Pages

Saturday, 19 March 2022

কেজরিওয়াল মডেল!

আম আদমির পঞ্জাব 

শঙ্কা অনেক, প্রত্যাশা আরও বেশি

সোমেন চক্রবর্তী

 

দিল্লীর পরে আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করল। পূর্ববর্তী বিধানসভায় আপ'এর ২০টি আসন ছিল। এবারে ১১৭টা আসনের মধ্যে ৯২টা আসন লাভ নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক সাফল্য। বিশেষত, সীমান্তবর্তী এবং বহু রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী পঞ্জাবের মতো একটি রাজ্যে।

পঞ্জাব প্রদেশ ইংরেজ উপনিবেশের সময়ই তৈরি হয়েছিল। সে সময় তার রাজনৈতিক অবস্থান ও চরিত্র অবশ্য ছিল আলাদা। বর্তমান পঞ্জাব রাজ্য ১৯৬৬ সালে 'পঞ্জাব পুনর্গঠন আইন'এর মাধ্যমে হরিয়ানাকে আলাদা করে দিয়ে তৈরি হয়েছিল। পঞ্জাব যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল, আবার ভারত ভাগের ফলে উদ্ভূত সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের নিরিখে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত একটি প্রদেশও বটে। উপরন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শরণার্থী পুনর্বাসন এবং বিভেদকামী গোষ্ঠী নিয়েও বিপর্যস্ত ছিল বহু বছর। পঞ্জাব এমন একটি প্রদেশ যেখানে শিরোমণি অকালি দল ধর্ম ভিত্তিক ও অত্যন্ত প্রভাবশালী দল হলেও এবং দীর্ঘ সময় সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রশ্রয় পায়নি। পঞ্জাবিরা লড়াইয়ে আছে, ধর্ম পালনে একনিষ্ঠ, ব্যবসা-বাণিজ্যে আপসহীন, আবার সংকটে মানুষের সেবায় নিবেদিত প্রাণ।

১৯৬০'এর দশকের শেষে সবুজ বিপ্লবের প্রভাবে পঞ্জাবের কৃষি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। কৃষকদের একাংশ আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হয়ে ওঠেন। পরন্তু প্রদেশের জনজীবনেও তার ইতিবাচক প্রভাব বিভিন্নভাবে প্রতিফলিত হয়। আশির দশকে পঞ্জাব দ্রুত আধুনিক হয়ে ওঠে- এই সময়ই দোয়াব অঞ্চল থেকে জীবিকার সন্ধানে বহু মানুষ বিদেশে পাড়ি দেন। এই সন্ধিক্ষণে প্রথমে কংগ্রেস ও পরবর্তীকালে শিরোমণি অকালি দল বেশ কয়েক দশক ধরে ক্রমান্বয়ে পঞ্জাবের সরকারে নিজেদের দখলে রেখে দেয়। ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির পুনরুত্থানের পরে কংগ্রেস একাধিক কারণে দেশ জুড়ে প্রভাব হারিয়ে ফেলতে থাকে; যদিও পঞ্জাবে কংগ্রেস সেরকম দুর্বল ছিল না কিন্তু সর্বভারতীয় রাজনীতির এই শূন্যতাকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্রমশই পঞ্জাবের রাজ্য রাজ্যনীতিতে নিজেদের একটা জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা পঞ্জাবকে অন্যতম একটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্যে পরিণত করে। মাফিয়াদের স্বাধীন বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠে পঞ্জাব।

২০২০'র অক্টোবর মাসের পরে পঞ্জাবের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নতুন মোড় আসে। মূলত, ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলন শুরু হবার কারণে। এর পাশাপাশি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং'এর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের জনসমর্থন তলানিতে পৌঁছয়। যদিও কংগ্রেস দলিত বর্গের চরণজিৎ সিং চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করে পরিস্থিতি অনুকূলে আনার প্রয়াস করে কিন্তু কংগ্রেসের জনসমর্থন বৃদ্ধিতে আখেরে কোনও লাভ হয় না। এমতাবস্থায় আম আদমি পার্টি দ্রুত নিজেদের সক্রিয় করে তোলে এবং সমগ্র প্রদেশব্যাপী পার্টির সম্প্রসারণ শুরু হয়। এ ক্ষেত্রে দিল্লীর আপ সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখি কার্যক্রম আম আদমি পার্টির পক্ষে তুরুপের তাসের মতো কাজ করে। পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে তারা ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীআলোচনায় ব্যাপক ভাবে উঠে আসে 'কেজরিওয়াল মডেল'। কিন্তু কী সেই মডেল যাকে নিয়ে এত আলোচনা ও বিতর্ক! কেজরিওয়াল মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি দেখা যাক:

১) সাংবিধানিক ও আইনি প্রতিবন্ধকতা স্বত্ত্বেও সরকার বলিষ্ঠ ও সচল: সংবিধানের ৬৯তম সংশোধন (১৯৯১) দিল্লীকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও উল্লেখ করে যে তার একটি আইনসভা ও মন্ত্রী পরিষদ থাকবে। বকলমে, একটি নিধিরাম সর্দারের মতো খর্বকায় সরকার থাকবে মাত্র। তার উপর দিল্লী সরকার সপ্তম তফশিলীতে রাজ্যর জন্য নির্ধারিত ক্ষমতাগুলির (রাজ্য তালিকা) মধ্যে তিনটি থেকে বঞ্চিত রয়েছে- পুলিশ (সংখ্যা ১), জনশৃঙ্খলা (সংখ্যা ২) এবং ভূখণ্ডে হস্তক্ষেপ (সংখ্যা ১৮)। এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীও দিল্লী আইনানুগভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর'এর অধীন। নির্বাচিত সরকার তাঁকে সরকার চালাতে সাহায্য করবে মাত্র। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য এও বলা আছে যে দিল্লীর মন্ত্রী পরিষদের সুপারিশ সব সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত হতে পারে না, কারণ, তা যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর পরিপন্থী। এই কঠিন সাংবিধানিক এবং আইনি সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও দিল্লি সরকার হাল না ছেড়ে গত সাত বছর ধরে একের পর এক জনকল্যাণমুখি প্রকল্প ও কার্যক্রম নিয়ে এসেছে। সে সবের সিংহভাগ সফল এবং জনগণের কাছে সমাদৃত।

২) দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচার: স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ জুড়ে রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে ও প্ররোচনায় ভ্রষ্টাচার সর্বগ্রাসী আকার নিয়েছে। এমতাবস্থায় দিল্লীর আপ সরকার অত্যন্ত সীমিত সামর্থ্যে বিকল্প প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার সর্বৈব প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ বছরে সরকারের অন্দরে ভ্রষ্টাচারকে তারা ঢুকতে দেয়নি। সম্পূর্ণ নির্মূল করা অবশ্যই অত সহজে এবং এত অল্প সময়ে সম্ভব নয়, কিন্তু দিল্লি সরকারের কোনও উচ্চস্তরীয় মন্ত্রী বা নেতাকে এই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযুক্ত করতে পারেনি। এমন প্রচুর বিষয় রয়েছে যেখানে আগে ঘুষ বা উচ্চমহলের প্রভাব ছাড়া কোনও কাজই হত না, এখন সাধারণ মানুষ তা নিয়ম অনুসারে পেয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কম খরচে ও নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হতে পারছে।

৩) সামাজিক সুরক্ষা: দিল্লীর আপ সরকার বছর চারেক ধরে জল এবং বিজলি প্রায় নিখরচায় বিতরণ করে চলেছে। বহু পরিবার (এমনকি মধ্যবিত্ত পরিবারও) এবং ছোটখাটো ব্যবসাদার গত তিন-চার বছর এই দুটি খাতে কোনও খরচই করেনি। দিল্লী সরকারের মতে, এই ভর্তুকি দিয়ে তারা সরকারের উপর কোনও নতুন আর্থিক চাপই সৃষ্টি করেনি। ভ্রষ্টাচারের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার ফলে সরকারের কাছে অনেক অর্থ উদ্বৃত্ত হচ্ছে। সে কারণে দীর্ঘ সময়ের কোভিড লকডাউন স্বত্ত্বেও দিল্লী সরকার তেমন কোনও আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়নি। এছাড়াও তারা বহু অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল ব্যয় কমিয়ে দিতে পেরেছে। এইভাবে যে অর্থ উদ্বৃত্ত হচ্ছে, তা কেজরিওয়াল সরকার বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। মানুষকে এই সুবিধাগুলো দেওয়া যেতেই পারে- এই সরকার সামাজিক সুরক্ষার এতদিনের প্রচলিত ধারণাটাকেই পাল্টে দেবার প্রয়াস চালাচ্ছে। সরকারি বাসে নিঃশুল্ক যাতায়াতের জন্য একটি গরিব পরিবারে দুজন মহিলা যদি ৩-৫ হাজার টাকা যাতায়াত খরচা বাঁচাতে পারে সেটা তাদের সাবলম্বী তো করবেই, উপরন্তু গরিবি অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেবে। গরিব ঘরের মেয়েরা পাঠক্রম চালাতে পারবে। অনেক দূরবর্তী জায়গায় গিয়ে মহিলাদের চাকরি করা সম্ভব হবে। ভিড় থাকার কারণে মহিলাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়বে। এটাই আপ সরকারের নতুন সামাজিক সুরক্ষা নীতি। এইভাবে সাধারণ মানুষের কাছে যে অর্থ বেঁচে যাচ্ছে তার এক সুদূরপ্রসারী আর্থ-সামাজিক লাভ রয়েছে। আর সরকারি বিদ্যালয় এবং মহল্লা-ক্লিনিক তো বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয় হয়েছে।

৪) রাজনৈতিক: এত বছর সরকার চালিয়েও আপ নেতা এবং মন্ত্রীরা কিন্তু সাধারণ মানুষের মতোই রয়ে গেছেন। তাঁদের সুরক্ষা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হয়তো বেড়েছে কিন্তু যেটুকু নিয়মানুগ তার বাইরে চারদিকে সুরক্ষা বলয় নিয়ে তাঁরা ঘুরে বেড়ান না। রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের মধ্যে কোনও বিশেষ পরিবর্তন নজরে আসে না। এই যে একটা ধারণা গড়ে উঠেছিল যে রাজনৈতিক নেতা বা সরকারের মন্ত্রীরা সমাজ থেকে আলাদা এক বিশেষ গোষ্ঠী, এটাকে আপ সরকার রীতিমতো নস্যাৎ করতে পেরেছে এখনও পর্যন্ত।

৫) সামাজিক পরিবর্তন: ভারতের রাজনীতিকে অত্যন্ত হিসেব করে জাতপাত, ধর্ম এবং আঞ্চলিকতাবাদে বিভাজিত করা হয়েছে। এর বিপরীতে আম আদমি পার্টি বোধহয় একমাত্র দল যে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে। উন্নয়ন এবং সমবন্টন এখনও পর্যন্ত তাদের মূল কর্মসূচি। এবং তাদের নির্বাচনের প্রতিনিধিরা প্রায়শই (কোথাও অন্যরকম হয়ে থাকলে সে নিতান্তই ব্যতিক্রম মাত্র) জাতপাত বা ধর্মের নিরিখে ঠিক হয় না। এই সমস্ত মানুষের বেশিরভাগের কোনও রাজনৈতিক অতীতই নেই। অথচ জাতপাত, ধর্ম এবং আঞ্চলিকতাবাদকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে তাদের ভোট দিয়েছে এবং পঞ্জাবের আইনসভা নির্বাচনে বেশির ভাগ আসনেই তারা বেশ ভালো ভোট পেয়ে জিতেছে।

পঞ্জাবে আমি আদমি সরকার অবশ্যই এই ধারাকে বজায় রাখবে। তবে দিল্লী যেহেতু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং পঞ্জাব একটি পূর্ণ রাজ্য- তাই এই দুই রাজনৈতিক কাঠামোর সরকার পরিচালনার রূপরেখা একরকম হতে পারে না। পঞ্জাবের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষিত আলাদা। মানবসম্পদের চরিত্র ও বিশেষত্বে বিরাট পার্থক্য। সর্বোপরি আপের পঞ্জাব নেতৃত্ব কেজরিওয়াল-সিসোদিয়া দ্বৈত নেতৃত্বের তুলনায় অনেকটাই অনভিজ্ঞ। দিল্লি শহর-কেন্দ্রিক, কিন্তু পঞ্জাবে গ্রামোন্নয়ন ও কৃষি ক্ষেত্র খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সেখানে কিন্তু আপ নেই। স্থানীয় সরকার বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করতেই পারে, যেমন নাকি দিল্লির পৌর নিগমগুলো করে চলেছে। সরকারি স্কুল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিন্তু স্থানীয় সরকারের অধীন।

কিন্তু পঞ্জাবের ক্ষেত্রে সুবিধে এই যে, আপ সাত বছরের বেশি সময় দিল্লীর সরকার চালিয়ে এখন অনেক পরিণত। আইন এবং সংবিধানকে এখন তারা অনেক বেশি বোঝে ও সমীহ করে চলে। সরকারি প্রকল্প প্রণয়নে এবং তার রূপায়ণে তারা এখন অনেক বিচক্ষণ ও দক্ষ। ইতিমধ্যে আমলাতন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা তারা অনেকটাই শিখেছে। এসব অবশ্যই পঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকারকে সাহায্য করবে। দিল্লীর উন্নয়ন মডেলও এর সাথে বাড়তি সুবিধা দেবে।

এছাড়া, আম আদমি পার্টি গত বেশ কয়েক বছর ধরে, বিশেষত দিল্লীর পুরসভা নির্বাচনে আশাপ্রদ ফল না হবার কারণে বিভিন্ন স্তরে পরিকাঠামো তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে। তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা কোভিড সংকটের দিনগুলোতে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিল। দলের কর্মকর্তারা আজকাল (যদিও স্থানীয় সমস্যার সমাধান পুরসভার হাতে) স্থানীয় সমস্যার সমাধানে আগের থেকে অনেক বেশি সজাগ এবং সক্রিয়। আপ উগ্র রাজনৈতিক কোনও দল নয়। বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে এরা খুব সোচ্চার হতে বা শোরগোল করতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী জন আন্দোলনে এরা অবশ্যই পরিপক্ক নয় বা তার থেকে সরকার চালানোকেই হয়তো বেশি প্রাধান্য দেয়। আপ কৃষক সংগ্রামের পক্ষে থাকলেও বা সিএএ'র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন করলেও সামলে থেকেছে, দূরত্ব বজায় রেখেছে। আপের নেতৃত্ব রাজনীতিতে আসবার আগে থেকেই ধার্মিক আচারবিধির মধ্যেই বেড়ে উঠেছে। তাই তাদের প্রকাশ্যে ধর্মীয় উৎসবে শামিল হতে অসুবিধে হয় না।

তবে পঞ্জাবের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত আলাদা। শিখ ধর্মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করা এখানে অত্যন্ত জরুরি। এখানে ভগৎ সিং'এর 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ' যেমন থাকবে তেমনই শিখ গুরু নানকদেবের 'যো বলে সো নিহাল.. সৎ শ্রী অকাল'ও থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোয় একটি পূর্ণ রাজ্যের ভূমিকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভারতবর্ষের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে যা চাই তা হল এক উদাহরণযোগ্য 'পঞ্জাব মডেল'

 

No comments:

Post a Comment