Pages

Friday, 26 June 2015

'একক মাত্রা' জুলাই ২০১৫

প্রকাশ পেল 'একক মাত্রা' ২০১৫ জুলাই সংখ্যা 
প্রচ্ছদ ছবি এঁকেছেন প্রদীপ মৈত্র 




সূচিপত্র
একটু জানাই, কিছু কিছু বিক্রেতা ও বইয়ের দোকান আমাদের কপিগুলো নিয়ে আর দাম দিচ্ছেন না, কিছু ক্ষেত্রে অবিক্রিত কপিগুলোও ফেরত দিচ্ছেন না। আমাদের পক্ষে এ খুব বিপদের কারণ। তাই, আগামী সংখ্যা থেকে আমরা শুধুমাত্র কতিপয় ভদ্রস্থ স্টলগুলোতেই আমাদের কপি দেব।
যারা 'একক মাত্রা' সংগ্রহ করতে চান তাঁরা দয়া করে ওই নির্দিষ্ট দোকানগুলো থেকে নেবেন, নচেৎ আমাদের গ্রাহক হয়ে ডাকযোগে নিতে পারেন অথবা প্রতি মাসের দ্বিতীয় শনিবার কলকাতার একাদেমি অফ ফাইন আর্টস'এর সামনে লিটল ম্যাগাজিন মেলা থেকে; একান্তই না পেলে ব্যক্তিগত যোগাযোগে।
যে দোকানগুলোতে পাবেনঃ পাতিরাম, বুক মার্ক, বইচিত্র, ধ্যানবিন্দু (এগুলো সব কলেজ স্ট্রিট অঞ্চলে), কোলের স্টল(বিবাদি বাগ), সুনীলের দোকান(উলটোডাঙ্গা), কল্যাণের দোকান(রাসবিহারী), বেলঘরিয়া, সোদপুর ও নৈহাটি স্টেশন।
মফঃস্বলের পাঠকেরা তাঁদের এলাকার দোকানগুলোতে বলবেন তাঁরা যাতে কলকাতার উক্ত স্টলগুলো বা আমাদের থেকে সরাসরি পত্রিকা সংগ্রহ করে নেন।

Thursday, 25 June 2015

প্রসঙ্গ টিম হান্ট



টিম হান্ট ও একটি রসিকতার কাহিনি
সায়ন্তনী অধিকারী
 
টিম হান্টের নাম আমি আগে শুনিনি। যেমন আরও অনেক নোবেল জয়ীর নামও শুনিনি। কিন্তু স্যার টিমের খ্যাতি সম্প্রতি কিছু বাড়ায় শুনতে বাধ্য হলাম আরও অনেকেরই মতো।

স্যার টিম ইউসিএল’এর সাম্মানিক অধ্যাপক ছিলেন এই কিছুদিন আগে অবধি। ৯ই জুন তিনি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্মেলনে কথা বলার সময় বলে বসেন যে ল্যাবরেটরিগুলিতে মহিলাদের উপস্থিতি সমস্যাজনক, কারণ, মহিলাদের উপস্থিতিতে প্রেমের সম্ভাবনা বেশি, আর মহিলারা সামান্যতম বকুনি দিলেও কান্নাকাটি বেশি করেন। এর পরেই অবশ্য হান্ট যোগ করেন যে তিনি নিছকই মজা করছিলেন, কিন্তু এই স্বীকারোক্তি খুব একটা গ্রাহ্য হয়নি প্রথমদিকে। মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে এবং টিম হান্ট পদত্যাগ করেন। আর এরপরই শুরু হয় আরেক প্রস্থ আলোড়ন। টিমের কিছু সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রী লিখিত ভাবে জানান যে টিম মোটেই সেক্সিস্ট নন এবং মিডিয়া ও কিছু অতি তৎপর ফেমিনিস্ট অকারণে তাঁর উপর এই লেবেল লাগিয়ে দিচ্ছে। অপরদিকে কেউ কেউ এও বলেন যে একটি সাধারণ রসিকতাকে নিয়ে বেরসিকরা একজন বিজ্ঞানসাধকের জীবিকা কেড়ে নিল। এ প্রসঙ্গে একটু দেখে নেওয়া যাক আসলে সমস্যাটা কোথায় হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় করা টিম হান্টের মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। একজন নোবেল জয়ী বিজ্ঞানীর কথা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে এটা কি খুবই অপ্রত্যাশিত? আর রসিকতার মধ্যে দিয়েই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট ধ্যান-ধারণার বীজ রোপণ ও লালন করা হয় সে বিষয়েও সন্দেহের বিশেষ অবকাশ থাকে না। তাহলে, ‘শুধুমাত্র রসিকতা’ বলে বিষয়টিকে কতটা লঘু করে দেখানো যায়? এবং একজন নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানী এ বিষয়টা বোঝেন না ভাবা হলে সম্ভবত তাঁর বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংশয় পোষণ করা হয়, যা বেশ আপত্তিকর।

আসা যাক সোশ্যাল মিডিয়া সহ অন্য মিডিয়া সমূহতে প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত প্রশ্নে। কনি সেন্ট লুইস বলে যে সাংবাদিক এই খবরটি ‘ব্রেক’ করেন, তার উপর পরবর্তীকালে টিম হান্টের ‘ছাঁটাই’এর দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একজন সাংবাদিক তাঁর কাজ করেছেন, তারপর যদি হান্ট চাকরি ছাড়েন, সে দায় কি সম্পূর্ণ রূপে উক্ত সাংবাদিক বা তাঁর লেখার? প্রসঙ্গত অন্যান্য সাংবাদিকরাও অনেকেই এই খবরটি পরিবেশন করেছেন, সর্বোপরি টিম নিজে স্বীকার করেছেন যে তিনি এই মন্তব্য করেছেন এবং তিনি এ নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী; যদিও সঙ্গে জুড়ে দিতে ভোলেননি যে তিনি সত্যিই মজা করছিলেন ও লঘু পাপে গুরু দণ্ড হল তাঁর, যদিও দণ্ডের দায় কারুর হলে সেটি কিন্তু ইউসিএল’এর, সাংবাদিক বা অন্যান্য মানুষ যারা বিরক্ত হয়েছেন এ ধরনের মন্তব্যে, তাদের নয়।

এবার আসা যাক বিশ্ব ব্যাপী ফেমিনিস্টদের এর প্রতিক্রিয়াজনিত সমস্যায়। ফেমিনিজম সম্ভবত এ সময়ের অন্যতম বহু বিকৃত ভাবধারা। অনেক মানুষই ফেমিনিস্ট বলতে খুব রাগী, পুরুষবিদ্বেষী একদল মহিলার কথা ভাবেন। বাস্তবে কিন্তু এমনটা নয়। ফেমিনিস্ট নিশ্চিত ভাবে একটি বহুধা বিভক্ত আন্দোলন, কিন্তু ফেমিনিস্ট মানেই পুংবিদ্বেষ এটি শুধু অতিসরলীকরণই নয়, বরং সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এবং শুধু নারী নয় পুরুষ ফেমিনিস্ট দেশে বিদেশে সুলভ। এ বিষয়ে অনেক আলোচনার অবকাশ থাকে, তবে তার যথাযথ স্থান এই লেখাটি নয়। শুধু এটুকুই বলা প্রয়োজন যে টিম সংক্রান্ত ঘটনার প্রতিবাদে টুইটারে যে হ্যাশট্যাগ নির্মিত হয় – ‘ডিসট্রাক্টিংলি সেক্সি’ - তার রসগ্রহণ করতে রসিক মানুষ টিম ও তাঁর সহযোগীরা ব্যর্থ হলেন কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। সম্ভবত টিম চাকরি খুইয়ে রসবোধজনিত সমস্যায় পড়েছেন। তাকে বিনম্রভাবে বলি, ক্ষমা করবেন স্যার টিম, আপনার রসবোধ বুঝতে ঠিক একইভাবে আমাদেরও সমস্যা হয়েছিল। আসলে আপনার রসিকতার কারণে মহিলাদের জন্য কাজের সুযোগ একটু হলেও হ্রাস পাবে এটাই আশঙ্কার কারণ। আর ঠিক তাই আপনার চাকরি যাওয়া নিয়ে আনন্দ করতে পারছি না!

Tuesday, 23 June 2015

'একক মাত্রা' ১০০ - আরও কিছু মুহূর্ত

'একক মাত্রা' ১০০ - আরও কিছু মুহূর্ত ও প্রতুলদার গান 



প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান
নিচে ক্লিক করুন 

Monday, 22 June 2015

'একক মাত্রা' ১০০




একশো 'একক মাত্রা'
পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়

লিটল ম্যাগাজিনের কাজ হল একটা গোষ্ঠী তৈরি করা এমন এক গোষ্ঠী যেখানে একদল স্বঘোষিত লেখক জড়ো হয়ে একে অপরের পিঠ চাপড়ায় তাঁরা নিজেরাই নিজেদের লেখা পড়েন, নিজেরাই সেগুলোর সমালোচনা করেন ইত্যাদি এমন অভিযোগ শোনা যায় বড় কাগজের মুখে প্রায়শই তাই বড় কাগজের মুখ রাখতে, আজ ভাবছি একটু নিজেদের পিঠ চাপড়াব সেই উদ্দেশ্যেই লিখতে বসা
‘একক মাত্রা’ নামক ছোট দ্বিমাসিক কাগজখানা পিঠ চাপড়ানোয় এমন ব্যুৎপত্তি লাভ করেছে, মে মাসে ১০০তম সংখ্যাটি প্রকাশ করতে পেরেছে সেই আনন্দে আটখানা হয়ে, একটা ছোটখাট আড্ডার আয়োজন করা হয় নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী, এমন আড্ডার পরিকল্পনা হচ্ছে শোনামাত্র সল্ট লেক করুণাময়ীর কাছে 'অন্য থিয়েটার' দলের যে বাড়িটা আছে, তার একখানা ঘর সাগ্রহে আমাদের ব্যবহার করতে দেবেন বলেন বিভাসবাবু দীর্ঘদিন ‘একক মাত্রা’ পড়ছেন, লিখেছেনও বেশ কয়েকবার আড্ডার দিন ঠিক হয় ২০ জুন বিভাসবাবু ছাড়াও সেদিনের আড্ডায় ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, একক মাত্রার সম্পাদক অনিন্দ্য ভট্টাচার্য, সম্পাদকমণ্ডলীর বাকি সদস্যেরা আর একক মাত্রার অন্যান্য বন্ধুরা স্তুতি, ব্যজস্তুতি, তর্ক, বিতর্ক, সমালোচনা, প্রস্তাবনা, স্মৃতিচারণ, চা, শিঙাড়া, গান, কবিতায় জমে গেল সন্ধ্যের আসর  প্রতুলদার কথা ধার করে বলতে হলে, 'মাথায় বরফ পড়া' লোকের ভিড় সেদিন যেমন ছিল, তেমনই আমার মতো অকালপক্ক মাতব্বরেরাও বাদ পড়েনি আমাদের এক লাইফ মেম্বার বললেন তাঁর উনিশ বছরের ছেলে একক মাত্রা পড়ার আগ্রহ পায় না তর্ক চলল, উনিশ বছরের কাছে নিজেদের পৌঁছতে হলে উনিশ বছরকে আমাদের মতো করে তৈরি করার প্রয়োজন, না আমাদেরই তাদের পছন্দের সঙ্গে তাল মেলাতে শিখতে হবে? প্রশ্ন উঠল কাগজের ফর্ম কন্টেন্ট নিয়েও  -ম্যাগ, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়াও বাদ পড়ল না নতুন পাঠকের কাছে পৌঁছনোর তাগিদে নতুন মাধ্যমগুলোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়াও সাব্যস্ত হল সব শেষে কিছু কবিতা পাঠ, সংহিতা আর প্রতুলদার গান দিয়ে শেষ হল আসর যে ঘরে আড্ডা হচ্ছিল তার ঠিক বাইরেই ডিসপ্লে করা হয়েছিল একক মাত্রার প্রচুর পুরনো সংখ্যা আর প্রতিশ্রুতি মতো উপস্থিত বন্ধুদের সেগুলোর মধ্যে থেকে তাঁদের পছন্দের যে কোনও একটি করে সংখ্যা উপহারও দেওয়া হল

পিঠ চাপড়ানোর পালা শেষ এবারে বন্ধুরা, অনুরোধের পালায় আসি এই ব্লগের জন্য প্রতিনিয়ত ভালো লেখার খোঁজে থাকি আমরা বর্তমান যে কোনও প্রাসঙ্গিক বিষয় যা আপনাকে অনুপ্রাণিত, ব্যথিত, আলোড়িত করে, তার ওপর ৪০০-৫০০ শব্দের লেখা ekakmatra@yahoo.com এ পাঠিয়ে দিন ব্লগে আমরা ইংরেজি লেখাও ছাপি

Friday, 5 June 2015

'একক মাত্রা'র আড্ডা ..




প্রথম প্রকাশ অক্টোবর ১৯৯৮। তারপর নিরন্তর চলা। ২০১৫’এর মে’তে এসে শততম সংখ্যার প্রকাশ। অগুন্তি মানুষের সমর্থন ও আশকারা ছাড়া এই পথ চলা সম্ভব ছিল না।

তাই একটু বসা, কথা বলা সকলের সঙ্গে। জেনে নেওয়া, জানানো। আড্ডা আলোচনা পাঠ, চাইলে গান, ও এই সময়ের জরুরি কথা। এইসব নিয়েই ২০ জুন শনিবার আমরা সকলে বসছি বিকেল ৫টা থেকে ‘অন্য থিয়েটার’এর সভাঘরে (সল্ট লেক করুণাময়ীর কাছে, CK-43, Sector-II)

আপনিও আসুন। পরে জানাচ্ছি আরও বিশদে।

সম্পাদকমণ্ডলী
একক মাত্রা