Pages

Sunday, 11 August 2024

বাংলাদেশ থেকে আহ্বান

তরুণের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ

বিধান চন্দ্র পাল



দেশে, দেশের বাইরে অসংখ্য মানুষ যে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন সেটা সুস্পষ্ট এবং তা হওয়াটাও অত্যন্ত স্বাভাবিক। সে জন্য সবাইকেই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশের মানুষ, বিদেশের মানুষ, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের মানুষ- সবাই আপনারা দেশকে নিয়ে ভাবছেন। কথায় আছে বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। এ ক্ষেত্রে তাই আমি বলতে চাই, দেশের এই পরিস্থিতিতে যারাই দেশকে নিয়ে ভাবছেন, নিয়মিতভাবে খোঁজ-খবর রাখছেন, লিখছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে এই পরিস্থিতিকে নানান উপায়ে বিশ্লেষণ করছেন, এমনকি সমাধানের জন্য অবদান রাখছেন, তারাই আসলে প্রকৃত দেশপ্রেমিক। দেশকে নিয়ে ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের চেতনাবোধ, বাংলাদেশের প্রতি গভীর ও আন্তরিক বন্ধুত্ব এবং মমত্ববোধ ভেতরে না থাকলে এটা কখনও আসে না, কিংবা হয় না। 

দেশে ও দেশের বাইরের মিডিয়া সহ অনেকেই সাম্প্রতিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে নানান মতামত দিচ্ছেন, সমালোচনায় মুখর আছেন। আমি শ্রদ্ধার সাথে সবার মন্তব্য ও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ভাবে আমার নিজস্ব কিছু মতামত জানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এই লেখাটি লিখছি।

নতুন প্রজন্ম (যদিও এখনও খুব ভালোভাবে সবাইকে আমার মতো আরও অনেকেরই হয়তো জানার ও বোঝার সুযোগ হয়নি) যেন প্রাণপণ প্রচেষ্টায়, এমনকি অনেকেই বীরের মতো প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গর্ত থেকে বাংলাদেশের সব বয়সী মানুষকে টেনে হিঁচড়ে সাহসের সাথে ওপরে, অর্থাৎ, ডাঙায় তুলে নিয়ে এসেছে। তারপর বেশিরভাগ মানুষই দেখতে পেয়েছে একটি নতুন দেশ- দুর্নীতির আবহ থেকে মুক্তির গন্ধ, পেয়েছে প্রাণ খুলে কথা বলার মতো হিমেল বাতাস এবং তরুণ সমাজ নতুনভাবে ও নতুন পণ নিয়ে দেশকে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। 

এটাই আসলে কি প্রকৃত স্বাধীনতা- তা নিয়ে প্রশ্ন ও শঙ্কা অনেকের মধ্যেই এখন আসতে শুরু করেছে। কারণ, এটা সুস্পষ্ট হয়েছে যে, দীর্ঘদিন হল সমাজবদ্ধ হয়ে ওঠার পরিবর্তে আমরা কেবল ব্যক্তিগত ও বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্রমেই দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল। ফলে, একদিকে আমরা দেখলাম তরুণ সমাজ এবং সবার অংশগ্রহণে মুক্তি ও বিজয় যখনই অর্জিত হল, ঠিক তারপর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক আক্রোশে আক্রান্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, সাধারণ মানুষ এবং বিশেষভাবে নির্দিষ্ট সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ওপর নির্বিচারে আক্রমণ, নির্যাতন, গণহত্যা, চুরি-ডাকাতি, ধর্মীয় উপাসনালয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভাস্কর্য সমূহ ভেঙে ফেলা, জমি দখল ও লুঠপাট সহ আরও অনেক উল্টো অপ্রত্যাশিত চিত্র অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে একের পর এক ঘটে গেল, যা ভীষণ লজ্জা ও নিন্দার। এগুলো ঘৃণিত ও জঘন্য এবং কুৎসিত মন-মানসিকতারই পরিচয়, এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। 

আসলে জাতির ইতিহাস ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এত বড় পট পরিবর্তন ঘটে যাবে, সেটা কেউ এ দেশের মানুষ কল্পনাও করেনি। আমি বলব, এটা কেমন যেন হঠাৎ করেই হয়ে গেছে বা ঘটে গেছে। তবে এটা নানান কারণেই আজ হোক বা কাল, বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য অনিবার্য হয়ে পড়েছিল।      

যাই হোক, ডাঙায় তোলার পর স্বাভাবিকভাবেই সেখানে অনেকের গায়েই এখনও কাদা-মাটি-নোংরা লেগে আছে, যা মুছতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হবে। অনেককে তুলতে গিয়ে আহত হবার মাধ্যমে যে দাগ বা ক্ষত তৈরি হল, তা হয়তো অনেককেই সারাটা জীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হবে। ওপরে ওঠার পরে প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদার জিনিসপত্রগুলো সবাই হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে না পাবার কারণে কাড়াকাড়ি-মারামারি, খামচা-খামচি কিংবা তারও থেকে ভয়ানক ও লোমহর্ষক কর্মযজ্ঞ যা ভয়াবহ ও জঘন্য রূপ ধারণ করতে পারে, তা কখনই কারও কাম্য হতে পারে না। এত কিছুর পরও বলব, মানুষ আসলে অতিষ্ঠ হয়ে আছে, তারা অচিরেই শান্তি চায়, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচার পরিবেশ নিশ্চিত হোক সেটা চায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকুক সেটা চায়। তাই, সাধারণ মানুষ সহ সবাই নতুন প্রজন্মের বিজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রেখে সম্মানের সাথে সাম্প্রতিক সকল সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। 

এ মুহূর্তে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সবার মনেই আশা জাগাচ্ছে, যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন সদস্যের নির্বাচন নিয়ে জনমনে ও  মিডিয়ায় অনেক প্রশ্ন এবং সমালোচনা রয়েছে। সেটাও হয়তো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরও এখন সবার মনেই আশা জাগাচ্ছে বিশেষভাবে একটি বিষয়-- অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলেন একজন বিশ্বনন্দিত নোবেল জয়ী শান্তির দূত। ফলে, সেদিকেই আশায় বুক বেঁধে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতের স্বপ্ন নিয়ে তরুণ সমাজ, দেশবাসী ও সারা বিশ্বই এখন অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে, থাকবে এবং সে জন্য প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে যাবে। 

দেশ জুড়ে যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই নিশ্চিন্তে বাড়ির বাইরে ঘোরাফেরা ও কথা বলতে পারবে, সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বেঁচে থাকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সার্বিকভাবে পুরো অর্থনীতিতে গতিশীলতা ফিরে আসবে, দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে পৌঁছবে, রাস্তাঘাটে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, শিক্ষা পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ আবার সচল হবে, কোথাও আর কোনও বৈষম্য থাকবে না, তখনই এক শান্তিপূর্ণ ও সুস্থির বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সহ সকল ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সকল সংস্কারের প্রক্রিয়াও অচিরেই শুরু হোক, সেটাই সবার আকাঙ্ক্ষা। 

হঠাৎ করেই জাতির ইতিহাস ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই বড় ধরনের পট পরিবর্তনে প্রায় পুরো ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনাই এখন স্বাভাবিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সেগুলোকে এখন পুনরুজ্জীবিত করে তোলার প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, যদিও সেটা খুব সহজ কাজ নয়। ফলে, প্রশ্ন তোলার, সমালোচনা করার খোরাক হয়তো চারপাশে অনেকই খুঁজে বের করা সম্ভব। কিন্তু এখন সমালোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত না করে, সংস্কারের জন্য ও দেশকে স্থিতিশীল করে তোলার যে নতুন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, সেটাকেই সাংবিধানিক নিয়ম অনুসরণ করে Doctrine of Necessity মেনে সুস্থ পথে পরিচালিত করা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। তাই, সেখানেই সবাইকে উৎসাহ দিতে অনুরোধ, বিনীত আবেদন ও উদাত্ত আহ্বান জানাবো। আর এ জন্য নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়ও দিতে হবে; দেশে, দেশের বাইরে ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-দেশ সবাইকেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করাটাও জরুরি হবে বলে আমি মনে করি ও সেটা আন্তরিকভাবে প্রত্যাশাও করি। তাহলে দেশে অচিরেই শান্তি ফিরে আসতে পারে কিংবা সেদিকে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হতে পারে। 

মনে রাখতে হবে, এই প্রজন্ম কখনও ভাষা আন্দোলন দেখেনি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, এমনকি নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানও দেখেনি। তাদেরকেই বলা হচ্ছে Gen-Z - যাদের জন্মগ্রহণ ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের বেড়ে ওঠার সময়কালে কিংবা জন্মের পরে যে শাসককে দেশ শাসন করতে দেখেছে তারা, তা নিয়েই মন্তব্য, ভালো-মন্দ বিচার, ক্ষোভ, দাবি এমনকি উচ্ছৃঙ্খলতা পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারে, যা অন্য কাউকে নিয়ে হয়তো অতটা তারা পারবে না, সঙ্গতভাবে করবেও না।  

ফলে, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে অবশ্যম্ভাবীভাবে তরুণ সমাজের মনস্তত্ত্ব বুঝতে হবে, তাদের কথা আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে, তাদের সব ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে, ধর্ম ও অর্থের মাধ্যমে তারা যাতে নোংরাভাবে ব্যবহৃত না হতে পারে বা কেউ যাতে তাদেরকে ব্যবহারের সুযোগ আর কখনও না পায়, সেদিকে সচেতনভাবে খেয়াল রাখতে হবে, তারা যাতে পরিবেশ বিনষ্টকারী কাজে সম্পৃক্ত না হয় সে জন্য তাদের মধ্যে পরিবেশগত ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা চেতনা বাড়াতে হবে; তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ দিতে হবে, মূল্যবোধ সমুন্নত ও পরিবেশবান্ধব মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। এ জন্য তাদের প্রশংসা করার পাশাপাশি সঠিক পথে গাইড করাটাও অত্যন্ত জরুরি হবে। তবে সেটা একপাক্ষিক হলে চলবে না, কারণ, তাদের কাছ থেকেও অন্যদের শেখার অনেক কিছুই আছে। এই ধরনের সুস্থ একটি চর্চার আবহ অচিরেই তৈরি করা সম্ভব, না হলে কিংবা এই প্রক্রিয়া কোনওভাবে আবার বাধাপ্রাপ্ত হলে এর পরিণাম পুরো জাতির জন্য আরও ভয়াবহ হতেই বাধ্য। 

মনে রাখতে হবে, সময়ের পরিক্রমায় অনেকদিন ধরে সংবিধান সহ মৌলিক বিষয় সমূহে পরিবর্তন, বিভিন্ন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, শিক্ষা ব্যবস্থা সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চায় পৃষ্ঠপোষকতার ধরনে পরিবর্তন হয়ে এসেছে বাংলাদেশে। ফলে, দেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে কিংবা অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ, মৌলবাদী, ফ্যাসিবাদী কিংবা ধর্মীয়, জঙ্গি গোষ্ঠীর কিংবা উগ্র ও সন্ত্রাসবাদের যে উত্থান, তা একদিনে হয়নি। অতএব, হঠাৎ করেই একে অস্বীকার করাটা কিংবা সেখানে পরিবর্তন আনাটা এখন খুব কঠিন একটি পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু ইতিবাচকভাবে এ ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনাটা অসম্ভব কিছু নয় বলেই আমি বিশ্বাস করি। 

পরিশেষে বলব, তরুণ সমাজ দায়িত্ব নিয়ে জাতির জীবনে যে পরিবর্তন এনে দিয়েছে, তা আমূল ও অসাধারণ এক পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত বহন করে। তাই এই পরিবর্তনকে সবাই মিলে আমাদের কাজে লাগাতে হবে, ইতিবাচকতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। অনেক খারাপ খবরের ভীড়ে চারপাশে দেখছি, তারুণ্যের মনে জেগে ওঠার এক নতুন উদ্যম শুরু হয়েছে, এই উদ্যমে নানান বয়সী মানুষরাও আবার তারুণ্যের শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে উঠছে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে রাত জেগে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করছে, তারা রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য ভূমিকা পালন করছে, চুরি হওয়া সামগ্রী সমূহ উদ্ধার করে সেগুলো ফেরত দিচ্ছে। এ ধরনের অনেক ঘটনা নিঃসন্দেহে আমাদের মনে সত্যিই আশা জাগায়। একইসাথে এটাও প্রমাণ করে যে, অনেক বিশৃঙ্খলতার মাঝেও তারুণ্যের শক্তিই দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে।  

আমরা আর কোনও অসঙ্গতি চাই না, বৈষম্য, ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক বিদ্বেষ আর হতে দিতে চাই না। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিষচক্রে ও গর্তে আমরা আর নিজেদেরকে ডোবাতে চাই না। যে উঠে দাঁড়ানোর যাত্রা আমরা নতুন করে শুরু করেছি, সেটা ক্রমেই বিকশিত হয়ে উঠুক- কারণ আমার মতো অগণ্য মানুষ এ বিষয়ে নিশ্চিত যে, সেই উঠে দাঁড়ানোর মাঝেই রয়েছে প্রকৃত স্বাধীনতার উপলব্ধি, দেশের ও সবার শান্তি আর সমৃদ্ধি। সবার সুস্থ ও বলিষ্ঠ অংশগ্রহণে দেশ সেদিকেই এগিয়ে যাক এবং যাবেই, সেটাই আমার আপনার সবারই আকাঙ্ক্ষা হোক!


1 comment:

  1. খুব সুন্দর আর প্রাসঙ্গিক লেখা আর বিশ্লেষণ।এই লেখা সর্বত্র পৌঁছে যাওয়া দরকার।

    ReplyDelete