Pages

Monday, 14 August 2023

কোটা: 'শিক্ষা'র বিভীষিকা

কোচিং মাফিয়ার হত্যাপ্রকল্প

পার্থ প্রতিম রায়



রাজস্থানের কোটা শহর কিশোর-কিশোরীদের আত্মহত্যার পীঠস্থান হয়ে উঠেছে। গত এগারো দিনে তিনজন এবং এই বছরে ইতিমধ্যেই উনিশজন ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি পড়ার নামীদামী কলেজে ভর্তির প্রতিযোগিতায় সফল হতে গেলে রাজস্থানের কোটা শহরের কোনও একটি কোচিং, বা নিদেনপক্ষে ওইসব কোচিং'এর পড়ানোর পদ্ধতি মেনে চলে, এমন কোনও কোচিং'এ নাকি ভর্তি হতেই হবে, নইলে জীবনে ‘সফল’ হওয়া যাবে না– এই ধরনের চিন্তা এখন শৈশব থেকেই ছাত্রছাত্রী ও তাদের বাবা মায়েদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়। কে গেঁথে দেয়? শিক্ষাব্যবস্থার বেসরকারিকরণের যে সংস্কৃতি তিলে তিলে গড়ে তোলা হচ্ছে- টাকা খরচ করতে পারলে দেশি বিদেশি ডিগ্রি অর্জন, বেশি মাইনের চাকরি ইত্যাদি সহজেই হাতের মুঠোয় চলে আসে- এইসব চিন্তা দিয়ে চালিত সংস্কৃতিই গেঁথে দেওয়ার কাজটা করে। আর এই সংস্কৃতি তৈরির কাজটা করে সরকারি নীতি ও আচরণ। শৈশব ও কৈশোরের সৃজনশীল ও কল্পনাশ্রয়ী মন এভাবে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে, তা বুঝতে গেলে শিক্ষা-অর্থনীতি-সমাজ সংক্রান্ত একটি সামগ্রিক আলোচনার প্রয়োজন। সেই সামগ্রিক আলোচনায় না গিয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকে বিষয়টিকে বোঝার চেষ্টা করা যাক। 

এক সময় মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা জ্ঞানার্জনের আকাঙ্ক্ষার কারণে লেখাপড়া করত ও যে প্রতিষ্ঠানে জ্ঞানার্জনের সুযোগ বেশি সেখানে ভর্তি হতে চাইত। লেখাপড়ার পর কী চাকরি পাওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তা কম ছিল। মধ্যমেধার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চাকরির ভাবনা বেশি কাজ করত। ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের দেশে চাকুরিজীবী মানুষ তৈরি করতে চেয়েছিল, তাই সেটাই আমাদের অধিকাংশের মনে শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হিসেবে আজও স্থায়ী হয়ে আছে। এখন সব ধরনের ছাত্রছাত্রী ও তাদের বাবা মায়েদের অধিকাংশই লেখাপড়াকে শুধু রোজগার পাবার লাইসেন্স হিসেবে দেখেন।  ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হলে ভালো রোজগার হবে, তাই এই বিষয়গুলি পড়ার ভালো কলেজে ভর্তির জন্য শৈশবের সব আনন্দ বিসর্জন দিতেও এরা প্রস্তুত। 

ভালো কলেজ, যেমন আইআইটি, এনআইটি ইত্যাদিতে ভর্তি হবার পরীক্ষার প্রশ্ন খুব কঠিন, তাই ছোটবেলা থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে; আর এই প্রস্তুতি স্কুলের পড়া দিয়ে হবে না, কোচিং'এর ব্যবস্থা করতে হবে, তা সে যত অল্প বয়স থেকেই বা যত বেশি টাকাই খরচ হোক না কেন– এ ভাবে ভাবেন না এমন অভিভাবক বিরল। অথচ, এটা কেউ ভেবে দেখেন না যে, প্রশ্নপত্র সোজা বা কঠিন হবার সাথে ভর্তির প্রতিযোগিতা কঠিন হবার কোনও সম্পর্ক নেই। আইআইটি গুলিতে সব মিলিয়ে ৬০০০ জনের মতো ভর্তি হতে পারে, আর ভর্তির পরীক্ষা দেয় অন্তত দশ লাখ। তাহলে ভর্তি হতে পারার সম্ভাবনা কত হল? প্রতি ১০০০ জনে মাত্র ৬ জন। তাহলে আমাদের কি এটা বিশ্বাস করতে বলা হচ্ছে যে, বাকি ৯৯৪ জনের ফিজিক্স, অঙ্ক  কেমিস্ট্রির সেই জ্ঞান নেই যা ইঞ্জিনিয়ারিং'এর পড়া শুরু করতে প্রয়োজন। এটা তো কখনই কোনও যুক্তিতেই গ্রাহ্য হতে পারে না। অতএব, প্রশ্নপত্র কঠিন হোক বা সহজ, ভর্তি হতে পারার সাথে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আপাদমস্তক রাশিবিজ্ঞানের সম্ভাব্যতার ব্যাপার। মেধার সাথে এর কোনও যোগ নেই।

ধরা যাক, আমাকে কয়েন টস করতে বলা হল। আমি কি বলতে পারব, হেড না টেল পড়বে? পারব না, কারণ এটা সম্ভাব্যতার প্রশ্ন। এই ঘটনার সম্ভাব্যতা ০.৫, অর্থাৎ ১০০০ বার টস করলে ৫০০ বার হেড পড়ার সম্ভাবনা। আর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে আইআইটি'তে ভর্তি হতে পারার সম্ভাবনা ০.০০৬, অর্থাৎ ১০০০ জনের মধ্যে ৬ জনের সুযোগ পাবার সম্ভাবনা। এবার কেউ যদি বলে যে তোমাকে টস করে হেড-ই ফেলতে হবে, তার জন্য তোমাকে কোচিং দেওয়া হবে, আমরা কি সেটাকে সম্ভব বলে মেনে নেব? নেব না, কারণ আমাদের সাধারণ বুদ্ধি বলে যে এটা সম্ভব নয়। কোনও ট্রেনিং'ই এমন ভাবে টস করতে শেখাতে পারে না যাতে হেড পড়বেই। তাহলে আমরা এটা কী করে মেনে নিই যে এমন কোচিং সম্ভব যাতে আইআইটি'তে ভর্তির পরীক্ষায় সফল হবার ট্রেনিং পাওয়া যায়, যে সাফল্যের সম্ভাব্যতা ০.০০৬, টস করলে হেড পরার সম্ভাব্যতার তুলনায় প্রায় ১০০০ ভাগ কম! অথচ চারপাশে তাকালেই দেখছি, শিক্ষিত বাবা মায়েরা এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য নিজেদের সন্তানের শৈশব ও কৈশোরের স্বাভাবিক মেধা ও অনুসন্ধিৎসাকে লক্ষ লক্ষ টাকা কোচিং'এ ভর্তির মাধ্যমে খরচ করে নষ্ট করে চলেছেন।

শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মনে হাজারও প্রশ্নের জন্ম হয়, হাজারও স্বপ্নের ভাঙাগড়া চলে, আর এভাবেই গড়ে উঠতে থাকে ব্যক্তিত্ব, যা আরও বেশি প্রশ্ন করে, আরও বেশি স্বাধীন ভাবে ভাবতে চায়। লেখাপড়ার বিষয়গুলি, যেমন, সাহিত্য, ইতিহাস, বিজ্ঞান– এই স্বাধীন চিন্তার যাত্রাপথে সাহস, যুক্তি আর স্বপ্নের জোগান দিয়ে চলে। এই স্বপ্ন, যুক্তি আর সাহসে ভর করেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়, ভালো অথবা খারাপ ফল করে, আর নতুন স্বপ্ন আর সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু কখনও ‘ব্যর্থ’ হয় না। কোচিং নির্ভর আজকের শিক্ষাব্যবস্থা এই গড়ে উঠতে থাকা ব্যক্তিত্বকে শিকলে বেঁধে ধ্বংস করতে চায়। 

রাজস্থানের কোটা শহরে কোচিং'এর এমন এক যাঁতাকল তৈরি হয়েছে যা ছাত্রদের চিন্তাশীল ও স্বপ্নসন্ধানী মানুষ থেকে যন্ত্রে পরিণত করে। যে যন্ত্র ভাবে না, প্রশ্ন করে না, স্বপ্ন দেখে না, শুধু মুখস্থ করে আর নির্দেশ পালন করে। গাদা গাদা প্রশ্ন আর তার উত্তর মনে রাখা যার কাজ। কিশোর মন স্বাভাবিক ভাবেই এটা মেনে নিতে পারে না, তার মনের ভেতরে তোলপাড় চলতে থাকে। যে অনুসন্ধিৎসু মন একঝাঁক স্বপ্ন নিয়ে কোচিং'এ এসেছিল, সে যখন শিখতে চায়, প্রশ্ন করতে চায়, ঠিক তখনই তাকে অক্ষম, দুর্বল, নির্বোধ বলে দেগে দিতে থাকে এই ব্যবস্থা। বাবা মায়ের আশা আর টাকা- দুটোই নষ্ট হচ্ছে যেন তারই অক্ষমতার জন্য। কিশোর মন এছাড়া আর কিছু যখন ভেবে পায় না, তখনই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ এক পরিকল্পিত হত্যা যোজনা– যা কিশোর মন পুরোপুরি গড়ে ওঠার আগেই তাকে বোঝাতে চায় যে সে ব্যর্থ কারণ সে অক্ষম। এই কোচিং ব্যবস্থা এক মাফিয়াতন্ত্রের জন্ম দেয়, যে তন্ত্রে স্কুল, কলেজ, সরকার ও সর্বোপরি সমাজ আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যায়। আর এভাবেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন সেই সব গৃহ-শিক্ষকেরা, যাঁরা স্কুলের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের কৌতূহল মেটাতেন, সমস্যার সমাধান করতেন, স্বপ্ন দেখাতেন, আর যাঁদের সান্নিধ্যে ছাত্রছাত্রীরা পেত সেই আশ্রয় যা কৈশোরকালে সব থেকে বেশি প্রয়োজন।

যে কাল্পনিক উজ্জ্বল জীবনের হাতছানি এই হত্যাপ্রকল্পের চালিকাশক্তি এবার তার দিকে তাকানো যাক।  তথ্য হল- 

১) আইআইটি থেকে ডিগ্রি পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের ২৫ শতাংশ ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ থেকে কোনও চাকরি পায় না; 

২) মাত্র ১০ শতাংশ মোটা মাইনের চাকরি পায়; 

৩) আর বাকিরা এমন মাইনের চাকরি পায় যা অন্য যে কেউ আইআইটি'তে না পড়েই পেয়েছে। 

এক তথাকথিত উজ্জ্বল ভবিষ্যতের টানে ছুটতে ছুটতে আমাদের ছেলেমেয়েরা হারিয়ে চলেছে তাদের সৃজনশীল মন, বাবা মায়েরা হারাচ্ছে তাদের কষ্টার্জিত উপার্জন, অলীক স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার ভয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হচ্ছে কোমল মন। আর অন্যদিকে সীমাহীন সম্পদে ফুলে ফেঁপে উঠছে কোচিং মাফিয়া। 

২০০৫ সালে প্রকাশিত জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো যা অধ্যাপক যশ পাল রিপোর্ট নামে বেশি পরিচিত, সেখানে এই কোচিংতন্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল ও এর সাথে লড়াই করার জন্য পড়ানোর পদ্ধতি ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কারের কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি, কোচিং মাফিয়ার শক্তি বেড়েছে। আর আজ যখন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একই সংস্কারের কথা বলে, কোচিং'এর রমরমা কমানোর কথা বলে, তখন বোঝা যায় এই সমস্যা কতটা গভীর। তবে এই সমস্যার সমাধানে সরকার যে উদ্যোগ নেবে না তা বোঝা যায় যখন এই কোচিং ব্যবসার পৃষ্ঠপোষককে লোকসভার স্পিকারের আসনে দেখতে পাই। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সম্মিলিত উপলব্ধি ও গণআন্দোলনই এই ব্যবস্থাকে পরাস্ত করার একমাত্র পথ।


5 comments:

  1. খুবই ভালো বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ ! সমস্যাটার একদম মূলে কুঠারাঘাত! সত্যি আমরা বাবা-মায়েরাই বোধকরি যত নষ্টের মূল। কি যে চাই আমরা নিজেরাই সম্যক উপলব্ধি করতে অপারগ। সেইজন্য এতগুলো তরতাজা প্রাণ চলে যাচ্ছ কেমন অবলীলায়!

    ReplyDelete
  2. এঁদের হাত অনেক লম্বা,পার্লামেন্টের অলিন্দ পর্যন্ত।এঁরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন আইআইটি'র শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। এনটিএও এঁদের কেনা।তাই প্রশ্নপত্র কোচিং সেন্টারের প্রশ্নের সঙ্গে মিলে যায়,তবে সবাই সেটা পায়না,সেটা পাওয়ার রাস্তা আলাদা । যারা বোঝে যে ওই প্রশ্ন তারা পাবে না,তারাই আত্মহত্যার দলে নাম লেখায়। এর প্রতিকার করতে গেলে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ভাষায় agriculture করতে হবে।

    ReplyDelete
  3. কয়েকটি পয়েন্টে লিখলে ভালো হতো। ভাবনা ছড়ানো ও খুব‌ই সাধারণীকরণের মধ্যে।

    ReplyDelete
  4. মানতে পারলাম না অনেক যুক্তিই। কোচিং কে লেখক যে দৃষ্টিতে দেখেছেন তা খুবই গতানুগতিক। আই আই টি জে ই ই আর এ আই পি এম টি পরীক্ষা এক ধাঁচের না। বিশেষত সাধারণ বিভিন্ন রাজ্য বা কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষায় সাধারণ ভাবেও যারা প্রথম দিকে থাকে তাঁদের পক্ষে সব সময় কেন এই দুই পরীক্ষাতেও বিনা টিউশনে প্রথম দিকে থাকা সদা সম্ভব হয় না সেটা কি লেখক ভেবে দেখেছেন? কেন জেইই এডভ্যান্সড বা আই এস আই এর পরীক্ষার প্রশ্ন এমন লেভেলের হয় যেটা সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছে প্রায় গ্রীক বলে মনে হয়? এই এলিটিজম কে কাউন্টার করতেই কোচিং লাগে। স্কুলের পড়া যথেষ্ট থাকে না। আর লেখক মনে হল গৃহ শিক্ষকের ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া তে দুঃখ পেয়েছেন। কোচিং ক্লাস আর গৃহ শিক্ষকের মধ্যে এক ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছাড়া আর ঠিক কতখানি তফাৎ? বরং গৃহ শিক্ষকের বাজার সংগঠিত নয়। একজন ভাল মানের গৃহ শিক্ষক খুঁজে বার করা খুবই কঠিন। সেই তুলনায় অনেক কোচিং ওয়ান স্টপ স্ল্যুশন হিসেবে কাজ করে। সমস্যা কিন্তু অভিভাবকেরও। সন্তানের এতদিনকার পড়াশোনার মান না বুঝে, তার ভাল লাগা মন্দ লাগার দিকে না তাকিয়ে শুধু নিজের খেয়াল বা স্বপ্ন চরিতার্থ করতে অনেক অভিভাবক ফাটকা খেলেন। আর নিজের সন্তানকে ইঁদুর দৌড়ে ঠেলে দেন। বিজনেস হাউস তো নিজের ব্যবসা বাড়াতেই চাইবে। অভিভাবক নিজের সন্তানের ভাল নিজে বুঝবেন না? দুয়ের ফল এই আত্মহত্যা। আর শুধু কিন্তু চাকরি পাওয়া নয়, ভাল ইন্সটিটিউশনে পড়া মানে পড়াটা আরও ভাল ভাবে হওয়া। ভাল শিক্ষক, ভাল মানের ছাত্র ছাত্রী, ভাল ইনফ্রাস্ট্রাচার, ভাল ভবিষ্যতের নেটঅয়ার্ক - সব দিক দিয়ে মানুষ লাভবান হয় আমাদের সমাজে। সেই ভাল'র লোভ কেনই বা ছাড়ব? পড়াটাকেও পরিবেশের ও শিক্ষকের গুণে কখন যে ভাল লেগে যায় সেটা সাধারণ জায়গার ছাত্র রা অনেক সময় বোঝেন ই না। কোচিং এর অমানবিক ইঁদুর দৌড় ভাল নয় তো বটেই, কিন্তু সেই ভালকে কেন অভিভাবক মেনে নিতে বাধ্য হন সেটা এই আলোচনা থেকে ফুটে উঠল না।

    ReplyDelete
  5. আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটি খুব গভীর গবেষণা মূলক প্রবন্ধ নয়। যদিও এই বিষয়ে সমীক্ষা র কাজ চলছে, ও তা সময়মত প্রকাশিতও হবে। আপনাদের মতামত ঐ সমীক্ষা র ডেটা হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন আই আই টি তে পাঠরত ছাত্র ছাত্রীদের ওপর, আই এস আই এর ছাত্র ও অধ্যাপক দের ওপর, ও নিজে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এর হোমি ভাবা সেন্টারে পদার্থ বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে প্রশিক্ষণের সুবাদে আই আই টি র ভর্তি র পরীক্ষা য় প্রথম দিকে স্থান পাওয়া ছাত্র দের ওপর সমীক্ষা চালানো র সুযোগ আমি পেয়েছি। এই লেখাটি সেই সমস্ত অভিজ্ঞতা র সারবস্তু। শিক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড ও ও বিশেষ করে "Gifted and Talented" ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রতি দিনের যোগাযোগ না থাকলে, আমার মতামতের গভীর মর্ম বস্তুকে উপলব্ধি করতে আজকের সমাজ ও অর্থনৈতিক পটভূমি তে অসুবিধা হতে পারে। আপনি যদি এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন কোন নাগরিক হয়ে থাকেন, আপনাকে অনুরোধ করবো যশ পাল কমিটির রিপোর্ট ও নতুন শিক্ষা নীতি র প্রাসঙ্গিক অংশ গুলি পড়ে নিতে। আপনার মতামতের জন্য আবার আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

    ReplyDelete