Pages

Tuesday, 10 September 2024

সাবির মালিক হত্যার বিচার চাই

অনেকেই নিশ্চুপ কেন?

বর্ণালী মুখোপাধ্যায়



পরিযায়ী শ্রমিক আজ বিশ্ব জুড়ে পুঁজিবাদের মাথাব্যথা। ধুঁকতে থাকা পুঁজিবাদী অর্থনীতি শ্রমের এই মুক্ত যাতায়াত সহ্য করতে পারছে না; যদিও গতরের মুক্ত দাম নির্ধারণ ছিল পুঁজিবাদের মুক্ত অর্থনীতির প্রাথমিক শর্ত। ইউরোপিয় ইউনিয়ন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পরিযায়ী শ্রমিক উদ্ভূত সংকট একটি অন্যতম ভিত্তি ছিল বৈকি। কিন্তু বেকার সমস্যা ও অসাম্যকে মোকাবিলা করতে অক্ষম পুঁজিবাদ এই সমস্যা মেটাতে তো পারেইনি, ক্রমেই তা এক বিস্ফোরণের চেহারা নিয়েছে। জেল ও মৃত্যুকে উপেক্ষা করে পরিযায়ী শ্রমিকের ঢল নামছে। পুঁজিবাদী কায়দায় মোকাবিলা হচ্ছে এই ঢলের, অর্থাৎ, পরিচিতি সত্তাকে হাতিয়ার করে মৌলবাদের বিস্তার হচ্ছে দেশে দেশে।

পশ্চিমবঙ্গ যখন তিলোত্তমার ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব, ঠিক তখন অগস্টের শেষ সপ্তাহে সাবির মালিক নামে এক বছর পঁচিশের মুসলিম বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে হরিয়ানার দুষ্কৃতিরা। তারা নিজেদের গোরক্ষক বাহিনী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছিল। সাত জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে দু' জন আবার প্রাপ্তবয়স্কই নয়। 

হরিয়ানার ভান্ডওয়া গ্রামে সাবির সপরিবারে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বাড়ি বাড়ি থেকে লোহালক্কর বা স্ক্র্যাপ কিনতেন তিনি। সাড়ে তিন বছর হল সাবির সেখানে গেছেন, বাড়ির বড় ছেলে। কলকাতার উপকণ্ঠে বাসন্তী অঞ্চলের মেয়ে তাঁর স্ত্রী, একটি আড়াই বছরের কন্যাও আছে তাঁদের। এই ভয়ানক হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে তাঁদের ওখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন সাবিরের শ্বশুর আর শ্যালক। ওই এক চিলতে ঘরেই তাঁদের দিন কাটছিল, অভাব, অনটন আর স্নেহ ভালবাসায়। মেয়েটিকে লেখাপড়া করানোর ইচ্ছা মায়ের, পয়সা জমানোর জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা তাঁর। 

হঠাৎ একদিন সব স্বপ্ন চুরমার করে একদল গোরক্ষকের আগমন। সামনে হরিয়ানায় ভোট যে! ওই পাড়ায় যত মুসলমান পরিযায়ী থাকেন, তাদের বাড়িতে বাড়িতে হানা আর হুমকি চলল। তাদের কাছে নাকি খবর আছে গরুর মাংস খাওয়া হচ্ছে সেখানে। দিনটা কেটে গেল, কিন্তু মৃত্যুর ছায়া ঘনিয়ে এল। দু' দিনের মাথাতেই সাবির সহ আরও তিন-চারজন অহমিয়া মুসলিম পরিযায়ী শ্রমিকদের টানতে টানতে থানায় নিয়ে যাওয়া হল, ব্যবসার জিনিস কেড়ে নিল গোরক্ষা বাহিনী। জামাইবাবুর সাথে দৌড়ল তাঁর শ্যালকও। পুলিশ ধমকালো, চমকালো, তারা নাকি গরুর মাংস খেয়েছে এবং এসব এখানে আর চলবে না। যদিও সাবির'রা বারবার বলেছিলেন যে ওই অঞ্চলে কোনও গরুর মাংস বিক্রি হয় না, তবু পুলিশ হুমকি দেওয়া থামায়নি। কিন্তু আজ শ্যালক আর স্ত্রীর আফশোস, যদি পুলিশ সেদিন গ্রেফতার করে নিত, তাহলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন সাবির। পুলিশ ছেড়ে দিল, এবার বাড়ি ফেরার পালা। কিন্তু গোরক্ষা বাহিনী ওই অহমিয়া পরিযায়ী শ্রমিক আর সাবিরকে ছাড়তে চাইল না। তাদের বক্তব্য ছিল, অনতিদূরে সাবিরের মাল রাখা আছে, সেখানে ওদের সঙ্গে গিয়ে সে মাল নিয়ে আসুক। গোরক্ষা বাহিনী দু' ভাগ হয়ে একদল সাবিরকে নিয়ে চলে গেল, অহমিয়া দুই জনকে নিয়ে গেল আরেক দল। কেউ আর ফিরল না। চব্বিশ ঘণ্টা অধীর অপেক্ষার পর সাবিরের স্ত্রী আর শ্যালক যখন খোঁজ নিতে আবার গেলেন থানায়, তখন তাঁদের জানানো হল যে সাবির হাসপাতালে আছে; আসলে ছিল মর্গে। অনেক কাকুতিমিনতির পর কোনও এক সদয় পুলিশ আধিকারিক এফআইআর করলেন, যদিও তাতে লেখা হল মারপিট করে মৃত্যু। অহমিয়াদের জন্য কেউ কিছুই বলল না, তাদের খবর সম্পূর্ণ চেপে দেওয়া হল (ডবল ইঞ্জিনের দৌলতে হয়তো)। স্ত্রী আর সাবিরের বাবার অভিযোগ যে ওখানে গত তিন বছর ধরে বিজেপির লোকেরা বারে বারে তাঁদের জিজ্ঞেস করত যে তাঁরা কি বাংলাদেশী? ওরা কি মোদিকে ভোট দেয় নাকি মমতাকে?

এখন বঙ্গে তিলোত্তমার নৃশংস মৃত্যুকে ব্যবহার করে ভোট ছাড়াই ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। রাজ্য সিপিআইএম এবং কংগ্রেস তাদের সাগরেদ। এখনও ডবল ইঞ্জিন সরকার এ রাজ্যে নেই, তাই হরিয়ানার প্রত্যুত্তরে এখানে পরিযায়ী শ্রমিক খেদাও অভিযান শুরু হয়নি। বিজেপির কাছে পরিযায়ী মানে অবশ্য অন্য রাজ্যের হিন্দু শ্রমিক নয়। তাদের কাছে পরিযায়ী হল এ রাজ্যেরই মুসলমান মানুষ। সাবিরের প্রতিবাদ আমরা করছি কিন্তু প্রতিশোধের স্পৃহা প্রকট হয়নি। 

ডবল ইঞ্জিন সরকার হল বিজেপির বাল্কানাইজেশনের প্রাথমিক শর্ত। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা তাদের লক্ষ্য। পরিচিতি সত্তাকে ব্যবহার করে দেশটাকে টুকরো টুকরো করতে চায় তারা। মেহনতী মানুষের ঐক্যকে ধ্বংস করতে চায় তারা। বিজেপি খুব ভাল করেই জানে যে হরিয়ানার সাধারণ মানুষের বাড়িতেই সাবির'রা ভাড়া থাকত। শুধু সাবির নয়, অসম থেকে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা গিয়েছিল, তারাও। হরিয়ানার অধিবাসী বাড়ির মালিক কিন্তু ভাড়া দিয়েছিলেন তাঁদের, বাঙালি বলে কোনও বিদ্বেষ ছিল না হরিয়ানার বাসিন্দাদের মনে। অর্থাৎ, ঘৃণা জন্মগত নয়, হরিয়ানার সাধারণ মানুষ বাঙালি বা বাংলাদেশি বলে ভারতের পূর্ব প্রান্ত থেকে যাওয়া পরিযায়ীদের বিতাড়ন করেননি, এটা জানে বিজেপি-আরএসএস আশ্রিত এই গোরক্ষক বাহিনী। জনগণের এই ঐক্য মেনে নিতে তারা রাজি নয়। তাই তারা শুধু পরিযায়ীদের হত্যা করেছিল তাই নয়, বাড়ির মালিকদের এসেও শাসিয়ে গেছে।

তবে সমস্যা হল, শুধু পুলিশ নয়, আইন আদালত যদি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই সামাজিক মুখোশ পড়া রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভূমিকা নিত তবে তা থেমে যেত অনেক আগেই। পুঁজিবাদের রক্ষাকবচ এই অনির্বাচিত আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং তার মাথায় বসে থাকা মহামান্যগণ জেগেও ঘুমিয়ে আছেন। আমাদের দেশের আইন আজও স্বৈরতান্ত্রিক, বৃটিশ ছায়ায় ঢাকা। তাই এ হেন হত্যার কোনও শাস্তি পাওয়া যায় না। একটা বা দুটো ঘটনার পর আদালত সুয়োমোটো মামলা গ্রহণ করলে আজ মহামারীর মতো পরিযায়ী শ্রমিক পিটিয়ে হত্যা এভাবে ছড়িয়ে পড়ত না। একে কেন্দ্র করে যে পারস্পরিক পরিচিতি সত্তার হিংস্রতা তৈরি হয় তাকে মোকাবিলা করা যেত সহজে। এই পরিচিতি সত্তাই হল ফ্যাসিবাদী উত্থানের উর্বর ভিত্তি, যা পুঁজিবাদের আজ বড়ই প্রয়োজন।

পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য সুরক্ষা কবচ এ দেশে রয়েছে। রাজ্যের মধ্যেই কাজের সন্ধান, অন্য রাজ্যে গেলেও চিকিৎসা, রেশনের সুবিধা আছে, কিন্তু অন্যান্য ঘোষণার মতো এই সব ঘোষণাও টাকা আর সদিচ্ছার অভাবে বিশ বাঁও জলে। যদিও অভাব হওয়ার কথা ছিল না। পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমানোর জন্য কৃষিকে লাভজনক করা প্রথম কাজ। কর ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন যদি নাও হয়, একচেটিয়া কালো সম্পদ যদি বাজেয়াপ্ত নাও হয়, তবু কৃষিকে লাভজনক করার জন্য কর ব্যবস্থায় সামান্য অদলবদল করলেই চলত, যা অনেক ক্ষেত্রেই পরিযায়ী শ্রমের ঢল কমাতে পারত। তাছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সুরক্ষার খরচ তো নামমাত্র। সম্পদ করের অদলবদল করলে অন্তত বাড়তি দু' লাখ কোটি টাকা উঠতে পারে, এদিকে কর্পোরেট কর আগের ৩০ শতাংশ হারে ফিরিয়ে আনলেই আরও ৪ লাখ কোটি উঠবে। এই বাড়তি ছয় লাখ কোটিতে দেশ জুড়ে মোট ১২ কোটি মেট্রিক টন ধান আর ১১ কোটি মেট্রিক টন গম কুইন্টাল পিছু ২৫০০ টাকায় কেনা সম্ভব। এর ফলে সাবিরদের পারিবারিক কৃষি কাজ এতটাই লাভজনক হবে যে তাদের হয়তো হরিয়ানায় যেতেই হত না।   

আসলে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে না পারলে এই পরিযায়ী শ্রমিকের যাতায়াত বন্ধ করা যাবে না, বা দেশকে টুকরো টুকরো করা সম্ভব নয়। গণতন্ত্রের স্তম্ভ জনপ্রতিনিধিত্বমুলক ব্যবস্থা, যাকে ঘিরে রেখেছে আমলাতন্ত্র, আদালত, সামরিক ব্যবস্থা। জনপ্রতিনিধিত্বকে ক্রমাগত দমানোর প্রক্রিয়া চলছে, দুর্নীতিতে রঞ্জন গগৈরা ইডির আওতায় আসেন না। অথচ দেশের যে কোনও জনপ্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীদের বাড়ি ঢুকে গ্রেফতার করে আনছে ইডি। তাদের কোনও রক্ষাকবচ নেই, যদিও আদালত থেকে রাজ্যপাল, এমনকি সরকারি আমলাদেরও রক্ষাকবচ আছে।

এখনও এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন নেই। তাই সাবিরকে নিয়ে লিখতে পারছি। তাই পরের ভোটে বিজেপি'কে দেশ ছাড়া করার স্বপ্ন দেখতে পারছি।


5 comments:

  1. জ্যোতিবাবু একবার বলেছিলেন, বিজেপি হচ্ছে বর্বরের দল। সেটা তখন বোঝা যায়নি। আজ বোঝা যাচ্ছে তারা কতটা বর্বর এবং নৃশংস। আজকে গোটা উত্তর ভারতে যেপরিমাণ মুসলমান নাগরিকদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, তাদের যেকোনো অজুহাতে হত্যা করা হচ্ছে, তা ভারতবর্ষের গণতন্ত্রে এক কলম করার জনক অধ্যায় বলে আমি মনে করি। আজ আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও তথাকথিত বামপন্থীরা, এটা দেখেও ন্যূনতম প্রতিবাদটুকু করে না। তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় কিভাবে আসা যায় তার চিন্তা করে। আরজি করে নির্যাতিতা ডাক্তার মেয়েটির একটা ইস্যু পাওয়া গেছে। এই মেয়েটির প্রতি সমবেদনা পশ্চিমবঙ্গের এমন মানুষ নেই, যার নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত বামপন্থীরা, এটাকেই তাদের ক্ষমতায় ফেরার অস্ত্র বলে মনে করছে। ফলে আর কোথায় কি হচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে মুসলমানদের মারা হচ্ছে সেসব দেখার তাদের সময় নেই। এ দ্বিচারিতা অন্তত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বুঝতে পেরেছে। এরা স্পষ্ট চেষ্টা করলেও, ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

    ReplyDelete
  2. চমৎকার লেখা। ইতিমধ্যে ই সংবেদনশীল
    মুখ্যমন্ত্রী সাবির মল্লিকের বাড়ি গিয়ে
    পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
    মিছিল‌ও হয়েছে।
    তবে চারিদিকে হিংস্র প্রলাপ দেখে শেক্সপিয়ারের জুলিয়াস সিজারের মার্ক
    অ্যান্টনি র সঃলাপ মনে পড়ছে, Mischief thou art afoot
    . Take thou what course thou wilt.

    ReplyDelete
  3. লেখাটা পড়লাম। যৌক্তিক। কিন্তু তিলোত্তমার প্যারাগ্রাফ টার ভুল ব্যাখ্যা আছে। বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখতেই পারে, তাতে আন্দোলনকারীদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু বাস্তবে এই আন্দোলনের যে জোয়ার তা সাবিরের শোচনীয় মৃত্যু তে হচ্ছে না কেন? কারণ, যার লড়াই তাকেই লড়তে হবে। অন্যকেউ পরিযায়ীদের হয়ে লড়ে দেবে না। একটি মেয়ের এই শোচনীয় মৃত্যুতে সব মেয়ে, সব মা নিজেদের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা, বঞ্চনা থেকে লড়তে নেমেছে। এটা বুঝতে হবে।

    ReplyDelete
  4. একটি আন্দোলন চললে, তার নিজস্ব ডায়নামিক্স কাজ করে। খুব কম ক্ষেত্রেই আজকের রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন গড়ে তোলে, কিন্তু তারা আন্দোলনের ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতায় আসে। যেভাবে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ঘাড়ে চড়ে মমতা এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছেন। ব্যতিক্রম আছে, সেটা খুব সুখের ব্যতিক্রম নয়--বিজেপি রামমন্দির আন্দোলন গড়েছে এবং ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতায় এসেছেও।
    তিলোত্তমা বা অভয়া নিয়ে আন্দোলন মূলত তিনটে আলাদা ধারায় হচ্ছে। এক, জনসমাজের আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন একদিকে ডাক্তারের অন্যদিকে নারীবাদীরা--তবে এর রাশ সত্যিকারের অর্থে কারও হাতে নেই। দুই, বিজেপি; তার উদ্দেশ্য ও পথ নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই, তবে বলার কথা হল ডাক্তারি আন্দোলনের মধ্যে অনেকেই ভাবছেন মমতাকে বিসর্জন দিয়ে বিজেপি আনা একটা প্র্যাক্টিক্যাল সমাধান। কিন্তু তাঁরাও আবার বিজেপি-র নেতানেত্রীদের, বিজেপি-র পরিচিত মুখদের, সামনে আনতা নারাজ। নারাজ এই জন্য নয় যে তাহলে লোকের চোখে আন্দোলন পার্টি আন্দোলন হয়ে যাবে, নারাজ এইজন্যই যে তাঁরা বিজেপিকে আসলে বিশ্বাস করেন না, তার নারী-সুরক্ষার রেকর্ড নিয়ে সন্দিহান। একইরকমভাবে, দাক্তারি আন্দোলনে এবং নারী-আন্দোলনে সরকারি বামপন্থীরা রয়েছেন, তাঁদের মনে ইচ্ছাও আছে যে আরেকবার বাম সরকার আসুক। কিন্তু তাঁরাও বাম রাজনৈতিক দলের ঝান্দডার তলায় অ্লযাআন্দোলন করতে চান না, এবং সেটা কেবল জনসমর্থন হারানোর জন্য নয়।
    সাবিরের হত্যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনসমাজ আলোড়িত নয়। তার হাজার একটা কারণ আছে। কারণগুলো সমর্থনযোগ্য, এমন বলার বিন্দুমাত্র হেতু নেই, কিন্তু সেগুলো বাস্তব অবস্থার বিশ্লেষণ, সেগুলো উড়িয়ে দিয়ে "কিছু লোক কেবল অভয়া আন্দোলন করে, সাবির আন্দোলন করে না, তারা মন্দ লোক", এরকম ছেলেমানুষী গোঁইয়ারতুমির গাড্ডায় না পড়াই ভালো।
    ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আগের অংশে অভয়া আন্দোলনের তিনটে ধারা বলেছি, কিন্তু তৃতীয় ধারাটার নাম করা হয়নি। সেটা হল সংসদীয় বামদের পতাকায় করা, মূলত সিপিএমএর পতাকার তলায়, করা আন্দোলন। ধন্যবাদ।

      Delete