Pages

Friday, 13 June 2025

গাজার পাশে বিশ্ববাসী

ইজরায়েলের পৈশাচিক ধ্বংসলীলা

সোমা চ্যাটার্জি



গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যেই ১৩ জুন ইজরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কেন্দ্রস্থল ও অন্যান্য অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে এবং পশ্চিম এশিয়ায় আঞ্চলিক সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্য কায়েমের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইজরায়েল'এর যে একটি অক্ষ গড়ে উঠেছে তার মূল উদ্দেশ্য, পশ্চিম এশিয়ার সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলিকে দমন করে লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও অন্যান্য দেশগুলিতে সংঘাত সম্প্রসারিত করা। 

ইজরায়েল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ মদতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে একটি দুঃশাসিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে তার সবচেয়ে বড় সাক্ষী গাজা উপত্যকা। গত কয়েক দশক ধরে  ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সংঘর্ষে এক সময়ের সবুজ উপত্যকা আজ একটি মৃত্যুপুরী, একদা কোলাহল মুখর জনপদ আজ এক ধ্বংসস্তূপ। এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে গাজায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের বেশি, আহত লক্ষাধিক। প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু ১৪৮ জনের। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ নারী ও শিশু এবং ১০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক। বিশ্বের বাকি অংশ থেকে গাজা কার্যত বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তারা সব কিছুর জন্যই ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল। তাই, ইজরায়েল গাজার জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় গাজার জনজীবন কার্যত বিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তার উপর গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কারও কোনও ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না ইজরায়েলি সেনারা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে গত ৯ জুন সারা বিশ্বে আমানবিকতার চূড়ান্ত নজির সৃষ্টি করেছে ইজরায়েলের বেঞ্জামিন নেতেনইয়াহুর সরকার।

আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা 'ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন'এর 'ম্যাডেলিন' নামে একটি ত্রাণ সরবরাহকারী জাহাজকে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকে দেয় ইজরায়েলি সেনারা। ওই জাহাজটিতে সুইডেনের বিখ্যাত পরিবেশবাদী গ্রেটা থানবার্গ সহ আরও ১২ জন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন, যাদের মধ্যে ফ্রান্সের বিখ্যাত আইনজীবী ও ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইউরোপীয় সংসদের ফরাসি সদস্য রিমা হাসান, দুই ফরাসি নাগরিক এবং স্পেন, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও জার্মানির আরও অনেকে ছিলেন যারা সবাই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বা পরিবেশবিদ হিসেবে পরিচিত। গ্রেটা থানবার্গ একজন জলবায়ু রক্ষার প্রচারক কিন্তু গাজার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে ত্রাণ পৌঁছনোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে তিনি ৩ জুন শিশুর ফর্মুলা, খাদ্য ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যসম্ভার নিয়ে 'ম্যাডেলিন'এ যাত্রা করেন। জাহাজটি ইজরায়েল সীমানার কাছাকাছি আসতেই ইজরায়েলি সেনারা ড্রোনের মাধ্যমে কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক নিক্ষেপ করে গাজা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটিকে আটক করে। সেই সময়ে গ্রেটা থানবার্গের একটি ভিডিও রয়টার্সের মাধ্যমে এক্স হ্যান্ডেলে দেখা যায়, যেখানে লাইফ জ্যাকেট পরিহিত জাহাজের যাত্রীরা রয়েছেন এবং গ্রেটা বলছেন যে তাঁদের জাহাজটি ইজরায়েলের সেনারা অপহরণ করতে চলেছে। তিনি সুইডিশ সরকার, তার নিজের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাদের কাছে অনুরোধ জানান তাদের মুক্ত করার জন্য। ইজরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রক এটিকে স্টান্টবাজি ও লোকদেখানো হিসেবে অভিহিত করলে বিশ্বের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত ইজরায়েলি সরকার গ্রেটা সহ অন্যান্যদের  ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় এবং সে কথা সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়ে প্রকাশ করে। রিমা হাসানকেও ইজরায়েলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, কারণ, তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইজরায়েলি নীতির বিরোধিতা করেছিলেন।

রাষ্ট্রসংঘের মতে, আজ পর্যন্ত ২ লক্ষ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে যা গাজার মোট জনসংখ্যার এক-দশমাংশ। গত দু' মাসে শুধু আনাহারেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০০ জনের। সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্কগ্রস্ত গাজার শিশু ও নারীদের করুণ আর্তনাদের ভিডিও। চতুর্দিকে উঠেছে নিন্দার রব। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হয়ে ইজরায়েল মে মাসের শেষের দিকে সামান্য সাহায্যের অনুমতি দিতে শুরু করে। সম্প্রতি ঈদের দিন ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও'তে গাজায় এক মাকে তার সন্তানের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য মাটি থেকে ময়দার গুড়ো কুড়িয়ে নিতে দেখা যায়। ক্ষুধা, অনাহার আর মৃত্যুতে যখন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন বিপর্যস্ত, ঠিক সেই সময়েই জুনের প্রথম সপ্তাহে খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে ইতালির সিসিলির কাতানিয়া থেকে রওনা দেয় থুনবার্গ'দের জাহাজ, কিন্তু প্রথম থেকেই এই প্রশ্ন ছিল যে তা আদৌ গাজায় ত্রাণ পৌঁছতে সফল হবে কিনা! কারণ, মাত্র এক মাস আগে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের আরেকটি সাহায্যকারী জাহাজকে ইজরায়েল ড্রোন দিয়ে আঘাত করার ফলে জাহাজটিতে আগুন লেগে যায় এবং চারজন বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবক আহত হন। 

আমরা জানি, ২০০৬ সালে নির্বাচনের পর হামাস গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ২০০৭ সালে ফাতা'র সঙ্গে গৃহযুদ্ধের পর থেকে গাজা উপত্যকা ও ইজরায়েলের মধ্যকার সংঘাত জটিল হতে শুরু করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গাজায় ৫০০'রও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন, ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে এখন মাত্র ১০টি আংশিকভাবে কার্যকর; এলাকার ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও, ইজরায়েল সাংস্কৃতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য ভবন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি গ্রন্থাগার যেখানে হাজার হাজার বই ছিল; ছিল গাজার ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৮০ শতাংশ স্কুল, বেশ কয়েকটি মসজিদ, তিনটি গির্জা এবং দুটি জাদুঘর। রাষ্ট্রসংঘের মতানুযায়ী, গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের জন্য ৫৩০০ কোটি মার্কিন ডলার প্রয়োজন।

১৯৪৮ সালে আরব-ইজরায়েল যুদ্ধ দিয়ে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ শুরু হলেও আজ ৭৫ বছরেও তা শেষ হয়নি, বরং দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিয়ে বেড়েছে। ১৯৯৩ সালে নরওয়ের ওসলো'তে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন দুই পক্ষ শান্তি চুক্তিতে সম্মত হলেও ইজরায়েলের পাশে আরেকটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের জন্য ইজরায়েল রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। তাছাড়া এই দুই রাষ্ট্রের সীমান্ত জেরুসালেম কার অধীনে থাকবে, বা ফিলিস্তিনের মধ্যে বসবাসকারী ইজরায়েলি ইহুদিরা কোথায় যাবে, এবং ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের জন্য নতুন বাসস্থান কোথায় হবে প্রভৃতি বিষয়গুলিও পরে আলোচনায় ঠিক করা হবে বলে কথা হলেও ভবিষ্যতেও অনালোচিতই থেকে গেছে। এরপর জেরুসালেমে ইজরায়েলি রাজধানী প্রতিষ্ঠার পর এবং পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় ইজরায়েল সরকার স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা থেকে সম্পূর্ণ মুখ ফিরিয়ে নেয়। বস্তুত, এই কারণই জন্ম দেয় হামাস বা ফাতা'র মতো গোষ্ঠী যাদের দাবি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন।

বর্তমান ইজরায়েল সরকার চায় পশ্চিম তীরকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, যাতে ফিলিস্তিনিরা দুর্বল হিসেবে সবসময়ই ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। তাই, এই দখলদারি রাজনীতির জন্য গাজা থেকে সাময়িক ভাবে ইজরায়েল সরে আসলেও তারা পশ্চিম তীর ছাড়েনি বরং আমেরিকার মদতপুষ্ট হয়ে শান্তি চুক্তিকে দূরে সরিয়ে রেখে লাগাতার বোমা বর্ষণ ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে গাজার উপর। ঘৃণা এতদূর ছড়িয়েছে যে ইহুদি বিদ্বেষী হিটলারও যে কথা প্রকাশ্যে বলেনি তা সাম্প্রতিককালে একজন ইহুদি ইজরায়েলি রাজনীতিবিদ মশে ফেলিন বলে ফেলেছে-- 'গাজায় বসবাসকারী প্রতিটি শিশুর মৃত্যুই কাম্য', কারণ, তারা সবাই ইজরায়েলের শত্রু।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বেশি  বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত ও রাজনৈতিক ভাবে আলোচিত হলেও গাজা নিয়ে পৃথিবীর কোনও দেশই আজ পর্যন্ত কোনও একটি সঠিক ও পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ সহিংসতার জন্য ফিলিস্তিনের নিন্দা করেছে, যদিও  কিছু আরব ও মুসলমান দেশ সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইজরায়েলি দখলদারিত্বকে দায়ী করেছে। একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘ইজরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে পাশে থেকে ইজরায়েলকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে সামরিক খাতকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে যাচ্ছে, অন্যদিকে সম্প্রতি ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে ভারত, বিশেষ করে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে। ইজরায়েলের ধর্মীয় জাতীয়তাবাদকে মোদির কিছু অনুসারীরা অনুপ্রেরণা হিসেবেও গ্রহণ করেছে। মস্কোর পর ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হয়ে উঠেছে ইজরায়েল ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের রাজনৈতিক পটভূমি কতটা বদলে গেছে এবং পরাশক্তিগুলোর পারস্পরিক রশি টানাটানি কতটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ামক হয়ে উঠেছে, তা চলমান গাজা-ইজরায়েল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যুদ্ধটি শুধু দুই দেশের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।  সারা পৃথিবীর রাজনীতিবিদরা যখন জাতিসংঘে তীব্র কূটনৈতিক ঝগড়া এবং ইহুদি, মুসলিম বা আরবদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়াতে ব্যস্ত তখন গ্রেটা থানবার্গের মতো মাত্র ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য ন্যায়বিচার এবং ত্রাণের দাবিতে লড়াই করার মানসিকতা নিঃসন্দেহে একটি সাহসী পদক্ষেপ এবং এই রাজনৈতিক অচলাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

কিন্তু হামাস নিধনের নামে যে পৈশাচিক ধ্বংসলীলা ইজরায়েল  চালাচ্ছে, সেই মানবাধিকারের কলঙ্ক  মোছার জন্য অন্য দেশ এবং নেতারা কি দায়িত্বশীল হবে নাকি এখনও চুপ করে এই সশস্ত্র সন্ত্রাসকে আরও  ভয়াবহতার দিকে ঠেলে দেবে সেটাই দেখার বিষয়।



6 comments:

  1. Tothyo-shamriddho lekha toh botei, eti ei shomoy bhaag (share) koraaro bishesh proyojon chilo. Soma Chatterjee paathokder nijer moto korey poth dekhaacchen; etaar bishesh proyojon royechey toh botei; agronii lekak der kaacchey etai paathok aasha karen.

    ReplyDelete
  2. How many Israelis are still in the custody of Hamas and what is the plan of their release could have found a place in the narrative. The root cause is important to understand. War with Israel with neighbouring countries are going on for long. Most of the Jews have been eliminated by many countries. This point was raised at UNSC also. Very complicated international issue. However, Greta Thunberg could have been allowed with relief materials.

    ReplyDelete
  3. It is no doubt a timely reminder to rejuvenate a global solidarity move to take appropriate measures to prevent such inhuman aggression.

    ReplyDelete
  4. প্রেক্ষাপট সহ সুন্দর করে লেখা টি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে এই ধ্বংসলীলায় ইজরায়েলের ঘাড়ে ভর দিয়ে আমেরিকার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের দিকগুলো আলাদা ভাবে গুরুত্ব পেলে আরো অনেক ভালো হোতো। অবশ্য শুধু আমেরিকা নয়, অন্যান্য দেশগুলি যারা এখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইজরায়েল কে সমর্থন করে চলেছে তাদেরও স্বরূপ উন্মোচন আজ বড়োই জরুরি।

    ReplyDelete
  5. We must speak up for humanity on both sides and push for a just, peaceful solution—free from occupation, terror, and suffering.

    ReplyDelete
  6. a bunch of news headlines strung together without any underlying thought

    ReplyDelete