Pages

Thursday, 17 October 2024

২০২৪: অর্থনীতিতে নোবেল

প্রতিষ্ঠান একটি সামাজিক চয়নের বিষয়

অচিন চক্রবর্তী



সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেন ও পোল্যান্ড দুটি সার্বভৌম দেশ। ইউক্রেনের অর্থনীতি তখন যথেষ্ট এগিয়ে – শিল্পোন্নত, প্রশিক্ষিত শ্রমিকের অভাব নেই, প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। অন্যদিকে উন্নয়নের নিরিখে পোল্যান্ড রয়েছে অনেক পিছনে। অথচ পরবর্তী তিন দশকে দেখা গেল ইউক্রেনের অর্থনীতি প্রায় স্থবির, সমস্যায় জর্জরিত আর পোল্যান্ডের মাথাপিছু জাতীয় আয় বেড়ে হল প্রায় তিন গুন। কেন এমন হল? কেন এমন হয়? বুঝতে গেলে এই দু' দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির দিকে তাকাতে হবে। 

এখন অনেকে স্বাভাবিকভাবেই মনে করেন, জটিল জালের মতো বিছানো প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সমাজ প্রগতি নির্ভর করে থাকে। সেগুলি বিবাদের নিষ্পত্তি করে, বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করে, বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়, পরিবেশকে সুরক্ষা দেয় ইত্যাদি। খেলার নিয়ম স্থির করে দেওয়াই প্রতিষ্ঠানের কাজ। সে নিয়ম আইনের চেহারায় থাকতে পারে, না হলে প্রচলিত রীতি হিসেবেও। পোশাকি আইন আর প্রচলিত রীতি মিলেমিশেই হয় এক একটি প্রতিষ্ঠান। ভারতে জাতপাত সে অর্থে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান যেমন ডিজাইন মেনে স্থাপন করার চেষ্টা হয়, আবার তা দীর্ঘ সময় ব্যেপে বিবর্তিতও হতে পারে। ইউক্রেনের ব্যর্থতার কারণ যদি হয় বাড়াবাড়ি রকম দুর্নীতি, তাহলে দুর্নীতির কারণ খুঁজতে হবে সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিতে। পোল্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, সেগুলি দুর্নীতি ঠেকাতে যে তেমন কার্যকরী হয়নি, তার ব্যাখ্যা তাদের প্রকৃতিতেই খুঁজে পাওয়া যাবে। 

আগেই বলেছি, প্রতিষ্ঠান বলতে বুঝব খেলার নিয়ম, যাকে বলে ‘রুলস অফ দ্য গেম’। রাষ্ট্র যেমন একটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাও একটি প্রতিষ্ঠান, আবার দাস-ব্যবস্থাও একটি প্রতিষ্ঠান। যে কোনও ব্যবস্থারই মর্মবস্তুতে রয়েছে একগুচ্ছ নিয়ম যা মানুষের আর্থনীতিক কাজকর্মকে নির্ধারণ করে। সোভিয়েত-উত্তর ইউক্রেনে একটি ছোট এলিট গোষ্ঠী সামাজিক ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে লাগল। এঁরাই আবার সোভিয়েত যুগে ক্ষমতার সিঁড়ির মাথায় ছিলেন। ফলে, খেলার নিয়মও বেঁকিয়ে-চুরিয়ে এমন করা হল যাতে তাঁদের স্বার্থ রক্ষা হয়, দেশের অর্থনীতির নয়। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনীহা দেখা দেবে উৎপাদন ও নতুন প্রযুক্তি-উদ্ভাবনের জন্যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে, যার পরিণতি অর্থনীতির মন্দগতি। 

ডারন আসেমগলু, সাইমন জনসন এবং জেমস রবিনসন আর্থনীতিক প্রগতি বা তার নিম্নগতিকে বিশ্লেষণ করেছেন এই প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাখ্যা যে তাঁরাই প্রথম দিলেন তা নয়। অতীতে অনেক বিশিষ্ট অর্থশাস্ত্রীই নানান ছাঁদে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। ডগলাস নর্থ তো আর্থনীতিক ইতিহাসের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তত্ত্বায়নের জন্যে নোবেল পুরস্কারই পেয়েছিলেন ১৯৯৩-এ। নর্থ-অনুসৃত বিশ্লেষণ-ধারাকে বলা হয় ‘নিউ ইনস্টিটিউশনাল ইকনমিকস’। তবে আসেমগলু-জনসন-রবিনসনদের তত্ত্ব নর্থের থেকে অনেকটাই আলাদা। নর্থের তত্ত্বে সম্পত্তির ব্যক্তি মালিকানার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। সম্পত্তির মালিকানা অস্পষ্ট থাকলে বাজার বিস্তার লাভ করতে পারে না। তাই যে রকম প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো মুক্ত বাজারের বিস্তারে সহায়ক তা-ই আর্থনীতিক বৃদ্ধিও ঘটাতে পারে, নর্থের মতে। উন্নত দেশগুলির ইতিহাস নাকি সে রকমই বলে। কিন্তু এবারের নোবেল প্রাপক তিন অর্থশাস্ত্রী প্রতিষ্ঠানের গবেষণা নিয়ে গেছেন অন্য খাতে। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল পুরস্কার। নর্থের মতো মুক্ত-বাজার-সহায়ক প্রতিষ্ঠানে তাঁরা আটকে থাকেননি। তিনজনের জোটকে নোবেল কমিটি স্বীকৃতি দিলেও ধারে এবং ভারে আসেমগলুর নামই প্রথমে আসবে। 

আসেমগলুদের মতে প্রতিষ্ঠান মূলত দুরকম হতে পারে। এক ধরনের প্রতিষ্ঠান আহরণমূলক বা এক্সট্র্যাকটিভ, যা উৎপাদন ও উদ্ভাবনকে প্রণোদনা দেওয়ার বদলে যেটুকু যা সম্পদ তৈরি হচ্ছে তা-ই বিশেষ ক্ষমতাধারী গোষ্ঠী বা শ্রেণিকে পাইয়ে দেয়। আর্থনীতিক কাজকর্মের থেকে উদ্ভূত ফল অসম অনুপাতে সেই গোষ্ঠীরই হস্তগত হয়। ধরা যাক দাস ব্যবসা, যা দীর্ঘকাল চলেছে নির্দিষ্ট সামাজিক রীতি (নর্ম) ও নির্দেশ (কম্যান্ড) নির্ভর করে, উচ্চ শ্রেণিদের স্বার্থর দিকে লক্ষ রেখে। এও এক ধরনের এক্সট্র্যাকটিভ প্রতিষ্ঠান। এক সময়ে বামপন্থী বিশ্লেষণে ভারতীয় কৃষি-ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ‘আধা-সামন্ততন্ত্র’ কথাটি খুব ব্যবহৃত হত। এই ব্যবস্থায় জমির মালিক তথা ঋণদাতা ভাগচাষীকে এমন সুযোগ দেবেন না যাতে কৃষির উৎপাদনশীলতা বেড়ে যায়, চাষির আয় বাড়ে এবং তিনি ঋণমুক্ত হন। এ ক্ষেত্রে বর্গাদারী ব্যবস্থাটিকে বলা যায় এক্সট্র্যাকটিভ, যা কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক নয়। এখন আমাদের ঘরের কাছে আছে অতি পরিচিত 'সিন্ডিকেট' নামক আহরণমূলক প্রতিষ্ঠানটি। পাঠক কল্পনা করে নিতে পারেন, সেটি না থাকলে পশ্চিমবঙ্গের ইমারত শিল্পের প্রগতি কেমন হতে পারত।   

তাহলে অন্যরকম প্রতিষ্ঠানটি কেমন? সেটি এরকম আহরণমূলক নয়, যাকে আসেমগলুরা বলছেন ‘ইনক্লুসিভ’ বা সমন্বিত। সেখানে আর্থনীতিক উদ্যোগ এবং পরিশ্রম যথাযথ পুরস্কৃত হবে; বাজারে সকলের সমান অন্তর্ভুক্তিতে কোনও রাজনৈতিক বা জাত পরিচয় বাধা হবে না। ইতিহাস ঢুঁড়ে দেখলে এই দু প্রকার প্রতিষ্ঠানেরই অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। আসেমগলুদের কৃতিত্ব তাঁরা কয়েক শতকের পরিসংখ্যান ঘেঁটে, আঁটোসাঁটো সংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণা পদ্ধতি ব্যবহার করে, সমন্বিত প্রতিষ্ঠান ও আর্থনীতিক প্রগতির মধ্যে জোরালো সম্পর্ক স্থাপন করতে পেরেছেন।    

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখানো যায় তথাকথিত ‘ভাগ্যের ডিগবাজি’। মাথাপিছু আয়ের নিরিখে মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া বা আফ্রিকায় সাহারার নীচের দেশগুলি – যাদের সাধারণভাবে ‘উন্নয়নশীল’ বলা হয় – তাদের থেকে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। উন্নয়নের অর্থনীতির পাঠ্যবইয়ে পশ্চাদপদতার যে কারণগুলি উল্লেখ থাকত তা হল পুঁজিতে বিনিয়োগ কম, শিক্ষার ধীরগতি প্রসারের কারণে মানব পুঁজির অভাব, প্রায় অচল প্রযুক্তি ইত্যাদি। কিন্তু এগুলি সবই যাকে বলা যায় ‘সমীপবর্তী কারণ’, যে কারণের আবার গভীরতর কারণ থাকা সম্ভব, যাকে বলা যায় ‘মূল কারণ’। মার্কসীয় তত্ত্বে এই ‘মূল কারণ’ খোঁজা নিয়ে হাসিঠাট্টাও কম হয়নি। যেমন, ধরা যাক জনৈক মদ্যপ বেসামাল হয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর সমীপবর্তী কারণ হিসেবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোকে যেমন চিহ্নিত করা যায়, আবার পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ব্যক্তি মানুষের বিচ্ছিন্নতা এবং তার মদ্যপ হয়ে ওঠার সম্পর্ক দেখিয়েও কেউ বলতে পারেন দুর্ঘটনায় এই মৃত্যুর আসল কারণ পুঁজিবাদী সমাজ। মজার ব্যাপার হল, সমাজবিজ্ঞানে এই সমীপবর্তী কারণ থেকে গভীরে প্রোথিত মূল কারণে পৌঁছনোর কোনও সোজাসাপটা ফর্মুলা নেই।  

উপনিবেশায়নের প্রক্রিয়াটি আসেমগলুরা খুব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছেন, যে পাঠে অর্থনীতির সঙ্গে ভূগোল, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে মেশাতে হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়নের ইতিহাসের ব্যাখ্যায় কেউ কেউ ভৌগোলিক পার্থক্যকে কেন্দ্রে রাখতে চান। যুক্তিটা হল, পেছিয়ে পড়া দেশগুলির অধিকাংশই রয়েছে নিরক্ষরেখার আশপাশে, যেখানে বৃষ্টিপাত বেশি এবং গ্রীষ্মমণ্ডলে বিদ্যমান রোগভোগের (যেমন ম্যালেরিয়া) প্রাদুর্ভাব বেশি। আসেমগলুরা বললেন, ভৌগোলিক অবস্থান এবং আর্থনীতিক অনুন্নয়ন, এরকম দুটি বৈশিষ্টের মধ্যে সহগতির সম্পর্ক থাকতেই পারে, কিন্তু তা থেকে বলা যায় না একটি (ভৌগোলিক অবস্থান) অন্যটির (অনুন্নয়ন) কারণ। উপনিবেশায়নের ইতিহাস সেটি প্রমাণ করার সুযোগ এনে দেয়। ভূগোল যদি নির্ধারক হত তাহলে তো উপনিবেশায়নের আগে যে সব অঞ্চল সমৃদ্ধ ছিল তারাই থাকত আজকের উন্নত বিশ্বে, আর তখন যারা পিছিয়ে ছিল এখনও তাদেরই পিছনে থাকার কথা। কিন্তু তা হয়নি। উপনিবেশায়নের ফলে এক প্রকার ‘ভাগ্যের ডিগবাজী’ বা ‘রিভারসাল অব ফরচুন’ ঘটে গেছে; সমৃদ্ধশালী অঞ্চল তাদের জৌলুস হারিয়ে ঢুকেছে আজকের উন্নয়নশীল পরিবারে, আর সেকালের অনুন্নত অঞ্চল হয়েছে এখনকার উন্নত বিশ্ব। এই সামান্যীকরণে একটু ফাঁক-ফোকর থাকলেও মোটের উপর গ্রহণযোগ্য। 

ভূগোল-কেন্দ্রিক ব্যাখ্যার দুর্বলতা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু এ থেকে ভাল প্রতিষ্ঠান আর খারাপ প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বে কীভাবে উপনীত হলেন তাঁরা? ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপীয়রা তাদের বিভিন্ন উপনিবেশে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে এবং তার ফলে যে আনুষঙ্গিক প্রতিষ্ঠানগুলি গুরুত্ব পেয়েছে তারা একই রকম নয়। বেলজিয়ান উপনিবেশ কঙ্গো থেকে শুরু করে ক্যারিবিয়ান এবং মধ্য আমেরিকার খনি – সর্বত্রই দমনমূলক শ্রম প্রক্রিয়া দেখা যায়, যা আহরণমূলক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার উদাহরণ। ভারতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তও তাই। অন্যদিকে ‘নতুন বিশ্ব’ উত্তর আমেরিকা এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ইউরোপীয়রা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে দেশগুলিকে নিজেদের পছন্দসই ধাঁচে গড়ে তুলে। স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার একটি কারণ অবশ্য রোগবালাই সেখানে কম। অন্যদিকে জমি অঢেল কিন্তু খাটার লোকের অভাব। ফলে, স্থানীয়দের একাংশের সঙ্গে আঁতাত করে অন্যদের শ্রমে বাধ্য করে সম্পদ আহরণের যে প্রাতিষ্ঠানিক মডেলটি মধ্য আমেরিকা ও কারিবিয়ানে গজিয়ে উঠল, তা সে সব দেশে চলবে না। এই দেশগুলিতে তাই প্রতিষ্ঠানগুলি এমন চেহারা নিল যা ব্যক্তির উদ্যোগকে পুরস্কৃত করতে সম্পত্তির অধিকারে জোর দিল; প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার গুরুত্ব পেল। সেই সঙ্গে অবশ্য দাস ব্যবসার মতো কুৎসিত ব্যাপারও চলতে থাকল। কিন্তু সেইসব অর্থনীতির দ্রুত উত্থানের পক্ষে দাস ব্যবসা অন্তরায় হওয়ার কথা নয়।

অর্থনীতির প্রগতির সঙ্গে সমন্বয়ী প্রতিষ্ঠানের জোরালো সম্পর্ককে কঠোর পদ্ধতির সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত করায় এই ত্রয়ী অভিনন্দনযোগ্য। সমাজবিজ্ঞানে কোনও তত্ত্বই তর্কাতীত নয়। তর্ক থাকবে। এই তর্ককে উসকে দেওয়ার কাজটি শুধু অর্থনীতির উচ্চস্তরের গবেষণা পত্রিকায় পেপার প্রকাশের মধ্যে দিয়ে হয় না। তাই আসেমগলুরা তাঁদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান সেভাবে আটকে রাখেননি। গবেষণার নির্যাস নিয়ে আসেমগলু ও রবিনসন ‘হোয়াই নেশানস ফেল’ শিরোনামে একটি চমৎকার বই প্রকাশ করেন বারো বছর আগে যা অর্থনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে যে কোনও সিরিয়াস পাঠকের আগ্রহের সঞ্চার করবেই। আসেমগলু ও জনসনের সাম্প্রতিক বই ‘পাওয়ার এন্ড প্রগ্রেস’ও অবশ্যপাঠ্য মনে করি। 

প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন – যা আমাদের এনে ফেলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টালমাটাল ক্ষেত্রে – নানান উদ্বেগের জন্ম দিয়ে চলেছে ক্রমাগত। আসেমগলু ও জনসন মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কার লাভ কার ক্ষতি এই প্রশ্নটি গত সহস্র বছরের মতো আজও প্রাসঙ্গিক। বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান সমূহই নির্ধারণ করে দেয় লাভক্ষতির ভাগাভাগি কেমন হবে। মনে রাখতে হবে, সমাজই চয়ন করতে পারে ন্যায্য প্রতিষ্ঠানটিকে।


3 comments:

  1. আলোচনাটি আকর্ষণীয়।
    বিষয়টি একটু জটিল।
    লেখক সহজভাবে উপত্থাপনের চেষ্টা করেছেন, ধন্যবাদ তার জন্য। তবে ভারতে ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব আরো বিস্তৃত আকারে আলোচনা দরকার।
    সামগ্রিকভাবে প্রবন্ধটি ভালো মানের।
    অসিত

    ReplyDelete
  2. সুভাষ দাস :
    সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।
    শেয়ার করলাম।

    ReplyDelete
  3. আরেকটু বিশ্লেষণ করলে নয়-অর্থনীতি বিষয়ের লোকদের বুঝতে সুবিধা হয়

    ReplyDelete