Pages

Saturday, 15 April 2023

বঙ্গাব্দের ইতিহাস-যাত্রা

জ্ঞানে পাপে অস্পষ্ট অর্ধসত্যে

মালবিকা মিত্র



'জলের উপর পানি না পানির উপর জল

বল খোদা বল খোদা বল খোদা বল।'

এই উতর চাপানে আমার আগ্রহ নেই। এতে গায়ের ঝাল মেটানো যায় বটে কিন্তু কোনও সত্য প্রতিষ্ঠা হয় না। আলোচনা শেষে পাঠক শ্রোতার মাথা ঝিমঝিম, 'সবই তো শুনলাম গোপাল দা, বোঝলাম না ব্যাপারডা কী খাড়াইলো।' একজন স্কুল ছাত্রও সহজ পাটিগণিতের নিয়মে বুঝতে পারে, ২০২৩ খৃষ্টাব্দে যদি ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হয় তাহলে (২০২৩-১৪৩০=৫৯৩) ৫৯৩ খৃষ্টাব্দ থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু। প্রশ্ন হল, কেন ৫৯৩ অব্দ? 

ধরে নেওয়া হয়, গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক, কনৌজ উজ্জয়িনী অধিপতিদের আধিপত্য অস্বীকার করে বঙ্গের স্বাধীনতা ঘোষণা করছেন। তারই স্মারক হিসেবে এই নতুন অব্দ বঙ্গাব্দ। যুক্তি নির্ভুল। কিন্তু শশাঙ্কের সিংহাসনে আরোহণ কাল স্পষ্ট নয়। অনেক তথ্যে বলা হচ্ছে ৬০৬ খৃষ্টাব্দ, ৫৯৩ নয়। তাহলে তো শশাঙ্কের সিংহাসনে আরোহণ করার সাথে বঙ্গাব্দ সম্পর্কিত হয় না। থাক সেই উতোর চাপান। ধরেই নিলাম, মাত্র ১২/১৩ বছরের ব্যবধান উপেক্ষণীয়। দুটি ঘটনাই প্রাচীন ইতিহাসের হাজার হাজার বছরের নিরিখে সমসাময়িক। নীহাররঞ্জন রায় তাঁর 'বাঙালীর ইতিহাস' গ্রন্থেও বলেছেন, 'এ তথ্য নিঃসংশয় যে, ৬০৬-০৭ খৃষ্টাব্দের আগে কোনো সময়ে শশাঙ্ক গৌড়ের স্বাধীন নরপতি রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।' বেশ তো, শশাঙ্ক একজন হিন্দু রাজা, তাঁর প্রবর্তিত বঙ্গাব্দ নাকি 'আকবরের নামে গায়েব করে দিচ্ছিল মুসলমান তোষামোদকারীর দল'। আরএসএস বলবে, মন্দির প্রতিষ্ঠার মতো এটাও একটা ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা। তাহলে বলি, রাজা শশাঙ্ক যতটা না হিন্দু তার ঢের বেশি গোঁড়া হিন্দু ছিলেন সেন রাজারা। লক্ষ্মণ সেনের পুত্র মধু সেনের সময়ের একটি হস্তলিখিত প্রাচীন সংস্কৃত গ্রন্থে উল্লেখ আছে, 'পরম ভট্টারক মহারাজাধিরাজ পরম সৌগত 'মধুসেন' ১১৯৪ শকাব্দে বিক্রমপুরে আধিপত্য করতেন।' বেঙ্গল গভর্নমেন্ট কর্তৃক সংগৃহীত এই গ্রন্থ। অর্থাৎ, সেন রাজারা নিজেরাই বঙ্গাব্দ গণনা করতেন না। পাল রাজারাও করতেন না। শকাব্দ-ই বেশি প্রচলন ছিল। আজকের গোঁড়া হিন্দু কোটি টাকার স্যুট পরেন, চার্টার্ড প্লেনে ওড়েন, হাট বাজার চিকিৎসার জন্য বিদেশ সফর করেন। তাঁরা স্বভাবতই রাজার চেয়েও রাজকীয়। তাই, শশাঙ্কের স্বীকৃতি নিয়ে চিন্তিত। 

ভেবে দেখুন, প্রাচীন ও মধ্য যুগের বেশ কিছু খোদাইয়ে 'বিক্রম সম্বৎ'এর উল্লেখ আছে। কিংবদন্তির মহান হিন্দু সম্রাট বিক্রমাদিত্য শকদের পরাজিত করে ৫৭ খৃষ্ট পূর্বাব্দে এই অব্দ চালু করেন। ‘Samvat’ is a Sanskrit term for ‘year’. Emperor Vikramaditya of Ujjain started Vikram Samvat in 57 BC and it is believed that this calendar follows his victory over the Saka in 56 BC.। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল বেরুনী উল্লেখ করেন, বিক্রমাব্দ ও শকাব্দের মধ্যে পার্থক্য ১৩৫ বছর। শকাব্দের যাত্রা শুরু পরে। তথাপি গুজরাট, পঞ্জাব, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দাক্ষিণাত্য, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও বাংলায় শকাব্দ গণনা হত। এমনকি বখতিয়ার খলজী যখন বাংলা আক্রমণ করেন তখনও এখানে শকাব্দ বর্ষপঞ্জীর অনুসরণ করা হত। সুলতানরা পরে হিজরী অব্দও অনুসরণ করতেন। এটা নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা নীরব কেন? কারণ, সম্রাট বিক্রমাদিত্য রাজত্ব করতেন উজ্জয়িনীতে। ওটা উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ঘাঁটি। বাংলায় তারা দুর্বল। অতএব, বাংলায় জিগির তোলার ইস্যু চাই। বঙ্গাব্দ সেই ইস্যু। 

এই সত্য গোপন করা যাবে না যে বঙ্গাব্দ ছিল একটি কার্যত অব্যবহৃত লুপ্ত অব্দ। পাল সেন রাজারা কেউ ব্যবহার করতেন না। আকবর তাঁর ক্ষমতা লাভের ২৮তম বর্ষে প্রশাসনিক কাজে বঙ্গাব্দ ফিরিয়ে আনলেন। মানে, আরএসএস নেতারা আজ যা নিয়ে হইচই করতে চাইছেন, সেটা অনেক বেশি দায়িত্ব সহকারে আকবর করেছিলেন। আকবর ঠিক কী করেছিলেন বঙ্গাব্দ নিয়ে? 

সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণ কাল ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দ। চার বছর ছিল বৈরাম খাঁর তত্ত্বাবধানে শাসন। ১৫৬০ থেকে পাকাপোক্তভাবে সম্রাটের নিজের শাসন শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে ২০২৩'এ দাঁড়ায় ৪৬৭ বা ৪৬৩ বঙ্গাব্দ। কেন ক্ষমতা লাভের ২৮ বছর পর আকবর নতুন অব্দ চালু করার কথা ভাবলেন? আকবর বহির্প্রভাব মুক্ত প্রকৃত সার্বভৌম জাতীয় রাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখতেন। যে রাজতন্ত্র কোরান বেদ বাইবেল জেন্দাবেস্তার নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হবে। সে কারণেই ইবাদৎখানায় সুদীর্ঘ আলাপ আলোচনা চর্চার মাধ্যমে গ্রহণ করেন দীন-ই-ইলাহী। এটা কোনও নতুন ধর্ম নয়। ছিল না উপাসনা গৃহ, ছিল না ধর্ম প্রচারের আয়োজন, ছিল না ধর্মগ্রন্থ। এটার মূল নির্যাস ছিল পারস্পরিক সম্মান ও সহিষ্ণুতা। ঐতিহাসিক মাখনলাল রায়চৌধুরীর মতে, আকবর জানতেন সমস্ত ধর্মের মূল সত্য অভিন্ন হলেও ধর্মগ্রন্থ, উপাসনা গৃহ, আচরণবিধি ভিন্নতা সৃষ্টি করে। অতএব, দীন-ই-ইলাহী রইল দার্শনিক বিমূর্ত জগতে। অনুরূপ ভাবে, তিনি তাঁর সাম্রাজ্যের স্বতন্ত্র বর্ষপঞ্জী তারিখ ই-ইলাহী চালু করলেন। তাঁর সিংহাসনে আরোহণের বর্ষকে ভিত্তি ধরে নিয়ে তারিখ ই-ইলাহী চালু হল। ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দকে শূন্য ধরে নতুন তারিখ ই-ইলাহী তৈরি হল। উল্লেখ করা যেতে পারে, হিন্দুস্থানের প্রচলিত সব ধরনের বর্ষপঞ্জী হিজরি, শকাব্দ, বিক্রম সম্বৎ, বঙ্গাব্দ, ইরানি, পারসিক পঞ্জিকা মেলালেন। আবার সেই সমন্বয়ের প্রয়োগ। জাতীয় রাজতন্ত্র, তার জাতীয় ধর্মীয় আদর্শ, তার পৃথক জাতীয় বর্ষপঞ্জী। কিন্তু এগুলি কোনওটি তিনি কঠোর ভাবে আরোপ করার চেষ্টা করেননি। ফলে, দীন-ই-ইলাহীর মতোই তারিখ ই-ইলাহী দীর্ঘায়ু লাভ করেনি। কিন্তু মূলত বঙ্গাব্দকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বঙ্গাব্দ আকবরের হাতে পুনর্জন্ম লাভ করে। 

আসল কথা হল, মুঘলদের সরকারি কাজকর্ম চলত চান্দ্রমাস হিজরি সনের মোতাবেক। চন্দ্রের প্রাত্যহিক আবর্তনের সময়কাল আর পৃথিবীর প্রাত্যহিক আহ্নিক গতির সময়কালে পার্থক্য রয়েছে। এর ফলে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময়কাল যখন ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড, তখন চন্দ্রের সময় লেগেছে অনেক বেশি। আবুল ফজল দেখালেন, এই ব্যবধানটি হল ৩২টি সৌরবর্ষের সমান ৩৩টি চান্দ্রবর্ষ। রাজস্ব আদায় হত চান্দ্র বর্ষ হিজরি অনুসারে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ের সময়কাল ক্রমাগত পরিবর্তন হয়। কৃষকরা সমস্যার মুখোমুখি হয়। প্রতি ৩২ বছরে একবার বেশি রাজস্ব দিতে হয়। এই অসংগতিও দূর করার চেষ্টা হয়। অতঃপর ১৫৮৪ খৃষ্টাব্দে ফতেউল্লাহ সিরাজি চালু করলেন নতুন 'ফসলি সন'। সংশ্লেষণ হল নানান বর্ষপঞ্জী। তবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, বহু প্রচলিত শকাব্দ, বঙ্গাব্দ এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেল বেশি। হারিয়ে যাওয়া বর্ষপঞ্জী বঙ্গাব্দ আকবর পুনরুদ্ধার করলেন। আরও উল্লেখযোগ্য, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বঙ্গাব্দের নামগুলো নেওয়া হয়েছে ৭৮ খ্রিস্টাব্দে সাকা জাতির রাজত্বের সময় প্রচলিত শকাব্দ থেকে: ১) বিশাখা থেকে বৈশাখ; ২) জাইষ্ঠা থেকে জ্যৈষ্ঠ; ৩) আষাঢ়া থেকে আষাঢ়; ৪). শ্রাবণা থেকে শ্রাবণ; ৫) ভাদ্রপাদা থেকে ভাদ্র; ৬) আশ্বিনী থেকে আশ্বিন; ৭) কৃতিকা থেকে কার্তিক; ৮) পূস্যা থেকে পৌষ; ৯) আগ্রৈহনী থেকে অগ্রহায়ণ; ১০) মাঘা থেকে মাঘ; ১১) ফাল্গুনী থেকে ফাল্গুন; ১২) চিত্রা থেকে চৈত্র। প্রায় ৯৬৩ বঙ্গাব্দে সরকারি প্রশাসনিক কাজে বঙ্গাব্দ ফিরে এল।

প্রশ্ন উঠবেই, ২৮ বছর পরে কেন? লক্ষ করুন, আকবর তার ধাত্রী মা মাহাম আনঘা, অভিভাবক বৈরাম খাঁ ও বাপের বয়সী অভিজাতদের প্রভাব মুক্ত হয়ে প্রতিপক্ষ পাঠান শক্তিকে দমন করা, রাজপুতদের কাছে টানা, প্রশাসনিক কাঠামো ও রীতিনীতি প্রচলন করা, সর্বোপরি উত্তর ভারতের সামরিক বিজয় সম্পূর্ণ করা ইত্যাদি কাজে মনোসংযোগ করেন। এরপর সাম্রাজ্যের সংশ্লেষণ ও আত্তীকরণের কাজে মন দেন। এই দ্বিতীয় পর্বে দীন-ই-ইলাহী, তারিখ ই-ইলাহী, প্রশাসনিক ছোটখাটো পরিবর্তন ইত্যাদি কাজ করেন। 

আকবর শুধু নয়, বলা ভালো, ইসলামিক যুগটাই ছিল লাগাতার সংশ্লেষণ। চালে ও পলে (মাংস) সিদ্ধ খাদ্য যা বৈদিক সাহিত্যে 'পলৌদন' ক্লাসিক্যাল সাহিত্যে 'ওদন মাংস' এবং অর্বাচীন সংস্কৃত বাংলায় কাশীরাম দাসের 'পলান্ন' নামে পরিচিত ছিল। তা এ যুগে ফার্সি 'পলাও' বা 'পোলাও' নামে হিন্দুর পাতে পরিবেশন হতে লাগল। সংস্কৃত শূল্য পল হল ফার্সি 'শিক কাবাব', উল্লুপ্ত পল (কিমা)'র বড়া হল 'সামি কাবাব', সংস্কৃত ব্যঞ্জন হল ফার্সি 'তরকারি', স্মৃতির সংয়াবু পরে মোহন ভোগ হয়ে আরবি 'হালুয়া'য় পরিণত হল। 

সঙ্গীত গবেষকদের মতে, 'প্রথমে আমীর খসরু ভারতীয় সঙ্গীতের মধ্যে পারসিক সুর (মোকাম) মেলান। পরে সম্রাট আকবর আরও বিদেশ জাত সুর তন্মধ্যে প্রবিষ্ট করান। এ জন্যই উত্তরের (হিন্দুস্তানি) ও দক্ষিণের (কর্ণাটি) সঙ্গীতের পার্থক্য দৃষ্ট হয়।' অনুরূপ ভাবে, পঞ্চদশ-ষোড়শ শতাব্দী থেকে উত্তর ভারতের স্থাপত্যে শীর্ষদেশে গোলাকার গম্বুজের প্রাধান্য লক্ষণীয়। বিপরীতে, প্রাক্ মুসলিম শাসনের ভারতীয় স্থাপত্য শীর্ষদেশের দিকে ক্রমশ ছোট হয়ে যাওয়া করবেল প্রথার প্রাধান্য। এভাবে যে স্থাপত্যশৈলী জন্ম নিল, তা ইন্দো-ইসলামী স্থাপত্য। মুঘল চিত্রকলাও পারসিক ঘরানা থেকে সরে আসে, রাজপুত ও অন্যান্য দেশীয় ঘরানার সংশ্লেষ ঘটিয়ে স্বতন্ত্র মুঘল চিত্রকলার জন্ম দেয়। আজও উত্তর চব্বিশ পরগণার সীমান্ত জেলায় মুসলমান নারী তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালিয়ে শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে আল্লাহ'র শরণ নেন। বাংলাদেশে বৈষ্ণব পদাবলীর শতাধিক মুসলমান পদকর্তার নাম পাওয়া যায় এনামুল হকের লেখায়। 

এভাবেই ভাষা পোশাক ধর্ম সর্বত্র ছড়িয়ে আছে সংশ্লেষণের চিহ্ন। তাই তো ভারতীয় সমাজ সংস্কৃতি এত বর্ণময় বহু মাত্রিক। এক্কেবারে জমে যাওয়া অদ্বিতীয় সুস্বাদু পুডিং। রাজনৈতিক ফয়দা লুটতে গিয়ে পুডিং থেকে ডিম পৃথক করার মূর্খামি করবেন না। ধরুন আপনি বলবেন: শশাঙ্ক একজন সুশাসক। ইতিহাস তাঁকে যোগ্য মর্যাদা দেয়নি। আমি বললাম, ঠিকই। তিনি পশ্চিম ভারতের আধিপত্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। কি মশাই? এটা কিন্তু এক দল, এক নেতা, ডবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। 

আবার ধরুন আপনি বললেন: শশাঙ্ক বঙ্গাব্দ চালু করলেন। আর এই সত্যটা বিলকুল গায়েব করে দিয়েছিল মোল্লার দল। আমি বললাম, ঠিকই। শশাঙ্ক বুদ্ধগয়া আক্রমণ করে বোধিবৃক্ষ ছেদন করেছিলেন। বুদ্ধ মূর্তি ভেঙে সেখানে শিবের মূর্তি স্থাপন করেন। বাণভট্ট, হিউ এন সাঙ, আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প'এ এমন বর্ণনা ছড়িয়ে আছে। এই সত্যগুলোও গায়েব হয়ে গেছে। ক্ষমতাবান শাসক সকলেই প্রতিপক্ষের ধর্মস্থানে আঘাত হানে। ওটা ক্ষমতা জাহির করা। 

অতএব, কালের নিয়মে যা বিবর্তিত, পরিবর্তিত তাকে কচলালে তিক্ততাই বাড়ে। কে হায়, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় না- 'জলের উপর পানি না পানির উপর জল'।


2 comments:

  1. একটি খুবই তথ্যসমৃদ্ধ এবং সময়োপযোগী লেখা ।কথায় বলে লেখক এর লেখনীতে থাকে তথ্যের মনি মানিক্য। এই লেখাটি থেকে সেই সমস্ত কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়। এইরকম আরো সমসাময়িক বিষয়ের উপরে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা যাতে পেতে পারি সম্পাদকের কাছে সেই দাবি করছি।

    ReplyDelete
  2. এ-প্রসঙ্গে নিতাই জানা রচিত 'বঙ্গাব্দ' বইটি খুবই চমৎকার।

    ReplyDelete