Pages

Tuesday, 17 August 2021

ভবিষ্যনীতির ছাঁচেই শিক্ষানীতি ২০২০

'আমাদের নিজস্ব বলে কিছুই থাকবে না'

গৌতম দাস

 

স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর উদীয়মান শিল্প ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছিল নতুন উৎপাদন ব্যবস্থা একেই আমরা শিল্প বিপ্লব বলে জানি পরবর্তী দুই-তিন শতকে এর নানা ভোল বদলের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে আমরা শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে শাসকরা তাদের নতুন শিক্ষানীতিতে (নয়া শিক্ষানীতি ২০২০) এই বিপ্লবের কথাই আমাদের শুনিয়েছে। কিন্তু এই বিপ্লবের সারমর্ম আমরা বুঝতাম না, যদি ওয়ার্ল্ড ইনমিক ফোরাম'এর সর্বময় কর্তা ক্লস্ সোয়াস দুটি বই লিখে আমাদের অন্ধ মননে আলো না ফেলতেন

বই দুটির একটি হল- 'কোভিড ১৯: দ্য গ্রেট রিসেট' অন্যটি, 'ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন'। দুর্বল চিত্ত হলে বইটি পড়ে কারও লোমহর্ষক আতঙ্ক কাহিনী বলে ভ্রম হতে পারে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে, তার ফলে আমাদের পরিচিত দুনিয়াটা হঠাৎ এমনভাবে বদলে যাবে যে আমরা শুধু জীবনযাপনের পদ্ধতি বদলাতে বাধ্য হ তাই নয়, বদলে যাবে জীবন সম্পর্কে আমাদের ধারণা…২০৩০এর মধ্যে আমাদের নিজস্ব বলে কিছুই থাকবে না, অথচ আমরা সুখেই মজে থাকব।’

অর্বাচীনের প্রলাপ বলে মনে হচ্ছে? একেবারেই নয় প্রযুক্তি বলতে ক্লস সোয়াস বুঝিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ন্যানো টেকনোলজি, থ্রিডি প্রিন্টিং, সিন্থেটিক বায়োলজি, ইন্টারনেট অফ থিংস অর্থাৎ আন্তর্জালে আবদ্ধ সমস্ত পরিষেবা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও এমনতর হরেক কিসিমের ডিজিটাল প্রযুক্তি কৃত্রিম বিপর্যয় ঘটিয়ে প্রকৃত ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির জায়গা দখল করে নেবে ডিজিটাল অর্থনীতি প্রকৃত মুদ্রার বদলে আসবে ডিজিটাল মুদ্রা লগ্নি পুঁজির ধনকুবেররা নেতৃত্ব দেবে তার সাগরেদ হবে তথ্য প্রযুক্তির অতিকায় সংস্থা, ডিজিটাল লেনদেনের বৃহত্তর কর্পোরেট এবং দানবীয় শক্তির অধিকারী বহুজাতিক ওষুধ নির্মাতারা সারা বিশ্বকে নতুন অনুশাসনে বেঁধে ফেলতে পুঁজির এক নতুন অবতার ছড়ি ঘোরাবে সর্বত্র তার নাম ফিলানথ্রপিক ক্যাপিটালি ট্রোজানের ঘোড়ার মতো মানব হিতৈষীর পোশাক পরে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমনকি প্রশাসনের অন্দরে ঢুকে পড়বে প্রবল ক্ষমতাশালী এই পুঁজি ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের কারণে ব্যবসায়িক লেনদেন বা বাণিজ্যের খরচ প্রায় শূন্যের কাছে পৌঁছে যাবে শ্রমের মূল্য এমন একটি স্তরে নেমে যাবে যা অভাবনীয় শ্রমের বাজার ভয়ঙ্কর ভাবে সংকুচিত হবে এবং তা দুটি চরম স্তরে দ্বিধা বিভক্ত হবে এর এক প্রান্তে থাকবে আধুনিকতম প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত অত্যন্ত উচ্চ মজুরির শ্রমিক, অন্য প্রান্তে গায়ে-গতরে খাটনির কাজে যুক্ত থাকা দাস মজুর ধাপে ধাপে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হবে মধ্যবর্গীয় কাজের বাজার ক্লস্ সোয়াস নিজেই বলেছেন, এমন একটি সমাজব্যবস্থা যে কোনও জনগোষ্ঠীর কাছেই বিভীষিকা হতে বাধ্য তবুও কোনওভাবেই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও ডিজিটাল অশ্বমেধের ঘোড়াকে আটকানো যাবে না নতুন প্রযুক্তির দৌলতে রাষ্ট্রের নজরদারি হবে অনেক বেশি তীক্ষ্ণ ও অভ্রভেদী বিক্ষোভ ও বিদ্রোহ দমনে রাষ্ট্র হবে অনেক বেশি নিখুঁত এবং পারদর্শী

এই যদি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি হয়, তাহলে ডিজিটাল একাধিপত্যের যারা মালিক সেই শাসকবর্গ, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ব্যবস্থার পক্ষে মানানসই ছাঁদেই গড়ে তুলবে; এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এই কারণেই নতুন শিক্ষানীতিকে একুশ শতকের উপযোগী বলে ঘোষণা করা হয়েছে উল্টোভাবে বলা যায়, শাসক তার অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে শিক্ষাক্ষেত্রকে গড়ে তুলবে- এতে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকে কী? থাকে না, থাকতে পারে না সে কথাটাই জোরের সঙ্গে শিক্ষানীতির ১১.৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: সমগ্রতার ভাবনায় সৃষ্ট এবং বহু শাখায় বিভক্ত এই শিক্ষাব্যবস্থা ভারতকে একুশ শতকের দিকে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অভিমুখে চালিত করবে।’

কোনও রাখঢাক না রেখেই ক্লস্ সোয়াস বলেছেন,চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সবচেয়ে নৈরাশ্যবাদী এবং অমানবিক চেহারাটা এমন হতে পারে যে রোবট নিয়ন্ত্রিত গোটা মানবজাতি তাদের হৃদয় ও মনকে নির্বাসনে পাঠাতে পারে।’ এটাই যদি শাসকের উচ্চারিত অভিলাষ হয়, তবে রোবটতন্ত্রের অধীন, চিন্তার দাসত্বের পক্ষে মানুষের মনকে গড়ে তুলতে হবে একেবারে গোড়া থেকে শিক্ষা ও সমাজের পরতে পরতে সেই ভাবনাই চারিয়ে দিতে হবে যা কিছু মানবিক বা সামাজিক মূল্যবোধের অনুসারী হবে, সেগুলোকে সেকেলে এবং একুশ শতকের অনুযোগী বলে আস্তাকুঁড়েয় ছুঁড়ে ফেলা হবে সেই দায় থেকেই নয়া শিক্ষানীতির প্রণেতারা বলছেন,শিক্ষার লক্ষ্য হবে এমন এক সমগ্র এবং সর্বাঙ্গীন চরিত্র গঠন করা যার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি একুশ শতকের উপযোগী দক্ষতা অর্জন করবে...পাঠ্যসূচি এবং শিক্ষণ পদ্ধতির খোলনলচে বদলে ফেলে সম্পূর্ণ নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে এই অতি প্রয়োজনীয় লক্ষ্যে পৌঁছনো যায় একেবারে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত, প্রতিটি স্তরে কীভাবে এই নতুন মূল্যবোধ এবং নতুন দক্ষতা পঠন-পাঠনের সঙ্গে নিবিড় ভাবে জুড়ে দেওয়া যায়, সেই পথ বাতলে দেবে এনসিইআরটি।’ (অনু: ৪.৪)

তাহলে এতদিন যে বিজ্ঞানের মৌলিক শিক্ষা, অর্থনীতি ও ভূগোলের পাঠ, মানব সমাজ ও ইতিহাসের ধারণা, ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চাকে আধুনিক শিক্ষার ভিত হিসেবে ধরা হ, সে সবের কী হবে? এক কথায় সেগুলি জাহান্নামে যাবেকারণ, রোবট নিয়ন্ত্রিত মানবতাহীন অর্থনীতিতে এসব শুধু মূল্যহীন নয়, দারুণ ভাবে প্রতিবন্ধক এমনকি বিপদজনকও বটে তাই পাঠ্যসূচিতে এইসব বিষয়কে একেবারে কোর এসেন্সিয়াল পর্যায়ে নামানো হবে অর্থাৎ নিম্নতম স্তরে সংকুচিত করা হবে তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের বিষয়টা কী থাকবে? শিক্ষানীতির ভবিষ্যৎদ্রষ্টারা বলছেন, বর্তমানে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিকভাবে মাত্র ৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি শিক্ষা নেয় সংখ্যাটাকে তারা অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ করতে চাইছেন কিন্তু, কোন বৃত্তি বা পেশার জন্য দেওয়া হবে এই শিক্ষা? শিক্ষার সমস্ত স্তরে, যে সমস্ত বিষয়ে দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ত্রিমাত্রিক নির্মাণ, ভেষজ পদ্ধতিতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ধারণা, পরিবেশের শিক্ষা এবং অবশ্যই বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠার পাঠ।’ ( অনু: ৪.২৪)

নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নাগরিকরা কোন মাপকাঠিতে সফল বা অ-সফল বলে নির্বাচিত হবেন? পাশ-ফেলের কড়াকড়ি আর থাকবে না মুখস্থবিদ্যার উপর নির্ভরতা বিদায় নেবে কমে যাবে কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলোর রমরমা অভিভাবকদের গাঁটের পয়সা অপ্রয়োজনীয় টিউশন দিতে খরচ হবে না বন্ধ হবে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ হ্যাঁ, এটাই দাবি করছেন শিক্ষানীতির প্রণেতারা

তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চালাবে কে বা কারা? মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা, সমস্ত স্তরেই লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানানো হবে পুঁজির নতুন অবতারদের, যাদের পোশাকি নাম ফিলানথ্রপিক ক্যাপিটালিজম আমরা জানি, বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের নামে এই পুঁজি কীভাবে ছড়ি ঘোরায় নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চতম গবেষণার প্রতিষ্ঠানগুলোকে একুশ শতকের যে নতুন প্রযুক্তির ডালি সাজিয়ে তারা নতুন অর্থব্যবস্থা স্থাপন করতে চাইছে, তার জন্য যে প্রশিক্ষিত মজুর দরকার, তার পাকাপাকি একটা ব্যবস্থা চাই ভবিষ্যতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে সেই মজুর তৈরির কারখানা যন্ত্রের অনুশাসন শিখে, ক ভালো ভবিষ্যতের মজুর তাঁরা তৈরি হবেন, তার নিরিখে স্থির হবে পাশ-ফেলের মানদণ্ড সেই মানদণ্ড বিচারের ভার কার ওপর বর্তাবে? সেটাও যন্ত্র।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করে যে সফটওয়্যার গড়ে তোলা হবে সেটাই বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের মূল্যায়নের ভিত্তি হবে।’ কিন্তু পড়াবেন কারা? নীতি নির্ধারকরা বলছেন, প্রচলিত ব্যবস্থায় যারা ভাল শিক্ষক, তাঁরা অপাংক্তেয়। নতুন ব্যবস্থাতেও তাঁরা ভালো শিক্ষক হবেন, এটা ধরে নেবার কোনও কারণ নেইতাই তাঁদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে গড়ে তোলা হবে নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি যারা শাসকের এই নতুন পদ্ধতি সফলভাবে রপ্ত করবেন, যন্ত্রবৎ শিক্ষার নতুন অর্থ ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় ঢুকিয়ে দেবেন, তাঁদের জন্য ইনামে ব্যবস্থা থাকবে ভদ্র ভাষায়, নসেন্টিভ তাঁদের মাইনে এবং চাকরির ভবিষ্যৎ সবই নির্ভর করবে এই মূল্যায়নের উপর তাই 'আর দেরি নয়, আর দেরি নয়' সমস্ত বাড়ি এবং স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে গেলে, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট সবার হাতে এসে গেলে, পাঠ্যসূচির অন্তর্গত বিষয়গুলো অনলাইন অ্যাপএর মাধ্যমে চালানো সম্ভব হবে।’ বিদায় নেবে খাতাপত্র ও ছাপানো বই

চালু হবে একাডেমিক ক্রেডিট স্কোর প্রশাসকের কড়া নজরদারি এড়িয়ে কোনও বেয়াদব ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষার চৌকাঠ ডিঙোতে পারবে না বিরুদ্ধ মত বা বিতর্ক- এসবে ধাত্রী ভূমি হিসেবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরিচিতি ছিল, তা অতীতের গর্ভে বিলীন হবে কিন্তু অনলাইন সফটওয়্যার নির্ভর উচ্চ প্রযুক্তির শিক্ষাব্যবস্থায় সমাজের কতজন অংশ নিতে পারবেন? নিশ্চিত ভাবেই তাঁরা সংখ্যায় হবেন অনেক কম তাই অত বেশি স্কুলেরও দরকার হবে না প্রতি ৫ বা ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে কোনও এলাকায় একটি মাত্র মাধ্যমিক স্তরের স্কুল থাকবে তাকে ঘিরে থাকবে ছোট কয়েকটি প্রাথমিক স্কুল এটাকেই বলা হবে স্কুল কমপ্লেক্স বা স্কুল ক্লাস্টার (অনু: ৭) তাহলে, রি, নিম্নবিত্ত এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষজনের সন্তানরা কোথায় পড়াশোনা করবে? 

আর্থিক ভাবে অবহেলিত এই বিশেষ শ্রেণির জন্য শিক্ষানীতির চিন্তকরা মাথা ঘামিয়ে দারু একটি রাস্তা বার করেছেন তাদের জন্য থাকবে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পরিচালিত মুক্ত বিদ্যালয় সেখানে আরও নিম্নশ্রেণির মজুর তৈরির প্রচেষ্টা থাকবে এটাই হবে হোলিস্টিক বা সমগ্র ভাবনায় অনুপ্রাণিত শিক্ষা সর্বশিক্ষা অভিযান সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পের অতিকায় হাঁ-মুখে বিলুপ্ত হবে।’ এই অনিবার্য বিলুপ্তির দৃশ্যকল্প ভেবে কেউ কেউ হয়তো আত্মহারা হবেন মিডিয়ার বাজনদাররা আরও বেশি উন্মত্ত হবেন তবু একটি প্রশ্ন কখনই চাপা পড়বে না- আমাদের শিক্ষার ইতিহাসে শাসকের দিশা বদলায় কী?

 

2 comments:

  1. In disguise of anti New Education policy The write up lands with pro policy.

    ReplyDelete
  2. বৃত্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হলে ভালই হয়। এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ন মুখস্থ বিদ্যা নির্ভর। বৃত্তি শিক্ষার মাধ্যমে কুটিরশিল্প নিবিড় অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব, যা শেষ পর্যন্ত কর্ম সংস্থান সমস্যার সমাধান করতে পারে। Top heavy shikhkha ব্যবস্থা sustainable নয়। যেমন প্রয়োজন সেরকম ব্যবস্থা হওয়া দরকার। হাতে কলমে শিক্ষা অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য। মোদ্দা কথা বিশ্বায়িত চাকরির বাজারের উপযুক্ত হয়ে উঠতে হবে। এই জন্য পুঁজির প্রয়োজন মাফিক নিজেদের তৈরি করতে হবে। বিদ্যা বোঝাই বাবু মশাই হয়ে কোনো লাভ নেই। ডিগ্রীধারী শিক্ষিত বেকারের থেকে ডিপ্লোমাধারী শ্রমিকের চাকরির বাজার একশো গুনে ভালো। Vested interest কখনই চাইবে না বৃত্তিশিক্ষা তার প্রাপ্য গুরুত্ব পাক। তবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা নীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের ভালো করতে চায় এটাও বিশ্বাস করা মুস্কিল।

    ReplyDelete