Pages

Wednesday, 18 December 2019

দেশ ধুঁকছে!


অর্থনীতির বেহাল দশা!
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য


জানা গেল, জুলাই-সেপ্টেম্বর ’১৯-এর ত্রৈমাসিকে আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে ৪.৫ শতাংশে। আর এই ক্রমপতন পর পর তিন ত্রৈমাসিক জুড়ে। ঠিক তার দু’ দিন পরেই প্রকাশ পেল এই তথ্যটিও যে, নভেম্বরে জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে ৬ শতাংশ। এই দুটি তথ্য পাশাপাশি রাখলে ধন্দে পড়তে হয়। কারণ, জিডিপি বৃদ্ধির হার যদি পড়ে আসে, এবং পরপর ত্রৈমাসিকগুলিতে ধারাবাহিক পড়তে থাকে, তাহলে সাব্যস্ত হয় যে অর্থনীতিতে বিকাশের হার শ্লথ হয়ে পড়েছে, যার অর্থ শিল্প সহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সংকোচন চলছে যাকে মন্দাভাব বলা যায়। তাহলে জিএসটি সংগ্রহ বাড়ল কীভাবে? জিএসটি সংগ্রহের সঙ্গে তো পণ্য বিক্রির সরাসরি যোগ। তাহলে কি গত উৎসব মরশুমে বিক্রিবাটা কিছুটা বাড়ল! আর তার প্রতিফলন আমরা অক্টোবর-ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে দেখতে পাব? অবশ্য যদি না ডিসেম্বরে পণ্য বিক্রি আবার যথেষ্ট পড়ে যায়। সে ইঙ্গিতও অবশ্য মিলছে! তা ১৭ ডিসেম্বরে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইন্ডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর শীর্ষ আধিকারিকদের প্রতি রাজস্ব সচিব ভূষণ পাণ্ডের মরীয়া নির্দেশেই স্পষ্ট। পাণ্ডে সাহেব পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী চার মাসে (মার্চ ২০২০-র মধ্যে) যে করে হোক ৪.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ করতেই হবে; কারণ, ভাঁড়ে মা ভবানী এবং কর সংগ্রহের পরিমাণ এই আর্থিক বছরে এখন পর্যন্ত মোটের ওপর একেবারেই আশাপ্রদ নয়।

এইসব নানাবিধ চুলচেরা আলোচনায় গত কয়েক মাস জুড়ে ভারতীয় অর্থনীতির বিচার একপ্রকার অগ্নিগর্ভ। এক পক্ষ যদি বলছেন, দেশ এক গভীর মন্দায় নিমজ্জিত তো আরেক পক্ষ উপেক্ষার সুরে জানাচ্ছেন, অপেক্ষা করুন সবুরে মেওয়া ফলে, যেটুকু নিম্নভাব তা আন্তর্জাতিক শ্লথতার কারণেই। এইসব ছাপিয়ে একটু খোলা মনে ভাবনাগুলোকে বরং সাজানো যাক।

প্রথমত, এটা বাস্তব যে বাজারে যথেচ্ছ নগদের জোগান হ্রাস পেয়েছে। আর যেহেতু আমাদের অর্থনীতির সিংহভাগ ক্রয়-ব্যয় নগদেই হয়, মায় বেতন পর্যন্ত, তাই নগদের জোগান কমে গেলে তা চাহিদার ক্ষেত্রে ঘাটতি তো তৈরি করবেই। কিন্তু সমস্যা এতটা সরল নয় বোধহয়। বুঝতে হবে, এতাবৎকাল নগদের কারবার এ দেশে দু’ ভাবে হয়ে এসেছে: এক, অসংগঠিত ক্ষেত্রে যা মাইনেপত্র, কেনাকাটা, বিক্রিবাটার মধ্য দিয়ে প্রবহমান; দুই, কালো টাকার মাধ্যমে যা সমান্তরাল ভাবে এক বড় পরিমাণে নির্বাহ হয়েছে। এই দুটি পরিসরই গত কয়েক বছরে ক্ষতিগ্রস্ত। প্রথম ক্ষেত্রে (অসংগঠিত) আঘাতটা পড়েছে গরিব মানুষের ওপর, বিশেষত বিমুদ্রাকরণের পর্যায়ে ও তৎপরবর্তী তার ক্রমপ্রসারিত প্রভাবের ফলে। এর সঙ্গে জিএসটি-র তড়িঘড়ি প্রয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রম ডিজিটাইলেজশন বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে যার সঙ্গে দ্বিতীয় ক্ষেত্রটির (কালো টাকার জগৎ) এক যোগসূত্র রয়েছে। খেয়াল করলেই দেখা যাবে, মন্দাভাবের শুরু গাড়ি ও নির্মাণ শিল্পে চাহিদার অবনমন দিয়ে যা পরে অন্যান্য শিল্পেও প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত ছিল কৃষি ক্ষেত্রে এক দুর্দশার চিত্র। এই গাড়ি ও নির্মাণ শিল্প কিন্তু অনেকটাই চালিত হত কালো টাকা উৎসারিত চাহিদা থেকে যা মোটেই অর্থনীতির সোজা পথের বাহক নয়। দু-চার বছর অন্তর নগদ টাকা ফেলে পুরনো গাড়ি বদলে নতুন গাড়ি কেনা, একই পরিবারে দু-তিনটি অবধি গাড়ি রাখা, বিভিন্ন শহরে নগদে যথেচ্ছ জমি-ফ্ল্যাট কিনে ফেলা- এসবই ছিল কালো টাকার অফুরন্ত জোগান থেকে যা আবার নিচের তলায় চুইয়ে পড়ে চাহিদার এক বাড়বাড়ন্ত তৈরি করেছিল। বিমুদ্রাকরণ, কেনাবেচার ডিজিটাইলেজেশন ও নগদ লেনদেনে বিধিনিষেধ এবং জিএসটি’র তড়িৎ প্রয়োগ- এই ত্রয়ের অভিঘাতে অর্থনীতিতে নগদে টান পড়ল ২০১৭ সাল থেকে সৃষ্ট এই নগদের কমতি ও তার ব্যবহারের ঝুঁকি ধীরে ধীরে অর্থনীতিতে ঝিমুনি নিয়ে এল। একদিকে তৈরি হল কর্মসংকোচন, অন্যদিকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে লেনদেনের কমতি।

কিন্তু এ প্রসঙ্গে কেউ বলতেই পারেন, যা অত্যন্ত সংগত'ও বটে যে কালো টাকা দিয়ে নগদ অর্থনীতি চলবে, এ তো আর সাব্যস্ত হতে পারে না। বরং, এই সংশোধনটা তো জরুরিই ছিল। অবশ্যই। কিন্তু তারপরেও পালটা প্রশ্ন রাখা যায় এই যে, তার অর্থ এও নয় যে সাময়িক ভাবে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে এর জন্য গভীর ও লম্বা নিদ্রায় চলে যেতে হবে। এই সংশোধনের জন্যই তাহলে দরকার ছিল, এমন কিছু উদ্ভাবন যা অর্থনীতিকে তার চলার পথে সবল রাখতে পারে। কিন্তু সে পথে কেন্দ্রীয় সরকার হাঁটল না। সে দীর্ঘকাল এই ঝিমুনি অবস্থাটাকেই চলতে দিল যেখানে নতুন করে অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের সমস্ত সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বিলীন হল। শেষে উপায়ন্তর না পেয়ে ও এক ‘ন যযৌ ন তস্থৌ’ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় কর্পোরেট কর কমিয়ে সরকার ভাবল যে এতেই কেল্লা ফতে হবে। হালে নির্মাণ শিল্পের জন্য একগুচ্ছ রিলিফ এনেও ভাবা হল কিছু ‘গতি’ বোধহয় দেওয়া গেল। আশ্চর্যের বিষয়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও তাঁর পারিষদদের এই সামান্য বিবেচনাটুকু কাজ করল না যে সমস্যাটা জোগানের নয়, বরং অধিক পরিমাণে চাহিদার। চাহিদাই যদি না থাকে তাহলে কর্পোরেট কর কমিয়ে তাদের সুবিধা বা উৎসাহ বাড়িয়ে লাভটা কী! কারণ, বিনিয়োগ তখনই বাড়তে পারে যখন বাজারে তা বিক্রির সম্ভাবনা থাকে। বোঝাই যাচ্ছে, হিন্দুত্বের খোয়াবে ও গোমূত্রের মায়ায়, ইদানীং এনআরসি’র নেশায়, অর্থ মন্ত্রকের স্বাভাবিক কাণ্ডজ্ঞানটুকু পর্যন্ত লোপ পেয়েছে। বহুজনে বারবার এই পরামর্শও দিলেন যে চাহিদা বাড়াতে আয়করের হার কমানো থেকে শুরু করে গরিবের হাতে আরও অর্থ প্রসারের প্রকল্প নেওয়া অতীব জরুরি। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা!

দ্বিতীয়ত, গত কয়েক মাসে শিল্প উৎপাদনের সূচক নেমে আসা হোক কি মুদ্রাস্ফীতির উর্ধ্বগতি, বিশেষত খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি (এই নভেম্বরে খাদ্যের পাইকারি ও খুচরো মূল্যস্ফীতির হার যথাক্রমে ১১.১ ও ১০ শতাংশে উঠেছে), অর্থনীতিতে আরও তীব্র সংকটের বার্তা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে আগামী ত্রৈমাসিকে (জানু-মার্চ’২০) বৃদ্ধির হার আরও পড়ে গিয়ে ৪.৩ শতাংশে পৌঁছনোর কথা বলে কারও কারও অনুমানএরই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তির আগ্রাসনে সংগঠিত কর্মক্ষেত্রে চাকরির সংকোচন ও পাশাপাশি স্বল্পস্থায়ী, চুক্তি-ভিত্তিক নিতান্তই সামান্য বেতনে কর্মসংস্থানই হয়ে উঠছে এ দেশেও যাপনের নিত্য স্বাভাবিক। শুধু সামান্য বেতনই নয়, প্ল্যাটফর্ম ও শেয়ার-অ্যাপ বিশিষ্ট অর্থনীতির দৌলতে আয়ের পথ হয়ে পড়ছে মূলত ইন্সেনটিভ-নির্ভর অধিক-সময় ব্যয়ে অতিরিক্ত রোজগারের পথ। এই পরিস্থিতি সমাজ জুড়ে তৈরি করছে অত্যন্ত কম-আয় নির্ভর এক বিশাল কর্মীবাহিনী যাদের পক্ষে ন্যূনতম মানে জীবন নির্বাহ করা রীতিমতো দুষ্কর। এই ক্রমশ বাড়তে থাকা এক বিপুল স্বল্প আয়ের কর্মীবাহিনী সামগ্রিক ভাবে চলমান বৈষম্যের অর্থনীতিকেই আরও মজবুত করছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

তৃতীয়ত, এক চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ বোধহীন যান্ত্রিক আমলাতন্ত্র অর্থনীতি ও সমাজ জীবনকে আরও পঙ্কিল করে তুলেছে। সরকারের যেন সদাই এক আতঙ্ক ভাব– এই বুঝি তাদের তথ্য, যুক্তি, কাজকম্ম বড়বেশি প্রশ্ন ও সংশয়ের মুখে পড়ে গেল। এই নিয়ে তারা সর্বদাই এক অতি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেনঅনেকটা ঠাকুর ঘরে কলা চোরের মতো অবস্থা! এর ছাপ অর্থনীতিতেও পড়ছে। যে কারণে, গতানুগতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া সরকার বা তাদের মন্ত্রীরা কোনও পদক্ষেপই নিতে পারেন না। উপরন্তু, মাথার ওপর বসে আছে পিএমও অফিস, যার অঙ্গুলি হেলন ছাড়া মন্ত্রী বা আমলাদের ঘরে এক পলক বাতাসও বয় না। এই চরম সিদ্ধান্তহীনতার মধ্যে গোটা সরকার ডুবে গেছে। যদি আরএসএস দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী মারফত কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বার্তা আসে তবেই সে কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বা আমলারা হাত দিতে পারেন। অর্থনীতির চলাচল তো অমন নির্দেশ মেনে হয় নাতাই থমকে থাকা, স্থবিরতা।

চতুর্থত, দেশের রফতানির হালও অত্যন্ত খারাপ। বিশ্বের বাজারে একটা মন্দা ভাব আছে বটে, কিন্তু রফতানিতে আমাদের খারাপ করার কারণ আমলাতান্ত্রিক জট ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে নানা প্রকার বাধাবিপত্তি। বিশেষত ডিজিটাল পদ্ধতির বাধ্যবাধকতা অনেক ক্ষেত্রেই উদ্যোগপতিদের কাজের গতিতে প্রচুর অসুবিধার সৃষ্টি করছে। এর অন্যতম কারণ হল, এই ডিজিটাল ব্যবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অত্যন্ত অপারদর্শী, অচল ও কাজের গতিতে বাধাস্বরূপ। সরকারের মূল লক্ষ্য, সংখ্যাতথ্য দিয়ে কাগজেকলমে প্রাপ্তির কোটা পূর্ণ দেখানো; যে ভাবেই হোক, জল মিশিয়েও। এইসব গোঁজামিলের ব্যস্ততায় কাজের কাজ আরও হ্রাস পেয়েছে, তার ওপর অর্থনীতিতে মন্দাভাব, ফলে, রফতানির পরিমাণ আরও কমেছে ও আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি হরেদরে নভেম্বর (২০১৯)’এ এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.১ বিলিয়ন ডলারে। এমতাবস্থায়, রফতানি না বাড়লে অর্থনীতিতে গতি আসা অসম্ভব।

তাহলে কি সরকারের অবিলম্বে উচিত নিজেদের খরচ বাড়িয়ে অর্থনীতিতে চাহিদার বৃদ্ধি ঘটানো? কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজকোষের বিপুল ঘাটতির সম্ভাবনা প্রবল ভাবে উঁকি দিয়েছে। এখনই সরকারি কোষাগারে রাশ না টানলে এই আর্থিক বছর শেষে (২০১৯-২০) ঘাটতির পরিমাণ জিডিপি’র ৫ থেকে ৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে, যার ফলাফল মারাত্মক হবে। অবিলম্বে আয়কর হ্রাস করে ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে অর্থের প্রবাহ বাড়িয়ে চাহিদার উর্ধ্বগতি সৃষ্টি না করতে পারলে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার অন্য কোনও রাস্তা নেই। রাজকোষ ঘাটতি কমাতে ইতিমধ্যে সরকার কতকগুলি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ হল দায়ে পড়ে গৃহস্থের ঘটিবাটি বেচে দেওয়ার সামিল। এ অবশ্যই যুক্তিগ্রাহ্য পথ নয়। বরং সরকারের উচিত, সরকারি খরচ বাড়িয়ে বাজারকে চাঙ্গা করা এবং ফলস্বরূপ সরকারি কোষাগারে যে ঘাটতি তৈরি হবে তা কর্পোরেটের মুনাফার ওপর সারচার্জ বসিয়ে আদায় করে নেওয়া। সরকারের যদি বাজারকে চাঙ্গা করার দায়িত্ব থাকে তাহলে সে বাজার থেকে প্রাপ্ত মুনাফার খানিক অংশও কর্পোরেটদের সরকারের ঘরে জমা করা উচিত।

এ হয়তো আপাত এক ব্যবস্থা। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পথটি হল- আমাদের মতো দেশে স্বউদ্যোগের ব্যাপক প্রসার ও সচলতার আয়োজন করা। প্রযুক্তির আগ্রাসনে সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির সম্ভাবনা সারা বিশ্ব জুড়েই ক্রমশ বিলীন হচ্ছে। আজ ইন্টারনেট ও বিশ্ব-অর্থনীতির মেলবন্ধনের ফলে স্ব-কর্মোদ্যোগের এক নতুন প্রবাহ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট উদ্যোগপতিদের কর্মোদ্যোগে প্রণোদনা ও তাকে বাজারের শৃঙ্খলায় বুনে দেওয়াটাই আসল কাজ। সে কাজ যদি সরকার যথাযথ ভাবে করতে পারে তাহলে অর্থনীতি তার আপন গতিতেই বিকাশ লাভ করবে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, নির্দিষ্ট এক পুঁজির অঙ্কের মালিকানা অবধি (ধরা যাক বছরে টার্নওভার ৫ কোটি টাকা) সামান্য এককালীন কিছু অর্থ আদায় ছাড়া এইসব স্বউদ্যোগীদের আর কোনও ভাবে সরকার থেকে বিব্রত করা কাম্য নয়এদের নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে কাজ করার সুযোগটুকু দিতে হবে। আর সমাজ-অর্থনীতিতে থাকতে হবে ইনোভেশন বা সৃজনক্ষমতার অবাধ পরিসর। এই ছোট অর্থনীতির ছোট রথ যদি নিজস্ব গতিতে চলতে শুরু করে, তাহলেই আগামী দিনে আমাদের দেশের অর্থনীতির চেহারা অনেকটা বদলে যাবে। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষিতে জাপান ও চীন কতকটা এই পথেই এগিয়েছে। কিন্তু কথায় বলে, উল্টা বুঝলি রাম! 
    

No comments:

Post a Comment