছে। একইভাবে ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর কংগ্রেস দেশের বহু জায়গায় শিখদের হত্যা করেছে ও এক নৃশংস জাত্যাভিমানকে উসকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ফায়দা উঠিয়েছে। বিজেপি যদি হিন্দু উগ্রবাদকে নিজেদের কাজ লাগিয়ে থাকে তো অন্য দলগুলি ইসলামি উগ্রবাদ বা জাতপাতের বিভাজনকে নিজেদের কাজে লাগিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার হয়ে ওঠে ধর্মীয় ও জাতপাত ভিত্তিক রাজনীতির জঘন্যতম উর্বর ক্ষেত্র। পরিচিত মাফিয়া ডনরা তাদের বাহুবল ও অস্ত্রের জোরে একেকটি পার্টিকে ধরে ব্যাপক হারে বিধায়ক ও সাংসদ হতে শুরু করে। অর্থ, কালো টাকা ও সরকারি কোষাগারকে লুঠ করে প্রায় সারা দেশ জুড়েই গণতন্ত্রের নামে রাহাজানি ও মোচ্ছব এক সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়ায়। এর বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ও গণরোষও বাড়তে থাকে। পাশাপাশি, দুর্নীতি এক ব্যাপক ও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। দিল্লি সহ কিছু কিছু রাজ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে ব্যাপক মানুষ তাদের ক্ষোভের জানান দেয়। এই সার্বিক অবস্থায়, রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র খেয়োখেয়ির মধ্যে, জাতপাত ও ধর্মকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাদানুবাদ ও খুন-খারাপির মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষ চাইছিলেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে। দৈনন্দিন রুটি-রুজির সমস্যা, সরকারি অলিন্দে তীব্র দুর্নীতির মুখে হেনস্থা  হওয়া ও প্রায় সর্বত্র ধর্ম ও জাতপাতের ভিত্তিতে গরিবদের নিজেদের মধ্যে অবিশ্বাস ও হানাহানি - এই পঙ্কিল রাজনীতির আবর্ত থেকে নিজেদের বের করে আনার এক দুর্দমনীয় বাসনা সাধারণ মানুষকে পেয়ে বসেছিল। সাম্প্রতিক কালে তাই, যেখানেই রুটি-রুজির সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কোনও দল কিছু বলতে বা করতে চেয়েছে সেখানেই আমজনতা তাদের ওপর আস্থা রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার রাজনীতিতে তেমনই ডাক ছিল, বিহারে নীতিশজীও তাই বলেছেন, দিল্লিতে কেজরিওয়ালও সেই পথ ধরেই এগিয়েছেন। মানুষ এই রাজনীতিতে সায় দিয়েছেন।

অর্থাৎ, ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’এর রাজনীতিই চাইছে আবার মূল কেন্দ্র হতে। বিজেপি আপাতত এই রাজনীতিকেই মূল করে এগোতে চাইছে। ক্লান্ত উত্তরপ্রদেশবাসী জাতপাত ও ধর্মের ক্লিশে রাজনীতি থেকে মুক্তি চেয়েছেন। জাতপাত, লিঙ্গ, ধর্ম নির্বিশেষে তারা বিজেপিকে এবার উজাড় করে ভোট দিয়েছেন। অর্থনৈতিক সক্ষমতাই যে অন্যান্য বিভেদ থেকে মুক্তির অনেকটা সহায়ক তা মানুষ জানেন। বিজেপি যদি ধর্মের জিগির তুলে এই আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিহত করতে চায় তবে তার পতন আবারও সুনিশ্চিত। কারণ, অন্যান্য দলের মতোই বিজেপিও ধর্মকে কাজে লাগাতে সিদ্ধহস্ত। মানুষের চাপ ও আকাঙ্ক্ষা এবং ভোটে বদলে দেবার সক্ষমতা মানুষকে কিছুটা হলেও পরিসর দিয়েছে নিজেদের চারপাশটাকে আংশিক পালটাতে। আর নির্বাচন যেহেতু এখন বছরওয়ারি মোচ্ছব তাই অশ্বের লাগাম কিছুটা হলেও জনতার হাতে। অবশ্য, ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় কিছুই হয় না, একে ভেঙ্গে ফেলতে হবে (ফেলে কী হবে কে জানে) - এই মত পোষণকারীরা দিনে দিনেই সংখ্যালঘুতর হচ্ছেন, তাই তাদের কথার তেমন প্রতিধ্বনি আর জনতার মধ্যে ওঠে না। নানা ভাবে শাসকের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দাবি আদায়ে আগামী দিনে জনতা শাসকের লাগামটা আরও বেশি করে নিজেদের হাতে নিতে পারবে বলেই মনে হয়।        

Wednesday, 8 March 2017

তর্পণ

কালিকাপ্রসাদ
(১৯৭১ - ২০১৭)
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য 

আমি তো গানের কিছুই জানি না, শুধু শুনি মন দিয়ে; তা দিয়ে এই পণ্ডিত ব্যক্তি সম্পর্কে কীই বা বলতে পারি! যেটুকু চিনতাম ওকে, যেটুকু শুনেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি, তা সবই বোধের আলোকে। কিন্তু তবুও কেন জানি অল্প কিছু বলতে ইচ্ছে হয়েছে - হয়তো মনের ভেতরে জারিত হওয়া অসহ্য কষ্টটাকে খানিক লাঘব করতে।
এতকাল লোকগান তো আমরা শুনেছি শুধু। তার ইতিহাস, তার পরম্পরা, তার আকুল বাঁচার স্পন্দনকে কখনও স্পর্শ করতে চেয়েছি কী? 'কে যাস রে ভাটির গাঙ বাইয়া' - শচীন কর্তার মর্মস্পর্শী গায়কি, নির্মলেন্দুর উদাত্ত গলা শুনে আমরা ভেতরে ভেতরে পুড়েছি, আকুল হয়েছি কিন্তু কখনও জানিনি সেইসব তুলে আনা গানের মর্মকথা, ব্যথা, বেদনা, প্রেমের ইতিকথা। কালিকা শুধু লোকগানের অফুরন্ত ভাণ্ডারকে আমাদের কাছে উজাড় করে দেননি, তার ভেতরের প্রাণভোমরাটিকেও উদ্ধার করেছেন আমাদের জন্য। আমাদের এতাবৎকালের ইতিহাসের পরিচয়টাকেই ক্ষতবিক্ষত করেছেন, নতুন ইতিহাসের আকর আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন শুধু গানে নয়, ইতিহাস বোধে, দেখার দৃষ্টিতে, জীবনের ইতিকথায়, শ্রমের মর্যাদায়। আমাদের অহং ফেলে দিয়ে শ্রদ্ধাশীল মানসিকতায় উত্তরণ ঘটিয়েছেন।
কালিকাকে দেখেছি যত না কাছ থেকে তার থেকেও বেশি দূর থেকে। প্রথম আলাপ ২০০২ সালে 'একক মাত্রা'র একটি আড্ডায়। এসেছিলেন শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্রে। তখন 'দোহার' তৈরি হয়ে গেছে, গান করছেন, দৌড়ে বেড়াচ্ছেন এ পল্লী থেকে সে পল্লী। কাকা অনন্ত ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া লোকগানের আকরকে অমলিন তুলে আনছেন সকলের সামনে। খুব যে সাড়া পাচ্ছেন তাও নয়। আবার অনেকে শুনছেনও। নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে কখনই আপসে যাচ্ছেন না, সাবেকি বাদ্যযন্ত্র ছেড়ে আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্স গেজেটে আরও 'আকর্ষণীয়' করার চেষ্টাও করছেন না নিজেদের। নিবিড় ভাবে লোকগানের অতল স্পর্শে পৌঁছচ্ছেন, তাকে স্বমহিমায় তার নিজের জোরেই আধুনিক গানের সমান্তরালে পেশ করে তার স্বাভাবিক অমোঘ টানেই তাকে সন্ধানী, মরমী মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে দিচ্ছেন। এইখানেই তিনি সার্থক। এখানেই তিনি প্রজ্ঞাবান। এইখানেই তিনি দোহার।
তাঁর এই মর্মান্তিক অকালপ্রয়াণে অসম্ভব বিদ্ধ হয়েছি। আরও কষ্ট পেয়েছি, তাঁর এই অর্ধেক পথে রেখে যাওয়া বাকী কাজগুলির কী হবে তা ভেবে। একটা পারিবারিক সূত্রও ছিল তাঁর সঙ্গে। সেটাও জেনেছি আলাপের বেশ পরে। সব কিছু ছাপিয়ে তিনি সাধক। তাঁকে সাধনা করার মধ্যেও জীবনের অনেক ঐশ্বর্যকে পাব, এই বিশ্বাস করি।