Pages

Friday, 27 September 2013

সুপ্রিম কোর্ট ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে


অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েছে। কোর্ট জানিয়েছে, এবার থেকে ইভিএম মেশিন-এ 'না' শীর্ষক একটি বোতাম থাকবে যেখানে press করে মানুষ জানাতে পারবেন যে তিনি কোনও দলকে সমর্থন করছেন না। অর্থ ও পেশিশক্তি যেভাবে আমাদের নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় যুগান্তকারী। এতদিন নির্বাচনের নাম করে সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হত কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিতে - এই রায় রাজনৈতিক দলগুলির সেই একাধিপত্য ভেঙ্গে দেবে। এখন দেখার এই রায়কে কতদিনে ও কীভাবে নির্বাচন কমিশন প্রয়োগে নিয়ে যায় ।


4 comments:

  1. Al-Birunee Pramith er ekti note......

    সত্তর দশকের অগ্নিগর্ভ , ভারতের স্ট্যাবলিশমেন্টের নড়ে যাওয়ার সময় । নকশালবাড়ী আন্দোলনের অবয়ব শিল্প - সাহিত্যেও অনবদ্যভাবে ফুটে উঠেছে । মণি মুখোপাধ্যায় ' গণতন্ত্র ও গোপাল কাহার ' গল্পে শত শত বছর ধরে সামন্তীয় পীড়নে পিষ্ট কৃষকের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরলেন । নকশাল সন্দেহে দরিদ্র কৃষক গোপাল কাহারকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর পরে গোপাল কাহার বলে উঠেছিলো " গণতন্ত্র আমি চিনিনা বাবু । উয়াকে কুনদিন দেখিনাই । কুথায় থাকে তাও আমি জানিনা । " এই সরল উক্তির পরেও পুলিশ গোপাল কাহারকে ছাড়েনি । পিটিয়ে আধমরা করে ' ডেমোক্রেসির ' ইজ্জত বজায় রাখতে সচেষ্ট হয়েছিলো । ডেমোক্রেসির শান-শওকত কতটা বেড়েছে তা ইতিহাস সচেতন পাঠক মাত্রই নিজ নিজ বুদ্ধিতে বিচার করে একই সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন নিশ্চিত ।





    তারপর কেটে গেছে আরো ৪২টি বছর । নিও - লিবারেলিজমের জমানা চলে এসেছে । গ্লোবালাইজেশনের ডুগডুগিতে সবাই তাকদুম তাকদুম নাচ দেখিয়ে দুধ - ক্ষীর , মাখনে নিজেদের অতিবাহিত করবে বলে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিলো । মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের মাদকতায় বিশ্ব থেকে অশিক্ষা দূর করা হবে বলা হয়েছে , নারীর ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে তৃতীয় বিশ্বের হাভাতে জনগণ ক্ষুধার অগ্নি থেকে বাঁচবে বলে অজস্র বাক্য খরচ করা হয়েছে । সারা বিশ্বের মানুষ নাকি একই সূত্রে পরস্পরের কাছে আসবে । টেকনোলোজির ছোঁয়ায় নাকি হাতের মুঠোয় চলে আসবে বিশ্ব । এই কথা অনেকটাই সত্য । বিশ্ব হাতের মূঠোয় চলে এসেছে । তবু কি বিকলাঙ্গতা আদৌ কমেছে ? প্রতিক্রিয়াশীলতার বিষের কোন নিরসন কিংবা সমাধান কি হয়েছে ? জাতীয়তাবাদের নামে অজস্র চাঁপাবাজি , ধর্মীয় কূপমন্ডুকতা চারপাশ খেয়ে নিচ্ছে । যেই ধীমান একইসাথে দেশপ্রেমের সবক শেখাচ্ছেন তিনিই গোপনে , সবার অলক্ষ্যে দেশের গাঁড় মেরে দেওয়া চুক্তিতে সাক্ষর করছেন । সাক্ষর করনেওয়ালা এবং বৈদেশিক শক্তির কাছে স্বেচ্ছায় দাসত্ব মেনে নেওয়াদের পক্ষে কলম ধরছেন । আইন - কানুন তৈরীতে ভূমিকা পালন করছেন , জনগণকে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছেন । এই নষ্টামীর শেষ নেই । এই হিপোক্রেসি ধর্মীয় ভন্ডের সর্বদাই উত্থিত লিঙ্গের মতোই স্বমহিমায় খাড়া হয়ে আছে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা !!!!!!!!







    ঠিক এমনই এক সময়ে বাংলাদেশ নামক ষোলকোটি মানুষের দেশে আমরা কি দেখি ? প্রতিদিন কি দেখছি ? জন্মলগ্ন থেকেই এখানে বিরুদ্ধমতের বিরুদ্ধে কনামাত্র টলারেন্স সহ্য করা হচ্ছেনা । এবং অবশ্যই স্ট্যাবলিশমেন্টের এক অংশের ভাগিদারেরা তার অন্তর্ভুক্ত নয় । রক্ষিবাহিনীর অত্যাচারে যুদ্ধাপরাধী , তাদের ছোটখাটো সহচরেরা কেউ মরুক কিংবা না মরুক সিরাজ শিকদারেরা মরবেই । অরুন সেনদের অবর্ণনীয় অত্যাচারে সম্ভব হলে নির্বংশই করা হবে । সেই ঘুরে ফিরে দিনের শেষে স্ট্যাবলিশমেন্টকে উল্টে দেওয়াদেরই খতম করা হবে কোন না কোন উপায়ে । আওয়ামী লীগ হোক , বিএনপি হোক , জামাত হোক কিংবা হোক সামরিক শাসনা-মল !!!!! এর কোন ব্যত্যয় ঘটবেনা । আজ অবধি ঘটেনি । রক্ষিবাহিনী নেই তো কি হয়েছে ? ছিলো চিতা , ছিলো কোবরা । আর্মিদের নিয়ে ' অপারেশন ক্লিনহার্ট ' যখন বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে তখন পাকা মাথাদের পাকা বুদ্ধির ফলে বেরিয়েছে ' র‍্যাব ' । আহা কি আনন্দ আকাশে - বাতাসে !!!!! স্ট্যাবলিশমেন্টের স্টেকহোল্ডার হতে পারলে র‍্যাব দিয়ে বিনা বিচারে যাকে মনে চাইবে মেরে ফেলা যাবে । কোন বিচার নেই , কোন টু-শব্দ নেই । আমরা এমনই এক জাতি যারা একবিংশ শতাব্দীতে খেয়ে দেয়ে , হেগে - মুতে , মৈথুন - বংশবিস্তার করবার পরেও মধ্যযুগীয় বর্বরতা প্রত্যক্ষ করি প্রতিদিন , প্রতিনিয়ত ।





    ReplyDelete

  2. continuation ...

    তারই সর্বশেষ সংযোজন হলো ' তথ্য প্রযুক্তি আইনের ' সংশোধন । শাস্তির সীমার মেয়াদ বাড়িয়ে ১০ বছরের পরিবর্তে ১৪ বছরের করা হয়েছে । কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের জামিন পাবার অধিকারই হরণ করা হয়েছে । গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে । বলা হচ্ছে ' উস্কানীমূলক বক্তব্য ' দেওয়ার অপরাধে সাজার বিধান রাখা হয়েছে । ' মানহানী ' , ' কুৎসা রটানো ' এসবেরও কোন সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি । বলা হবেও বা কেনো ? তাহলে তো এই আইনে মাস চারেক আগে গ্রেফতার করা ৪ ব্লগারের সাথে সাথে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকে জামাত - শিবির পরিচালিত ' বাঁশেরকেল্লা ' নামক ফেসবুক পেইজে প্রতিদিন শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দেওয়া জামাত - শিবির , যুদ্ধাপরাধীদের সিমপ্যাথাইজারদেরও গ্রেফতার করতে হয় !!!!!! বাইরে কামড়াকামড়ি চলবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ক্ষমতার চিমসে যাওয়া হাড্ডির জন্য কিন্তু তাই বলে তো আর নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করা যায়না । তাই আম পাবলিকের পশ্চাৎদেশে কাঠি করার নিমিত্তে অবশ্যই আলটিমেট শ্রেণীশত্রু হিসাবে তাদের নিশ্চিহ্ন করবার সম্ভাব্য সকল সুযোগের সদ্বব্যবহার করা হবে , আলবৎ করা হবে । মওদুদ আহমেদও কি চমৎকারভাবে ' তথ্য প্রযুক্তি আইন ' সম্পর্কে জানালেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা এই আইনটি বিবেচনা করে দেখবে । হাহ !!!!! এই বিবেচনার মানে আম পাবলিক জানেনা এমনটি ভাবলে ভুল করবেন আপনারা । আমরা জানি এই ' বিবেচনার ' মানে । এই ' বিবেচনাতেই ' ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ' বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ' নিষিদ্ধ করবার ঘোষণা থাকলেও আওয়ামী লিগ তা করেনি । তবে আপনারা প্রকৃতির সাথে সাথে রাজনীতির দ্বান্দ্বিকতাও কনামাত্র বোঝেন না । যাদের মাথায় টুপি পরিয়ে দিব্বি করে কম্মে খাচ্ছেন তারা যেদিন থাকবেনা সেদিন আপনাদেরও অস্তিত্ব থাকবেনা । পাড়ার নেড়ি কুকুরটা বেঁচে থাকলেও আপনাদের ক্যারিশমা , হ্যাডম , ক্ষমতার পৌরুষে মুতে ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাবেনা নিশ্চিত ।

    ReplyDelete