শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ওষুধের এক প্রধান আবিষ্কর্তা
জয়ন্ত দাস
১৬ অক্টোবর ২০২২। ডা. দিলীপ মহলানবিশ চলে গেলেন। খবরের কাগজের কোনও একটা পাতায় নামটা বেরল বটে, তবে লোকে তেমন চিনল না। নামকরা লোক নন। টিভি'র সিরিয়াল করে বা ছোটমাপের রাজনৈতিক নেতাগিরি করে তাঁর চাইতে ঢের বেশি নাম করা যায় এ-বঙ্গে, তবে লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায় না। ডাক্তার মহলানবিশ সেই ‘সামান্য কাজ’-টুকু করেছিলেন। তিনি ডায়ারিয়া জাতীয় রোগে জীবনদায়ী অতি পরিচিত ওষুধ ওআরএস-এর অন্যতম আবিষ্কর্তা।
ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন, সংক্ষেপে ওআরএস। এক গ্লাস জলে অল্প দামের খানিকটা পাউডার মিশিয়ে খাওয়া। বাজারে পাউডার না কিনে ঘরে বসেই বানিয়ে নেওয়া যায় এমন জিনিস। সেটাকে নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের চিলড্রেন্স’ ফান্ড (ইউনিসেফ) বলল, 'বিংশ শতকের আর কোনও একক মেডিক্যাল আবিষ্কার এত বেশি সংখ্যক মৃত্যুকে এত কম সময়ের মধ্যে এবং এত কম খরচে আটকানোর ক্ষমতা দেখায়নি।'
ষাট-সত্তরের দশকে বছরে কম-বেশি ৫০ লক্ষ শিশু ডায়াবিয়ায় মারা যেত, মরত বড়রাও। এ দেশে এই রোগে মরাটাই ছিল সব চাইতে সহজ। ১৯৬৮ সালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যখন কলেরা নিয়ে কাজ শুরু করলেন ডাক্তার মহলানবিশ, তখন তাঁরা ভাষাতেই—'কলেরা ওয়ার্ডে তখন ঢুকতেন না ডাক্তাররা। নার্সরাও না। জনাকয়েক ওয়ার্ড বয় স্যালাইনের বোতল চালিয়ে দিত শিশুদের শরীরে। ওয়ার্ডে বাবা-মায়েদের ঢুকতে দেওয়া হত না, জানলার বাইরে তাঁরা থাকতেন, ওয়ার্ড বয়রা তাঁদের শিশুদের তুলে ধরে দেখিয়ে দিত।'
সেখানে ডাক্তার মহলানবিশেরা শুরু করলেন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। গবেষণার নিয়ম অনুসারে দুই দলে ভাগ করলেন শিশুদের। এক দল পেল শিরা ফুঁড়ে স্যালাইন, তখনকার চালু চিকিৎসা। অন্য দল পেল ওআরএস। চিকিৎসায় কার কতটা কাজ হল, তার নিখুঁত বিবরণ রাখা দরকার। নার্সরা সে কাজ করতে রাজি নন। পড়াশুনো জানা কিছু ছেলেকে শিখিয়ে পড়িয়ে ওয়ার্ডে কাজের অস্থায়ী চাকরিতে বহাল করতে হবে। ডাক্তার মহলানবিশের ওপর সেই ভার পড়ল। তিনি চাকুরিপ্রার্থীদের বললেন, 'আমি যা যা করি সে সব তোমাদেরও করতে হবে, রাজি তো?' তারা রাজি হল, ঢুকল ওয়ার্ডে, মলমূত্র ঘেঁটে শিশুদের পরীক্ষা করার কাজ শিখে গেল। ওয়ার্ড বয়দের হল ভারি সমস্যা। তারা রোগীদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে রোগী ছেড়ে দিত, সে ঘরে গিয়ে বাঁচল কি মরল সে দায় বাপ-মায়ের। ডাক্তারবাবুর অনুরোধে লাভ হল না। তখন নতুন রিক্রুট দুটি রোগা-প্যাংলা ছেলে বলল, ডাক্তারবাবু, আমরা দেখছি। তারা দেখেছিল। ষণ্ডাগুণ্ডা ওয়ার্ড বয়দের বলেছিল, ঝামেলা করলে লাশ ফেলে দেবে। সময়টা ভাল ছিল না, বেলেঘাটা তখন ওদের দখলে। সুড়সুড় করে মাস্তান ওয়ার্ড বয়রা সিধে হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য প্যাংলা ছেলে দুটির একজনের লাশ ক’দিন পরেই পুলিশই ফেলে দেয়, নকশাল ছিল তারা। কিন্তু ততদিনে দধিচীর হাড়ে বজ্র গড়ার কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ১৯৭০ সালে আমেরিকান জার্নালে পাঠানো হল সে গবেষণাপত্র, কিন্তু তা পড়ে রইল বছরভোর।
পড়েই থাকত, যদি না বাংলাদেশের যুদ্ধ বাঁধত, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্ডার পেরিয়ে ভারতের ক্যাম্পে আসতেন। বনগাঁর ক্যাম্পে পাঠানো হল ডাক্তারবাবুকে। সেখানে কলেরার মড়ক লেগেছিল। ইন্দিরা গান্ধি তখন ক্যাম্পে বিদেশি প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন, তাঁর গবেষণার সঙ্গী আমেরিকান ডাক্তাররা ঢুকতে পারলেন না ক্যাম্পে। তিনি দেখলেন, প্রচলিত শিরা ফুঁড়ে স্যালাইন দেবার মতো ব্যবস্থা করা অসম্ভব। অতএব, ওআরএস। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তৈরি হল গ্লুকোজ, নুন আর সোডিয়াম-বাই-কার্বনেট মেশানোর কারখানা। এখনও হাসপাতালে যে ওআরএস পাওয়া যায়, তার ফর্মূলা প্রায় একই, শুধু অতিরিক্ত থাকে পটাশিয়াম ক্লোরাইড, আর সোডিয়াম বাই-কার্বনেটের বদলে সোডিয়াম সাইট্রেট। সেই ১১ পয়সায় তৈরি এক প্যাকেট ওআরএস বনগাঁর ক্যাম্পে এক লিটার জলে গুলে খাইয়ে কলেরার মৃত্যুহার অনেক কমে গেল।
ওআরএস'এর ফর্মুলা সহজ। আবিষ্কারের ইতিহাস মোটেই সহজ নয়। কয়েকজন বিজ্ঞানী ব্যক্তিগত লাভক্ষতি, অর্থ বা খ্যাতির হিসেব করেননি। আশ্চর্য এই, বিশ্বখ্যাত দু-একজন বিজ্ঞানী স্রেফ সুবিধাজনক অবস্থানের জোরে একগুঁয়েমি করে এর পথ আটকানোর বৃথা চেষ্টা করেছিলেন।
বিংশ শতকের গোড়া থেকেই কলেরা ও নানারকমের ডাইরিয়া নিয়ে গবেষণাতে রোগের জীবাণু খুঁজে তাদের মারার চেষ্টা ছিল প্রধান দিক। তবে অনেক বিজ্ঞানী দেখলেন, ডাইরিয়ায় শরীরের জল বেরিয়ে যাবার ফলে রোগী মরে। তাঁরা শিরা ফুঁড়ে স্যালাইন বা লবণ জল দিয়ে জলশূন্যতার চিকিৎসা করতে চাইলেন। তবে দু-দলের চিকিৎসকরাই ভাবতেন, এরকম ডাইরিয়ার সময়ে আমাদের খাদ্যনালীর খাদ্যগ্রহণ ক্ষমতা থাকে না, তাকে মুখে কিছু খাওয়ানো ক্ষতিকারক। শিরায় নানা রকমের স্যালাইন ধরনের তরল চালিয়ে চিকিৎসা করার সময়ে রোগীদের উপোস করিয়ে রাখা হত। এতে মৃত্যুহার কিছুটা কমে।
অধিকাংশ ডাইরিয়া আক্রান্ত রোগী ছিল শিশু। তাদের বেশ কিছুদিন উপোস করিয়ে রাখার পরে তারা অপুষ্টির শিকার হত, নানা অপুষ্টি জনিত রোগে মারা যেত। তার ওপরে এই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে হত, খরচ ছিল অনেক। বিভিন্ন হাসপাতালে নানা ডাক্তার নানাভাবে চিকিৎসা করতেন, ভর্তি রোগীদের মধ্যে মোটামুটি অর্ধেক মারা যেত।
১৯৪০ সালে ডাক্তার ড্যানিয়েল ডারো নানারকমের ডাইরিয়া রোগী পরীক্ষা করে এক বিশেষ স্যালাইন বানালেন। ডাইরিয়ার চিকিৎসা খানিকটা বিজ্ঞানসম্মত হল, কিন্তু সারা বিশ্বে ডাইরিয়ায় মৃত্যু কমল না। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় ডারো সাহেবের স্যালাইন চালানোর উপযুক্ত হাসপাতাল, যথেষ্ট চিকিৎসক অথবা দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ছিল না। মুখে খাবার দ্রবণ দরকার ছিল। কিন্তু অধিকাংশ বিজ্ঞানী ভাবতেন, ডাইরিয়ায় পরিপাকনালীর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
১৯৫০-এর দশকে ইঁদুরের অন্ত্রে গ্লুকোজের উপর নির্ভরশীল সোডিয়াম ও জল শোষণের পদ্ধতি আবিষ্কার হয়। তারপরে ডাইরিয়ার চিকিৎসায় গ্লুকোজের সঙ্গে লবণ জল খাওয়ানোর কথা ভাবা হয়। ১৯৬১ সালে ফিলিপিন্সে কলেরা মহামারীতে ডাক্তার রবার্ট ফিলিপ্স গ্লুকোজ ও লবণ জলের মিশ্রণ খাইয়ে কিছু কলেরা রোগীকে সুস্থ করে তোলেন। এরপরে বড় মাত্রায় পরীক্ষা করতে গিয়ে কয়েকজন কলেরা রোগী মারা যায় ও তিনি পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। পানীয়ে গ্লুকোজ ও লবণের মাপ ঠিক ছিল না। ডাক্তার ফিলিপ্স ভুল বুঝে বিজ্ঞান পত্রিকায় লেখেন, কলেরার সময় খাদ্যনালীর ক্ষমতা কমে যায়, তাদের একমাত্র চিকিৎসা শিরার মাধ্যমে স্যালাইন।
১৯৬০ সালে ঢাকায় Pakistan-SEATO Cholera Research Laboratory প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় একই সময়ে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় The Johns Hopkins Center for Medical Research and Training। দুই জায়গাতেই দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীদের নিয়ে জোরকদমে চলল কলেরা নিয়ে গবেষণার কাজ। ঢাকার কেন্দ্রটিতে ডেভিড সাচার ও তাঁর বাঙালি সহযোগী চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখান, কলেরা রোগীদের খাদ্যনালীর গ্লুকোজ-নির্ভর সোডিয়াম শোষণের ক্ষমতা নষ্ট হয় না, অর্থাৎ তাদের মুখে গ্লুকোজ-লবণ জল খাইয়ে জলশূন্যতা সারানো সম্ভব। কলকাতার চিকিৎসকেরাও একই ব্যাপার দেখতে পান। কিন্তু বিদেশি চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা এটা হজম করতে পারলেন না। তাঁদের হাতে চাবিকাঠি। কলকাতা বা ঢাকায় রোগীদের ওপর ওআরএস নিয়ে পরীক্ষার অনুমতি মিলল না।
চট্টগ্রামে কলেরা মহামারীর সময়ে দুই আমেরিকান বৈজ্ঞানিক ডেভিড নালিন ও রিচার্ড ক্যাশ সেখানে যান। ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সেখানে ওআরএস দিয়ে কলেরার চিকিৎসা করে অনেক রোগীকে সুস্থ করছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতির নাম দেওয়া হয় ‘ইসলাম প্রোটোকল’। যথেষ্ট নথিপত্র রাখা হয়নি, এই কারণে পশ্চিমি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই প্রোটোকলকে পাত্তা দিলেন না। পরে বোঝা গিয়েছিল, ‘ইসলাম প্রোটোকল’ কাজ করে। অনেক পরে ডাক্তার রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, জীবন বাঁচানো ছিল আমার কাজ। আমি সেটা করতে পেরেছি। ঐ পরিকাঠামো নিয়ে নথিপত্র রাখা শক্ত ছিল, স্বীকৃতি পাইনি, তা নিয়ে দুঃখ নেই। চট্টগ্রামের চাঁদপুর জেলার ‘মতলব’ হাসপাতালে ডাক্তার মিজনুর রহমান ওআরএস যোগে কলেরা রোগীদের চিকিৎসার অনুমতি ছাড়াই ওআরএস দিয়ে চিকিৎসা করে অনেক রোগীকে বাঁচান।
নানা বাধা পেরিয়ে ঢাকা কলেরা রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান ডাক্তার হেনরি মসলে-র সহযোগিতায় নালিন ও ক্যাশ-এর প্রোটোকল ছাড়পত্র পায়। ওআরএস নিয়ে ঢাকায় তাঁদের ট্রায়াল সফল হয়। একই সময়ে ডাক্তার মহলানবিশের নেতৃত্বে কলকাতা তথা বনগাঁ শরণার্থী শিবিরের ট্রায়াল সফল হয়। শুধুমাত্র ওআরএস দিয়ে ও হাসপাতালে ভর্তি না করেও কলেরার মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। ডাক্তার মহলানবিশের নিজের ভাষায়, 'আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন, ওআরএস চিকিৎসা কোথায় প্রথম প্রমাণিত হয়েছিল, ঢাকা না কলকাতা। আমি বলি, ঢাকাতে ও কলকাতায় সঙ্গে সঙ্গে কাজ হয়েছিল, কিন্তু যে ভাবে ‘র্যান্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল’-এর প্রতিটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে, প্রতিটি শিশুর প্রতিটি প্রয়োজনীয় তথ্য রেখে কলকাতায় গবেষণা হয়েছে, তা হয়নি ঢাকায়।' বেলেঘাটার দধিচীদের হাড় তিনি বৃথা যেতে দেননি।
ওআরএস এর ফর্মুলায় কিছু পরিবর্তন করেন ডাক্তার মহলানবিশ, ফলে এটি আরও বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। তিনি অজস্র আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য হল ২০০২ সালের পলিন পুরস্কার। তিনি আমেরিকা বা ইউরোপের বাসিন্দা হলে আরও অনেক বেশি পুরস্কার পেতেন- এটা বলার পাশাপাশি মনে হয়, বাংলার মানুষই বা তাঁকে কতটুকু সম্মান দিয়েছে? ডাক্তার মহলানবিশ কলকাতায় স্ত্রী ড. জয়ন্তী মহলানবিশের সঙ্গে থাকতেন। গত বছর স্ত্রী-বিয়োগের পরে তিনি মানসিকভাবে অনেকটা নিঃসঙ্গ হয়ে যান, হয়তো বা বিষাদগ্রস্তও। এইবার চলে গেলেন তিনি। সব মহীরূহ পতনের শব্দ শোনা যায় না, বিশেষ করে কার্নিভাল-প্রিয় হুজুগে এই নগরে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের শহর, আমাদের দেশ দরিদ্র হয়ে চলে।
স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি , দায় শিক্ষার।
ReplyDeleteঅশিক্ষিতের দেশে শিক্ষার কি মূল্য?
ভালো লেখা।
বড় সুন্দর, মনোগ্রাহী লেখা।
ReplyDeleteঅসাধারণ তথ্যঋদ্ধ লেখা। খুব ভাল লাগলো। অনেক না জানা কথা লিখেছিস। পড়ে নতুন কিছু জানলাম। আরে লিখবি। শুভেচ্ছা নিস
ReplyDeleteচমৎকার লেখা!
ReplyDeleteখুব তথ্যপূর্ণ এবং মনোগ্রাহী লেখা
ReplyDeleteঋদ্ধ হলাম
ReplyDeleteখুব সুন্দর লিখেছ জয়ন্তদা।
ReplyDeleteডা. মহলানবিশকে শ্রদ্ধা ও প্রণাম।
ReplyDeleteতথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। লেখককে কুর্নিশ।
খুব ভালো লাগলো জয়ন্তদা।
ReplyDeleteখুব সুন্দর লিখেছিলেন।
ReplyDeleteএরকম.তথ্যসমৃদ্ধ এবং তাৎপর্য্যবহ লেখা বিগ মিডিয়াতে আসবে না এমন বিস্তারিতভাবে। খুব সুন্দর লেখা।.এর প্রচার আমাদের দায়।অনেক সাধুবাদ জানাই লেখককে।
ReplyDeleteসুপরিচিত অনেকটাই অপরিচিত এক.প্রায়.অনন্যসাধারণ চিকিৎসকের সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলাম।ওনার আবিষ্কার আর নাম.আমি বছর খানেক আগে জেনেছি।মনে নেই উৎস।শতফুল থেকে হয়ত। আরো বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ এই লেখা।লেখককে সাধুবাদ জানাই।
ReplyDelete