উন্নত দেশগুলির বেহাল অবস্থা কেন!
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
কোভিড১৯-এর
দাপটে এখন বিশ্ব জুড়ে নাভিশ্বাস। এ আর বলার মতো কী কথা! সে তো দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু
যা দেখা যাচ্ছে তার ভেতরে অন্য এক ছবিও যেন প্রতীয়মান।
কেউ কেউ এই
দ্রুত পালটে যাওয়া চারপাশকে ‘এন্ড অফ ক্যাপিটালিজম’ বলছেন, কেউ বলছেন নতুন
মানবসত্তার উত্থানের কথা। আকাশ আবার নীল রঙ ফিরে পাচ্ছে, বাতাস অনেক শ্বাসযোগ্য
হচ্ছে, নদী-নালা স্বচ্ছ হয়ে উঠছে, কাশির দমকের সঙ্গে কালো কফ’ও তেমন দেখা দিচ্ছে
না- এইসব ছবিও অনেককে স্বস্তি দিচ্ছে। তাহলে সব কিছু ছাপিয়ে এই ধরা কি আবার নির্মল,
স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে? বহু মানুষ এমনটাই ভাবতে চাইছেন। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে
মৃত্যুভয়ে জর্জরিত, বিপন্ন, বিপর্যস্ত মানুষ আশার আলো বোনে, বহু গুণে মানবিক ও
দার্শনিক হয়ে ওঠাই তার কাছে তখন ব্রত। এই স্বপ্নের বুনন তাকে কলুষমুক্ত করে। এ
শুধু আজকের প্রবণতা নয়, বহুবার, বারবার মানুষ এমনতর স্বপ্নের ছাপ রেখে গেছে।
কিন্তু আবারও, সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে এলে, সে তার জিঘাংসার দান ফেলতে কসুর করেনি।
একদিন
কোভিড১৯’কে মনুষ্য প্রজাতি হয়তো জয় করবে, তার ঔষধি ও ভ্যাকসিনও আবিষ্কৃত হবে,
মৃত্যু মিছিল স্তব্ধ হবে কিন্তু আবারও সে সুসময়ে নতুন করে মানুষের দুঃসহ যাপন যে
পৃথিবীর আলোবাতাসকে গ্রাস করবে না, তার তো কোনও নিশ্চয়তা নেই! আমরা জানি, প্রতিটি
কর্মের ফল সে কর্মের ছাপ বহন করে। আজ মানুষের ঐকান্তিক ও মরীয়া প্রচেষ্টায় হয়তো
নিকট ভবিষ্যতে রুদ্ধ হবে কোভিড১৯-এর আগ্রাসন কিন্তু এর এই তীব্র প্রকোপে কি অতীত
কর্মের কোনও ছাপ ছিল না? সে প্রশ্নটি আমাদের সাধারণজনকে বড় ভাবাচ্ছে। কিছু বেয়াড়া
প্রশ্ন হয়তো অনেকেরই মাথায় ছিটকে উঠছে।
যেমন, বলা
হয়েছে, কোভিড১৯ অত্যন্ত সংক্রামক হলেও এর মারণক্ষমতা মোট আক্রান্তের ২ থেকে ৩
শতাংশের বেশি নয়। এই ধারণাটি অনেক দিন ধরেই ঘুরছে এবং এ দেশের পরিসংখ্যানেও তেমন
ইঙ্গিত আছে। কিন্তু চোখটা টেরিয়ে গেল ইউরোপিয় দেশগুলির তথ্য দেখে। জন হপকিন্স
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয় তথ্যে (সূত্র: টাইমস
অফ ইন্ডিয়া, ১০ এপ্রিল ২০২০) দেখা যাচ্ছে, 
দেশ                    আক্রান্ত            মৃত্যু          শতাংশ
স্পেন                   ১৫২৪৪৬         ১৫২৩৮         ৯.৯
ইতালি                 ১৪৩৬২৬         ১৮২৭৯         ১২.৭২
ফ্রান্স                    ৮৩০৮০         ১০৮৮৭         ১৩.১
ইংল্যান্ড                 ৬১৫১৬           ৭৯৭৮         ১২.৯৬
বেলজিয়াম              ২৪৯৮৩         ২৫২৩          ১০.০৯
অর্থাৎ,
ইউরোপের অতি আক্রান্ত দেশগুলিতে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ বা তার অধিক। এই হার যে
বাড়বে না সে কথা জোর করে এখনই কেউ বলতে পারছে না। সবচেয়ে বড় কথা, এ রোগের প্রকোপ
কবে প্রায়-নির্মূল হবে সে কথাও অনিশ্চিত। তথাকথিত অনুন্নত দেশগুলি থেকে এইসব উন্নত
দেশে মৃত্যুর হার কেন বেশি তা নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। যেমন, কেউ কেউ
বলছেন, ইউরোপের দেশে বরিষ্ঠ মানুষজনের সংখ্যা বেশি এবং যেহেতু বয়সোজনিত কারণে
তারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবং তারা নানা পূর্ব-ব্যাধি দ্বারাও ন্যুব্জ অতএব
তাদের মৃত্যুহারও বেশি। এই তথ্যটি আমি জানি না যথেষ্ট সাবলীল কিনা। এ নিয়ে তেমন
কিছু সংকলনও হয়নি। তবে আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য ইতালি সম্পর্কে পাচ্ছি (সূত্র: www.worldometers.info)- ১০ এপ্রিল ২০২০-তে সংকলিত মোট সমাধা হয়ে
যাওয়া ৪৬৭৪৯ কেসগুলির (closed cases) মধ্যে আরোগ্য লাভ
করেছেন ২৮৪৭০ জন বা ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮২৭৯ জনের বা ৩৯ শতাংশের। এই
আরোগ্য লাভ ও মৃত্যুর মধ্যে দূরত্ব কিন্তু খুব বেশি লম্বা নয়। ছবিটি অত্যন্ত
নিরাশাজনক।
প্রশ্ন হল,
ইউরোপে মৃত্যুহারে এই উর্ধ্বগতি কেন?  যেমন
ধরা যাক ইতালি। গত ২৫ মার্চ ‘দ্য ল্যানসেট’এ ইতালির মৃত্যুর কারণ নিয়ে ‘The Italian Health System and the Covid19 Challenge’ শীর্ষক
একটি নিবন্ধ বেরিয়েছে। সেখানে ইতালির এই দুর্যোগের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে
তাদের ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সার্ভিস ব্যবস্থার ভেঙ্গে পড়াকে এবং তা ঘটেছে মূলত দীর্ঘদিন
ধরে স্বাস্থ্যের বেসরকারিকরণ ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সরকারের তরফে অর্থ সংস্থানের
জোগান কমিয়ে আনার ফলে। ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইতালিতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ৩৭
বিলিয়ন ইউরো কাটছাঁট করা হয়েছে। এই বেপরোয়া বেসরকারিকরণ ও স্বাস্থ্যের ব্যবসা শুধু
ইতালি কেন, প্রায় সমগ্র ইউরোপ ও আমেরিকায় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বীমার দাসে
পরিণত করেছে এবং অতি মাত্রায় ওষুধ, হাসপাতাল, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচারের
ওপর নির্ভরশীল করিয়েছে। যে কোনও মামুলি অসুখবিসুখেই ডাক্তার ও ওষুধের ওপর মানুষকে
অতি মাত্রায় নির্ভর করিয়ে দেওয়ার ফলে অতি চিকিৎসা, ভুল চিকিৎসা ও অপ্রয়োজনীয়
চিকিৎসার বলি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই প্রাণঘাতী চিকিৎসা জনিত মহামারীতে
মৃত্যু এক স্বাভাবিক জীবনপ্রণালীতে রূপ পেয়েছে, যাকে তারা আবার নামকরণ করেছে iatrogenic
disease নামে। আমেরিকায় প্রতি বছরে সব থেকে বেশি মৃত্যুর প্রথম দুটি
কারণ যদি হার্ট অ্যাটাক ও ক্যানসার হয় তো তৃতীয় কারণ হচ্ছে এই iatrogenic
disease। ওষুধ ও হাসপাতালের ওপর এই অতি নির্ভরতা মানুষকে প্রকৃতি
থেকে সম্পূর্ণত বিযুক্ত করেছে এবং জল কাদা মাটিতে বেঁচে থাকার যে স্বাভাবিক যাপন
তার থেকে দূরে সরিয়ে তাকে ভূ-বিরোধী এক যান্ত্রিক সত্তায় পরিণত করেছে, যেখানে
অজানা কোনও রোগ বা ভাইরাসকে মোকাবিলা করার জৈবিক ক্ষমতাকে সে হারিয়ে ফেলেছে। আর এই
বিপর্যয় উন্নত দেশের প্রায় সব পরিসরেই নির্মম ভাবে থাবা বসিয়েছে।
গত ১৮ মার্চ
‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকায় জর্জ মনবিয়ট একটি নিবন্ধে বলছেন, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও
অস্ট্রেলিয়াকে শাসন করছে প্রধানত তামাক ও তেল কোম্পানিগুলো। তাদের নির্দেশিত বিবিধ
নীতির কারণে ভেঙ্গে পড়েছে জলবায়ুর ভারসাম্য, ধস নেমেছে জৈব জগতে, দূষিত হয়েছে জল ও
বাতাস, অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে শারীরিক স্থূলতা ও ক্রেতা ঋণ এবং সর্বশেষ প্রকোপ হল
এই করোনা ভাইরাস। এই সার্বিক বিপর্যয়ের আধারেই আজকের কোভিড১৯-এর মারণক্ষমতাকে
বিচার করা উচিত। সে তুলনায় ভারত সহ অন্যান্য এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার
দেশগুলির অবস্থা অনেক ভাল। দারিদ্র্য ও পরম্পরাগত ঐতিহ্যের নানাবিধ কারণে প্রকৃতি-বিযুক্ত
বদ্ধ জীবনের ওষুধ-সর্বস্বতা এখানে এখনও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। যে কারণে
মানুষের সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতা এখানে অনেক বেশি ও প্রকৃতির নিয়মে নানা ভাইরাস ও
ব্যাকটেরিয়াকে সঙ্গী করে ও শরীরে তার স্বভাবজাত অ্যান্টিবডি তৈরি করেই বাঁচার
কৌশলে তারা অনেক বেশি পারদর্শী। তা বলে, চিহ্নিত রোগী ও রোগের সংক্রমণকে উপেক্ষা
করা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু উন্নত দেশের ‘অতি উন্নতি’র কাছে বিকিয়ে যাওয়া মানবিক
সত্তা ‘অনুন্নত’ দেশের সাধারণজনের তুলনায় যে প্রকৃতিগত ভাবে দুর্বল ও অসহায় তা আজ
এই বাতায়নে এসে স্বীকার করে নেওয়াই ভাল।
দেশের সুবিখ্যাত
কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ বি এম হেগড়ে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, অসুস্থ মানুষজনের মাত্র ১
শতাংশের চিকিৎসা দরকার। অসুখ ও রোগভোগকে শরীর ও মন অনেকাংশেই প্রতিরোধ করতে পারে।
কথায় বলে, জ্বর হয়েছে? ওষুধ খেলে সাতদিনে সারবে, না খেলে এক সপ্তাহ। স্বাস্থ্য
সচেতনতা, শরীরকে বুঝে চলা, ধুলো মাটি জল হাওয়া নিয়ে বাঁচা– এই হতে পারে আমাদের
বিশ্ব প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতার সুর। আর সেখানেই আছে নীরোগ হওয়ার মোক্ষম দাওয়াই।
তবু যদি শরীর না দেয় তখন তো ডাক্তারবাবুরা আছেনই। কিন্তু কথায় কথায় ওষুধ,
হাসপাতাল, অস্ত্রোপচার? নৈব নৈব চ। কোভিড১৯ নিয়ে যে বিশ্বত্রাস ও উন্নত দেশগুলির
মুখ থুবড়ে পড়া অবস্থা তার থেকে শিক্ষা নিয়েই আমাদের আরও আরও প্রকৃতির কোলকে আশ্রয়
করতে হবে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, পশু-পাখি, গাছপালা নিয়েই তো আমাদের সার্বিক জীবন।
তবে আমাদের
অন্য এক দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে। দেশে যে লকডাউন চলেছে তার অর্থনৈতিক অভিঘাত কী হতে
পারে এ নিয়ে অবশ্যই শঙ্কার কারণ আছে। ক্ষুধা বনাম কোভিড– কোন পথে চলেছে দেশ?
অর্থনীতির আঙ্গিনায় কি সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আগতপ্রায়? সমস্ত কিছু কি উলটে যেতে
বসেছে নাকি মহামারীর এ এক ক্ষণিকের ঝাপটা মাত্র! যার পর আবার আগের মতোই পৃথিবীকে
দিকনির্দেশ করবে চরম লোভ ও জিঘাংসা! অত রোমান্টিকতার আদৌ কি কিছু আছে? উন্নত
দেশগুলি সজোরে ধাক্কা খেল বলে কী এ অনুন্নত দেশগুলোর তির্যক তিরস্কার: দ্যাখ, কেমন লাগে!       

না , অনিন্দ্য তোমার লেখার যুক্তি ও স্টাইল নিয়ে কোন কথা হবে না। তবে আমার মনে হয় আ্যাঙ্গেলটা আরেকটু রিসার্চ এর দাবি রাখে। তখন পৃথিবী এখনকার পশ্চিমীদের মতো প্রকৃতিবিরুদ্ধ আত্মকেন্দ্রীক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ধ্বজা নিয়ে উন্নত ছিলো না , তখনও লাখ লাখ লোক মারা যেতো মহামারীতে। কাজেই ভাইরাসের মহামারী ও অতিমারী একমাত্র এখনকার এই পৃথিবীর চিত্র নয়। গত হাজার বছরের ইতিহাস।
ReplyDeleteএটা একটা তুলনামূলক আলোচনা। মহামারীতে মৃত্যু আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে কিন্তু এখানে তুলনামূলক ভাবে উন্নত দেশগুলি কেন যুঝে উঠতে পারছে না তার একটা কারণ আজকের পরিপ্রেক্ষিতে বোঝার চেষ্টা করেছি মাত্র। শেষ কথা বলার সময় নিশ্চয়ই আসেনি।
ReplyDeleteএকটা ব্যাপার কৌতুহলোদ্দীপক। আফ্রিকায় করোনার প্রকোপ খুব কম। কেন? সাধারণতঃ দরিদ্র ও অনুন্নত এলাকায়, যেখানে অধুনিক চিকিৎসার সু্যোগ কম সেই জায়গাগুলো রোগ-ব্যাধিতে বেশী আক্রান্ত হয়। এবার সেটা উল্টে গেলো। আর একটা বিষয় - লকডাউনের ফলে গরিব মানুষ জীবিকা হারাচ্ছেন। ক্রমশঃ এই সংকট গ্রাস করবে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্তকেও। পুঁজিবাদ কি এদের ছাড়াই একটা বিশ্বব্যবস্থা ভাবছে? নাকি রাষ্ট্র এই সব কাজ হারা মানুষদের অনুদান দিয়ে ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়ে অর্থনীতির ধ্বস আটকাবে - যা পুঁজিবাদের মূল নীতির বিরোধী। এটা নিয়ে অধিকারীজন কথা বলুন।
ReplyDeleteCOVID-19 জনিত পরিস্থিতিতে অভিনব দৃষ্টিকোণ থেকে অনিন্দ্যদার এই লেখা, জনস্বাস্থ্যর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ রেখে গেল। এই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তান বাবুর বক্তব্যও বেশ জোরালো। আবার দুজনের বক্তব্যেই প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যায়, যখন আমেরিকা ক্রমাগত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে COVID-19 এর উৎস নিয়ে তদন্তের দাবি জানাতে থাকে। তদন্ত একটা হবেই এবং হচ্ছেও। আমেরিকা চুপচাপ বসে থাকার পাত্র নয়। COVID-19 যদি মনুষ্যসৃষ্ট প্রমাণ হয় তাহলে তো সব হিসেব নিকেশ উল্টোদিকে হাঁটা দেবে। আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
ReplyDeleteপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যেমন কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান যেখানে গণতন্ত্র কিছুটা authoritarian তারা কোভিড নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সফল লিব্যারাল gonotrantik দেশগুলোর চেয়ে। ব্যক্তিস্বাধীনতা যা liberal democracyর গর্ব সেটাই কিন্তু কোন কড়া ব্যবস্ঠা লাগু করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে তো নিষেধাজ্ঞা কেউ মানেইনি। 40000 দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ হয়েছে। কোরিয়া যাদের আইসলেশনে পাঠিয়েছে তাদের বাধ্যতামূলক একটা ayap ডাউনলোড করতে হয়েছে যেটার মাধ্যমে প্রশাসন তার গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে। পশ্চিমে এমনকি আমাদের এখানেও প্রাইভেসি লঙ্ঘন হচ্চে বলে আওয়াজ উঠে যাবে। Does it mean that we need a strong state in times of emergencies as these?
ReplyDeleteকিন্তু তার সঙ্গে মৃত্যুহারে তফাত আসবে কেন? যদি ধরেও নিই, গণতন্ত্রের সুযোগে বহু মানুষ নির্দেশ অমান্য করেছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে কিন্তু মৃত্যুর শতাংশ হারে কেন এতটা তফাত হচ্ছে- সেটিই আমার মুখ্য প্রশ্ন।
Delete